বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এক যুগ আগেও একটা নরমাল কম্পিউটারের দাম ছিলো প্রায় ২০ হাজারের উপরে। এখন ৭ কিংবা ৮ হাজার টাকাতেই কম্পিউটার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বাসায় ব্যবহারের জন্য কিংবা বিজনেস বা অফিসের কাজের জন্য আজকাল আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। যে কাজের জন্যই কম্পিউটার কিনি না কেন, পিসি কেনার আগে আমাদেরকে বেশ কিছু ধাপ মেনে চলতে হবে তাহলে আমরা সুলভ মূল্যে সঠিক ডিভাইসটি কিনতে পারবো। তাই আমি আজ টেকটিউনসে কম্পিউটার কেনার আগের বেশ কিছু সাধারণ সমস্যা এবং প্রশ্ন নিয়ে আজকের এই টিউনটি সাজিয়েছি। আশা করবো আগামীতে যারা নতুন কম্পিউটার কেনবেন তাদের জন্য আমার এই গাইডটি কিছুটা হলেও কাজে দেবে।
কম্পিউটার বাজারে মূলত তিন ধরনের পাওয়া যায়। প্রথমটি হলো নতুন এবং ইনট্যাক। যেটা বাজারে সকল দোকানেই পাওয়া যায়। নতুন কম্পিউটারের আপনি পাবেন ফ্রেশ মালামাল এবং কোম্পানির বা ব্রান্ডের পিসি কিনলে পাবেন ফ্রি সার্ভিসিং এবং নির্দিস্ট ওয়ারেন্টি। আর টাকা সাশ্রয় করতে চাইলে আপনি রিফ্রাব্রিশ কিংবা পুরোনো বা সেকেন্ড হ্যান্ড পিসি কিনতে পারেন। রিফ্রাব্রিশ পিসি হলো নতুন ও পুরোনো এর মিশ্রন। ধরুন পিসির মাদারবোর্ডটি পুরোনো, র্যাম পুরোনো কিন্তু গ্রাফিক্স কার্ড আর প্রসেসরটি নতুন। এভাবে কিছু কিছু দোকানে আপনি নতুনের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে রিফ্রাব্রিশ পিসি পাবেন। তবে রিফ্রাব্রিশ পিসি কিনতে হলে অবশ্যই অবস্থা বুঝে এবং সাথে একজন পিসি এক্সপার্টকে সাথে রেখে তারপর কিনতে হবে, না হলে জায়গায় ধরা খাবেন।
আর পুরোনো পিসি তো পুরোনোই বা সেকেন্ড হ্যান্ড। এক্ষেত্রেও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে আপনাকে। যেগুলোর কিছু পয়েন্ট আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি:
১) পুরোনো বা রিফ্রাব্রিশ পিসি কেনার জন্য প্রথমেই যে জিনিসটি নিজের চোখে চেক করবেন সেটা হলো যন্ত্রাংশের কোনো ফিজিক্যাল ড্যামেজ আছে কিনা। সিপিইউ এর বাইরে এবং ভেতরে খুলে নিয়ে নিজে যাচাই করে দেখুন। সবসময় বিক্রেতার কথায় ভরসা রাখবেন না।
২) পুরোনো পিসি বিক্রির অনেক কারণ থাকে। যার মধ্যে অধিকাংশই হয় কোনো সমস্যার কারণে। আপনি বিক্রেতার কাছ থেকে পিসিতে কোনো সমস্যা রয়েছে কিনা সেটা জিঞ্জাসা করুন। আর পারলে নিজে খুঁজে নিন।
৩) রিফ্রাব্রিশ পিসি কেনার সময় নতুন যন্ত্রাংশের ওয়ারেন্টি কার্ড বুঝে নিন। আর নতুন পুরোনো কম্বিনেশন সঠিক ভাবে সেট করা হয়েছে কিনা সেটাও খেয়ালে রাখুন।
৪) নতুন পিসির বাজারমূল্য মাথায় রাখুন। যে স্পিডের পুরোনো পিসি আপনি কিনছেন সেটার সাথে নামে মাত্র মূল্য যোগ করলে যদি নতুন পিসি কিনতে পারা যায় তাহলে নতুনই কিনুন।
৫) সব সময় চেষ্টা করবেন রানিং পিসি কেনা। পিসি ৩/৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এমন পুরোনো পিসি কখনোই কিনবেন না। এগুলোতে অনেক ধরনের যান্ত্রিক সমস্যা থাকে।
এসব বিষয় আর বাজেটের দিকে লক্ষ্য রেখে আপনার সিদ্ধান্তটি নিন। তবে আমি মনে করি কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরোনো বাট নতুন পিসি কেনাই উত্তম। যেমন জরুরী টাকার প্রয়োজনে অনেকেই ভালো কোয়ালিটির পিসি বিক্রি করে দেয়। আপনি সেগুলো নিশ্চিন্তে কিনতে পারেন।
নতুন পিসি কিনবেন বলে যদি মনস্থির করে থাকেন তাহলে নিচের প্রত্যেকটি বিষয়কে আগে থেকে সিলেক্ট করে নিবেন। তাহলে দোকানে গিয়ে আর নতুন করে চিন্তাভাবনার দরকার হবে না। আর পিসি সম্পর্কে যদি জেনারেল নলেজ না থাকে তাহলে অবশ্যই একজন পিসি এক্সপার্টকে সাথে নিয়ে তারপর পিসি কিনবেন।
কেইস বা চেসিস হচ্ছে সিপিইউ এর বাহ্যিক আবরণটা। সাধারণত দোকানদাররা আপনাকে একটি নরমাল কেইস দেবে যদি আপনি আরো উন্নতটা না চান। উন্নত কেইস বলতে আরো সলিড, স্টাইলিশ এবং সাইজের উপর ডিপেন্ড করে একটি কেইস এর মূল্য ১৫০০ থেকে শুরু করে ১০০০০ পর্যন্ত বা এর চাইতেও বেশি হতে পারে।
তবে মনে রাখবেন কেসিস বা কেইস এর উন্নত বা সাধারণ মানের উপর আপনার পিসির পারফরমেন্স নির্ভর করবে না। তাই কেসিসে অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ ব্যায় না করাই উত্তম। কি ধরনের কেইস ব্যবহার করবেন যেটা নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনি কি ডেক্সটপ বা টাওয়ার কেইস চান, ডেক্স টেবিলের কোথায় সিপিইউটা থাকবে? বা ভবিষ্যৎ এ নতুন যন্ত্র লাগানোর স্পেস আপনার লাগবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ের উপর আপনার কেইসের ধরণটি নির্ভর করবে।
আগেরকার দিনে পিসিগুলোকে সিডি ড্রাইভ থাকতো। এখন সব DVDR ড্রাইভ হয়ে গেছে। মানে বর্তমানে ডিভিডি ড্রাইভে আপনি ডিক্স চালাতেও পারবেন এবং ব্ল্যাঙ্ক ডিক্সে ডাটা রাইটও করতে পারবেন। মিডিয়া ড্রাইভের উপর আপনার পিসির পারফরমেন্স নির্ভর করে না তাই এখানে প্রয়োজনের অধিক অর্থ খরচ করাটা বোকামি।
হার্ড ড্রাইভ হচ্ছে এমন এক স্টোরেজ ডিভাইস যেখানে আপনার পিসি সকল ডাটা জমা থাকবে। তাই বাজেটে থাকলে ভালো মানের এবং ভালো সাইজের হার্ড ড্রাইভ বেছে নিন। আর আপনি HDD বা SSD কোনটা ব্যবহার করবেন সেটাও আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন। HDD বা হার্ডডিক্স ড্রাইভ হলো বর্তমান যুগের হার্ড ড্রাইভ যেখানে আপনি তুলনামূলক কমমূল্যে অধিক সাইজ পাবেন। আর অন্যদিকে SSD বা সলিত স্টেট ড্রাইভে আপনি স্পিড পাবেন ভালো। মানে ডাটা দ্রুত কপি পেস্ট করতে পারবেন। তবে HDD এর তুলনায় SSD এর টেকসইতা কম এবং স্টোরেজ সাইজও কম এবং দামও বেশি। SSD সাধারণত ট্যাবলেট বা নোটবুকগুলোতে আপনি দেখতে পাবেন। মনে রাখবেন হার্ড ড্রাইভের স্পিড আপনার পিসির টোটাল পারফরমেন্সকে প্রভাবিত করে তাই ভালো মানের হার্ড ড্রাইভ কিনতে চেষ্টা করুন।
প্রসেসর হচ্ছে আপনার পিসির পারফরমেন্সের মূল্য উপাদান। বাজারে বিভিন্ন স্পিডের বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রসেসর পাওয়া যায়। কাল ভেদে প্রসেসরের দাম এক হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ টাকাও ছাড়াতে পারে। প্রসেসর কেনার আগে যেগুলো বিষয় মাথায় রাখবেন সেগুলো হলো:
> কি টাইপের প্রসেসর আপনি কিনবেন এবং কি টাইপের প্রসেসর আপনার আসলেই দরকার সেটি নির্ধারণ করুন আগে। যদি বাসায় শুধুমাত্র গান শোনা কিংবা মুভি দেখা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য যদি পিসি কিনেন তাহলে সাধারণত প্রসেসরেই আপনার কাজ হয়ে যাবে।
> পরের যে জিনিসটি প্রসেসর কেনার সময় আপনাকে খেয়ার রাখতে হবে সেটা হলো প্রসেসরের ব্রান্ড। অবশ্যই ভালো কোনো উন্নত মানের ব্রান্ডের সিপিইউ কেনা উচিত। সস্তা চাইনিজ সিপিইউ কেনবেন না। ব্রান্ডের সিপিইউ যেমন AMD, Cyrix কিংবা ইন্টেলের প্রসেসর কেনা উচিত। আর আপনার প্রসেসরে উপর আপনার মাদারবোর্ড নির্ভর করে। যেমন বর্তমানে কোর আই ৯ প্রসেসর শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি মাদারবোর্ডেই সার্পোট করে।
> পরের যে জিনিসটি আপনার খেয়ার রাখতে হবে সেটা হলো প্রসেসরের হিট সিঙ্ক সিস্টেমটি কেমন রয়েছে। হিট সিঙ্ক এর মাধ্যমে প্রসেসর চলমান অবস্থায় ঠান্ডার রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়। কোনো প্রসেসরে হিট সিঙ্ক নেই বা ডেমেজ কিংবা খারাপ হিট সিঙ্ক থাকলে সেটা কেনা উচিত নয়।
> প্রসেসর কেনার সময় আরেকটি বিষয় দরকার যেটি হলো প্রসেসর কুলিং ফ্যান। হিট সিঙ্ক এর পর যে জিনিসটি আপনার প্রসেসরকে ঠান্ডা রাখবে সেটা হলো কুলিং ফ্যান। বাজারে ৫০০ টাকায় বড়সড় এবং কাজের বিভিন্ন প্রসেসর কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। এদের মধ্যে যেকোনো একটিকে লাগিয়ে নেবেন।
যারা জেনারেল কাজ করার জন্য পিসি কিনবেন তাদের জন্য আলাদা করে গ্রাফিক্স কার্ড বা GPU এর দরকার হবে না। কিন্তু যারা গ্রাফিক্সের কাজ করেন কিংবা গেমস খেলার জন্য যারা পিসি কিনছেন তাদের জন্য অবশ্যই একটি ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন। গ্রাফিক্স কার্ড আর র্যামের সঠিক কম্বিনেশন আপনার পিসিকে করে তুলতে পারে সুপার ফাস্ট! আর আপনি যদি আপনার পিসি আপগ্রেড করতে চান তাহলে গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে পিসি আপগ্রেড করতে পারেন খুব সহজেই।
> গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে প্রথম যে জিনিসটি লক্ষ্য করবেন সেটা হলো গ্রাফিক্স কার্ডটি আপনার মাদারবোর্ড এর সাথে সার্পোট করবে কিনা। এর জন্য কার্ড কেনার আগে আপনার মাদারবোর্ডের মডেল আর কার্ডের মডেল গুগলে অনুসন্ধান করে নিন।
> উন্নত মানের গ্রাফিক্স কার্ড সঠিক ভাবে চালানোর জন্য প্রচুর পরিমানের পাওয়ারের দরকার হয়। এর জন্য হয়তো বা আপনাকে নতুন পাওয়ারফুল PSU কিনতে হতে পারে। সে দিকটা খেয়ার রাখুন।
> এবার আপনার কত পরিমাণের গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন সেটা নির্ধারণ করুন। ১ জিবি নাকি ২ জিবি নাকি আরো বেশি?
> এবার ব্রান্ড নির্বাচন করুন। বর্তমানে বাজারে AMD এবং Nvidia এই দুটি ব্রান্ডের গ্রাফিক্স কার্ড বেশি চলছে।
> গ্রাফিক্স কার্ডও গরম হয়। তাই গ্রাফিক্স কার্ডের কুলিং সিস্টেম সম্পর্কে জেনে নিন। নতুন মডেলের গ্রাফিক্স কার্ডে কুলিং ফ্যানের বদলে লিকুইড কুলিং সিস্টেম থাকে।
নামেই এর পরিচয়। কম্পিউটারের CPU এর যত মূল যন্ত্রাংশ রয়েছে সেগুলো সবই এই মাদারবোর্ডের উপর স্থাপিত হয়ে থাকে। তাই কোয়ালিটিযুক্ত মাদারবোর্ড কেনার চেষ্টা করবেন। চাইনিজ এবং সস্তা এবং সেকেন্ড হ্যান্ড মাদারবোর্ড কখনোই কিনবেন না। মাদারবোর্ড কেনার আগে এতে গ্রাফিক্স কার্ড এর স্লট কয়টা, র্যাম স্লট কয়টা, ইউএসবি পোর্ট কতগুলো আছে এগুলো যাচাই করে নিবেন।
র্যামের কাজ হলো আপনার পিসিকে চলমানরত কাজগুলোকে দ্রুত সম্পন্ন করে তোলা। যত বেশি র্যাম লাগাবেন ততবেশি দ্রুত কম্পিউটারে কাজ করতে পারবেন। বর্তমান যুগে ৪ গিগাবাইট র্যাম হচ্ছে স্ট্যার্ন্ডাড লাইন। তবে আপনি যদি গেমার হন কিংবা গ্রাফিক্সের কাজ করেন তাহলে আপনাকে র্যাম বাড়াতে হবে। র্যাম কেনার আগে সেটা মাদারবোর্ড এর সাথে DDR এর মিল আছে কিনা সেটা লক্ষ্য করবেন। সাধারণত র্যাম নস্ট হয় না তাই সেকেন্ড র্যাম কিনতে পারেন তবে ব্যবহার হয় না বা ফেলে রাখা হয়েছে এমন কোনো পুরোনো র্যাম কিনবেন না।
অনান্য যন্ত্রাংশ বলতে বিভিন্ন ক্যাবল, স্পিকার, মাউস, কীবোর্ড, রাউটার মনিটর ইত্যাদি যন্ত্রাংশ আপনার পিসির পারফরমেন্সের উপর প্রভার ফেলে না তাই আপনার বাজেট এবং প্রয়োজন ও চাহিদা অনুসারে বাকিগুলো কিনে নিন। মনিটর এর সাথে আপনার পিসির পারফরমেন্সের কোনো সম্পর্ক নেই বটে তবে বড় সাইজের মনিটরে উন্নত রেজুলেশনের দরকার হয় তাই উল্টে এটা আপনার পিসিকে স্লো করে দিতে পারে যদি পারফরমেন্স কুলাতে না পারে বটে। তাই আপনার বাজেট মাফিক একটি মনিটর কিনে নিন।
উপরের নির্দিস্ট পার্টসপাতি আপনি আলাদা করে কিনে নিয়ে নিজেই একটি কম্পিউটার তৈরি করতে পারেন। তবে বাজারে ব্রান্ড পিসি নামে আরেক ধরনের নতুন পিসি পাওয়া যায়। বিদেশে মূলত ব্রান্ড পিসিই বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। ব্রান্ড পিসি বলতে একটি নির্দিষ্ট ব্রান্ডের পিসিকে বুঝায়। যেমন আপনি যদি Dell বা Acer কিংবা HP ব্রান্ডের পিসি কেনেন তাহলে মনিটর, মাউস, কিবোর্ড, স্পিকার, সিপিইউ, পাওয়ার স্লাপাই সহ যাবতীয় সবকিছুই একটি ব্রান্ডের হবে। এক্ষেত্রে দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি হবে কিন্তু অপরদিকে এখানে আপনি ব্রান্ড ওয়্যারেন্টি পাচ্ছেন। আর অবশ্যই একটি ব্রান্ডেড মাউস একটি খুচড়া মাউসের থেকে অবশ্যই বেশি কোয়ালিটিযুক্ত হবে।
আর ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপ যেটাই কিনেন না কেন বা পুরোনো সেকেন্ড হ্যান্ড ক্রয় করার অবশ্যই এবং অবশ্যই সেটার মাদারবোর্ডের ডিক্সটা সংগ্রহ করে নিবেন। না হলে পরবর্তীতে উইন্ডোজ দেবার পর বিপদে পড়বেন আপনি।
আর পিসি কেনার সময় অবশ্যই এক্সপার্ট কাউকে সাথে রাখবে। যেমন শুধুমাত্র নেট ব্রাউজিং আর গান শুনা ও টুকটাক মুভি দেখার জন্য আপনার কোর আই ৫ ওয়ালা পিসির দরকার নেই। আবার গেমস খেলা বা হেভি ডিউটি কাজের জন্য ডুয়াল কোর পিসি কিনেও লাভ হবে না। কিংবা গ্রাফিক্স কার্ড উন্নত মানের না কিনে আপনি ২ টেরাবাইট হার্ডডিক্স কিনলেন যেটার কোনো প্রয়োজন নেই। আবার কোর আই ৭ পিসিতে ১ জিবি র্যাম লাগাবেন আর পরবর্তীতে পারফরমেন্সে ধরা খাবেন সেটাও হতে পারে. তাই এই সমস্ত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই একজন এক্সপার্টকে সাথে রাখবেন।
আর পিসির প্রাইস সম্পর্কে অনলাইনে না ঘেঁটে আপনার নিকটস্থ দোকানে নিজে গিয়ে আলাপ করে আসুন। অনলাইন প্রাইস আর বাস্তবিক প্রাইস অনেক পাথর্ক্য থাকে।
আর টিউনটি সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই সেটা নিচের টিউমেন্ট বক্সে করতে ভুলবেন না যেন। আজ এ পর্যন্তই। আগামীতে অন্য কোনো টপিক নিয়ে আমি টিউনার গেমওয়ালা চলে আসবো আপনাদেরই প্রিয় বাংলা টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম টেকটিউনস এ।
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
সুন্দর লিখেছেন