SSC পাস করেছেন ? কোথায় ভর্তি হবেন খুজেঁ পাচ্ছেন না ? পড়ুন বিস্তারিত আলোচনা !

অনেক ভাইয়ারাই এবার এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করেছেন, ফলাফল ও পেয়ে গেছেন, এবার সামনে আসছে ভর্তি যুদ্ধ, অনেকের  ইচ্চা উচ্চ মাধ্যমিক, অনেকের আবার ইচ্ছা আছে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হবেন, কোনটাতে ভর্তি হবেন সেই চিন্তা দূর করুন, তো চলুন এবার দেখে নেই কোনটাতে কোন সুবিধা রয়েছে।

 

 

 

SSC পাস এর  পরে আপনার হাতে দুটো মাধ্যম রয়েছে।

১। উচ্চ মাধ্যমিক (HSC)

২। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (পলিটেকনিক, টেকনিক্যাল)

 

 

 

১। উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ দ্বাদশ)

 

প্রচুর পরিমানে পড়া লেখা করতে হবে। স্যারদের হাতের মার্ক নেই। যা নম্বর আপনাকেই লিখেই অর্জন করতে হবে। প্রতি বিষয় ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ৭০ লিখিত ৩০ নৈবিত্তিক। যে বিভাগেই যাবেন বই সংখ্যা ১৩ টি। ২ বছরের কোর্স।

 

সুবিধা ঃ উচ্চ মাধ্যমিক  পরীক্ষা পাসের পর রয়েছে বিশাল সুযোগ। সেটা হল পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ। ভালো ভালো পদের চাকরি রয়েছ। বি সি এস দিয়ে সরকারী চাকুরী পেতে পারবেন। স্কুল,কলেজের স্যার হতে পারবেন।

 

ক) বিজ্ঞান বিভাগ

এই বিভাগে পড়তে GPA 5 লাগবে (ভালো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে)। গণিতে পারদর্শী হতে হবে, প্রচুর পরিমানে পড়া লেখা করতে হবে। গুরত্বপূর্ণ বিষয় হল পদার্থ, রসায়ন,উচ্চতর গণিত।

সুবিধাঃ বিজ্ঞান বিভাগে বিষয় সংখ্যা অনেক বেশি। পড়ালেখার সুযোগ বেশি। ভালো একটা ক্যারিয়ার তৈরির ও সুযোগ তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। তা ছাড়া ছোট কালের স্বপ্ন গুলো সত্যি করার ও সুযোগ এ বিজ্ঞান বিভাগেই। বিজ্ঞান গবেষণা কাজে এদের চাকুরী অনেক। মেডিক্যাল পড়তে পারবেন। বুয়েট,রুয়েট পড়তে পারবেন।

অসুবিধাঃ প্রাইভেট পড়তে হয় অনেক যার ফলে অর্থ খরচ একটু বেশী।

খ) ব্যবসায় শিক্ষা

এই বিভাগে পড়তে GPA 4 লাগবে (ভালো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে)। পড়ালেখা মোটামটি ভাবে করলেই চলবে। গুরত্বপূর্ণ বিষয় হল হিসাব বিজ্ঞান, ফিন্যান্স, আই সি টি।

সুবিধাঃ বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে এদের প্রচুর চাকুরী রয়েছে। ব্যাংকে চাকুরী রয়েছে। যে কোন কর্মস্থানে হিসাব নিকাশের জন্য এদের চাকুরী দেওয়া হয়। আই বি এ, বি বি এ করার সুবিধা রয়েছে।

অসুবিধাঃ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশী।

গ) মানবিক

এই বিভাগে পড়তে GPA 3 লাগবে (ভালো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে)। এই বিভাগের পড়ালেখা মুখস্থ করা লাগে বেশী।  গুরত্বপূর্ণ বিষয় হল অর্থনীতি,ইংরেজি,ইতিহাস।

সুবিধাঃ বিভিন্ন কলেজে ইংরেজি,বাংলা শিক্ষক হিসাবে চাকুরী পাবেন। মানবিক বিভাগে পড়াশুনা করে আপনি বি.সি.এস. ক্যাডার হতে পারেন প্রশাসন বা সাধারণ ক্যাডারে৤শিক্ষক  নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যে কোন স্কুল বা কলেজে শিক্ষকতা করতে পারেন৤আবার এম.বি.এ. করে ব্যাংকে ও চাকরি পেতে পারেন৤

অসুবিধাঃ পড়তে হয় বেশী।

ভর্তির আবেদন করতে পারবেন  http://www.xiclassadmission.gov.bd/ এখানে প্রবেশ করে।

 

 

২। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (পলিটেকনিক)

 

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ বেশী পড়া লেখা করতে হয়। লিখিত পরীক্ষা কম। ব্যবহারিক বেশী। এখানে ৬ মাসিক সিস্টেম। প্রতি সেমিস্টারে পরীক্ষা দিতে হয়। ৪ বছর পড়া লাগে।

ইঞ্জিনিয়ার মানে হচ্ছে প্রকৌশলী। আর ইঞ্জিনিয়ারিং মানে হচ্ছে প্রকৌশলের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা। আর যেই কাজ অতি সহজ ভাবে, কম খরচে,কম সময়ে,কম জনশক্তিতে করা যায় তাকে প্রকৌশলের মাধ্যমে কাজ করা বলে।আর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ৪ বছর মেয়াদি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স। এটি করতে এস,এস,সির পর পলিটেকনিকে করতে হয়।

 

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংঃ তুলনামূলক কম সময়ে কোর্স সমাপ্তি আর কোর্স শেষে ন্যূনতম চাকরির নিশ্চয়তা থাকে এখানে। এ দুয়ে মিলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলের চাহিদা হালের শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি। চার বছর মেয়াদি এই কোর্সে ভর্তি হতে হয় এসএসসির পর। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বিভিন্ন জেলা শহরে অবস্থিত সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়াও ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক, গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। আর্কিটেকচার, অটোমোবাইল, কেমিক্যাল, সিভিল, সিভিল (উড), কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, ফুড, পাওয়ার, মেকানিক্যাল, প্রিন্টিং, গ্রাফিক ডিজাইন, গ্লাস, সিরামিক, ইলেকট্রো মেডিক্যাল, মেরিন, শিপবিল্ডিং, সার্ভেয়িং, মেকাটনিকস, কনস্ট্রাকশন, টেলিকমিউনিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং, ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, ডেটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যারোস্পেস), এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যাভিয়োনিকস) এবং মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজি পড়ানো হয় সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এই ইনস্টিটিউটগুলোয়।

 

একাডেমিক টেকনোলজি সমূহের মধ্যে রয়েছে


১. কম্পিউটার টেকনোলজি

আপনার সামনে অনেক ধরনের কাজ আছে, যেকোনটাই আপনি বেছে নিতে পারেন (আপনার যেধরনের কাজ ভালো লাগে সেটাকেই বেশি গুরুত্ব দিন)। যেমন

১। হার্ডওয়ার বা নেটওয়ার্কিং

২। প্রোগ্রামিং (অনেক ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ আছে তার মধ্য থেকে আপনি কি নিয়ে কাজ করবেন সেটা ঠিক করে সেই ল্যাংগুয়েজ শিখতে পারেন)। কয়েকটি কাজ যেমন

ক) মোবাইল এপলিকেশন ডেভেলপমেন্ট (বিভিন্ন প্লাটফর্ম বিভিন্ন ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে, যেমন এন্ড্রয়েড এর ক্ষেত্রে জাভা, উইন্ডোজ এর ক্ষেত্রে c#, আইওএস এর ক্ষেত্রে সুইফট।)

খ) ডেস্কটপ এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট

গ) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

৩। গ্রাফিক্স ডিজাইন ঃ এর মধ্যেও আবার বিভিন্ন সেক্টর আছে। যেমন

ক) ওয়েব ডিজাইন

খ) প্রিন্ট ডিজাইন

 

 

২. ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি

 

 

বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র তৈরী মেরামতের কাজ পাবেন।

রেডিও,টেলিভিশন,মোবাইল।

ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুৎ উৎপাদন সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক মোটর, রাডার এবং ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অটোমোবাইল, জাহাজ ও বিমানের বৈদ্যুতিক সিস্টেম প্রভৃতি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকেন।

পাওয়ার প্ল্যান্ট, শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক মোটর, অটোমোবাইল, এয়ারক্র্যাফ, স্পেস ক্র্যাফের ইগনিশন সিস্টেম এবং সব ধরণের ইঞ্জিনের ডিজাইন, উৎপাদন এবং পরিচালনা করে।

বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহারের উন্নত পদ্ধতি গবেষণা ও ডিজাইন করে।

প্রস্তুতকারক, নির্মাণ এবং ইনস্টলেশনের জন্য নির্দিষ্ট হিসাবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির বিস্তারিত হিসাব গণনা করে।

একটি প্রকল্প সমাপ্তির জন্য প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বাজেট এবং সময়সীমা নিয়ে কাজ করে।

নির্দেশিকা পূরণ করতে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নির্দেশনা প্রদান করে।

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারের সময় অপারেশনাল ইস্যু এবং সমস্যা সমাধান করে।

বিদ্যুৎ উত্পাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ, যোগাযোগ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উত্পাদন বা এর সাব ডিভিসনের বিশেষজ্ঞ।

বিশেষজ্ঞ পর্যন্ত কাজের সীমা বিস্তৃত যেমন একোস্টিক, স্পিচ, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সামঞ্জস্য সংকেত প্রক্রিয়াজাতকরণ, অটোমোবাইল থেকে যানবাহন প্রযুক্তি, পার্থিব বিজ্ঞান এবং রিমোট সেন্সিং, লেজার এবং ইলেক্ট্রো অপটিক্স, রোবোটিক্স, আল্ট্রাসনিক, ফেরোইলেক্টিক্স এবং ফ্রিকোয়েন্সি কন্ট্রোল।

পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত সকল ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি সচল রাখার লক্ষে ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগ যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং স্থাপনার কাজে সেবা প্রদান করে। ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে প্রতি বছর চাহিদা সাপেক্ষে অ্যানালাইটিক্যাল, নিউক্লিয়ার, মেডিকেল ও অন্যান্য সায়েন্টিফিক যন্ত্র মেরামত করা হয়।

 

২.ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি

 

 

বিদ্যুৎ বিভাগের কাজ করতে পারবেন।

পি ডি পি, পল্লী বিদ্যুৎ।

৩. মেকানিক্যাল টেকনোলজি

বিভিন্ন যন্ত্রপাতি মেরামতের ক্ষেত্রে কাজ পাবেন।

গার্মেন্ট এর যন্ত্র পাতি, বিভিন্ন অফিসের যন্ত্র পাতি।

মেকানিক্যাল মোটামুটি ভালো টেকনোলজি, দেখুন।আপনি যদি গুরুত্ব দিয়ে পড়ালেখা করেন তবে চাকুরি পাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত নয়,প্রত্যেক ক্ষেত্র থেকেই চাকুরি পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশেরর চাকুরির বাজার সংকীর্ণ, তাই এখানে টিকে থাকতে হলে প্রচুর শ্রম দিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যান এখন। আর সরকারিতে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৩৫০০০-৪০০০০টাকার মত। আর বেসরকারিতে খরচ পড়বে ১,৫০,০০০-২,০০,০০০টাকার ম

 

 

৪. সিভিল টেকনোলজি

বিভিন্ন দালান কোঠা তৈরী, ব্রীজ তৈরীর কাজ রয়েছে প্রচুর পরিমানে। বেশীর ভাগ ছাত্রই সিভিল এ ভর্তি হয়। তবে এক্ষেত্রে আপনার জি পি এ ৫ লাগবে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার প্রাচীনতম শাখা, এর ক্ষেত্র হল কিছু জিনিসের নকশা এবং নির্মান করা, সেগুলি হতে পারে রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর, সেতু, সুড়ংগ, পানি সরবরাহ এবং নিস্কাশন ব্যবস্থা, বাধ, পোতাশ্রয়, রেলপথ, ফেরিঘাট, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, ভবন এমনকি হতে পারে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ বভিন্ন সেক্টরে কাজ করে থাকেন যেমন কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার, যানবাহন বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার, বিদ্যুৎ এবং সেচ ইঞ্জিনিয়ার, ভূ প্রকৌশল ইঞ্জিনিয়ার, পরিবেশ ইঞ্জিনিয়ার, এবং গণপূর্ত ইঞ্জিনিয়ার।

 

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অফিস এবং মাঠ উভয় পর্যায়ে কাজ করতে হয়।

চুক্তিকারী এবং পরামর্শক ইঞ্জিনিয়ারদেরকে একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে হয়।

তাদেরকে দুর্যোগ প্রশমন এবং ব্যবস্থাপনার মত সংকটময় পরিস্থিতির সমাধানও করতে হয়।

নির্মাণ প্রকৌশলীরা তেল রিগস, বহুতল বিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা অথবা বাড়ির নকশা এমন ভাবে তৈরি করেন যাতে নির্মাণ কাঠামোটি যে ভার বহনের জন্যে তৈরি করা হয়েছে তা নিশ্চিৎ করা যায়। তারা নতুন নতুন নির্মাণ সামগ্রী ও কৌশল উদ্ভাবন করে থাকেন যেমন- বিশেষ ধরণের সেতু কাঠামো ও বিশেষ ধরণের বিল্ডিং কাঠামো ইত্যাদি।

পানি ব্যবস্থাপনা ইঞ্জিনিয়াররা পানি সরবরাহ, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রনের উপর বিশেষভাবে পারদর্শী হয়ে থাকেন।

হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগণ সাধারণতঃ রাস্তা ঘাটের পুননির্মাণ,ট্রাফিক লাইট, গলি, পার্কিং স্পেস ইত্যাদির পরিকল্পনা তৈরি করে থাকেন। হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগন প্রধানত রাস্তা নির্মান এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজের সাথে জড়িত।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কোথায় কোথায় কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে?

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে সরকারী এবং বেসরকারী সেক্টরের বিভিন্ন বিভাগে প্রচুর পরিমাণ নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ করে, রাস্তা হাইওয়ে, সেতু, বাধ, খাল, ফেরিঘাট এয়ারপোর্ট, হাউজিং কমপ্লেক্স, এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির নকশা, নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ গুলোর চাহিদা বেশি।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগন পণ্যের গুণগত মান নির্ণয় ল্যাবরেটরির কাজ, সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষার চাকরি বা পরামর্শকের কাজ ও করে থাকেন।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার

সৃষ্টি যেখানে শুরু বলা চলে পুরকৌশল বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সূচনা সেখানে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পুরনো শাখাগুলোর লিস্টে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অবস্থান অন্যতম। কোনো কিছু নির্মাণের আগে সর্বপ্রথম একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কথাই মাথায় আসে। কেননা তার নকশা, পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনা ছাড়া কাজটি প্রায় অসম্ভবই। যতই দেখতে সহজ মনে হয় না কেন, যে কোনো নির্মাণ কাজে গভীর জ্ঞান এবং কৌশলের পরিকল্পনা আপনার-আমার সাধারণ মস্তিষ্কের কাজ নয়। নকশা, ব্যবস্থাপনা, গঠন, নির্ধারণ তদারকি, পরিকল্পনা ইত্যাদি একজন পুরকৌশলীর প্রধান কাজ। দেশ ও দেশের বাইরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গুরুত্ব অনেক। সভ্যতার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি জনসংখ্যার চাপ ও সঠিক নগরায়ণের পরিকল্পনায় আমরা পুরোপুরিভাবে তাদের ওপর নির্ভরশীল।

 

পুরকৌশলের ইতিকথা

 

প্রাচীন শতাব্দীতে যখন মানুষ নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসের চিন্তা করে পরিকল্পিত জীবন-যাপনের ভাবনা থেকেই পুরকৌশলের যাত্রা শুরু। ধারণা করা হয় মিসরে প্রাচীন ইরাকে ৪ হাজার ও ২ হাজার পুরকৌশলবিদ্যার প্রসার ঘটে। আর প্রাচীন পুরকৌশলের অবদান স্বরূপ পিরামিড তো আছেই। এরপর আস্তে আস্তে রোম, ব্রিটেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই বিষয়। আর প্রথম ১৮২৮ সালে লন্ডনে ইন্সটিটিউট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এটিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর বর্তমানে আমাদের দেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই বিষয় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।

 

পুরকৌশলীর কাজের ধরন

 

সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা মোটামুটি সব ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারেন। তার কাজের ধরন অনুযায়ী তাকে মাঠ ও অফিস এই ক্ষেত্রেই থাকতে হয়। এছাড়া তাদের থাকতে হয় সদা প্রস্তুত। কেননা দুর্যোগকালীন সময়েও তাদের উপস্থিতি ও পরিকল্পনার দরকার হয়। এছাড়া চাইলে স্ব স্ব ফার্মের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। বাড়ি, সড়ক, ব্রিজ, পোতাশ্রয়, বাঁধ, রেলপথ, কারখানা, হাউজিং কমপ্লেক্স, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থাপনাতে নকশা ও কাঠামো তৈরিতে তাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আর রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে সেখানে চাইলে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা তাদের অবস্থান করে নিতে পারে। এছাড়া কাঠামোটি কতটা টেকশই ও সহনশীল হবে সেটাও অনেকাংশে তাদের ওপর নির্ভর করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা পরামর্শকের ভূমিকা পালন করে। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ার, ভূ-প্রকৌশল ইঞ্জিনিয়ার, বিদ্যুৎ ইঞ্জিনিয়ার, কনস্ট্রাকসন ইঞ্জিনিয়ার, গণপূর্ত ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে।

 

আরো অন্যান্য টেকনোলজি

আর্কিটেকচার টেকনোলজি

অটোমোবাইল টেকনোলজি

রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং টেকনোলজি (আর.এ.সি)

ফুড টেকনোলজি

কেমিক্যাল টেকনোলজি

এনভায়রনমেন্টাল টেকনোলজি

ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের (http://www.techedu.gov.bd) ওয়েবসাইটে।

 

5. Survey

মি জায়গা পরিমাপ, রাস্তা তৈরি,ইত্যাদি

কারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করতে আসবেনঃ

প্রথমেই বলতে হয় যাদের আর্থিক সমস্যা আছে পড়াশুনা চালানো কঠিন হবে বলে মনে করেন অথবা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ার ভয় আছে আর পাবলিকে চান্স না পেলে হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সম্ভব না কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রচুর ইচ্ছা আছে তারা চলে আসতে পারেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য। কারণ এখানে আসার পর আপনি যদি ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে ওয়াল্ড ব্যাংকের পক্ষথেকে প্রতি ছয় মাস পর পর দেওয়া হবে ৪৮০০টাকা শিক্ষা বৃত্তি এছাড়াও মোটামুটি রেজাল্ট হলেই পাবেন ৯০০ টাকা বৃত্তি যা দিয়া আপনি চালিয়ে যেতে পারেন আপনার পড়াশোনার খরচ। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরে যেকোন একটা চাকরি পাবেন আর চাকরির পাশাপাশি খুব সহজেই নরমাল কোন একটা ইউনিভার্সিটি থেকে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং করে নিতে পারবেন। কাজ শেখার ইচ্ছা শক্তি থাকলে অবশ্যই শিখতে পারবেন কারণ পলিটেকনিকে এমন কিছু ইন্সট্রুমেন্ট আছে যেগুলো অনেক নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতেও নেই।

আর একটা কথা মেধা তেমন না থাকলে না আসাই ভালো কারণ এখনকার ডিপ্লোমার সিস্টেম এবং পড়াশোনা আগের থেকে অনেক আপডেট হয়েছে। সো যা করবেন একটু ভেবে চিন্তে করবেন আবেগের বসে কিছু করে ফেললে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে কয়েকটি বছর।

কাদের আসার কোন প্রয়োজন নাইঃ

বাবার টাকা আছে বাইচান্স পাবলিক কোন ইউনিভার্সিটি তে চান্স না পেলেও প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে বি.এস.সি করে নিতে পারবেন তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনেকরি না, কারণ একেতো ডুয়েট ছাড়া অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নেওয়ার কোন সুযোগ নাই যদিও কিছু কিছু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ আছে বলে আমি জানি তারপরেও সব সাবজেক্ট এর জন্য এখন পর্যন্ত উন্মুক্ত করা হয় নাই, আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও ভালো কোন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবেন না, আর যদিও হন তাহলে একেতো খরচ আছে সাথে আবার সেই ৪ বছর ধরে বি.এস.সি করতে হবে আর নরমাল কোন ইউনিভার্সিটিতেই ডিপ্লোমাদের জন্য আই.ই.বি আনুমোদন নেই, আর একটা কথা আপনি আপনার ইংলিশের দক্ষতা আপনার অজান্তেই হারিয়ে ফেলবেন তবে এটা আসলে সবার ক্ষেত্রে নয় কারণ অনেকেই আছে ডিপ্লোমা করেছেন কিন্তু ইংলিশে অনর্গল কথা বলতে পারেন তবে এটা হাতে গোনা কয়েকজন হবে যারা সম্পূণ নিজের প্রচেষ্টাতে বিভিন্ন কোর্স ও ইংলিশ ক্লাব এর মাধ্যমে ইংলিশকে ধরে রাখে। ইংলিশে দক্ষতা হারানোর প্রধান কারণ ডিপ্লোমাতে ইংলিশ নামে মাত্র দুইটা সাবজেক্ট থাকে যা ২ বা ৩ সেমিস্টারেই শেষ হয়ে যায় তারপর ৩ বছর শুধু বাংলিশ পড়ানো হয়, কাজ শেখার ব্যাপারে হাতেগোনা কয়েকজন টিচার ব্যাতিত খুব কম টিচার এর কাছ থেকেই সাহায্য পাবেন বলে আশা করা যায়, আর এমন কিছু ইন্সটিটিউট আছে যেখানে চার অথবা পাঁচটি বিভাগের জন্য স্যার আছে মাত্র চার থেকে ছয়জন, ডিপ্লোমা করতে গিয়ে সব পেলেও পাবেন না দক্ষ স্যার।

আমার এসব কথা শুনে অনেকেই বলতে পারেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে সি.এস.ই এবং ই.টি.ই তে আই.ই.বি অনুমোদন আছে, হ্যা ভাই আছে কিন্তু আপনি হয়তো এটা জানেন না যে ইভিনিং শিফট এর জন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই আই.ই.বি অনুমোদন নেই, এবং এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউ.আই.ইউ তে আছে কিন্তু এগুলোতে কস্ট অনেক বেশী এবং আপনার জন্য সাবজেক্ট ক্রেডিটও কমানো হবে না। তো কি দরকার আছে ৪ বছর ডিপ্লোমা করে আবার ৪ বছর বি.এস.সি করার শুধু শুধু আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে ২টি বছর।

 

আর যাদের ইচ্ছা আছে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজনই নাই কারন ডিপ্লোমাতে উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার যতটা সুযোগ আছে তারথেকে হাজারগুন বেশী সুযোগ আছে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে যাওয়ার। আর যদিও ডিপ্লোমা কম্পিলিট করে যান তবে খরচও সেই একই লাগবে এবং সুযোগও সেই একই পাবেন মাঝেদিয়ে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে অতি মূল্যবান ২টি বছর আর যদি কোন আন্দোলন হয় তাহলেতো ৩ বছরও হারিয়ে যেতে পারে।

আর যে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংলিশ পাঠ্যপুস্তককে বাংলিশ পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন করে পড়ানো হয় সে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থা হতে কখনও খুব ভালো কিছু আশা করা সম্ভব না। যার ফলাফল খুব ভালো স্টুডেন্ট হয়ে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হচ্ছে আর বের হওয়ার সময় আগে যা ছিল তাও হারিয়ে ফেলছে।

এখানে না আছে স্টুডেন্টদের কোন দোষ আর না আছে শিক্ষকদের কোন দোষ, এখানে মূল সমস্যাটাই হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার।

যেখানে ডিপ্লোমার প্রত্যক ডিপার্টমেন্ট এর থাকা উচিত ছিল নিজেস্ব ক্লাব যেখানে ছাত্ররা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু প্রজেক্ট বানানোর চেষ্টা করবে সেখানে ক্লাবতো দূরের কথা প্রজেক্ট বানানোর ব্যাপ্যারে যে কেউ অনুপ্রেরণা দিবে সেরকম লোক খুজে পাওয়াও মুশকিল।

আমার এই টিউন দেখে হয়তো অনেক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ভাই মনে মনে রাগ হয়েছেন আবার গালিও দিচ্ছেন যে কিন্তু ভাই একবার চিন্তা করে দেখুন আপনি ডিপ্লোমা করে কতটুকু সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন ??

আজকে যে ভাইয়েরা ডুয়েটে পড়ছেন আপনাদের বন্ধুদের দিকে তাকালে দেখবেন তারা আজ বুয়েট,রুয়েট অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ভালো জায়গাতে ৩য় অথবা ফাইনাল ইয়ারে রয়েছে, আপনার বি.এস.সি শেষ হতে হতে তারা হয়তো অনেক উপর পর্যায়ের একটা পজিশনেও চলে যাবে আর আপনার জীবন থেকে অকারনেই হারিয়ে গেছে ২টি বছর।

৪৯টা সরকারী এবং চারশতাধিক প্রাইভেট পলিটেকনিক ছাত্রদের জন্য একমাত্র ডুয়েট ব্যাতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না।

আসলে এর কারণটা কি  ??

তাহলে কি ডিপ্লোমার স্টুডেন্টরা অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতাও রাখে না  ??

অথচ দেখা যাচ্ছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে যারা এইচ.এস.সি ভোকেশনাল দিয়েছে তাদেরও যদি পয়েন্ট থাকে তবে তারাও প্রায় সব পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নিতে পারতেছে তাহলে এখানে ডিপ্লোমার ছাত্ররা কি দোষ করেছে যে তাদেরকে ডুয়েট ব্যাতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না  ??

উৎস ঃ ইন্টারনেট হতে সগ্রহীত।

 

যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম,এখন যে ভাইয়ারা এবার এস.এস.সি দিয়েছেন তারা আশা করি এই টিউন থেকে বর্তমান HSC/ডিপ্লোমা সম্পর্কে একটা ধারনা পেয়েছেন।

আর এই টিউন দেখে যদি কোন ভাইয়ের মনে কষ্ট লেগে থাকলে। তাহলে আমি তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিচ্ছি  খোদা হাফেজ ভালো থাকবেন।

 

যদি আপনার কাছে টিউনি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন।

কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে টিউমেন্ট করুন।

 

 

Level 1

আমি Udvabon। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস