সুখী মানুষের জীবনের মূল বৈশিষ্টই হচ্ছে সুবিন্যাসায়ন। সুবিন্যাসায়নের প্রধানত দুটি ধরন - ± কাজের বিন্যাস ± সময়ের বিন্যাস
কাজের বিন্যাস বলতে বোঝায় কাজের প্রাধান্য ঠিক করা। অর্থাৎ কোন কাজের পর কোন কাজ করতে হবে তার তালিকা করা এবং সে অনুযায়ী কাজগুলোকে সাজানো। ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক ও সাংগঠনিক জীবনের ছোট বড় প্রতিটি কাজের সুবিন্যাস কাজগুলোকে অনেক সহজ করে দেয়। বলাই হয় যে সুন্দর পরিকল্পনা একটি কাজ সম্পন্ন করার অর্ধেক। সুতরাং সুবিন্যাসায়ন প্রয়োজন জীবনের ছোট-বড় সব কাজে। অপরদিকে অবিন্যস্ত জীবন মানে এলোমেলো বিশৃঙ্খল এক জীবন। যখন কিছু প্রয়োজন হবে, হয়তো হাতের সব কাছেই থাকবে, কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে হাজির হওয়া যাবে না, কোনো কাজ শুরু ও শেষ করা যাবে না। নিজের জীবন নিজের কাছেই হয়ে উঠবে ক্লান্তিকর।
সুবিন্যাসায়ন: কেন ও কীভাবে?
± অজুহাত থেকে বের হয়ে আসা : একটি কাজ না করার জন্যে হাজারটি অজুহাত দেয়া যায়। কিন্তু কাজটি করার জন্যে একটি কারণই যথেষ্ট, আমি কাজটি করবো।
± পরিমিতিবোধ : কোথায় থামতে হবে, কখন থামতে হবে সে সীমারেখা মেনে চলুন। একটি কাজ করতেই সারাদিন লাগাবেন না।
± কাজে একাকার হয়ে যাওয়া: যখন যে কাজ করবেন তার প্রতি sense of belongingness (কাজের সাথে একাত্মতা অর্থাৎ এ কাজটি আমার, আমার কল্যাণের জন্যে- এমন ধারণা পোষণ করা ) যত বাড়বে তত কাজগুলো সুন্দর হবে।
± পরিকল্পনা : দিনের শুরুতে সারাদিন কী কী কাজ করবেন তার তালিকা করুন। সেগুলোকে গুরুত্বের ক্রমানুসারে সাজান। তারপর হিসেব করুন, কোন কাজে কতটুকু সময় দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে দুটি কাজের মধ্যবর্তী সময়ে হালকা কোনো কাজ filler task হিসেবে রাখুন। যেমন- কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন, অপেক্ষা করতে হচ্ছে, সময়কে কাজে লাগাতে কণিকা পড়ুন।
সময়কে সুন্দরভাবে বিন্যস্ত করতে কোন কাজ কখন করতে হবে সকালে, দুপুরে, বিকেলে না রাতে তার পরিকল্পনা করাকে বোঝায়। এ পরিকল্পনাগুলো সবসময় কার্যকর ও ফলপ্রসূ হয় যদি তা লিখে ফেলা যায়। দিনের শুরুতেই আমরা আমাদের দিনের সব কাজের তালিকা তৈরি করে ফেলতে পারি। এক্ষেত্রে কর্মশক্তি যেমন সবচেয়ে সক্রিয় থাকে তেমনি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো হয় সহজসাধ্য। সময় ও কাজের সুবিন্যাসায়নের এ প্রক্রিয়ায় আপনি হতে পারেন সফল ও সুখী মানুষদেরই একজন
মানুষের জীবন অসংখ্য অভ্যাসের সৃষ্টির যার অপর নাম বৃত্ত। আমি অসংখ্য ছোট ছোট বৃত্তে আবদ্ধ এবং এর স্বাভাবিক ফলাফল হল চরম ব্যর্থতা। কিন্তু এত বৃত্ত আইডেন্টিফাই করেছি এখন কোন বৃত্ত আগে ভাঙবো একেক বার একেকটা ইম্পর্টেন্ট মনে হয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বৃত্ত ভাঙার এই বিশৃঙ্খলা কীভাবে দূর করবো বা এই বৃত্ত কীভাবে ভাঙবো?
যে বৃত্তটি ভাঙা সবচেয়ে সহজ সেটি আগে ভাঙুন। একটি বৃত্ত ভাঙলে আপনার মধ্যে যে বিশ্বাসের সৃষ্টি হবে তা অন্য বৃত্তগুলি ভাঙতে সাহায্য করবে।
আমি Mohammed Julkarnine। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।