ভিপিএন (VPN) এর সম্পূর্ণ রূপ হল Virtual Private Network। প্রথমেই VPN এর প্রথাগত সংজ্ঞায় না গিয়ে বরং একটি গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। ধরুন, আপনি একটি বিশাল সমুদ্রের মধ্যে একটি ছোট দ্বীপে বাস করেন। আপনি যে দ্বীপে বাস করেন সেটা ছাড়াও আরও কয়েকশ দ্বীপ রয়েছে আশেপাশে। কয়েকটি খুব কাছাকাছি; কিন্তু বাকিগুলো অনেক দূরে। আর এই দ্বীপগুলোর মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র উপায় হল মাঝারি আকারের একটি নৌকা। এখন আপনাকে যদি আশেপাশের কোনো দ্বীপে যেতে হয়, তাহলে সেই নৌকাতেই আপনাকে উঠতে হবে। কিন্তু আপনি যখন নৌকাতে উঠছেন তখন আপনাকে ধরেই নিতে হবে এখানে আপনার কোনো গোপনীয়তা রক্ষা হচ্ছে না। কারণ, নৌকায় থাকা যে কেউ একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবে আপনি কী কী করছেন।
VPN আপনার ইন্টারনেট সংযোগকে এনক্রিপ্ট করে আপনার ডিভাইসের IP Adress বদলে অন্য একটিতে রূপান্তরিত করে। এটি আসলে আপনি ও আপনার ইন্টারনেট গন্তব্যের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল ‘Tunnel’ বা সুড়ঙ্গ তৈরি করে। আপনার ডিভাইস ও একটি VPN সার্ভারের মধ্যে সংযোগের পর সৃষ্টি হয় এই সুড়ঙ্গ। VPN সার্ভারের সাথে সংযুক্ত হওয়ার পর ঐ সার্ভারই তার এনক্রিপশন প্রোটোকলের মাধ্যমে নিশ্চিত করে আপনার গোপনীয়তা। যার ফলে আপনি কোনো তথ্য আদান-প্রদান করলে তা যাচ্ছে সুরক্ষিত সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে।
যা-ই হোক, আবার খামে ভরা চিঠির উদাহরণে ফিরে যাওয়া যাক। ধরুন, আপনি কাউকে চিঠি পাঠাতে চাচ্ছেন। চিঠি পাঠানোর জন্য একজন লোকও যোগাড় করেছেন। কিন্তু চিঠিটা খামের ভেতরে না পুরেই আপনি দিয়ে দিলেন সে লোকের কাছে। এখন সে লোকটি চাইলেই কিন্তু আপনার চিঠি পড়ে দেখতে পারে। এই লোকটির মতোই কাজ করতে পারে আপনার ISP; চাইলেই দেখতে পারে আপনি কী কী করছেন ইন্টারনেটে। তাই সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে VPN ব্যবহার করুন। আবার অনেক পাঠকই ভাবতে পারেন আপনার ISP খুবই বিশ্বস্ত। এটি ভাবা দোষের নয়। কিন্তু একটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে, ISP নিজে থেকে না চাইলেও অন্য কারোর হস্তক্ষেপে আপনাকে নজরদারিতে রাখতেই পারে কিংবা আপনার তথ্য চুরি করতে পারে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই সবসময় VPN ব্যবহার না করলেও অন্তত ব্যক্তিগত কিংবা গোপনীয় কোনো তথ্য আদান-প্রদান করার সময় VPN ব্যবহার করুন।
এছাড়াও আরেকটি ব্যাপারে না বললেই নয়। তা হলো পাবলিক Wi-Fi। ফ্রি জিনিসের পেছনে কমবেশি আমরা সবাই ধাওয়া করে বেড়াই! তাই ফ্রি Wi-Fiও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা অনেকেই ফ্রি Wi-Fi এর নাগাল পেলে নিরাপত্তার কথা না ভেবেই ব্যবহার করা শুরু করে দিই। কিন্তু এসব নেটওয়ার্কেই তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি। তাই এসব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সময় VPN ব্যবহার করাই সবথেকে সহজ ও নিরাপদ পন্থা!
নিরাপত্তার ব্যাপার তো আছেই। এসব ছাড়াও কোনো ওয়েবসাইট আনব্লক করার ক্ষেত্রে VPN ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ, আপনার ISP যদি কোনো ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রবেশ করতে না দেয়, VPN ব্যবহার করে আপনি সহজেই সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন। আবার আপনি যদি আপনার ISP-এর দেওয়া IP Address এর বদলে অন্য কোনো জায়গার IP Address দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান, তাহলে সেটাও VPN ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভব।
এই সম্পর্কে আরও জানতে ও paid VPN Download করতে ভিসিট করুন এখানে
এছাড়া ৬ ঘন্টার কোর্স শেষ করলেই আপনি যে কোনো ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টোমাইজে করতে পারবেন.কোর্স এর কোথাও কোনো কিছু বুজতে সমস্যা হলে আমাদের আছে সাপোর্ট.হতে পারে অনেক ধরা খাওয়ার পর এটাই আপনার সফলতার প্লাটফর্ম.
Connect: Facebook Page, Facebook Group
Website ; http://www.tanzilacademy.com
আমি মোহাম্মাদ মুক্তাদির রাহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I'm a Professional Cyber Security Specialist and WordPress Web Developer with 3 years working experience. I also previous experience also provide SEO Service like Expired Domain Research, New Domain Suggestion, Keyword Research. I love to create a server information in a different way.