খুব সহজে ঘরেই তৈরি করুন গ্লিসারিন!

সৌন্দর্যচর্চার অবিচ্ছেদ্য উপাদান গ্লিসারিন। যে কোনো ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশনের উপাদান হিসেবে গ্লিসারিন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর শীতকালে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে তো বাংলাদেশের সর্বত্রই নারীরা ব্যবহার করে থাকেন এই উপাদানটিকে। এ ছাড়াও ফল তাজা রাখতে এবং বায়োলজি ল্যাবে ব্যবহার হয় গ্লিসারিনের। বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায়, গ্লিসারিন তৈরি করা হয় অ্যানিমেল ফ্যাট দিয়ে। আপনি যদি ভেজিটেবল অয়েল দিয়ে তৈরি গ্লিসারিন ব্যবহার করতে চান আপনার ত্বকে, তবে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন গ্লিসারিন আর সাথে বোনাস হিসেবে পেয়ে যাবেন একটি সাবান!
glisarin
উপকরণ

– ১ কাপ নারিকেল তেল

– ১ কাপ অলিভ অয়েল

– ২ টেবিল চামচ লেই (এটা হার্ড ওয়্যারের দোকানে কিনতে পাবেন। লেই হলো এক শক্তিশালী ক্ষার যা সাধারণ ছাই থেকে তৈরি করা হয়। এর মূল উপাদান সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড।)

– আধা কাপ লবণ

– বড় একটি সসপ্যান

– বড় একটি বোল

– চোখের সুরক্ষার জন্য সেফটি গগলস

– হাতের সুরক্ষার জন্য রাবার গ্লাভস

– চামচ

– কাঁচের বোতল

– সাবান তৈরির জন্য একটি ছাঁচ

– কিচেন থার্মোমিটার

প্রণালী

১) সেফটি গগলস আর রাবার গ্লাভস পরে নিন। নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল ঢেলে নিন বড় সসপ্যানে এবং চুলোয় আঁচে চড়িয়ে দিন। একটু গরম হলে নামিয়ে লেই এবং এক কাপ ঠা-া পানি মিশিয়ে নিন। এরপর আবার চুলোয় দিন।

২) সসপ্যানের তাপমাত্রা মোটামুটি ১২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট রেখে নেড়েচেড়ে সব উপাদান মিশিয়ে নিন। এরপর তাপমাত্রা কমিয়ে ১১ ডিগ্রি ফারেনহাইটে আনুন।

৩) ১৫ মিনিট ধরে নাড়তে থাকুন মিশ্রণটিকে। এক পর্যায়ে এর ঘনত্ব হয়ে আসবে হালুয়ার মতো। এ সময়ে আধা কাপ লবণ যোগ করুন এবং চুলো বন্ধ করে দিয়ে মিশ্রণটিকে ঠা-া হতে দিন। ঠা-া হয়ে এলে দেখবেন সসপ্যানের ওপরে সাবানের পরত পড়ে আছে এবং তরল গ্লিসারিন নিচে পড়ে আছে।

৪) পাত্রের ওপর থেকে ছেঁকে সাবানটুকু উঠিয়ে ছাঁচে রাখুন। এরপর গ্লিসারিন অংশটিকে কাঁচের বোতলে রেখে এয়ারটাইট অবস্থায় বন্ধ করে রাখুন। এটা ফ্রিজে রাখলে ৩-৪ সপ্তাহ ভালো থাকবে।

Level 0

আমি অন্তহিন মরুপথ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এর চেয়ে দোকান থেকে কিনে নেওয়া সহজ। যদি বাসায় ব্যবহৃত জিনিস দিয়ে বানানো যেত তাহলে সবার উপকারে আস্ত। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

ভালো তো