যারা এই সাইটের নিয়মিত ভিজিটর তাদের কাছে ডোমেইন বা হোস্টিং কথাটা নতুন নয়। তাই ডোমেইন কি বা কেন তা নিয়ে বেশি কিছু বলবো না। কিন্তু একটি ডোমেইন কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ রাখতে হয়। আজকে শুধু সেই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
ডোমেইন কি?
ইন্টারনেট জগতে আপনার সাইটের ইউনিক এড্রেস ই হলো ডোমেইন। যেমন google.com, yahoo.com
মনে রাখবেন -
https://www.techtunes.iom একটি সচল ডোমেইন তাই আপনি চাইলেও এটা আর কিনতে পারবেন না। তবে আপনি চাইলে techtunes.support বা অন্য কিছু কিনতে পারবেন। তবে আপনি কিন্তু google এর কোনো এক্সটেনশন্স এরই ডোমেইন কিনতে পারবে না। কারণ তারা সবগুলো আগে থেকেই কিনে রেখেছে।
ইন্টারনেট এ বিভিন্ন এক্সটেনশন যুক্ত ডোমেইন হয়ে থাকে যেমনঃ.com, .net, .edu, .org, .blog etc.
এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত 1543 টি ডোমেইন এক্সটেনশন লিস্টেড হয়েছে।
এক্সটেনশন সিলেকশন :
প্রতিটা এক্সটেনশন কিছু আলাদা পরিচিতি এবং গুণাবলী বহন করে। যেমন.com - সবার জন্য উন্মুক্ত.edu - শিক্ষা ব্যাবস্থা যেমন ইউনিভার্সিটি, স্কুল.org - কোনো অর্গানাইজেশন বুঝায়.bd, .uk - কোনো দেশ কে বুঝায়। তবে আপনি চাইলেই এই এক্সটেনশন কিনতে পারবেন না। আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করতে হবে।
সুতরাং আপনার চাহিদা এবং পছন্দ অনুযায়ী কোনো টপ লেভেল ডোমেইন সিলেক্ট করুন।
ডোমেইন নাম সিলেকশন :
১. ডোমেইন নাম টি অবশ্যই আপনার কাজ বা প্রতিষ্ঠান এর নামের সাথে মিল রেখে সিলেক্ট করবেন। কারণ SEO সহজ হবে
২. তবে ফ্রিল্যানসিং পোর্টফোলিও সাইট এর জন্য আপনি আপনার নাম বা কাজের ধরন কে প্রাধান্য দিতে পারেন।
৩. ডোমেই নাম এর ভিতরে (. -) এগুলো না থাকা ভালো। ডোমেইন নাম যেন ছোট এবং সংক্ষেপে মনে রাখার মতো হয় সেটি মাথায় রাখতে হবে।
৪. অবশেষে আপনি যে ডোমেইন নাম সিলেক্ট করলেন সেটা যেন এক্সপায়ার্ড ডোমেইন না হয় সেটা একটু খেয়াল রাখবেন। কারন এক্সপায়ার্ড ডোমেইন SEO তে অনেক ঝামেলা করে।
এক্সপায়ার্ড ডোমেইন: ধরুন আপনি একটা ডোমেইন কিনলেন এবং এক বছর পরে আপনি আর ব্যবহার করলেন না। তো সেটি হবে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন এবং পরে যদি কেউ কিনে তাহলে সে একটি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনলো।
ডোমেইন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:
১. ফুল কন্ট্রোল : সবার আগে ডোমেইন প্রোভাইডার এর সাথে কথা বলে সিওর হবেন যে আপনি ফুল কন্ট্রল পাবে কিনা। না দিলে কিনবেন না।
২. রিনিউয়াল ফি : আপনি প্রথম বছর যে টাকা দিয়ে ডোমেইন কিনলেন সেই টাকা দিয়ে পরের বছর রিনিউ করা যাবে কিনা বা বেশি লাগবে কিনা সেটা সিওর হবেন।
৩. ডোমেইন প্রাইভেসি : এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডোমেইন প্রাইভেসি মানে হলো WHOIS থেকে আপনার ইনফরমেশন গুলো হিডেন রাখা। হ্যাকার থেকে বাঁচার জন্য এটা খুবই দরকার। অনেক প্রোভাইডার এটা ফ্রি দেয় আবার অনেকে টাকা নেয়।
৪. SSL: SSL থাকবে কিনা। অনেক প্রোভাইডার এটা ফ্রি দেয় আবার অনেকে প্রতি বছর টাকা নেয়। SEO এর জন্য খুবই দরকারি এবং আপনার সাইট কে সিকিউর করে।
ডোমেইন এর দাম:
এক্সটেনশন অনুযায়ী দাম বেশি বা কম হতে পারে। .com, .net ডোমেইন গুলো ৬০০ টকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে এবং সহজে কিনতে পারা যায়।
কিভাবে কিনবেন :
এ বিষয়ে আমি কোনো সাজেশন দিবো না। গুগল এ সার্চ দিন। যে কোম্পানি থেকে কিনবেন তার সম্পর্কে জেনে নিবেন। ব্যবহারকারীদের রিভিউ দেখবেন।
আপনি কিন্তু যেকোনো সময় ডোমেইন ট্রান্সফার করতে পারেন। ধরুন আপনি “A” কোম্পানি থেকে ডোমেই কিনলেন সেটা আপনি চাইলে “B” কোম্পানিতে ট্রান্সফার করতে পারবেন। অনেক কোম্পানি ফ্রি তে ট্রান্সফার করে থাকে।
আমি আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লিখলাম। আপনার মতামত জানাবেন। আমার ওয়েবসাইট চাইলে ঘুরে আসতে পারেন।
পরবর্তী টিউন :
হোস্টিং কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।
কিভাবে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট কে সিকিউর করবেন।
আমি CoderSam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।