কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো আপনার আন্ড্রয়েড স্মার্টফোন এর ব্যাটারী কে খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে দিচ্ছে। আর এই সব বিষয় গুলো শুধুমাত্র একধরনের ডিভাইসেই না বরং সব ডিভাইসের জন্য একই রকম। যদি আপনি কখনো আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারী জনিত অপুষ্টিতে ভোগেন, তাহলে এখনি বসে পড়ুন এবং লক্ষ করুন আমাদের দিকে এবং দেখুন কি হচ্ছে এখানে। ☞1)Display Brightness:
বিস্মিত হবার কিছু নেই আপনার প্রিয় ডিভাইসের ডিসপ্লেটি কিন্তু ব্যাটারী ধংস করার ক্ষেত্রে প্রথম স্তরের খাদক। এর প্রধান কারন হচ্ছে ডিসপ্লের উজ্জলতা বাড়িয়ে ব্যবহার করা। অটো ব্রাইটনেস প্রোগ্রামটিও একই কাজ করে। এর সহজ সমাধান হলো যতটা সম্ভব ব্রাইটনেস কম ব্যবহার করা যেভাবে আপনি স্বাচ্ছন্দ অনুভব করেন, যখন দরকার হবে তখন প্রয়োজন মত আবার বাড়িয়ে নিবেন। যদি আপনি এইভাবে আপনার ডিভাইসটিকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে অপার বিস্ময় অন্তত ব্যাটারীর দিক থেকে।
2) Location:
সম্ভবত আমাদের স্মার্টফোনে দিন রাত ২৪ ঘন্টা GPS চালু রাখার কোন দরকার হয়না। GPS চালু রাখলে আপনার ফোনের ব্যাটারী রসিকতা শুরু করবে। তাই বলে যে GPS ব্যবহার করবেন না তা কিন্তু বলছি না। যখন দরকার হবে তখন ব্যবহার করে আবার অফ করে রাখবেন। তাহলেই বুঝতে পারবেন বিডি-ড্রয়েড আপনাকে নিয়ে কত ভাবে।
3) Display time out:
ডিসপ্লে টাইম-আউট হচ্ছে একটা বিশেষ ধরনে অপশন যেখানে আপনি নির্ধারন করতে পারবেন যে আপনার ফোন আপনাকে ছাড়া কতক্ষন জেগে থাকবে। অর্থাৎ আপনার ফোন কখন স্লিপ মোডে যাবে যখন আপনি নেভিগেশন বন্ধ করবেন। আপনি যদি বেশি টাইম নিয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার ফোনের ব্যাটারীকে খুব তাড়াতাড়ি ডিসচার্জ করে দেবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ১৫ সেকেন্ড বা ৩০ সেকেন্ড ব্যবহার করেন।
4) Account suncing:
যখন আপনার ফোন গুগল অ্যাকাউন্ট এর সাথে সংযোজিত থাকবে তখন প্লে স্টোরের সাথে একটা লিঙ্ক তৈরী হয়ে যায়। এর একটা প্রধান কাজ হচ্ছে আপনার ডাউনলোডকৃত অ্যাপস গুলোর আপডেট করা। এক্ষেত্রে আপনি যদি অটো আপডেট বন্ধ করে রাখেন এবং ম্যানুয়াল আপডেট চালু রাখেন তাহলে আপনি যখন তখন ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থেকে রক্ষা পাবেন। আর তার সাথে ফ্রী পাবেন আপনার অতি কাঙ্খিত ব্যাটারী লাইফ।
5) Wi-Fi connectivity:
যেহেতু আপনার হাতে স্মার্টফোন। সুতরাং ওয়াই-ফাই পেলে তো আর নিজেকে সংবরন করতে পারবে না। আমি আপনাকে সংবরন করতেও বলব না। তবে শুধু এটুকুই বলব যে আপনার কাজ হয়ে গেলে সাথে সাথেই ওয়াই-ফাই অফ করে নিবেন। এবং যতটা সম্ভব দুর্বল কানেকশন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। চাইলে আপনি আপনার ফোনের ওয়াই-ফাই সেটিং থেকে দুর্বল কানেকশন এড়িয়ে থাকতে পারবেন।
6) NFC, Gestures, profile:
আপনার এই অপশনটি খুব বেশি দরকার না হয় তাহলে ব্যবহার করবেন না। এবং সবসময় চেষ্টা করবেন প্রোফাইল থেকে পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করতে। পাওয়ার সেভিং মোড অটোমেটিক্যালি হ্যান্ডেল করবে আপনার ব্যাটারী যত্ন। তবে কেনো এটা ব্যবহার করবো?
7) Old and unused apps:
যতটা সম্ভব শুধু মাত্র দরকারী অ্যাপস ছাড়া বাকিদেরকে গুডবাই জানান আপনার ফোন থেকে। আর একটি কথা বলতে প্রায় ভুলেই গেছি আপনার ব্যাবহৃত অ্যাপস গুলোর যখন কোন আপডেট ভার্সন আশাকরি স্মার্টফোনের আনন্দ আপনারা আরো বেশি করে উপভোগ করতে পারবেন। আরও দেখুন
আপনার ফোন কেউ হ্যাক করেছে কিনা কিভাবে বুঝবেন
অন্যের সিমের কল লিস্ট, ফেসবুক, লোকেশন সহ সব কিছু দেখে নিন নিজের ফোনে
আমি আমির হামজা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।