ছেলে এবং মেয়ে, পাত্র এবং পাত্রী উভয়টি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে উভয়পক্ষ ভুল করে। আর এই ভুলের কারনে পরবর্তীতে সম্পর্কটি দেখা যায় চেষ্টা করলেও টিকিয়ে রাখা যায় না। নবী করীম (সাঃ)
বলেছেন "মেয়েদেরকে বিবাহ করো চারটি জিনিস দেখে -
০১. তার সৌন্দর্য দেখে
০২. তার বংশ দেখে
০৩. তার পয়সা করী বাপের সম্পদ দেখে
০৪. এবং তার দ্বীনদারী দেখে "
এ ৪ টি জিনিস দেখে সাধারনত মানুষ বিয়ে করে। এ ৪টির ভিতরে
আমরা প্রথম ৩ টা খুব গুরুত্বের সাথে দেখি।
*মেয়ে সুন্দরী কিনা
*বাবার টাকা পয়সা আছে কিনা
*পড়ালেখার সার্টিফিকেট কি আছে, বংশমর্যাদা কি আছে, এগুলা খুবই গুরুত্বের সাথে দেখি, আর এ ৪টার ভিতরে যে পয়েন্টটা নবী করীম (সাঃ) নসীহত করেছেন, অসীহত করেছেন, তিনি আল্লাহ সুবহান ওয়া তা'য়ালার পক্ষ থেকে ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত ইলম দ্বারা
তিনি জানেন আমাদের সুখ নির্ভর করে এই ৪ টার কোনটার উপরে, সে জন্যে তিনি আমাদের অসীহত করেছেন, " বিয়ে করার ক্ষেত্রে তুমি দ্বীনদারীটাকে সব সময় অগ্রাধীকার দিয়ে জিতার চেষ্টা করবা। .
আমাদের সমাজে খুব কম সংখ্যক বিয়েতেই পাত্র পক্ষ পাত্রী পক্ষের দ্বীনদারীটাকে প্রাধান্য দেয়। কয়জন দেয়? হাতে গনা কয়েকজন। আর পাত্রী পক্ষ, পাত্র পক্ষের ইনকাম কত? বেতন কত? পয়সাকড়ি কি আছে? ব্যাংক ব্যালেন্স কি আছে? যোগ্যতা সার্টিফিকেট কি আছে? এই সমস্ত দেখে। দ্বীনদারিটা খুব একটা দেখা দেখি হয়না। .
একজন মানুষ যদি প্রকৃত অর্থে দ্বীনদার থাকে তাহলে সে ধৈর্য্যের পাহাড় হবে। তার উপরে তুষ্টি থাকবে। সে কুড়ে ঘরে থেকেও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা, মানুষের সাথে শুকরিয়া আদায় করার দিক্ষা এবং শিক্ষা সে পাবে। কিন্তু একটা মানুষের মাঝে যখন দ্বিন থাকে না, তখন কিন্তু সে নিরাশ হয়ে যায়। তার মধ্যে ধৈর্য্য সাধারনত কাজ করে না। .
এ জন্য ভাইয়েরা বিবাহ বন্ধন যদি মজবুত রাখতে চান, তাহলে বিবাহের আগেই পাত্র এবং পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুব দৃড়তার সাথে, বুদ্ধিমত্তার সাথে নির্বাচন করতে হবে। .
আজকালকের যুগে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে, পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করে ছেলে - মেয়েরা। ছেলে মেয়েকে পছন্দ করে, মেয়ে ছেলেকে পছন্দ করে, অনলাইন অফলাইনে বিভিন্নভাবে। মুরুব্বিরা বাবা -মা বা গার্ডিয়েন যারা থাকেন, তাদের মধ্যে যে বিচক্ষনতা আছে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে, তাদের যে দূরদৃষ্টি আছে, তারা সমাজের বিভিন্ন ঘটনা দেখতে দেখতে যে পাকাপক্ত হয়েছেন এটা একজন অবিবাহিত ছেলে বা মেয়ের ভিতরে থাকে না। তো নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেয় যে, আমি অমুককে বিয়ে করব। পছন্দ করে ফেলে, সে তো শুধুমাত্র চামড়া দেখে, সে তো শুধুমাত্র সুরাত দেখে
দ্বীনদারী দেখা হয় কম। .। আবার নিজে ছেলেমেয়ে নিজেরা পছন্দ করে যারা অপরিমানদর্শী।
যাদের মধ্যে গভীরতা নাই, যারা ভালো-মন্দ যাচাই করা, পরীক্ষা করার যোগ্যতা নাই। এরপরেই বিবাহ ঠিকই শেষ পর্যন্ত টিকে না।
এ জন্য প্রথমত এ ক্ষেত্রে মুরব্বিদের এবং অভিজ্ঞদের পরামর্শ এবং তাদের সহযোগীতা নিতে হবে। দ্বিতীয়ত দ্বীনদারীটাকে সবসময় অগ্রাধীকার দিতে হবে। .
দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে আবার মুশকিল হলো, আমাদের দেশে দ্বীনদারী মানে হলো কুরআন শরীফ পড়তে পারে কিনা? এ হলো দ্বীনদারী। আমাদের দেশে দ্বীনদারী মানেই হলো গতানুগতিক কিছু কাজ-কাম, বোরকা পড়ে কিনা মেয়ে এ হলো দ্বীনদারী শুধুমাত্র। .
আর ছেলের ক্ষেত্রে ছেলে নামাযী কিনা বড়যোর, এ হলো দ্বীনদারী।
না ভাই! সংসারকে খুশী করতে চাইলে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই পুরোপুরি দ্বীন বুঝে কিনা? পুরোপুরি দ্বীন প্রাকটিস করে কিনা? এটা আগে নিশ্চিত হতে হবে। এবং এ ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া যাবে না। .
ইন শা আল্লাহ শান্তি এবং সুখ আল্লাহ সুবহান ওয়া তায়ালা এর ভিতরে রাখবেন এবং বিচ্ছেদের ঘটনা কমবে।
ভিডিও আকারে দেখতে চাইলে এটা দেখুন -
আমি মুহাম্মদ হুসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 5 টিউনারকে ফলো করি।