আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে একটা নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমারা যারা ব্লগার ব্যবহার করি তারা হয়ত অনেকেই যানিনা হোস্টিং কি বা এটা কি কাজে ব্যবহার হয় আসলে ব্লগারেও হোস্টিং দরকার হয় কিন্তু সেটা গুগল আমাদের ফ্রী সার্ভিস দেই তাই সেটা আমাদের কিনতে হয়না সেই জন্য আমারা জানিনা হোস্টিং কি তবে যারা ব্লগার এর সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্ডপ্রেস ইত্যাদি তে জিন ব্লগা সাইট তৈরি করে তাদের অবশ্যই এই হোস্টিং বিষয়টি যানতে হবে, ওটা আজকের টিউন এর বিষয় না তাই সেটা পরে আলোচনা করা হবে আজকে চলুন দেখে নিন ওয়েব হোস্টিং এবং ওয়েব হোস্টিং কেনার সময় যেসকল বিষয় গুল অবশ্যই যেনে নিবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
তাহলে আমাদের প্রথম যেটা যানতে হবে সেটা হল হোস্টিং কি (Wht is Hosting) এবং তার পরেই হোস্টিং কেনার জরুরী বিষয় গুল যানব।
হোস্টিং কি (Wht Is Hosting) ?
বেশির ভাগ লোকই ডোমেইন কি তা জানে তবে অনেকে হোস্টিং কি তা বুঝতে পারে না। আপনি যদি একটি ডোমেইন কিনেন অবশ্যই তার জন্য একটি হোস্টিং কিনতে হবে। আপনি একটি ডোমেইন কিনলেন মানে ইন্টারনেটে আপনি একটি স্থান কিনলেন, এখন আপনার ডোমেইনটিকে ২৪/৭ অনলাইনে রাখতে হবে। এর জন্য দরকার আপনার হোস্টিং কোম্পানি। কোন তথ্যকে অন্যের কাছে তুলে ধরার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। আজকের কম্পিউটার ব্যবহারকারী মাত্রই ওয়েবসাইট সম্পর্কে অবগত আছেন। সহজ ভাষায় বলা যায়, ওয়েবসাইট হল আপনার তথ্যকে অন্যের সামনে উপস্থাপন করার রাস্তা- সেটা টেক্সট বা মাল্টিমিডিয়া (যেমনঃ ছবি, অডিও বা ভিডিও) যে কোন ধরনের হতে পারে। ওয়েবসাইটে সেগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা ওয়েব ডেভেলপারের কাজ। আর আপনার ওয়েবসাইটটি অন্যদের দেখার জন্য উপযোগী করাই ওয়েব হোস্টিং নামে পরিচিত।
আপনার ওয়েবসাইটটিকে যদি তুলনা করা হয় আপনার প্রতিষ্ঠানের অফিস বিল্ডিং হিসাবে, তবে তার তথ্য বা কনটেন্ট হবে এর আসবাবপত্র। আর ওয়েবসাইট ডেভেলপ করাকে তুলনা করা যাবে বাড়িটি তৈরি করার সাথে। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইট হোস্টিংকে তুলনা করা যায় আপনার অফিস বিল্ডিংয়ের জন্য জায়গা কেনা এবং সে জায়গায় বাড়িটি তৈরি করার সাথে। তবেই ভিজিটররা ওয়েবসাইটি ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। কোন ওয়েব সাইট যে জায়গা জুড়ে থাকবে সেটাই ওই সাইটের হোস্টিং। আমরা দেখি যেকোন ওয়েব সাইট কিছু টেক্সট এবং মাল্টিমিডিয়া (Picture / Video) দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এই গুলা যে জায়গা বা BIT দখল করে তাকে ওই সাইটের হোস্টিং বলে। তবে সব থেকে ভাল হয় Domain and Hosting উদাহরন দিয়ে বোঝান যায়।
যেমন ধরুন :
- বাড়িটি ১ একর জমির উপর আছে।
- বাড়িটি ঠিকানা যেকোনো একটি ঠিকানা।
- ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে বলতে গলে আপনার বাড়ি টায় আপনার সাইটের কনটেন্ট
- বাড়ির জমি হচ্ছে আপনার ওয়েব সাইটের হোস্টিং
- বাড়ির ঠিকানা হল ওয়েব সাইটের ডোমেইন
বিভিন্ন হোস্টিং কোম্পানি আছে যারা সাইট হোস্টিং করে থাকে। আপনার যেই হোস্টিং প্যাকেজটি ভালো লাগে আপনি সেটি কিনতে পারেন।
হেস্টিং কয়েক ধরনের হতে পারে যেমন: Shared Hosting, Dedicated Hosting, Vertual Private Server ইত্যাদি, বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হল -
বিনামূল্যে হোস্টিং করা (Free Hosting)
ছোটখাট ব্যক্তিগত ওয়েব সাইটের জন্য এই হোস্টিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। Bandwidth/Monthly Traffic খুব কম থাকে।নিরাপত্তা শক্ত হয়না। কোন ডোমেইন নামও পাবেননা।
শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hosting)
এই হোস্টিং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রচলিত। আমরা যে হোস্টিং গুলো ব্যবহার করছি বা সাধারনত হোস্টিং প্রোভাইডাররা যে হোস্টিং অফার করে থাকে তা সবই শেয়ারড হোস্টিং। প্রফেশনাল বা কোন বড় সাইটের একটা স্বয়ংসম্পূর্ন সার্ভারের নির্দিষ্ট পরিমান সার্ভিস দরকার। এই সমস্ত সুবিধা নিজস্ব সার্ভারে নিয়ে আসতে গেলে বেশ ব্যায়বহুল হয়ে যায়। এদের জন্য Shared Hosting উপযুক্ত। এই সার্ভারের নিরাপত্তা কম থাকে কারন এখানে একসাথে অনেক Client এর সাইট(১০ থেকে শুরু করে আরও বেশি) একসাথে থাকে। এছাড়া আনলিমিটেড ডেটাবেস, ইমেইল, ব্যান্ডওয়াইডথ এসব পাবেননা, সব সীমিত। খুব ভাল হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছে হোস্টিং করালে শেয়ারড হোস্টিং প্যাকেজে সর্বোচ্চ নিচের সুবিধা গুলি পেতে পারেন
- আনলিমিটেড ডিস্ক স্পেস (আসলে ১ লক্ষ ফাইল পার হলে আর আপলোড করতে দেয়না)
নিজের ডোমেইনের জন্য কোন ডেডিকেটেড আইপি পাবেন না, কোন সফটওয়্যার ইনস্টল দিতে পারবেন না (সার্ভারে) এছাড়া আরো সীমাবদ্ধতা আছে।
আসলে তাদের মুল সার্ভারটির CPU এর ২৫% ভাগ বেশি ব্যবহার করে ফেললে নানান টালবাহানা শুরু করে। যেহেতু সব আনলিমিটেড লেখা থাকে তাই সরাসরি বলবেনা যে আপনোকে ডেডিকেটেড সার্ভার নিতে হবে। যখনি আপনার সাইটে প্রচুর হিট পড়বে তখনি ইনিয়ে বিনিয়ে নানান কথা এবং কাজের মাধ্যমে বুঝাতে চাইবে তারাতারি ডেডিকেটেড সার্ভার নিন। যদি না বোঝেন তাহলে আস্তে আস্তে সাইট বন্ধ/ডাউন করে রাখবে।
এরুপ একটি প্যাকেজ নিলে বছরে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ পড়তে পারে।
ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting)
এই হোস্টিং এর জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার প্রয়োজন। এটা অনেক ব্যায়বহুল। যদি আপনার ওয়েবসাইট অনেক অনেক বড় হয় এবং শক্ত নিরাপত্তা দরকার তখন এই হোস্টিং করা চলে। এখানে আপনি আপনার খরচ পরিমান হার্ডওয়্যার পাবেন। যত ব্যাস্ত সাইট হবে তত বেশি পাওয়ারফুল হার্ডওয়্যার লাগবে। এই হোস্টিং ২ প্রকার
Managed Hosting: হোস্টিং প্রোভাইডাররাই সব করে দেবে যেমন নিরাপত্তা, সার্ভার সেটাপ, নেটওয়ার্ক কনফিগার, কোন সফটওয়ার ইনস্টল দেয়া ইত্যাদি এজন্য তাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হবে।
Unmanaged Hosting: আপনি যদি Server administrator হন অর্থ্যাৎ আপনি যদি নিজেই আপনার এই ওয়েব সার্ভারের সকল কাজ করে নিতে পারেন তাহলে এটা হবে Unmanaged Hosting. এতে আপনার অনেক অর্থ সেভ হবে। সার্ভার ম্যানেজ করা শেখা যায়। ওয়েবে হাজারটা টিউটোরিয়াল আছে ইচ্ছে করলে শিখে নিজের কাজ নিজেই চালাতে পারেন।
একটা ডেডিকেটেড হোস্টিং প্যাকেজের বর্ননা এবং উদাহরন
Intel Xeon Quad Core 2.5GHz (8 threads) : ৮ কোরের প্রসেসর ২.৫ গিগাহার্জ ক্লক রেট।
500 Mbps Uplink : ৫০০ মেগাবিট ডেটা সেকেন্ডে ট্রান্সফার করতে পারবে।
8 GB Ram : RAM ৮ জিবি
1,000 GB RAID-1 Drives : ১০০০ জিবি হার্ডডিস্ক RAID 1 প্রটেকশন
20 TB Bandwidth : ২০ টেরাবাইট অর্থ্যাৎ ২০,০০০ জিবি মাসিক ব্যান্ডওয়াইডথ (বা এই পরিমান ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবেন)
4 Dedicated IPs : ৪ টা ডেডিকেটেড আইপি
WHM, cPanel ফ্রি পাবেন, আনলিমিটেড ডেটাবেস তৈরী করতে পারবেন এবং আরো অনেক সুবিধা পাবেন।
এরুপ একটি হোস্টিং প্যাকেজ কিনতে মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকার মত লাগবে।
ভিপিএস বা VPS (Vertual Private Server) হোস্টিং
শেয়ারড আর ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মাঝামাঝি হল ভিপিএস হোস্টিং। ডেডিকেটেড সার্ভারে সব হার্ডওয়্যার রিসোর্স একা আপনাকে দিয়ে দিবে এবং আপনার সাইট একটি সার্ভারে থাকবে। আর শেয়ারড হোস্টিং এ আপনার সাইটের সাথে থাকবে আরো হাজারটা সাইট। বিস্তারিত উপরেই আছে। ভিপিএস হোস্টিং এ সাধারনত একটা ডেডিকেটেড সার্ভার কয়েকজনকে ভাগ করে দেয়। যেমন ১৬ জিবি র্যামের একটা সার্ভার আপনাকে দিল ৪ জিবি এবং বাকিগুলি আরো ৩ জনকে দিল এভাবে সব রিসোর্স ভাগ/সীমাবদ্ধ করে দেয়। ডেডিকেটেড সার্ভারের মতই মোটামুটি নিজের মত যেকোন সফটওয়্যার ইনস্টল দেয়া যায়। সাধারনত তখন এরুপ হোস্টিং প্যাকেজ নিবেন যখন একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের সব রিসোর্স আপনার লাগবেনা, তাহলে কাজও হল কিছু অর্থ সেভ হল।
হোস্টিং কেনার সময় যেসকল বিষয় গুল অবশ্যই যানবেন ?
তাহলে নিচে থেকে দেখেনিন একটা ওয়েব হোস্টিং কেনার সময় কোন কোন বিষয় গুল লক্ষ রেখে একটা সঠিক হোস্টিং সার্ভার থেকে আপনার সাইট এর জন্য হোস্টিং কিনবেন। নিচে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হল -
১. বাজেট-
প্রত্যেকেরই একটা আনুমানিক বাজেট থাকে যার মধ্যে সে হোস্টিং কিনবে। একই সাথে ভাল মানের এবং কম টাকার মধ্যে কিনতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাজার ঘুরে দেখতে হবে। আপনার বাজেট নির্ধারণ অবশ্যই বাস্তব সম্মত হতে হবে।একটা কথা মনে রাখতে হবে যেমন টাকা পে করবেন তেমন সার্ভিস পাবেন। আপনি যেমন ডিমের দামে মুরগী পাবেন না তেমনি হোস্টিং এর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের প্রাইস ১৫০-৫০০ ডলার প্রতি মাসে এখন আপনি যদি ৫০ জিবি স্পেস ২ ডলার মাসে চান তাহলে আপনাকে ডাউনটাইম, সাইট স্লো লোডিং এসব বিষয় সহ্য করতে হবে। তাই কেনার আগে এ বিষয়টি ভেবে দেখুন। সস্তার তিন অবস্থা এই কথাটি মাথায় রাখুন।
২.ডিস্ক স্পেস-
আপনাকে স্পেস এর কথা চিন্তা করতে হবে। আপনার ওয়েব সাইটের জন্য কতটুকু স্পেস লাগবে তা হিসাব করে নিন। আপনি যদি ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট করতে চান যাতে শুধু কয়েকটা পেজ থাকবে তাহলে ৫০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর যদি চিন্তা ব্যক্তিগত ব্লগ টাইপের ওয়েব সাইট হবে তাহলে ২০০-৫০০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর আপনি যদি চিন্তা করেন ছবি, গান, ভিডিও রাখবেনতবে আপনাকে বড় ওয়েব স্পেসের দিকে নজর দিতে হবে। অনেকেই দেখা যায় ১০০ এমবি হোস্টিং যথেষ্ট সাইট হোস্ট করার জন্য কিন্তু কিনে ফেলেন ১-৫০ জিবি। বছর বছর টাকা দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু ব্যবহার করতেছেন ১০০ এমবি। তাই অযথা স্পেসের জন্য অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে সবচেয়ে ছোট প্লান থেকে শুরু করুন। আপনার যদি স্পেস বেশি প্রয়োজন পড়ে তাহলে পরবর্তী প্লানে আপগ্রেড করে নিবেন। এবং প্রায় সব কোম্পানিই আপগ্রেড সুবিধা দিয়ে থাকে।
আনলিমিটেড স্পেসের ফাঁদে পা দিবেন না। এটা একটা মার্কেটিং ট্রিকস। কোন কোম্পানিরই আনলিমিটেড স্পেস দেয়া সম্ভব না। একবার চিন্তা করুন তো আপনি মার্কেটে আনলিমিটেড হার্ডডিস্ক দেখেছেন কি না। সার্ভারও আমাদের পিসির মতোই।
৩. ব্যান্ডউইথ-
প্রতিবার পাঠক / দর্শক যতগুলো পেজ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে, ততগুলো পেজ, ছবি, গান, ভিডিও অর্থাৎ ওইসব পেজে যা কিছু আছে সবগুলোই পাঠকের কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়। প্রাথমিক অবস্থায় একটা সাইটের ১ জিবি ব্যান্ডউইথ ও যথেষ্ট। পারসোনাল সাইটের জন্য এর চেয়ে বেশি লাগার কথা না। আর আপনার সাইটে যদি প্রচুর ইমেজ, ভিডিও ইত্যাদি থাকে তাহলে প্রচুর ব্যান্ডউইথ লাগতে পারে। ১০-১০০ জিবি অথবা তারচেয়ে ও বেশি।
৪. আপটাইম/SLA গ্যারান্টি-
একটি ওয়েবসাইটের জন্য আপটাইম বিষয়টি খুবই জরুরি। হোস্টের সার্ভার যতক্ষন সচল থাকবে, আপনার ওয়েবসাইটও ততক্ষন সক্রিয় থাকবে। এটা কেবলমাত্র পাঠকের জন্যই গুরুত্বর্পূণ নয়, বরং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও অনেক গুরুত্ববহন করে। পাঠক একবার আপনার ওয়েবসাইটে আসে দেখলো আপনার ওয়েবসাইট কাজ করছে না, তখন তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং সে ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে। ঠিক তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের বট ইনডেক্সের সময় ওয়েবসাইট ডাউন থাকলে, সে ফিরে যাবে এবং আপনি আপনার ওয়েবসাইট ইনডেক্স হওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।এখন প্রতিটি হোস্টিং কোম্পানিই ৯৯.৯% টাইম সক্রিয় থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এদের প্রকৃত আপটাইমের হিসেব পাওয়া সম্ভব নয়। তাই কেনার আগে গুগলে যে কোম্পানি থেকে কেনার কথা চিন্তা করছেন সে কোম্পানির নামের সাথে আপটাইম শব্দটি লাগিয়ে সার্চ দিন। যেমন- examplehost uptime লিখে সার্চ দিলে আপনি example.com এর আপটাইম সম্পর্কে জানতে পারবেন।আর কোম্পানি যদি কোন মাসে আপটাইম গ্যারান্টি রক্ষা না করতে পারে তাহলে সে জন্য ক্রেডিট প্রদান করে কি না চেক করে নিতে হবে। কোম্পানির ওয়েব সাইটে টার্মস অব সার্ভিসেস লিংকে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত লেখা থাকে।
৫. মানিব্যাক গ্যারান্টি-
মানিব্যাক গ্যারান্টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। অনেক কোম্পানিই ৩০ দিনের মানিব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে থাকে। কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন কোম্পানি মানিব্যাক গ্যারান্টি দিচ্ছে কিনা।
৬. প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অবস্থা-
হোস্টিং কেনার আগে হোস্টিং কোম্পানি ভাল না মন্দ তা জেনে নেয়ার চেষ্টা করুন। কোম্পানি সম্পর্কে ইউজারদের দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন তা কোম্পানির রিভিউ দেখলেই বুঝতে পারবেন। যেমন- গুগলে গিয়ে linuxhostlab review লিখে সার্চ দিলে linuxhostlab সম্পর্কে ব্যবহারকারিদের মতামত জানতে পারবেন।
কোম্পানি যেসব বিলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা বৈধ্য উপায়ে করে কি না। নাকি চোরাই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা নিশ্চিত হয়ে নিন। যারা চোরাই স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সার্ভিস দেয় তাদের থেকে ভাল কিছু আশা করা ঠিক হবে না।
৭. সাপোর্ট-
আজকের দুনিয়ায় সাপোর্ট একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সার্ভার যদি কখনো ডাউন হয় আর যদি তা জানাতে এবং উত্তর পেতে কয়েক দিন লেগে যায় তাহলে লক্ষ ভিজিটর হারাতে পারেন। আর যদি আপনি রিসেলার ক্লাইন্ট হোন তবে তো মহা বিপদে পড়বেন। আপনার ক্লাইন্টকে কোন উত্তর দেয়ার মতো কিছু থাকবে না। তাই কোম্পানির সাপোর্ট কত দ্রুত তা নিশ্চিত হয়ে নিন। হোস্টিং কোম্পানি জিজ্ঞাসা করুন তাদের গ্যারান্টেড সাপোর্ট রেসপন্স টাইম কেমন। এবং কি কি মাধ্যমে সাপোর্ট দিয়ে থাকে।
৮. হোস্টিং ফিচার-
হোস্টিং প্লানগুলোর মধ্যে কোন লিমিটেশন থাকলে সেটা অনেক সময় ভালভাবে উল্লেখ করা থাকে না। তাই প্লানগুলোর তুলনা করে আপনার চাহিদার সাথে বেপারগুলো মিলে কিনা তা দেখে নিন। আপনি যদি এএসপি ডট নেটে সাইট বানাতে চান তাহলে আপনার উন্ডডোজ হোস্টিং লাগবে। লিনাক্স হোস্টিং এ চলবে না। আপনার যে যে ফিচার প্রয়োজন তা তারা দিতে পারছে কি না দেখে নিন।
৯. লিমিটেশন জেনে নেওয়া-
আপনি আপনার হোস্টিং এ কি কি হোস্ট করতে পারবেন এবং কতটুকু স্পেস, ব্যান্ডউইথ, সিপিউ ব্যবহার করতে পারবেন তা টার্মস অব সার্ভিসেস পেজে দেয়া থাকে। তাই কোম্পানির টার্মস অব সার্ভিসেস পড়ে নিতে হবে।
১০. কন্ট্রোল প্যানেল-
আপনার ওয়েব সাইট ম্যানেজ করার জন্য কন্ট্রোল প্যানেল প্রয়োজন। কন্ট্রোল প্যানেলের সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েব সাইট সহজেই ম্যানেজ করতে পারেন। ওয়েব হোস্টিং এ সব চেয়ে সহজ এবং অধিক ফিচার সমৃদ্ধ কন্ট্রোল প্যানেল হচ্ছে সিপ্যানেল। তাই সবসময় সিপ্যানেল হোস্টিং নেয়ার কথা চিন্তা করুন।
১১. সার্ভার লোড-
সাভার ওভার লোড কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন। আপনি হোস্টিং কোম্পানিকে সার্ভারের টোটাল কোর এবং প্রসেসর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। যদি সার্ভার কোর ৮টা হয় এবং তাদের সার্ভার লোড ৮ এর উপরে হয় তাহলে সার্ভার ওভারলোড। এবং ওভারলোড সার্ভারে সাইট হোস্ট করলে সাইট লোড হতে বেশি সময় নিবে।
১২ .টেকনিক্যাল সীমাবদ্ধতা-
আপনি যদি ব্লগ, ই-কমার্স, লাইভ ভিডিও ইত্যাদি ধরণের সাইট বানাতে চান তাহলে সস্তার তিন অবস্থায় না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সস্তা প্যাকেজের সার্ভার গুলোর হার্ডওয়্যার কনফিগ খুব একটা ভাল হয় না। ফলে আপনার সাইট আধিকাংশ সময় ই আফলাইন/ডাউন থাকবে যা আপনার ও আপনার ভিজিটর কারো ই কাম্য নয়। তাই আপনি যে প্রতিষ্ঠানটিকে বাছাই করবেন তাদের থেকেই যেনে নিন আপনার জন্য কোনটি ভাল হবে। অযথা নিজের ভুলে হয়রানি হয়ে প্রতিষ্ঠানের বদনামি করবেন না।
১৩. বিশেষ সুবিধাদি-
এই কথাটাকে আরো সুন্দর ভাবে বলতে গেলে বলতে হবে “সুন্দরীতমা তোমার রুপের রহস্য কি?” অর্থাৎ কোন বৈশিষ্ঠের কারণে আপনার নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানটি আপনার কাছে সেরা? একাধিক ডাটাসেন্টার, দৈনিক ব্যাকাপ, ফ্রি ডোমেইন প্রইভেসি, আনলিমিটেড ব্যান্ডওয়াইড সেটা যাই হোক, আপনার যদি মনে হয় আপনার প্রয়োজনের সবটুকুই তারা দিতে পারবে তাহলে আপনি তাদের সেবা নিতে পারেন।
১৪. ব্যবহারকারীদের টিউমেন্ট-
তাদের ব্লগ ও সোসাল মিডিয়া গুলো ভিজিট করলেই আপনি এই বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। তাছাড়া ফেসবুকে বিভিন্ন গুপে আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর সম্পর্কে জানতে পারবেন।
১৫. ই-মেইল সুবিধা-
এটি খুবই গুরুত্বপূণ একটি বিষয়। আপনি অবশ্যই এই বিষয়টির ব্যপারে আপনার পচ্ছন্দের প্রতিষ্ঠানটিকে জিজ্ঞাস করতে ভুল করবেন না। আপনার সাইটে যদি স্পার্ম জনিত সমস্যা হয় তাহলে বুঝতে হবে তারা এ ব্যপারে পর্যাপ্ত সুবিধা দিতে ব্যর্থ। তাই আগে থেকেই জেনে নিন ই-মেইল সুবিধা ও স্পার্ম সমাধান সর্ম্পকে।
১৬ কন্ট্রলপ্যানেল-
আপনি যদি ওয়েবের জগতে নতুন হয়ে থাকেন তারপরেও স্ক্রিপ ইনস্টল, ই-মেইল সেটআপ, FTP একাউন্ট সেটিং করতে হবে প্রভাইডরের সাহায্য ছাড়াই। এক্ষেত্রে cPanel অথবা Plesk এর ইন্টারফেস আপনার জন্য সুবিধা জনক। আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি প্রভাইডর cPanel ব্যবহার করে থাকে সুতরাং আপনার এ ব্যপারে খুব একটা সমস্যা হবে না। এতো গেল হোস্টিং কন্ট্রোলপ্যানেল। ডোমেইন এর কন্ট্রোলপ্যানেল হোস্টিং কন্ট্রোলপ্যানেল থেকে আলাদা। আপনি ডোমেইন কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিবেন আপনাকে ডোমেইন কন্ট্রোলপ্যানেল দেয়া হবে কিনা এবং ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন পড়ে ডোমেইন ট্রান্সফার করতে পারবেন কিনা।
কারো যদি ডোমেইন হোস্টিং লাগে তাহলে
আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার সাদ্ধের মধ্যে ভাল মানের হোস্টিং দেওয়ার চেষ্টা করব। অথবা আপনি চাইলে অন্য যেকোনো কম্পানি থেকে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রেও যদি হেল্প লাগে তাহলে নক করবেন পাশেই থাকব।
আশাকরি উপরের টিউন থেকে আপনারা কিছুটা হলেও ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে ধারনা পেলেন। টিউনটি আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং টিউমেন্ট করেও আমাদের যানাতে পারেন কোন রকম সমস্যা হলেও টিউমেন্ট করুন।
virtual master card এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। মোবা: ০১৭২৮৬৫৩৩৩৪ (মারুফ)।