আশা করি সবাই ভাল আছেন।
বাংলাদেশের স্মার্টফোনের
জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল
স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর
মধ্যে স্যামসাং, নোকিয়া, সনি,
অ্যাপল, সিম্ফনি, ওয়ালটন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। বাজারে
এখন সুলভ মূল্যে অনেক স্মার্ট
ফোন পাওয়া যায়। এক নজরে
দেখে নিন বাংলাদেশের mobile phone price.
বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে
ট্রেডিশনাল ফিচার মোবাইল
ফোনের চেয়ে নতুন
স্মার্টফোনর দিকেই বেশি
ঝুকছে। অপারেটিং সিস্টেম
হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
নোকিয়া তার লুমিয়া সিরিজের
মাধ্যমে উইন্ডোস ফোনের
বাজার কিছুটা ধরে রাখতে
সক্ষম হয়েছে। আপনি কি কাজে
ফোন ব্যবহার করবেন এবং তার সাথে আপনার বাজেট কত তা
নিধা্রন করতে হবে।মূলত
আপনার চাহিদা অনুযায়ী
ফোনের গুনাবলীগুলো লক্ষ্য
রাখতে হবে।
অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস
Operating System (OS) :
মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে
মোবাইল এর অপারেটিং
সিস্টেম অনেক বড় একটা
ভূমিকা পালন করে থাকে।
অপারেটিং সিস্টেম বা ও এস
হলো একগুচ্ছ সফটওয়্যার যারা একে অন্যের উপর নির্ভর করে
কাজ করে। মোবাইল এর
অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশান
সফটওয়্যারকে ইন্সটল করতে
এবং অ্যাপ্লিকেশান চালাতে বা
এক্সিকিউট করতে অপারেটিং সিস্টেম সাহায্য করে। এজন্য
কোন মোবাইল এর
কর্মদক্ষতা ও কাজের
ভিন্নতার জন্য এক এক রকম ও
এস তৈরী করা হয়।
প্রসেসর / Processor :
মোবাইলের প্রসেসর মোবাইলর
এর প্রাণ কেন্দ্রর মত। কারণ,
প্রসেসর হল ডেটা প্রসেসিং চিপ
যা সকল প্রোগ্রাম ও কমান্ড
প্রসেস করে থাকে। মোবাইলের
বিভিন্ন ধরনের প্রসেসর হয়ে থাকে। যেমনঃ ডুয়াল কোর,
কোয়াডকোর, অক্টাকোর
ইত্যাদি। এই প্রসেসর
কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর
করে এদের নামকরণ হয়েছে।
যেমনঃ ডুয়ালকোর প্রসেসরের দুটি প্রসেসর সম্বলিত ভাবে
একটি চিপ থাকে। যে প্রসেসরের
কোর বেশী হবে তার প্রসেসিং
স্পিড ও তত বেশী। তাই
মোবাইলের সব ধরনের কাজের
স্পিড প্রসেসর এর উপর নির্ভরশীল।
জিপিইউ /GPU :
জি পি ইউ হল গ্রাফিকাল
প্রসেসিং ইউনিট যা প্রসেসরের
গ্রাফিকাল বিষয়গুলোকে গননা
করে। জি পি ইউ গ্রাফিকাল
ফ্রেমগুলো দ্রুত প্রস্তুত করতে
সাহায্য করে এবং প্রসেস করে আউটপুট হিসাবে মোবাইল
ডিসপ্লেতে পাঠায়। জি পি ইউ
অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাফিকাল
কাজের সময় সি পি ইউ এর উপর
চাপ কমিয়ে দেয়। হাই
ডেফিনিশান মুভি বা ভিডিও বা থ্রিডি গ্রেম খেলার জন্য ভাল
জি পি ইউ আবশ্যক। এছাড়া
মোবাইলের অন্যান্য
গ্রাফিক্যাল রেন্ডারিং এর
কাজে জি পি ইউ গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে।
র্যাম ও রম (RAM /ROM):
র্যাম হল- র্যান্ডম অ্যাকসেস
মেমরি, যা একধরনের উদ্বায়ী
মেমরি; বৈদ্যুতিক শক্তি ছিন্ন
হলেই সব স্মৃতি মুছে যায়।
সাধারণত এই উদ্বায়ী মেমরিতে
চলমান অ্যাপ্লিকেশান প্রোগ্রাম এবং বিভিন্ন
ধরনের কমান্ড অবস্থান করে।
অধিক বা উচ্চতর র্যাম
মোবাইল ডিভাইসকে দ্রুত চলতে
সাহায্য করে এবং অধিক র্যাম
থাকলে অনেক অ্যাপ্লিকেশান একসাথে চালানো যায় এবং
অনেক ভারী সফটওয়্যার ও গেম
খেলার জন্য অধিক র্যামের
প্রয়োজন হয়।
ডিসপ্লে/Display :
বর্তমানে সবাই মোবাইলের বড়
স্ক্রিন পছন্দ করে। কারণ,
মোবাইল এর ডিসপ্লে বড় হলে
কাজ করতে সুবিধা হয়। যেমন
কেউ গেম খেলার জন্য অথবা
মুভি দেখার জন্য একটু বড় ডিসপ্লে পছন্দ করেন। মোবাইল
এর বেশ কিছু ধরনের ডিসপ্লে
রয়েছে যেমনঃ
a) Capacitive Touch screen
b) IPS Display
c) AMOLED Display
d) Corning Gorilla Glass
ক্যামেরা/Camera:
ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত
বেশী হবে ছবির মান ততো
ভালো আসবে। অবশ্য
ক্যামেরার লেন্স সেক্ষেত্রে
একটা লক্ষণীয় ব্যপার। ভালো
ক্যামেরার কিছু লক্ষণীয় গুলো হলঃ
ক) ক্যামেরার মেগাপিক্সেল।
খ) ক্যামেরার লেন্স।
গ) ছবি উঠানো বা ভিডিও
করার বিভিন্ন ফিচার।
ব্যাটারী /Battery:
ব্যাটারী ছাড়া মোবাইল ফোন
সম্পূর্ন অচল। তাই ব্যাটারীর
চার্জ কতক্ষণ থাকবে, এ বিষয়ে
সকল ক্রেতাই একটু চিন্তিত
থাকেন। তাই মোবাইল ফোন
ক্রয় করার আগে ব্যাটারীর সম্বন্ধে জেনে নেওয়া ভাল।
বর্তমানে প্রায় সব মোবাইলের
ব্যাটারী হচ্ছে লিথিয়াম আয়ন
ব্যাটারি।
ক) স্ট্যান্ডাবাই টাইম।
খ) টক টাইম।
গ) মিউজিক প্লে-ব্যাক টাইম।
এই আর্টিকেল টি যদি ইউসফুল
মনে করেন তবে নিচের টিউমেন্ট-এ আপনার মতামত দিতে
পারেন। ধন্যবাদ।
আমি জুবায়ের আহমদ শাকিল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 58 টি টিউন ও 221 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জানা ছিল আপনার প্রত্যেকটা কথায় গুরুত্তপূর্ণ, ধন্যবাদ আপনাকে।