এর আগের টিউনে আপনাদের মোটামুটি ভালই সারা পেয়েছি তাই নিয়ে এলাম আরও একটি টিউন আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে এবং ভাল লাগবে। আর আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন তাহলে আমি আপনাদের ভাল কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করব।
আজ আমি আপনাদের শেখাবো কিভাবে আপনার মোবাইলে এবং কম্পিউটারে ফোল্ডার হাইড ও আন-হাইড করবেন।
আমি এর আগেই বলেছি যে আমার ল্যাপটপ চালাতে যখন কোন সমস্যায় পরি তখন সেইটার সমাধান আগে নিজেই করার চেষ্টা করি।
যদি উপকৃত হই তাহলে সবার মাঝে শেয়ার করি। তেমনি আজ আমার কিছু গোপনীয় ফাইল আছে যেগুলো অন্য কারও জানার প্রয়োজন নেই।
যেমন ধরেন কিছু Password বা আপনার কিছু গোপন Project যেগুলো কার সাথে শেয়ার করতে চাইতেছেন না তাহলে কি করবেন আর এজন্য প্রয়োজন সিকিউরিটি।
আর আজ এই জন্যই এই টিউন নিয়ে আসলাম। কারন অনেকেই হয়ত এটাই খুজতেছেন।
আশা করছি যারা ফোল্ডার হাইড ও আন হাইড করতে জানেন না তারা নিশ্চয় এই কাজটি শিখতে পেরে আনন্দিত হবেন।
আসলে এটি একটি মজার ও প্রয়োজনীয় বিষয়। কারন পিসিতে এমন অনেক গোপনীয় বা ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট থাকে
যেগুলোকে হাইড অর্থাৎ লুকিয়ে রাখার প্রয়োজন হয়, যাতে করে অন্যরা সেটি দেখতে বা ওপেন করতে না পারে।
তাহলে চলুন আর দেরি কেন! জেনে নেয়া যাক কিভাবে ফোল্ডার হাইড ও আন হাইড করতে হয়।
ফোল্ডার হাইড বা আন হাইড করার জন্য আপনি হয়তো আলাদা সফটওয়্যার বাজারে অথবা নেট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
যার মাধ্যমে আপনি ফোল্ডার হাইড ও আন হাইড করতে পারবেন। কিন্তু আজ আমি আপনাদের শেখাবো অপারেটিং সিস্টেম
থেকে কিভাবে ফোল্ডার হাইড ও আন-হাইড করতে হয়। তার জন্য প্রথমে আমি একটি ফোল্ডার নির্বাচন করবো যেটিতে আমি হাইড অপশনটি অ্যাপ্লাই করবো।
আমার নিচের আলোচনা গুলো ভালভাবে অনুসরন করুন ইনশাল্লাহ এই কাজটি আপনি খুব সহজেই শিখে ফেলবেন।
উপরের ছবিতে দেখুন, কিভাবে ফোল্ডার হাইড করতে হয় সেটি দেখানোর জন্য একটি ফোল্ডার সিলেক্ট করে তাতে রাইট ক্লিক করার কারনে একটি অপশন মেনু ওপেন হয়েছে।
এবং সেখানে Properties অপশনটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার এই অপশন মেনুতে Properties অপশনে ক্লিক করতে হবে।
তাহলে ফোল্ডারটির নাম সহ Properties নামের একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে।
উপরের ছবিতে লক্ষ্য করুন, Properties অপশনে ক্লিক করার পর Properties নামের একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হয়েছে।
এছাড়াও ফোল্ডারটি হাইড করার কমান্ড গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
চিহ্নিত অংশ গুলো লক্ষ্য করলে দেখবেন General ট্যাবের Hidden অপশনটি সিলেক্ট করা হয়েছে। এই অপশনটি মুলত ফোল্ডার হাইড করার অপশন।
Hidden অপশনটি সিলেক্ট করা হয়ে গেলে দেখুন, Apply অপশনটি একটিভ হয়ে গেছে। এবার Apply অপশনে ক্লিক করুন।
দেখবেন Confirm Attribute Changes নামের পুনরায় নতুন একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হয়েছে।
উপরের ছবিতে দেখুন, Apply অপশনে ক্লিক করার পর Confirm Attribute Changes নামের একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হয়েছে।
এটি মুলত কনফার্ম হওয়ার জন্য যে আপনি হাইড অপশনটি শুধুমাত্র ফোল্ডারে অ্যাপ্লাই করবেন নাকি ফোল্ডারের ভেতরে সাব ফোল্ডারেও অ্যাপ্লাই করবেন।
সেটি সিলেক্ট করে OK ক্লিক করুন, তাহলে হাইড করার কমান্ডটি কনফার্ম হয়ে যাবে এবং Confirm Attribute Changes নামের একটি ডায়ালগ বক্সটি চলে যাবে।
এবার আপনি Properties নামের ডায়ালগ বক্সে OK ক্লিক করুন। তাহলে আপনি যে ফোল্ডারের উপরে হাইড অপশনটি অ্যাপ্লাই করেছেন সেটি হাইড হয়ে যাবে।
উপরের ছবিতে দেখুন, ফোল্ডার হাইড কনফার্ম হয়ে গেলে Properties ডায়ালগ বক্সে OK ক্লিক করুন।
তাহলে আপনি যে ফোল্ডারে হাইড অপশন অ্যাপ্লাই করেছেন সেই ফোল্ডারটি হাইড হয়ে যাবে।
এতক্ষণে উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয় জেনে গেছেন কিভাবে কোন সফটওয়্যার ছাড়াই OS থেকে ফোল্ডার হাইড করতে হয়।
আশা করি এই বিষয়ে আপনার আর কোন কনফিউশন থাকার কথা নয়। এবার চলুন জেনে নেই কিভাবে ফোল্ডার আন হাইড করে হয়।
হাইড করা ফোল্ডার আন হাইড করতে চাইলে আপনাকে Control Panel থেকে কাজ করতে হবে।
সে ক্ষেত্রে প্রথমে Start মেনুতে ক্লিক করুন, যে অপশন মেনুটি আসবে সেখানে Control Panel এ ক্লিক করুন।
উপরের ছবিতে দেখুন, কন্ট্রোল প্যানেল ওপেন করার কমান্ড চিহ্নিত করা হয়েছে।
আপনি উপরের ধাপগুলো সঠিকভাবে করতে পারলে আপনি অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে যে কোন ফাইল বা ফোল্ডার হাইড/আনহাইড করতে পারবেন
পরিশেষে বলতে চাই, টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে তা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
টিউনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে Likebn.Com
আমি মোঃ রেজাউল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 31 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।