কম্পিউটারের গতি বাড়াতে ১০টি সুপার হট টিপস

হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, আশা করি সবাই ভালো আছেন।আজ কের আমার এই টিউন মূলত পিসি ফাস্ট করার ১০টি টিপস নিয়ে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পিসি প্রায় অপরিহার্য জিনিস হয়ে উঠছে।অনেক সময় দেখা যায় যে, পিসির গতি তুলনামুলক কমে যায়।ফলে পিসিতে কাজ করতে গিয়ে নানান ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়।তাই পিসি যাতে ধীরগতির না হয় কিংবা হলেও পিসি যাতে ফাস্ট করতে পারেন সেজন্য নিম্নোক্ত ১০টি টিপস মেনে চলবেন।

১. ক্লিনআপ প্রোগ্রাম

কম্পিউটারে জমা হওয়া অপ্রয়োজনীয়
ফাইলগুলো পিসির গতি কমিয়ে দেয়।
এ গতি ঠিক করতে পারে ক্লিনআপ
প্রোগ্রাম। এক্ষেত্রে ‘সিসিক্লিনার’
হতে পারে একটি ভালো সমাধান।

২. অপ্রয়োজনীয় অ্যানিমেশন ও
ভিজুয়াল এফেক্ট দূর করুন

খুব দ্রুতগতির কম্পিউটার ছাড়া
অ্যানিমেশন ও ভিজুয়াল এফেক্ট গতি
কিছুটা কমিয়ে দেয়। আর এ গতি ঠিক
করতে এসব বিষয় বন্ধ করে দেওয়াই
ভালো। কারণ আকর্ষণীয় থিম ও
অ্যানিমেশন আপনার পিসির গতি কমিয়ে দেবে।

৩. আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার
করুন

কম্পিউটারের অ্যান্টিভাইরাস
নিয়মিত আপডেট করুন। এরপর
নিয়মিত ভাইরাস স্ক্যান চালান।
অন্যথায় ভাইরাসের কারণে
কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে।

৪. বাড়তি র্যাম লাগান

অল্প খরচে কম্পিউটারের গতি
বাড়ানোর একটি উপায় হলো বাড়তি
র্যাম যোগ করা। এতে প্রায় সব
কম্পিউটারের গতিই বেড়ে যায়।

৫. সলিড স্টেট হার্ড ড্রাইভ

হার্ড ড্রাইভের গতির কারণে
কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে। এ
সমস্যার সমাধানে কম্পিউটারে সাধারণ
হার্ড ড্রাইভের বদলে লাগান সলিড
স্টেট হার্ড ড্রাইভ। এটি কম্পিউটার
চালু হওয়ার গতিও বাড়াবে।

৬. স্টার্ট আপ সফটওয়্যার কমান

কম্পিউটার স্টার্ট করার সময় যেসব
সফটওয়্যার চালু হয় সেগুলো লক্ষ্য
করুন। এখানে বেশি সফটওয়্যার থাকলে
তা কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেবে।
এজন্য স্টার্ট মেনু থেকে “msconfig”
টাইপ করুন। এরপর “Startup”-এ যান। এখানেই কম্পিউটার চালুর সময়কার
সফটওয়্যারগুলো পাবেন। তবে এখান
থেকে যে কোনো কিছু ডিলিট করার
আগে ভালোভাবে জেনে নিন। অন্যথায়
তা কম্পিউটারের সমস্যা তৈরি করতে
পারে।

৭. ক্লিন উইন্ডোজ ইনস্টল করুন

আপনার কম্পিউটারে যদি অসংখ্য
সফটওয়্যার ও ভাইরাসের ছড়াছড়ি
থাকে তাহলে তার সব সফটওয়্যার নতুন
করে ইনস্টল করাই ভালো। এজন্য
উইন্ডোজের ইনস্টলের সিডি বা
ইউএসবি স্টিক সংগ্রহ করুন। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী ইনস্টল করুন।
সম্ভব হলে হার্ড ডিস্কের একটি
পার্টিশন সম্পূর্ণ ফরম্যাট করে নতুন
করে সেখানে উইন্ডোজ ইনস্টল করুন।

৮. ব্রাউজারের ক্যাশ পরিষ্কার করুন

আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারে যদি
নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করেন
তাহলে এর ক্যাশে বহু ফাইল জমা হতে
পারে। এ ফাইলগুলো দূর করার জন্য
সেটিংস মেনু থেকে হিস্টোরিতে যান।
এরপর ক্লিয়ার হিস্টোরিতে ক্লিক করুন। সেটিংসটি বিভিন্ন ব্রাউজারে
বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে একটু
খেয়াল করলেই তা খুঁজে পাবেন।

৯. সার্চ ইনডেস্ক রিফ্রেশ

কম্পিউটারে সংরক্ষিত বিভিন্ন
ফাইল খুঁজে বের করার সময় কমাতে
সার্চ ইনডেস্ক রিফ্রেশ করা
প্রয়োজন। এজন্য উইন্ডোজের
ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টার নিয়মিত
(সাধারণ ব্যবহারে সপ্তাহে একবার) চালাতে হবে।

১০. রিস্টার্ট করুন

আপনার কম্পিউটার যদি দীর্ঘক্ষণ
একনাগাড়ে চলে তাহলে গতি কমে যেতে
পারে। এক্ষেত্রে সমাধান হলো
রিস্টার্ট করা।

আজ এ পর্যন্তই।আবারও হাজির হব নতুন কোনো টিউন নিয়ে।খোদা হাফেজ।

Level 2

আমি জুবায়ের আহমদ শাকিল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 58 টি টিউন ও 221 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

dhonnobad bhaia.