স্মার্টফোন/কম্পিউটার প্রসেসরের বিভিন্ন কোর বলতে আসলে কি বোঝায়? সিঙ্গেল কোর, ডুয়াল কোর, কোয়াড অথবা মাল্টিকোর………

বেশীরভাগ মোবাইল ইউজার মোবাইল/কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে প্রসেসরের বেশি প্রাধান্য দেয়। বেশিরভাগ মোবাইল/কম্পিউটার ইউজারদের আসলে একটা ধারণা যে, ডুয়াল কোর প্রসেসর, সিঙ্গেল কোর প্রসেসর ‌এর চেয়ে বেশি ভালো আবার কোয়াড কোর, ডুয়াল কোর এরচেয়ে ভালো এবং প্রসেসর যদি হয় অক্টা কোর তাহলেতো আর কথাই নেই
এটা কি প্রকৃতপক্ষেই সত্যি? তো চলুন প্রসেসরের বিভিন্ন কোরের মধ্যে তুলনামুলক ব্যাখ্যা করা যাক।

প্রসেসরের কোর কি?
কোর হচ্ছে একটি প্রসেসিং ইউনিট যেটা একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। যদি অনেক বেশি কোর থাকে তাহলে প্রসেসর একই সময়ে অনেকগুলো কাজ করতে পারবে।

সিঙ্গেল কোর প্রসেসর
সিঙ্গেল কোর প্রসেসর বলতে বোঝায় প্রসেসর এর মধ্যে একটাই কোর আছে। তো চলুন এর বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করা যাক...
সুবিধা
১ সিঙ্গেল কোর প্রসেসর অনেক কম পাওয়ার ব্যবহার করে ডুয়াল কোর অথবা মাল্টি কোর এর তুলনায়।
২ যেহেতু কম পাওয়ার ব্যবহার করে তাই সিস্টেম মোটামুটি ঠান্ডা থাকে।
৩ সাধারণ কাজের জন্য সিঙ্গেল কোর প্রসেসর অনেক ভালো। যেমন মেইল, ওয়েব সার্ফিং, ডাউনলোড ইত্যাদি সিঙ্গেল কোর প্রসেসর এর মাধ্যমে ভালভাবে করা যায়।
অসুবিধা
১ এটা অনেক স্লো প্রসেসর। অনেক বড় অপারেশন এটার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা যায়না।
২ এটা একই সময়ে অনেকগুলো কাজ একসাথে করতে পারেনা
৩ বর্তমানের মোবাইল এপ্লিকেশন চালানোর জন্য অনেক বেশি প্রসেসিং পাওয়ার দরকার হয় যেটা সিঙ্গেল কোর প্রসেসরের মাধ্যমে সম্ভব না।

ডুয়াল কোর প্রসেসর
ডুয়াল কোর প্রসেসর বলতে বোঝায় প্রসেসর এর মধ্যে দুইটা কোর আছে। তো চলুন এর বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করা যাক...
সুবিধা
১ ডুয়াল কোর প্রসেসর অনেক কাজ দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করে। একটি সিঙ্গেল কোর প্রসেসরকে যদি দুটি কাজ একসাথে করতে দেওয়া হয় তাহলে এটা প্রত্যেক কাজকে একটার পর আরেকটা এভাবে সম্পন্ন করবে আর ডুয়াল কোর প্রসেসর সবকাজ একসাথে সম্পন্ন করবে।
২ একটি ডুয়াল কোর কম্পিউটার দুইটি সিঙ্গেল কোর প্রসেসর কম্পিউটারের সমান।
অসুবিধা
১ যেহেতু ডুয়াল কোর প্রসেসর বেশি পাওয়ার ব্যবহার করে তাই ব্যাটারীও দ্রুত শেষ হয়। অনেক অ্যাপ ডেভেলপার তাদের এপ্লিকেশন ডুয়াল কোর অথবা মাল্টিকোরের জন্য তৈরি করে না। যার জন্য অ্যাপসগুলো ডুয়াল অথবা মাল্টি কোরের সাথে অসামঞ্জস্য হয়ে যায়।

কোয়াড কোর এবং মাল্টি কোর
সোজা কথায় কোয়াড কোর প্রসেসরে চারটি কোর থাকে এবং একইভাবে অক্টা কোর প্রসেসরে আটটি থাকে। এই কোরগুলো একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের উপরে বিভিন্নভাবে ডিজাইন করা থাকে। তো চলুন এর বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করা যাক...
সুবিধা
১ বিভিন্ন ধরনের কাজ একসাথে করার জন্য এই প্রসেসরগুলো এককথায় অসাধারণ। যত বেশি কোর থাকবে তত বেশি একই সময় বিভিন্ন কাজ করার হার বেশি হবে।
২ এই ধরনের প্রসেসরগুলো সেই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ব্যবহার করা হয় যেগুলো অনেক রিসোর্স ব্যবহার করে। যেমন ভিডিও এডিটর, অ্যান্টিভাইরাস, গ্রাফিক্স প্রোগ্রাম ইত্যাদি।
৩ নতুন কোয়াড কোর প্রসেসর গুলো কম পাওয়ার ব্যবহার করে এবং তুলনামূলক ডিভাইসকে ঠান্ডা রাখে। সেই কারণে প্রসেসরগুলো দক্ষতা বেশি।
৪ চলমান মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট টেকনোলজিস এর চেয়ে এই প্রসেসরগুলো অনেক এগিয়ে কারন অনেক ডেভলপারই তাদের এপ্লিকেশন গুলো কোয়াড কোর প্রসেসরে রান করাতে পারে না। অনেক প্রোগ্রামার এখনো তাদের প্রোগ্রামগুলো ডুয়াল কোর বা সিঙ্গেল কোর প্রসেসর এর জন্যই তৈরি করে থাকেন।
অসুবিধা
১ দেখা গেছে যে এই মাল্টি কোরের মোবাইল প্রসেসরের চার্জ অনেক দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
২ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের উচিত কোয়াড অথবা অক্টাকোর প্রসেসরের সম্পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করা।

আশা করি এই দুইটি প্রসেসর এর তুলনামূলক ব্যাখ্যা আপনাদের ভাল লেগেছে। যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই টিউমেন্ট করবেন। ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শুধরে দিবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে.

আর সবাইকে আমার পার্সোনাল সাইট tech4bd.com এ ভিজিট করার অনুরোধ করলাম।

Level 0

আমি মোঃখালেদ মোশাররফ মিথুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I like to share tech things with people. I don't know anything so i am student here. Also whatever i know ,want to share with you guys. Best of luck.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস