আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্। কেমন আছেন "TT"র প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা? আশা করি ভালো আছেন।
বর্তমানে ইন্টারনেট
ব্যবহারকারীদের খুবই জনপ্রিয়
সামাজিক যোগাযোগের
ওয়েবসাইট ফেসবুক।দিন যাচ্ছে আর facebook এ Sign Up কারীর সংখ্যা তরতর করে বাড়ছে।
বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা
তুঙ্গে। একটা তথ্য দিয়ে রাখি, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রত্যেকের গড়ে ৭ টি করে ফেসবুক একাউন্ট আছে!!! নানা বয়সের মানুষ ফেসবুক
ব্যবহার করলেও মূলত তরুণ প্রজন্মই এটি
বেশি ব্যবহার করে। তরুণদের কাছে
ফেসবুকের আকর্ষণ অনেক বেশি।
আবার অনেক সময় দেখা যায়,
ফেসবুকের নীতিমালা না জানা
বা নীতিমালা না পড়ার কারণে
অনেক কম বয়সী ছেলেমেয়ে
ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে
তা ব্যবহার করে। ফেসবুকে
হাজারো সুবিধা থাকার পরও কম
বয়সী ব্যবহারকারী ও মেয়েরা
এখানে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির
শিকারও হয়। যেহেতু ফেসবুকের
মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে শনাক্ত
করা কঠিন, তাই এতে অনেক সময়
অনেক সমস্যা দেখা দেয়। অনেক
সময় দেখা যায় আপনার সব
তথ্য (Profile info) বন্ধ তালিকা
(facebook friend) কেউ আপনার বন্ধু না হয়েও
দেখতে পারে বা একজনের
ব্যক্তিগত ছবির অ্যালবাম
অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ দেখে
ফেলে। এসব সমস্যার সমাধান করা
যায় সহজেই। তবে এর জন্য
আপনাকে ফেসবুকের কিছু
ব্যক্তিগত গোপনীয়তায়
পরিবর্তন আনতে হবে। ফেসবুকের বিভিন্ন
ধরনের প্রাইভেসি সুবিধা রয়েছে।
★ফেসবুক ব্যাকআপ রাখুন★
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলেও
যেন আপনার photos, videos, notes
ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেন হারিয়ে
না যায়, সেজন্য ফেসবুকে রয়েছে
ব্যাকআপ রাখার ব্যবস্থা।
ফেসবুকের ব্যাকআপ রাখার জন্য
প্রথমে ওপরে ডান পাশের Account
থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন।
এখন সবার নিচে Download এ ক্লিক করে copy-এ
ক্লিক করুন। নতুন পেজ একটা পেজ আসবে।এলে Start My
Archive-এ ক্লিক করুন। এবার আপনার
ফেসবুক অ্যাকাউন্টের একটি
ব্যাকআপ প্রোফাইল তৈরি হতে
থাকবে। ব্যাকআপ প্রোফাইল
তৈরি হয়ে গেলে আপনার Email
ঠিকানায় একটি মেইল যাবে।
তারপর আবার Account থেকে Account
Settings-এ ক্লিক করে Download a copy-এ
ক্লিক করে আপনার ফেসবুকের
ব্যাকআপ প্রোফাইলটি ডাউনলোড
করতে পারবেন। ডাউনলোড হওয়ার
পর জিপ ফাইলটি আনজিপ করুন। এখন
আনজিপ করা ফাইলটি ওপেন করলে আপনি
আপনার ফেসবুকের পুরো প্রোফাইল
(ছবি, ওয়াল, মেসেজ, ফ্রেন্ড)
দেখতে পারবেন। ফলে অ্যাকাউন্ট
হ্যাক হলেও আপনার তথ্যগুলো
হারিয়ে যাবে না।
security questions এর
ডান পাশের Account থেকে Account
Settings-এ ক্লিক করুন। এখন বাম পাশ
থেকে security-তে ক্লিক করুন।
দেখবেন শুরুতেই আছে
security questions।
এখানে একটি question সিলেক্ট করে
তার উত্তর সেভ করে রাখুন। পরে
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা কেউ
পরিবর্তন করে দিলে এর মাধ্যমে
লগ ইন করে আপনা একাউন্টে পারবেন।
মোবাইল নম্বর যোগ করা
ফেসবুকে মোবাইল ফোন নম্বর যোগ
করলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
যদি কখনও চুরি হয়ে যায়, তাহলে
মোবাইল নম্বর দিয়ে তা উদ্ধার
করতে পারবেন।
★ফেসবুকের খবর বা
নোটিফিকেশনসগুলোও মোবাইল
ফোনে পেতে পারেন বিনা
মূল্যে।★
এজন্য প্রথমে ওপরে ডান
পাশের Account থেকে Account
Settings-এ গিয়ে বাম পাশ থেকে
গড়নরষব-এ ক্লিক করুন। এখন Add a Phone
লিংকে ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো
এলে গড়নরষব Carrier-এ
বাংলালিংক, সিটিসেল,
গ্রামীণফোন, এয়ারটেল বা রবি
নির্বাচন করে ঘবীঃ-এ ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইল নম্বরটি ফেসবুক
প্রোফাইলে যোগ করতে না
চাইলে Add this phone number to my profile
বক্স থেকে টিক চিহ্নটি তুলে দিন।
আপনার মোবাইল থেকে ঋ লিখে
৩২৬৬৫-এ মেসেজ দিন। ফিরতি
মেসেজে আপনার কাছে একটি
কোড নম্বর আসবে, সেটি কোড
বক্সে লিখে ঘবীঃ-এ ক্লিক করুন।
অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা
আপনার ফেসবুকের ই-মেইল
ঠিকানা, পাসওয়ার্ড যদি সবাই
জেনে যায়, তাহলেও কেউ আপনার
অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে
না। এ জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন
করে ওপরে ডান পাশের Account
থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন।
এখন বাম পাশ থেকে security-তে
ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Login
Notifications-এর ডান পাশে Edit-এ
ক্লিক করুন। Email-এর পাশের বক্সে
টিক চিহ্ন দিয়ে ঝধাব Changes-এ
ক্লিক করুন। এখন Login Approvals-এর ডান
পাশে Edit-এ ক্লিক করে Require me to
enter a security code sent to my phone
বক্সে টিকচিহ্ন দেয়ার সময় নতুন
বার্তা এলে Set Up Now-এ ক্লিক করুন।
এখন Phone number বক্সে আপনার
মোবাইল নম্বর লিখে Continue-তে
ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে
একটি কোড নম্বর আসবে। কোড
নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue-
তে ক্লিক করুন। তারপর Save Changes-এ
ক্লিক করুন। এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
লগআউট করে আবার ফেসবুকে লগইন
করুন। দেখবেন, Name New Computer
নামের একটি পেজ এসেছে।
সেখানে Computer name বক্সে
কোনো নাম লিখে Add to your list of
recognized devices বক্সে টিক চিহ্ন
দিয়ে Continue-তে ক্লিক করুন। এখন
থেকে প্রতিবার আপনার
কম্পিউটার ছাড়া অন্য কারও
কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক
অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাইলে
আপনার মোবাইলে একটি কোড
নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি
কোড বক্সে লিখে Continue-তে
ক্লিক করলেই কেবল আপনার ফেসবুক
অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
কাজেই আপনার ফেসবুকের
পাসওয়ার্ড সবাই জানলেও কেউ
আপনার ফেসবুকে লগইন করতে
পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার
মোবাইলে আসা কোড নম্বরটি
কোড বক্সে প্রবেশ করানো হবে।
আপনার ই-মেইলে একটি মেইল
যাবে, যেটাতে লেখা থাকবে
কে, কখন, কী নাম দিয়ে, কোন
আইপি ঠিকানা থেকে আপনার
ফেসবুকে প্রবেশ করেছিল।
স্প্যাম এবং স্ক্যাম থেকে দূরে
থাকুন
প্রায়ই দেখবেন see who have visited
your profile, see who have deleted you, see
how many people visited your profile
এছাড়াও আছে কিছু ভিডিও বা
ছবি যাতে লেখা থাকে the girl died
after seeing this pic ইত্যাদি। এগুলোতে
ক্লিক করলে দেখবেন আপনার
প্রোফাইলে এসব স্প্যাম মেসেজ যুক্ত
হয়ে যাচ্ছে, আপনার স্ট্যাটাস
হিসেবে এসব চলে আসছে। সুতরাং
এগুলো ক্লিক করা থেকে বিরত
থাকুন এবং আপনার অ্যাকাউন্টকে
নিরাপদ রাখুন।
★ফেসবুকে কখনো কাউকে হুমকি-ধমকি দিবেন না।
★কাউকে ভুলেও, মজা করেও
ফেসবুকে থ্রেট দেয়া যাবে না।
★আবার গালাগাল করা থেকেও
বিরত থাকতে হবে। নাহলে কেউ
যদি রিপোর্ট করে আইডির আশা
ছেড়ে দিতে হবে।
★শক্তিশালী পাসওয়ার্ড প্রয়োগ★
কোনো আইডির সিকিউরিটি
নিশ্চিত করতে মিশ্র ধরনের
পাসওয়ার্ডের দিকে নজর দিতে
হবে। মানুষ সব সময় যে কমন ভুলটা
করে তা হলো নিজের ডিটেলস
দিয়ে পাসওয়ার্ড দেয়, কিন্তু তা
মোটেও নিরাপদ নয়। যেমন নিজের
নাম, পরিবারের কারও নাম,
জন্মতারিখ কিংবা মোবাইল নম্বর
—এ ধরনের তথ্য। মনে রাখবেন
পাসওয়ার্ড দিতে গেলে বড়
হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর যে
কোনো অঙ্ক, স্পেস ইত্যাদি
ব্যবহার করবেন। আর স্পেশাল চিহ্নও
রাখতে পারেন, যথা : *, %, #
ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা
করুন। পাসওয়ার্ডের মোট অক্ষর
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমপক্ষে ৬
সংখ্যার পাসওয়ার্ড দেওয়ার নিয়ম থাকলেও
চেষ্টা করুন যাতে আপনার পাসওয়ার্ডটি মিনিমাম ১০-১৫
অক্ষরবিশিষ্ট হয়। আর পাসওয়ার্ডকে
যাতে ভুলে না যান সেজন্য অন্য
কোথাও সংরক্ষণ করুন।
নিয়মিতভাবে পাসওয়ার্ড
পরিবর্তন
নিয়মিতভাবে নতুন পাসওয়ার্ড
দিন, দেখবেন তাতে পাসওয়ার্ড
ফাঁস হলেও ভয়ের কিছু থাকবে না।
আর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে Forgot
Password নামক অপশনটি তো
অপেক্ষা করছেই আপনার হারানো
পাসওয়ার্ড ফিরিয়ে দিতে।
★ব্যক্তিগত তথ্য সম্বন্ধে সাবধানতা★
প্রোফাইলে এমন কোনো তথ্য
দেবেন না, যাতে দুষ্টচক্রের
হাতে আপনার তথ্য পাচার হয়ে
যায়, আর সেই তথ্য থেকেই আপনার
পাসওয়ার্ড ব্রেক হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে নিরাপদ হলো সেইসব
তথ্য কাউকে না দেয়া। এ
ব্যাপারটা ব্যবহার করে আমি
নিজে ৬টা আইডি চেষ্টা করে ১০০
ভাগ সফল হয়েছি। সো ডন্ট ডু দ্যাট,
অবশ্য আমি তাদের দুর্বলতা চেক
করার উদ্দেশ্যেই সেটা করেছি।
অপরিচিত/ফেক অ্যাকাউন্টকে বন্ধু
বানাবেন না
একটা অপরিচিত ব্যক্তিকে কখনোই
রিকোয়েস্ট বা এক্সেপ্ট করা
উচিত নয়, কারণ এটা আপনার জন্য
ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই
ছবিহীন প্রোফাইল বা প্রয়োজনীয়
ইনফো ছাড়া কাউকে অ্যাড করা
কোনোভাবেই উচিত নয়।
★লিঙ্ক ক্লিকে সতর্কতা অবলম্বন
করুন★
আপনাকে কেউ একজন একটা
লিঙ্ক দিল, কিন্তু সেই লিঙ্কে
ক্লিক করার আগে বেশ কয়েকবার
চিন্তা করা উচিত। যেমন, এমন হলো
এটা ফিশিং লিঙ্ক, বা কুকি
স্টিলিং স্ক্রিপ্ট বা বিপজ্জনক
কিছু, যা আপনার যে কোনো
প্রাইভেসি ভাঙতে পারে।
ই-মেইল সুরক্ষা ও এর সতর্ক ব্যবহার
ইদানীং সবচেয়ে বেশি হ্যাক
করা হয় ই-মেইলের মাধ্যমে, তাই ই-
মেইল অ্যাড্রেসের কোনো
লিঙ্কে যদি ব্যক্তিগত তথ্য চায়,
তাহলে ভুলেও সেখানে কিছু
দেবেন না, আর ফেসবুকের হ্যাক
কিন্তু ই-মেইল দিয়েই করা যায়।
তাই আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেসের
পাসওয়ার্ডও অনেক স্ট্রং করবেন,
না হলে তো বুঝতেই পারছেন!
ফেসবুকে ফ্রেন্ড লিস্ট আলাদা
রাখা
ফেসবুকে প্রাইভেট গ্রুপিংয়ের
মাধ্যমে বন্ধুদের তালিকা
আলাদা করা যায়। পরিবার, স্কুল,
কলেজ বা অফিসের বন্ধুদের
তালিকা আলাদা রাখলে সবারই
নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে। এটি
সহজে করা যায় ফ্রেন্ড লিস্টে
গিয়ে নতুন লিস্ট তৈরি করার
মাধ্যমে।
★ফেসবুক সার্চ লিস্ট বন্ধ করা★
ফেসবুকের সার্চ অপশন ব্যবহার করে
সহজেই মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রয়োজনে এটি বন্ধ করে নিতে পারেন, এমনকি
ব্যবহারকারী যে নেটওয়ার্কের
সদস্য, সেটি থেকেও তার
উপস্থিতি লুকানো সম্ভব। এটি করা
যাবে privacy settings
থেকে সার্চ অপশনে গিয়ে। ফেসবুক
সার্চ রেজাল্টে কারা সার্চ
করতে পারবেন, এটিও বাছাই করতে
পারবেন এখান থেকেই।
★গুগল সার্চ লিস্ট বন্ধ★
অনেক সময় দেখা যায়, গুগলে কারও
নাম দিয়ে সার্চ করা হলে
সেখানে সেই ব্যক্তির ফেসবুকের
পেজও চলে আসে। এভাবে যে
কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিও
নির্দিষ্ট কারও সব তথ্য পেতে
পারে বা তাকে খুঁজে বের করতে
পারে। এটি করার জন্য ‘সার্চ
প্রাইভেসি সেটিং’ পেজে
গিয়ে ‘পাবলিক সার্চ রেজাল্ট’
থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিতে হবে।তাহলেই কেবল আপনি অনাকাঙ্ক্ষিত কারো চোখে পড়া থেকে বেঁচে যাবেন।
★অনাকাঙ্ক্ষিত ট্যাগ বন্ধ★
যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন,
তাদের কাছে এটি খুব পরিচিত
ব্যাপার। ব্যবহারকারীর অজান্তে
দেখা যায়, তার কোনো ব্যক্তিগত
ছবি বা অন্য কারও ছবি যোগ হয়ে
যায় (ট্যাগ করা) এবং
ব্যবহারকারীর বন্ধুরা সেটি
দেখতে পান। প্রাইভেসি
সেটিংসে গিয়ে ‘ফটোস ট্যাগড
অব ইউ’-এ গিয়ে ‘অনলি মি’ অপশন
বাছাই করে দিলে কেউ আর
কোনো ছবি যোগ করতে পারবে
না।অতিরিক্ত ট্যাগের কারণে আপনার একাউন্ট হুমকিতে পড়তে পারে।
★ফটো অ্যালবামের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করা★
অনেক সময় দেখা যায়,
পারিবারিক ফটো অ্যালবাম, যা
কিনা শুধু পরিবারের সঙ্গে দেখা
যায়, তা অসাবধানতার কারণে
সবার কাছে উন্মুক্ত হয়ে যায়। ফটো
বা ফটো অ্যালবাম ফেসবুকে
রাখার (আপলোড) সময় কে কে এটি
দেখতে পাবে, তা ঠিক করে
দেয়া যায়।তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য এসব ছবি ফেসবুকে না দেওয়াই ভালো।
★নিউজ ফিড নিয়ন্ত্রণ করা★
ব্যবহারকারী তার নিউজ ফিড
নিয়ন্ত্রণ না করলে তার
প্রোফাইলের অনেক
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সবার
নজরে পড়ে যায়, যা হয়তো তিনি
কাউকে দেখাতে চাননি।তাই আপনার ফেসবুকের নিউজ ফিড নিয়ন্ত্রক করুন।
★অ্যাপ্লিকেশন স্টোরি নিয়ন্ত্রণ
করা★
ফেসবুকের অন্যতম আর্কষণ এর
বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম বা
অ্যাপ্লিকেশন। এসবের হালনাগাদ
(আপডেট) অনেক সময় ব্যবহারকারীর
অজান্তে তার নিউজ হোমপেজে
প্রকাশ হয়, যা অনেক সময় বিব্রতকর
অবস্থার সৃষ্টি করে। এ থেকে মুক্তি
পেতে ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশন
সেটিংস অপশনে গিয়ে ইচ্ছামত
পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
★কনটাক্ট ইনফরমেশন প্রাইভেট
বানানো★
ব্যবহারকারী তার সঙ্গে
যোগাযোগ করার তথ্য, যেমন—ফোন
নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি
নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
প্রাইভেসি সেটিংস থেকে
কনটাক্ট ইনফরমেশন অপশনটি বাছাই
করে এটি করতে পারবেন।
★ওয়ালটিউন নিয়ন্ত্রণ করা★
আপনি যদি চান আপনা বন্ধু ছাড়া কেউ আপনার স্ট্যাটাস না দেখুক,তাহলে ওয়ালটিউন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।আর এটা করতে চাইলে
প্রাইভেসি সেটিংস থেকে
প্রোফাইল ইনফরমেশন অপশনটি
বাছাই করতে হবে। সেখানে
অ্যালাউ ফ্রেন্ডস টু টিউন অন মাই
ওয়াল অপশনে টিক চিহ্ন দিতে
হবে।
★অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি ব্লক করা★
সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তিকে ব্লক করে নিতে পারেন।
ফেসবুক ব্যবহারকারী যদি নির্দিষ্ট
কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সব ধরনের
যোগাযোগ বন্ধ করতে চান, তবে
তাকে বুক লিস্টে যেতে হবে।
সেখানে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম
বা ই-মেইল ঠিকানা ব্লক করা
যাবে।
★পর্নোগ্রাফি★
এটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যান
হওয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা অন্য
কোথাও আপনি যদি এ ধরনের
কোনো ছবি বা ভিডিও ব্যবহার
করেন তাহলে ফেসবুক আপনার
অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দিতে
পারে কোনো অ্যাবিউজ
রিপোর্ট অথবা নোটিশ ছাড়াই।
ভাষার অপব্যবহার
স্ট্যাটাস আপডেট অথবা ম্যাসেজ
আদান-প্রদানের সময় আপনার
ভাষার প্রতি খেয়াল রাখতে
হবে। বাজে ভাষা ব্যবহার করলে
আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা
কেউ আপনার নামে রিপোর্ট
করলে এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে।
★ভুয়া প্রোফাইল★
ফেক একাউন্ট না খোলাই ভালো।
আপনি যদি আপনার নিজের নামের
বদলে বড়মাপের কোনো সেলিব্রেটি অথবা
অন্য কারও নাম ব্যবহার করেন
তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ
করা হবে খুব তাড়াতাড়ি। তবে
এজন্য কাউকে অভিযোগ পাঠাতে
হয়।
★অতিরিক্ত friend রিকোয়েস্ট★
friend riquest পাঠানোর ক্ষেত্রেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
প্রতিদিন ২০টির বেশি ফ্রেন্ড
রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না, যত কম
হয় ততই ভালো। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
বন্ধ হওয়ার এটি আরেকটি অন্যতম
কারণ।
★অনেক গ্রুপে জয়েন করা★
খুব বেশি প্রয়োজন না থাকলে অধিক গ্রুপে জয়েন না করাই আপনার জন্য
ভালো। ফেসবুক এটিকেও স্প্যাম হিসাবে দেখবে। আর গ্রুপগুলো
থেকে ম্যাসেজ এসে আপনার
ইনবক্স ভর্তি হয়ে যেতে পারে
প্রতিদিন।
★অতিরিক্ত মেসেজ আদান-প্রদান★
মেসেজ আদান-প্রদানে সতর্কতা অবলম্বণ করুন।
আপনি যদি আপনার বন্ধুদের ওয়াল
অথবা ইনবক্সে প্রতিদিন অনেক
বেশি সংবাদ বা মেসেজ টিউন
করেন, তাহলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে।
আর একই মেসেজ বারবার দিতে
চাইলে সেখানে কিছুটা পরিবর্তন
করে দিন। না হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এটিকে স্প্যাম হিসেবে ধরে নিবে।
মূলত ফেসবুক ব্যবহারের সময় এ
বিষয়গুলোর দিকে একটু খেয়াল
রাখলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
বন্ধ করে দেয়ার তেমন কোনো
আশঙ্কা থাকবে না। আর ফেসবুক
ব্যবহারও হয়ে উঠবে মজার ও
স্বাচ্ছন্দ্যময়।
আরেকটা বিষয় সব সময় খেয়াল রাখবেন
http://www.facebook.com-এর লিঙ্ক ছাড়া আর
বাকি সব লিঙ্ক ফেইক, যেমন
http://www.faceb00k.com। কি দেখতে একই
মনে হচ্ছে তাই না, মনে রাখবেন আপনার জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে
এখানেই। এছাড়াও আপনাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন লিংক দিয়ে বলবে 'এক ক্লিকেই ৫০০০ বন্ধু বাননাতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন, আপনার পেজে ১০০০০ লাইক নিয়ে নিন এখান থেকে "। কাজেই কখনও এই ধরনের
মেইলে ক্লিক করবেন না। কারণ
এগুলো ফিশিং সাইট, যা ফেইক
অর্থাৎ ভুয়া।ধন্যবাদ, "ভালো থাকবেন সবাই, আর ভালো র্খবেন সবাইকে"।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্।
আমি আদিল মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 31 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ধন্যবাদ ভাই।।।
টিউনের জন্য।।।