আমরা অনেকে নেটবুক, নোটবুক এবং ল্যাপটপকে গুলিয়ে ফেলি! আপনি কি জানেন নেটবুক, নোটবুক এবং ল্যাপটপের মধ্যে আসল পার্থক্য কোনগুলা না জানলে আসুন জেনে নিই কোনটা কি! মেগা টিউন

হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই। টেকনোলজির সমুদ্রে হাবুঢাবু খেতে খেতে আপনারা যেমন ভালো আছেন আমিও সেইভাবে আছি। আমি বরাবরের মতো ভিন্ন টপিকস নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির। আমরা টেকনোলজি নিয়ে কাজ করবো আর যদি  নেটবুক, নোটবুক এবং ল্যাপটপকে সঠিকভাবে না চিনি তাহলে কেমন লাগে বলেন। আমি নিজেও এক সময়  মাঝে মাঝে কনফিউশনে পড়ে যেতাম।

অনেকবার এই নিয়ে অনেকের সাথে তর্কও হয়েছে। অনেকে এগুলো খুব বেশি নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করেন। যা আমরা প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কোন ভাবেই কাম্য নয়।

প্রযুক্তির আবহমান কাল ধরেই আমরা এটির উৎকর্ষতা দেখে আসছি। দিনকে দিন এটি আরও বেশি ইউজারবান্ধব হচ্ছে। যার ফল এই নেটবুক, নোটবুক এবং ল্যাপটপ।

চলুন আজকের টপিকসে আশাকরি না, গুলিয়ে ফেলি। গুলিয়ে ফেলার কারণ হল আমাদের প্রচলিত ব্যবহার। কিন্তু আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো আসলে এদের মধ্যে পার্থক্য কি এবং এদের নামের মধ্যে ভিন্নতা আসলে কোথায় এবং আসলেই কোনটার কি নাম!

আমাদের গুলিয়ে ফেলার কি কারণ আর আসলে কি ধরনের চেঞ্জ আমাদের করা উচিত না। তাহলে আসুন দেখি,

বিশ্লেষণ-

  • প্রথমেই বলে নেই নোটবুক সবসময় ল্যাপটপ থেকে একটু বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন এবং সেটা শুধু দেখতে নয়, কাজেও। নোটবুক সবসময় ল্যাপটপের চেয়ে বড় হবে এবং তা টেবিলে ব্যবহার করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। অন্যদিকে ল্যাপটপ হবে নোটবুকের চেয়ে হালকা, সাইজে ছোট এবং সহজে বহন যোগ্য।
  • ল্যাপটপের সাধারণ সাইজ ১৩” থেকে ১৭” মতো আর নোটবুকের সাইজ ১৫.৪” থেকে ১৯” তবে কম্পানি বেজড যে এটার ভিন্নতা আছে তাও আমরা জানি।
  • অন্যদিকে নেটবুক হল একটি মোবাইল বেজড মিনি কম্পিউটার। এখানে আপনি ল্যাপটপের মতো ভারি কাজে খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন না। আর এটার সাইজ ৭” থেকে ১২” তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে এটি  বেশি হয় না তা নয়, তবে এটাই বিশেষ সাইজ।

  • তবে অনেক বিশ্লেষক ল্যাপটপ এবং নোটবুককে একই কাতারে ফেলতে ভালোবাসে। তাদের মতে এটির ভেতর তেমন কোন পার্থক্য নেই। শুধু আমাদের নামের ব্যবহার ছাড়া। আর নেটবুক তারা বলেন মডিফাই ভার্সন অফ ল্যাপটপ। এটি সবার ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি। তবে নেটবুক ইন্টারনেট ব্যবহারে মোবাইলের ব্যতিক্রম হিসেবে তৈরি।
  • আপনি নেট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে আপনার ভারি ল্যাপটপ বা নোটবুক কিনে টাকা নষ্ট করার কোন মানে নেই, আপনি নেটবুকের মাধ্যমে ভালোভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।
  • ল্যাপটপ ৮০ থেকে ৯০ এর দশকে উন্নত প্রযুক্তির মিশ্রণে তৈরি, তবে  এটিকে আরও সুবিধা সম্পন্ন করে এটাকে নোটবুক বলে ডাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এরকমও মনে করেন অনেক গবেষক।

  • তাছাড়া ইউএসবি পোর্ট, কিবোর্ডেও অনেক পার্থক্য আছে নেটবুক এবং নোটবুকের মধ্যে।
  • এগুলোর আরও উন্নত সংস্করণ ট্যাবলেট। এটি কিবোর্ডহীন কম্পিউটার বলতে অনেকে স্বাচ্ছন্দ্য পান। যদিও ট্যাবলেটকে কম্পিউটারের ব্যতিক্রম না বলে মোবাইলের উন্নত ভার্সন বলতে অনেকে বেশি মজা পান।
  • ল্যাপটপ, নেটবুক এদের আরও একটি বড় পার্থক্য দাম। ল্যাপটপ বা নোটবুকের চেয়ে অনেক বেশি কম দামে নেটবুক কেনা সম্ভব, বাজারে প্রায় সব ভালো কোম্পানির নেটবুক আছে।

  • তবে যারা কম্পিউটারের মাধ্যমে নেট ব্যবহার ছাড়া আরও অনেক কাজ করবেন। তাদের দাম বেশি হলেও নোটবুক বা ল্যাপটপ কেনা ভালো।
  • সর্বোপরি আমরা এটাই বুঝলাম (গবেষকদের মতবাদ থেকে) নোটবুক এবং ল্যাপটপকে আলাদা না ভাবলেও চলবে। দুইটাই এখন সমান ভাবে ব্যবহার হচ্ছে, আর নেটবুক হল মোবাইল কম্পিউটার, যেটা নেট ব্যবহার করার জন্য খুব উপযোগী। যারা ভারি কোন কাজ করবেন তারা অবশ্যই নোটবুক কিনতে পারেন কোন দ্বিধা ছাড়ায়।

  • আরেকটা বিষয় যারা অনেকক্ষন ধরে পিসি চালান তাদের নোটবুকের ভালো ব্যাটারি সম্পন্ন কিনা দেখে কেনা উচিত।

মন্তব্যঃ

সবশেষে আমরা এটাই বলবো যদিও নোটবুক এবং ল্যাপটপের মধ্যে নামগত পার্থক্য দেখা যায় কিন্তু এখানে কনফিগারেশনগত তেমন পার্থক্য দেখা যায় না। তবে নেটবুক ল্যাপটপ বা নোটবুকের ছোট সংস্করণ যা নেট প্রেমীদের ব্যবহারবান্ধব করে তৈরি করা।

আশা করি আপনাদের এই বিষয়টি এখন যথেষ্ট পরিস্কার।

আরেকটা কথা অনেকে ভাবতে পারেন নেটবুক, নোটবুক এবং ল্যাপটপের ভেতর এই পার্থক্য কেনা জানে! সত্য কথা হলো আপনি বেশি প্রযুক্তি নির্ভর বলে হয়তো বিষয়টা আপনার জানা, কিন্তু আমি অনেকের সাথে এই বিষয়টা নিয়ে মতো-পার্থক্য হতে দেখেছি।

আর গত কয়েকদিন আগেও একজন ল্যাপটপ কিনবে বলে ফেসবুকে নক করে, আমাকে শেষ পর্যন্ত এই বিষয়টিই বুঝাতে বলে। আমি এই টিউনটি করার আশা যেখান থেকে উপলব্ধি করি।

আপনাদের ভিন্ন কোন মতামত বা কনফিউশন থাকলে টিউমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।

যাইহোক প্রযুক্তির স্বাদ নিতে থাকুন, আর বেশি বেশি প্রযুক্তির ভেতরের খবর জানুন আর আমাদেরকেও জানান।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।  🙄

আরও কিছু ফিচারড টিউনঃ

Level 2

আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

মাঝে মাঝে আমারেও বিষয়টা কনফিজড করে দেয়, তবে এখন ক্লিয়ার,

Level 3

ধন্যবাদ একটি সুন্দর টিউনের জন। ছবিগুলি ভাল হয়েছে, তবে ছবিগুলির ক্যাপশন দিলে ভাল হত। আর আমিও মনে করি যে, ল্যাপটপ এবং নোটবুকের ভেতর তেমন কোন পার্থক্য নেই।

    @Shalaheen: ক্যাপশনতো আমি অনেক দিলাম, এবার না হয় আপনারা মনের ভেতর থেকে দারুণ দারুণ সব ক্যাপশন দিয়ে নিন। 😀 ধন্যবাদ।

অনেক ধন্যবাদ ভাই এই রকম একটি টিউন করার জন্য। আপনাদের মত কিছু টিউনারদের জন্য আমরা আজ আমাদের লাইফটাকে অনেকটুকু পাল্টাতে পেরেছি। আর টেকটিউনসের মতো একটি সোনার খনি পেয়ে আজ আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করছি ।

আমারও কিছু কনফিউশন ছিল যা এখন পরিষ্কার হয়ে গেল। ধন্যবাদ সুন্দর টিউনের জন্য

ধন্যবাদ সুন্দর টিউনের জন্য………

মাথা ঘুরান্টি দিচ্ছে টিউনটা পড়া শেষ করে ,ভাইয়া 🙂

ভাইয়া, আপনি কি একটা টিউন লেখার জন্য ১ বছর আগে থেকে রেডি হন? এত কিছু একবারে কই পান?

    @নাফিউল ইসলাম: 😀 সেটা অবশ্য ঠিক বলেছেন। এক বছর না হলেও ১/২ দিন অন্তত ভেবে টিউন করতে হয়। আর কিছু কিছু টিউন আরও অনেক লেগে যায়। ধন্যবাদ। 🙂

Level 0

খুব ভাল লাগল। তার মানে দাড়াল— নেটবুক—ল্যাপটপ—নোটবুক। অর্থ্যাৎ —(ছোট—মাঝারি—বড়)। ভাই ঠিক বললাম কি?

ভাই অসাধারন টিউন করলেন। আপনার টিউনটি পড়ে আমার কিছু ভুল ধারনা সংশোধিত হল।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

ভালো লাগলো।

অনেক জানতে পারলাম

অনেক জানতে পারলাম