মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনা ...।
হ্যা, সকলের মনে পবিত্র মদিনা যাওয়ার যেরূপ আগ্রহ রয়েছে তেমনি হক্কানী আলেম হওয়ারও বাসনা অনেকেরই রয়েছে। কারণ প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসের ভাস্য অনুযায়ী- একজন আলেমের মর্যাদা একজন আবেদের তুলনায় সেরূপ যেমন আমার (রাসূল সা. এর) মর্যাদা অন্য সব সাধারণ মানুষের তুলনায়। সুতরাং শুধু ইবাদত করে কখনও একজন নেক আলেমের সমকক্ষ হওয়া সম্ভব নয় যদিও আলেমের নেক তত না থাকে।
মনে বড় আশা ছিল হবো আলেম/আলেমা ?... তো হয়ে যান মাত্র কয়েকঘন্টা পরিশ্রম ও ছোট্ট একটি আমলের মাধ্যমে।
সুবহানাল্লাহ্ আল্লাহ পাকের এতবড় দেওয়া সুযোগও যদি আমরা হাতছাড়া করি তাহলে আমরা নিতান্তই হতভাগা,কপালপোড়া। তাহলে শুনুন ও এক্ষণই মুখস্ত করে ফেলুন আর হয়ে যান অল্প সময়ে বিরাট সৌভাগ্যের অধিকারী।
হজরত সালামান (রা.) আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করিলাম, ঐ ৪০ হাদিস কি যে উহা মুখস্ত করিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে? তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর করিলেন,
ঈমান আনিবে : (১) আল্লাহ তাআ’লার উপর (২) আখিরাতের উপর (৩) ফিরিশতাগণের উপর (৪)আসমানী কিতাবসমূহের উপর (৫)সমস্ত নবীগণের উপর (৬)মৃত্যুর পর পূন:রায় জীবিত হওয়ার উপর (৭)ভাল-মন্দ সব আল্লাহর তরফ হইতে হয় তাহার উপর
এবং(৮) স্বাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই এবং হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআ’লার রাসূল
(৯) পরিপূর্ণরূপে অজু করিয়া সময়মত সালাত কায়েম করিবে (১০) জাকাত আদায় করিবে (১১) রমজানের রোজা রাখিবে (১২) সম্পদ থাকিলে হজ্ব করিবে
(১৩) দ্বিবা-রাত্রে ১২ রাকাত ছুন্নতে মুয়াক্বদা আদায় করিবে। (১৪) বিতরের নামায কখনও ছাড়িবে না। (১৫) আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করিবে না (১৬) মাতা-পিতার নাফরমানী করিবে না (১৭)অন্যায়ভাবে এতিমের মাল খা্ইবে না (১৮) শরাব পান করিবে না (১৯) জ্বিনা (ব্যভিচার)করিবে না। (২০) আল্লাহর নামে মিথ্যা কছম খাইবে না ।
(২১)মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিবে না (২২) খায়েশ অনুযায়ী আমল করিবে না (২৩) আপন মুসলমান ভাইয়ের গীবত করিবে না (২৪) সৎচরিত্রা নারীর প্রতি জিনার মিথ্যা অপবাদ দিবে না (২৫) আপন মুসলমান ভাই এর সহিত হিংসা রাখিবে না (২৬) খেলা-ধুলায় লিপ্ত হইবে না (২৭) তামাশায় শরীক হইবে না (২৮) বামন ব্যক্তিকে দোষারূপের নিয়তে ‘হে বামন’ শব্দ দ্বারা সম্বোধন করিবে না (২৯) কাহাকেউ ঠাট্টা-বিদ্রুপ করিবে না (৩০) চোগলখুরী করিবে না
(৩১) আল্লাহর নিয়ামতের নাশুকরী করিবে না (৩২) বালা মুছিবতে ছবর করিবে (৩৩) আল্লাহর আযাব হইতে বেপরোয়া থাকিবে না (৩৪) আত্বীয়-স্বজন হইতে সম্পর্কচ্ছেদ করিবে না (৩৫) বরং তাহাদের সহিত সম্পর্ক স্থাপন করিবে। (৩৬) কোন মাখলুকের প্রতি লা’নত করিবে না (৩৭) ছোবহ্বানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বেশী বেশী করিয়া পড়িবে (৩৮) জুমআ’ এবং ঈদের নামায কখনও ত্যাগ করিবে না (৩৯) জানিয়া রাখিবে, ভালো-মন্দ যাহা কিছু তোমার নিকট আসিয়াছে তাহা কখনও না আসিয়া পারে না। আর যাহা আসে নাই তাহা কখনও আসিতে পারে না (৪০) কোন অবস্থায় ক্বোরআন তিলাওয়াত ছাড়িবে না।
হজরত সালমান (রা.) বলেন, আমি হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করিলাম, যে ইহা মুখস্ত করিবে সে কি ছওয়াব পাইবে? তিনি বলিলেন আল্লাহ পাক তাহাকে আম্বিয়া ও ওলামাগণের সহিত হাশর করিবেন।
আমাদের সকলের উচিৎ সামান্য কস্ট করে হাদিসটি মুখস্ত করা। হাশরের সেই কঠিন মুহূর্তে আম্বিয়া ও ওলামাদের সাথে হাশর হওয়া মানে নিশ্চিত সফলতা।
আপনারা আমল করলে ও উৎসাহ দিলে হাদীসের আরবী ও তার উচ্চারণসহ লিখব ইংশাআল্লাহ।
আমি azad2000। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 98 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।