Strong Password তৈরীর কিছু সাধারণ ধারণা

খুব পুরাতন একটা বিষয় তার পর মনেকরে দিতে ছাইতেছি.বিষয় টা হল password নিয়ে,কিভবে একটি Strong Pass Word তৈরী করবেন তার কিছু সাধারণ নিয়ম কানুন হল এ রকম।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাসওয়ার্ড মিনিমাম ৬ কারেক্টারের হতে হয়। মিনিমাম ১০ কারেক্টার ব্যবহার করুন।
* কমন বা ডিকশনারী শব্দ ব্যবহার না করাই ভাল। যেমন: love, dream, soul ইত্যাদি। কারন কিছু হ্যাকিং সফটওয়্যার আছে যা অনায়াসে ডিকশনারী শব্দের পাসওয়ার্ড বের করে ফেলে।
* পাসওয়ার্ডে ইংরেজীর পরিবর্তে বাংলা শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করুন। যেমন “প্রেমের নাম বেদনা” ইংরেজীতে লিখলে premernambedona হয় যা ১৬ কারেক্টারের। এটা আপনার মনে রাখতে তেমন কষ্ট হবেনা কিন্তু চট করে কেউ দেখে ফেললে ও তার পক্ষে মনে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। কারন সে ইংরেজী অক্ষর হিসেবেই এটা মনে রাখার চেষ্টা করবেব্
* নিজের বা প্রিয়জনের নাম, জন্মদিন, ফোন নাম্বার ইত্যাদি কখনোই ব্যবহার করবেন না।
* সব ইমেইল সার্ভিসেই একটা সিকিউরিটি কোয়েশ্চন দেওয়া থাকে যা দিয়ে আপনি কখনো পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে ও লগিন করতে পারবেন। কখনো ডিফল্ট প্রশ্নগুলো ব্যবহার করবেন না। এতে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর মত অবস্থা হয়। কারন ডিফল্ট প্রশ্নগুলো সাধারনত আপনার বাবার নামের শেষের অংশটা কি, আপনার ছোট বেলার স্কুলের নাম কি ছিল এই টাইপের ফলে আপনি ছাড়া ও অনেকের পক্ষে এই উত্তরগুলো জানা সম্ভব। আপনি নিজে কাস্টমাইজ প্রশ্ন তৈরী করে নিন। আর কাস্টম প্রশ্ন তৈরীর অপশন না থাকলে ডিফল্ট প্রশ্নগুলোর ভুল উত্তর দিন। উত্তর সততার সাথে দিতে হবে সেটা কিন্তু কোথাও লেখা থাকে না।
* ওয়েব ব্রাউজারগুলো দিয়ে ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রথমবার লগিন করার সময় একটা মেসেজ আসে আপনার ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখবে কিনা। অনেকে এসব মেসেজ তেমন খেয়াল করে না পড়েই ইয়েস ক্লিক করে দেন। ফলে পাসওয়ার্ডটা কম্পিউটারে সেভ হয়ে যায়। পিসিটা যদি আপনার পার্সোনাল হয় তাহলে তেমন সমস্যা নেই কিন্তু পাবলিক পিসি হলে যে কেউ আপনার পাসওয়ার্ড জেনে যাবে।
* অনেকে ইমেইল চেক করার পর লগআউট না করেই ব্রাউজার বন্ধ করে দেন। এতে সাথে সাথে অন্য কেউ ব্রাউজার চালু করলে সরাসির আপনার ইমেইলে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
* অন্যের সামনে জরুরী প্রয়োজনে কম্পিউটার ব্যবহার করার দরকার হলে সেক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড লেখার সময় অতিরিক্ত কিছু লিখুন এবং মুছুন। যেমন: আপনার পাসওয়ার্ড blog হলে বি টাইপ করে কয়েকটা অতিরিক্ত অক্ষর টাইপ করুন আবার মুছে এল টাইপ করুন এভাবে বাকি অক্ষরগুলো ও লিখুন। এতে যে দেখছে সে কনফিউসড হয়ে যাবে।
* হ্যাকাররা অনেক সময় কি লগিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এই সফটওয়্যার পিসিতে ইনস্টল থাকলে কিবোর্ডের প্রতিটি স্ট্রোক সে রেকর্ড করে নেয়। সাইবার ক্যাফেগুলোতে এই সমস্যা বেশি হয়। এটা থেকে বাঁচার জন্য আগের টিপসটাকে একটু মডিফাই করে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: আপনার পাসওয়ার্ড যদি blog হয় আপনি লিখুন bhalogor এরপর মাউস দিয়ে ha হাইলাইট করে রাইট ক্লিক দিয়ে ডিলিট করে দিন। এবার or হাইলাইট করে রাইট ক্লিক দিয়ে ডিলিট করে দিন। এভাবে কি লগার কে ধোঁকা দেওয়া সম্ভব।

Level 0

আমি রাসেল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 44 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

প্রযুক্তি নিয়ে থাকতে ভালবাসি। গত তিন বছর নিজের চেষ্টায় বিনা প্রশিক্ষণে অনেক কিছু শিখেছি। আরো কিছু শিখতে চাইছি। ইচ্ছা আছে প্রযুক্তি নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়া কিন্তু অনেক বাধা তার পর ও...................................................


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাল লেখা। শেষের আগেরটা প্রায় ইউজ করতে হয় 🙂

ভাই পাচোয়াট তৈরির কোন sof link আছে যা দিয়ে keygen বানানো যাবে

এখন পর্যন্ত আমরা কে কতগুলা হ্যকিং করলাম। এবং কে কত বার হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছি তা নিয়ে আলোচনা হলেই মনে আসল রহস্য বেরিয়ে যাবে।

    Level 0

    hacking এর আগে কেউ তার গুরুত্ব বুঝেনা ,

    শুরু হয়ে যাক হ্যাকিংয়ের টপ আলোচনা….. যদি পারেন… 🙁

খুব সুন্দর হয়েছে।

Level 0

tnx for the tips… 🙂

ওনেক সুনদর।Thanks।