যে ভাবে অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করবেন।

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন  ! আমি আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।

এরকম টিউনন্স হয়তে আগে  হয়ছে আমি  নতুন দের জন্য  দিলাম  যারা জানেন না

 

ডিজিটাল সুবিধা মানুষের দোড় গোঁড়ায় পৌছে দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ বর্তমান সরকার সাধারন মানুষের ভোগান্তি কমাতে সম্প্রতি অনলাইনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের আবেদন করার পদ্ধতি চালু করেছে। ঘরে বসে কম্পিউটারে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যাবে। শুধু আঙুলের ছাপ দিতে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।

 

 

আপনার করনীয়ঃ
১. প্রথমে http://www.passport.gov.bd সাইটে প্রবেশ করতে হবে। হোমপেজে দেওয়া প্রয়োজনীয় শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে নিচের দিকে ও I have read the above information and the relevant guidance notes -এর বাম পাশের ঘরে টিক চিহ্ন দিয়ে continue to online enrolement–এ ক্লিক করতে হবে।

২. নতুন একটি পেজে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য চাইবে।
প্রথমে Applying in -এর পাশের ঘরে আপনি কোন দেশ থেকে পাসপোর্টের আবেদন করছেন সেটি নির্বাচন করে দিতে হবে। এরপর পাসপোর্টটির ধরন যেমন অর্ডিনারি, ডিপ্লোম্যাটিক বা অফিসিয়াল এবং Delivery Type -এর ঘরে পাসপোর্টটি রেগুলার নাকি এক্সপ্রেসসেটি নির্বাচন করে দিতে হবে।

৩. Personal Information সেকশনে আবেদনকারীর কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে নাম, পিতা-মাতার নাম ও পেশা, জাতীয়তা, স্বামী বা স্ত্রীর নাম [যদি থাকে] ও পেশা, আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থা, পেশা, জন্মগ্রহণকারী দেশের নাম ও জেলার নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, জন্ম পরিচয়পত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর [যদি থাকে], উচ্চতা, ধর্ম ও ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে।
Citizenship Information সেকশনে জাতীয়তা, জাতীয়তার ধরন ও এক বা একাধিক নাগরিকত্ব রয়েছে কি-না সেটি উল্লেখ করতে হবে। একেবারে নিচের দিকে টিউন অফিস, থানা ও জেলা সহকারে বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা প্রবেশ করাতে হবে। তথ্যগুলো ভালোভাবে দেখে পরবর্তী পেজে যাওয়ার আগে Save & Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।

 

 

৪. পরবর্তী পেজে অ্যাপ্লিকেশন আইডি বা আবেদন ফরম নম্বর দেওয়া হবে। এ ছাড়া ই-মেইলে অ্যাপ্লিকেশন আইডিসহ একটি পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। এটি সংরক্ষণ করতে হবে। নিচের দিকে Applicant Contact Information সেকশনে অফিস, বাসা বা আবেদনকারীর নিজস্ব সেল ফোন নম্বর দিতে হবে।
emergency Contact Person’s Details সেকশনে পরিচিত একজনের নাম-ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।

৫. Passport Information সেকশনে আবেদনকারীর আগে কোনো পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য প্রদান করতে হবে।
Payment Information সেকশনে পাসপোর্ট আবেদনের চার্জ প্রদানের প্রয়োজনীয় তথ্য চাইবে। এখানে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেওয়া টাকার পরিমাণ ও রশিদ নম্বর দিতে হবে।
Foreign Mission– -এর ঘরে আবেদনকারী কী জন্য বিদেশে ভ্রমণ করবেন তার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান শেষ হলে Save & Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।

 

 

৬. পরবর্তী পেজে আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্রটি প্রদর্শিত হবে। শেষবারের মতো সব ঠিক আছে কি-না তা দেখে নিতে হবে। সঠিক থাকলে নিচের দিকে Save বাটনে ক্লিক করতে হবে। চূড়ান্ত আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এ ছাড়া ই-মেইলে দেওয়া আবেদনপত্রের নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে পরে আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করা যাবে। প্রিন্ট করা আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে আবেদন চার্জসহ জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে আঙুলের ছাপটি দিয়ে আসতে হবে।

পরামর্শ
পাসপোর্ট এর ফর্মটি, আপনার ন্যাশনাল আইডি এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে) সত্তয়িত করে আগারগাও পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি চলে যান ৮ তলার ৮০৪ নং রুমে। সেখান থেকে ফর্মটি ভেরিফাই করিয়ে নিন। তারা আপনার ফর্ম এর উপর স্বাক্ষর করে একটি সিরিয়াল নম্বর লিখে দিবে।

এবার যেতে হবে পাশের অফিসের তিন তালার ৩১০ নং রুমে। যত লাইন ই থাকুক না কেন… সরাসরি চলে যান উপ কমিশনারের রুমে এবং তাকে দিয়ে ফর্মটি ভেরিফাই করিয়ে নিন। মনে রাখবেন অনলাইন ফর্মের জন্য কোন লাইন নেই। এখানে থেকে আপনাকে ভেরিফিকেশন করার পর পাঠিয়ে দিবে পাশের রুমে ছবি তুলতে।

ছবি তোলার জন্য যেতে হবে ১৯ নং কাউন্টারে। এখানে শুধু অনলাইন ফর্ম এর সার্ভিস দেওয়া হয়। কাউন্টারে ফর্মটি জমা দিলে সেখানকার অফিসার আপনার ছবি তুলবে, আঙ্গুলের ছাপ ও স্বাক্ষর নিবে এবং তারপর আপনাকে রশিদ ধরিয়ে দিবে। সেটা ভালো মত চেক করে রুম থেকে বেরিয়ে আসুন।

ব্যাস… আপনার ফর্ম জমা দেয়া শেষ। যেদিন পাসপোর্ট দেয়ার ডেট, সেদিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে রশিদ দেখিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।

মনে রাখবেন
#যত লাইন থাকুক না কেন, অনলাইন ফর্মের জন্য কোন লাইন ধরা লাগবে না।
#অবশ্যই বাসা থেকে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি সত্যয়িত করে নিয়ে যাবেন।
#সাদা কাপড় পড়ে ছবি তোলা যাবে না।

 

কখন পাসপোর্ট অফিস খোলা থাকে?
পাসপোর্টের জন্য ফরম বিতরণ ও জমা নেওয়া হয় প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১·৩০ মিনিট পর্যন্ত। আর পাসপোর্ট বিতরণ করা হয় সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
সরকারি ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) বাদ দিয়ে সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন খোলা থাকে।

যে কোনো ধরনের অভিযোগ জানাতে…
কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আগারগাঁও, ঢাকার উপপরিচালক (কক্ষ-২০৩, দ্বিতীয় তলা)। ফোনঃ ৮১৫৯৫২৫।

 

 

 

 

তাহলে  আজ  এই পজন্ত  আল্লাহফেজ

সবাইকে ধন্যবাদ আমার টিউন পরার জন্য

সবাই  ভাল  থাকবেন  কোন ভুল  হলে মাফ করবেন।

আমি ফেসবুক এ

 আর টেকটিউনস এর সাথে  থাকুন,

Level 0

আমি ওয়ার্ডপ্রেস মাষ্টার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 474 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

vi tune ta khob valo laglo.Thankes a lot …….

যারা এখনো এমআরপি নেয় নাই তাদের জন্য উপকারী পোষ্ট। দাদা, প্রথমে লিখলেন শুধু আংগুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে, শেষে পাসপোর্ট অফিসের কয়েক তালা (এখানে তলা হবে) ঘুরিয়ে ছবি তুলতে পাঠালেন কেন?
দাদা, অনলাইন পাসপোর্টের ফরম এর কপি কি শুধুমাত্র আগাঁরগায়ে ই জমা দেয়া যাবে, বাংলাদেশের আর কোন অফিসে জমা দেয়া যাবে না?
মারাত্মক ধরনের কপি পেষ্ট। একেবারে দাঁড়ি, কমা সহ।