যাদের জন্য এই সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজন
উপরের সমস্যা গুলোর জন্য আপনি উইন্ডোজ সেটাপ দিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর দেখলেন আবার একই সমস্যা !!! আসলে উইন্ডোজ সেটাপ দিলে শুধু সিস্টেম ড্রাইভ অর্থাৎ যে ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা আছে সেটি ফরম্যাট হয়। অন্য ড্রাইভগুলো অপরিবর্তিত থাকে। ফলে সিস্টেম ড্রাইভে যদি ভাইরাস থাকে, তা ডিলিট হয়ে যায়, কিন্তু অন্য ড্রাইভের ভাইরাস গুলো আগের মতই পিসিতে সংসার বেঁধে বসে থাকে। তার উপর এসব ভাইরাস যদি হয় এতই মারাত্বক যে, তার জন্য এন্টিভাইরাসই ইন্সটল করা যায় না, তাহলে পিসির এসব ভাইরাস পিসিতেই থাকবে।
তাহলে কি পুরা পিসি ফরম্যাট করা (কম্পিউটারের সব ডাটা জলাঞ্জলি দেয়া) ছাড়া কোনো উপায় নেই?অবশ্যই আছে।
বন্ধুরা, এই বিষয়টি নিয়েই আমার আজকের এই টিউন।
আপনাদের জন্য আমি কোন এন্টিভাইরাস নিয়ে আসি নি, ফ্রি এন্টিভাইরাস তো গুগলে সার্চ দিলে অনেক পাওয়া যায়। এসব এন্টিভাইরাস কোন ফাইলে সমস্যা থাকলে তা ঠিক না করে ডিলেট করে দেয়। এর মধ্যে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা প্রোগ্রামও থাকতে পারে
আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সমাধান (মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলে দেওয়ার মত সমাধান নয় বরং তা চিরতরে দুর করাই সবচেয়ে ভালো সমাধান)
প্রথমে আপনাদের জানার জন্য কিছু ব্যাসিকঃ
ভাইরাসের লক্ষণ –
১. কম্পিউটার বুট হতে বেশি সময় নেয়া।২. কোন প্রোগ্রাম লোড হতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নেয়া।৩. exe ফাইল করাপ্টেড হওয়া।৪. কম্পিউটার অন করতেই বা চলতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে অপ্রত্যাশিত error মেসেজ দেখানো।৫. ফোল্ডার অথবা ফাইলের নামের অনুরুপ অহেতুক একটি exe বা এক্সিকিউটিভ ফাইল তৈরি করা।৬. ফোল্ডার অপশন ডিজেবল কিংবা হাইড হয়ে যাওয়া।৭. কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া।৮. কোন ফাইল ফোল্ডার হাইড বা সুপার হাইড হয়ে যাওয়া যা প্রোপার্টিজ থেকে আন হাইড করা যায় না।৯. টাস্ক ম্যানেজার কাজ না করা।
যে ভাবে ভাইরাস ছড়ায় –
১. পেন-ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, সিডি/ডিভিডি, হার্ডডিস্ক ইত্যাদির মাধ্যমে ডেটা বা কোন তথ্যের আদান প্রদান করলে।২. পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করলে।৩. ইন্টারনেট, ই-মেইল বা এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের সংযোগের কারণে।৪. ভাইরাস আক্রান্ত ফাইলে দুই ক্লিক করলে বা চালানোর চেষ্টা করলে।
ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কিছু সাবধানতা –
১. কোন ফাইল অন্য কম্পিউটার হতে কপি করে আনা হলে বা ইন্টারনেট হতে ডাউনলোড করা হলে সেটা এন্টি-ভাইরাসের মাধ্যমে স্ক্যান করা উচিত।২. যে কোন ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত নয় ...বিশ্বাস্ত বা নামকরা সাইট ছাড়া অন্য কোন সাইট থেকে নামানো উচিত নয়৩. অটোরান বন্ধ রাখা উচিত।৪. স্বয়ংক্রিয় ব্যাচ (Autoexec.bat) ফাইলে ভাইরাস প্রতিরোধক প্রোগ্রাম সংযোজন করতে হবে। এতে কম্পিউটার প্রতিবার অন হওয়ার পর এবং বাইরের কোন ড্রাইভ প্লাগ করার সাথে সাথে ভাইরাস চেক করবে।৫. যখন পেন-ড্রাইভ দিয়ে কোন ডাটা আদান প্রদান করার প্রয়োজন হয় তখন তা জিপ (zip) করে পেন-ড্রাইভে ভরতে হবে (সফটওয়্যার হলে অবশ্যই জিপ করতে হবে)। কারণ জিপ করা ফাইলে ভাইরাস ঢুকতে পারে না।
উপরের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যার
সকল ভাইরাস, স্পাইওয়ার, ম্যালওয়ার ও ট্রজান সমস্যা দূর করতে স্রেফ এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন এবং ইন্সটল করুন তারপর স্ক্রান করুন দেখবেন আপনার কম্পিউটার একদম নতুনের মত ফাস্ট হয়ে গেছে
ইন্সটল প্রক্রিয়াঃ
স্বাভাবিক নিয়মে ইন্সটল করুন শুধু ফিনিশ দেওয়ার আগে (Lunch Program) বক্স অপশন থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন ... অর্থাৎ Don't Start / Lunch Program
এরপর প্যাচ ফাইল ওপেন করুন জাস্ট প্যাচ এ ক্লিক করুন আপনার সফটওয়্যার ফুল ভার্সন হয়ে গেছে ...
জিপ ফাইলের মধ্যে সব পিকচার টিউটোরিয়াল দেওয়া আছে
নোটঃ কখনো সফটওয়্যারটি আপডেট করবেন না চাইলেও না।
আমি টেকি সুফি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 36 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।