আমরা অনেকেই ব্লগ বা ব্যবসায়িক বৃদ্ধিতে সার্ভিস, পণ্য, বিক্রির জন্য সাইট পরিচালনা করে থাকি। অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করা সবচয়ে গুরুত্বরপূর্ণ কাজ। আপনার সাইট সেবা কোয়ালিটি বা ব্লগ সাইটটি যতই তথ্যপূর্ণ হোকনা কেনো, তা যদি পাঠক জানতে না পারে তবে কোনো লাভ নেই। এজন্য ব্লগ সাইটটির কনটেন্ট উন্নত করার পাশাপাশি আরো যা অবলম্বন করলে ভিজিটর বৃদ্ধি করা যায় তা উল্লেখ করা হলো।
১. এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট: সাইটের আর্টিকেলগুলো অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে। আর্টিকেল লিখার সময় কিওয়ার্ড এর গুরুত্ব বুঝে তা যথাযথভাবে ব্যাবহার করতে হবে। যেনো র্সাচ ইঞ্জিন সহজেই আপনার সাইট টি খুজে পায়। এতে আপনার সাইট সার্চ রেজাল্ট এর প্রথম দিকে চলে আসবে। যা আপনাকে প্রচুর কোয়ালিটি ভিজিটর দেবে।
২. লিংক ছড়িয়ে দেয়া: আপনার ব্লগের লিংকটি অনলাইন দুনিয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। যত বেশি যায়গায় আপনার সাইটের লিংকিং থাকবে আপনি তত বেশি ভিজিটর পাবেন। লিংক ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে তাও সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
ক. ব্লগ কমেন্ট: ব্লগের লিংক সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার অন্যতম গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে ব্লগ কমেন্টিং। এর মাধ্যমে আপনার ব্লগের ঠিকানা আপনি বৃদ্ধি করতে পারবেন। তবে ব্লগ কমেন্ট করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, তা যেনো স্পামিং এর পর্যায়ে না পড়ে। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী রিলেটেড ব্লগে কমেন্ট করে আপনার লিংক দেয়ার চেষ্টা করুন।
খ. ডিরেক্টরি সাবমিশন: আপনার ব্লগের লিংক ডিরেক্টরি সাইটগুলোতে সাবমিট করতে পারেন। ক্যাটাগরী অনুযায়ী ডিরেক্টরী সাইটে আপনার লিংকটি অ্যাপ্রুভ হলে, এখান থেকেও অনেক ভিজিটির আপনি পেতে পারেন।
গ. গেস্ট ব্লগিং করা: অন্যের সাইটে গেস্ট ব্লগিং করে আপনার সাইটের লিংকটি দিয়ে দিতে পারেন। এর মাধ্যমেও আপনি কিছূ ভিজিটর পাবেন।
ঘ. সোসাল বুকমার্কিং: সোসাল বুকমাকিং সাইটগুলোতে আপনার সাইটের বুকমার্ক করে রাখতে পারেন। এতেও অনেকে আপনার সাইটে ভিজিট করতে আসবে।
ঙ. ফোরাম পোস্টিং: সাইটে ভিজিটির আনার জন্য রিলেটেড ফোরামগুলোতে একটিভ থাকা একটি মোক্ষম পন্হা। এর মাধ্যমে আপনার সাইটে প্রচুর ভিজিটর পাবেন। এক্ষেত্রে সিগনেচার এর যায়গায় অবশ্যই আপনার সাইটের লিংকটি জুড়ে দিতে ভুলবেন না। ফোরামে একটিভ থাকার মাধ্যমে অনলাইন একটিভিস্টেদের সাথে যোগাযোগ বাড়বে।
চ. লিংক বিনিময় করা: অনেক সাইট আছে যারা পেজ র্যাংক বৃদ্ধি করার জন্য লিংক বিনিময় করে। অর্থাৎ আপনি তার একটা লিংক আপনার সাইটে রাকবেন, সে আপনার একটা লিংক তার সাইটে রাখবে। এভাবেও ওই সাইট থেকে কিছু ভিজিটর আপনি পেতে পারেন।
৩. ব্লগে গেস্ট পোস্ট রাখা: ব্লগিং এ গেস্ট পোস্ট এর সুযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর মাধ্যমে অন্য ব্লগারদের সাথেও সম্পর্ক স্থাপন করা যায়। আবার রিলেটেড ব্যবসায়িক প্রতিষ্টানগুলোও তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য আপনার শরনপন্য হতে পারে। এতে করেও আপনার ব্লগের ভিজিটর অনেক বৃদ্ধি পাবে।
৪. নিজেদের ব্লগার সার্কেলকে প্রমোট করা: এই বিষয়টি ব্লগিং এর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে দেশপ্রেমও জড়িত। এই থিমটা হচ্ছে, আমরা যারা ব্লগিং করি আমাদের নজেদের মধ্যে একটা সার্কেল তৈরি করা। এদেরকে পরস্পরের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রমোট করা। এই প্রমোট করার বিষয়টি বাংলাদেশিদের মধ্যে দেখা না গেলেও ইন্ডিয়ানদের মধ্যে ব্যাপকভাবে দেখা যায়।
আমি নিজেদের প্রমোট করার বিষয়টি আরো একটু ব্যাখা করে বলতে চাই। একটা উদাহরন দেই। আমরা অনেকেই বিভিন্ন ব্লগে মাঝে মধ্যে সো্সাল শেয়ারিং, ডাইরেক্টরি, গেস্ট ব্লগিং করা যায়, এমন সাইটের তালিকা দেই। কখনো কি খেয়াল করে দেখেছি এর মধ্যে কয়টা সাইট বাংলাদেশের? আসলে ওই সাইটগুলোর বেশিরভাই ভারতের। আমরা কিন্তু বাংলাদেশি সাইটগুলো তালিকায় ঢুকিয়ে দিতে পারতাম। হয়তো আমরা জানিনা কোনো বাংলাদেশি সাইটগুলোতে এই কাজ করা যায়। এর একটাই কারন আমাদের অণ্যকে প্রমোট করার মানষিকতা এখনো তৈরি হয় নাই।এজন্য খুজেও দেখি নাই। এই বিষয়ে আমি পরে আরো বিস্তারিত একটা পোস্ট দেব। কিভাবে আমরা একে অন্যৈকে প্রমোট করতে পারি।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিংক শেয়ার: আপনার ব্লগ সাইটটির অবশ্যই একটি ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস, পিন্টারেস্ট সহ অন্যন্যা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে একাউন্ট থাকতে হবে। এসব একাউন্টে লাইক ফলোয়ার বৃদ্ধিসহ তাদের একটিভ রাখতে হবে। বিভিন্ন আর্টিকেল, সার্ভিস পেজের লিংক নিয়মিত শেয়ার করতে হবে। আপনার সাইট ভিজিটরদের একটা বড় অংশ আসতে পারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে।
৬. ব্লগে সাবস্কাইব অপশন যুক্ত করা: ব্লগে অবশ্যই সাবস্কিবশন অপশন যুক্ত করবেন। সবাই যার যার কাজ নিয়ে অনেক ব্যাস্ত। প্রতিদিন আপনার ব্লগে এসে ঘুড়ে যাবে এমন সময় তাদের নাও থাকতে পারে। কিন্তু সাবস্কাইব করা থাকলে, নতুন পোস্টের খবর তাদের কাছে এমনিতেই চলে আসবে। এরফলে আপনার রিটার্নিং ভিজিটির বাড়বে।
৭. ইমেইল মার্কেটিং করা: ব্লগের কিছু গুরুত্বপূর্ন পোস্ট দিয়ে নিয়মিত নিউজলেটার চালু করতে পারেন। এতেও অনেক ভিজিটর বাড়তে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন ইমেইল মার্কেটিং করতে গিয়ে যেনো স্পামিং এর পর্যায়ে না পড় যায়।
সবচেয়ে বড় কাজ:
আমি এতক্ষন যা বললাম তা হলো পণ্যের বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং এর মতো। এখন দোকানে যদি পন্য না থাকে তবে তো আর কিছূ বিক্রি করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনার সাইটটিকে প্রথমেই ইনফরমেটিভ করে নিন। কেউ একবার সাইটে ঢুকলে সে যেনো মনে করে না আসলে টাইমটুকু নস্ট হয়নি। এখান থেকে শেখার আমার কিছু আছে। আবার আসতে হবে এই সাইটে। এই ভাবনা যতি আপনি ভিজিটরের মধ্যে আনতে পারেন, তবে বলা যায় আপনি সফল ব্লগার। সাইটের কনটেন্ট কোয়ালিটি আগে পরে অণ্যসবকিছু।
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য। প্রথম এই ব্লগে লিখা। তারপরেও কোনো পরিকল্পনা ছাড়া। যে পয়েন্টগুলো বাদ পড়েছে কমেন্টে শেয়ার করতে তা ভুলবেন না। ইংরেজি কিছু শব্দের বাংলা লিখতে গিয়ে বানান এ ভুল হতে পারে এজন্য দু:খিত। ভালো লাগলে কমেন্টে জানালে উৎসাহিত হবো। সমালোচনা করা যাবে তবে তা মার্জিত ভাষায়।
আমি আল আমীন আজাদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I am web designer, Trying to learn Web development. Also I love blogging.
Thanks for this nice post. Hopefully You will continue posting like this
onlineearning