আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য আমি অভ্র এবং বিজয় এ দুইটিই ব্যবহার করি, কিন্তু বিজয় থেকেও আমার কাছে অভ্র অনেক ভালো লাগে। কেন ভালো লাগে তাই বলি আমার প্রিয় টেকটিউন্সে কোন টিউন করতে হলে প্রথমে অভ্র দিয়ে লিখি আবার আমার ব্লগ সাইটে কোন পোষ্ট করতে হলে অভ্র দিয়ে লিখি তারপর পাবলিশ করি। বিশেষ করে অনলাইনে কোন কিছু লিখতে হলে এই অভ্রর প্রয়োজন হয়, তখন বুঝা যায় অভ্র কেমন প্রয়োজন। আবার অনেকে বলে বিজয় বায়ান্নো দিয়ে নাকি অনলাইনে লেখা যায়, আমি তাদেরকে বলব একবার অভ্র ব্যবহার করে দেখুন। আর সুন্দর সুন্দর বাংলা লিখুন অনলাইনে।
এতক্ষন তো অভ্রর গুনর্কীতন গাইলাম এবার শুনেন কিভাবে অভ্র দিয়ে বাংলা লিখতে হয় তার নিয়ম।
প্রথমে আপনার কম্পিউটারে অভ্র সেটআপ দিতে হবে, অন্যন্যা সফটওয়ার এর মত অভ্র সেটআপ দেওয়ার নিয়ম একই। সেটআপ দেওয়া হয়ে গেলে। নিচের মতন মনিটর স্ক্রিনের উপরে হাতের ডানে দেখতে পাবেন।
এখন বাংলা লেখার সময় বাংলা চালু করে নিতে হবে আর ইংরেজী লেখার সময় ইংরেজী চালু করতে হবে। এটি আপনি মাউস দিয়েও করতে পারেন বা কিবোর্ড দিয়েও করা যাবে। মাউস দিয়ে ক্লিক করলেই হবে আর কিবোর্ডের F12 বাটনে টিপ দিয়ে চালু করা যাবে। বাংলা চালু করে আপনি যেখানেই কোনো কিছু লিখবেন তা অটোমেটিক বাংলা টাইপ হতে থাকবে। আপনি ওয়েব সাইট, ইমেইল,ফেসবুক, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও আরো অনান্য প্রোগ্রামে এ বাংলা লিখতে পারবেন।
উপরের নিয়মে বাংলা সিলেক্ট করার পর আপনার ডকুমেন্ট এ কিছু লিখুন যেমনঃ যদি আপনি লিখতে চান “মেতে উঠুন প্রযুক্তির সূরে ” তাহলে অভ্র কিবোর্ড দিয়ে আপনাকে ইংরেজি অক্ষরে টাইপ করতে হবে “mete uthun przuktir sure” তাহলে বুঝতেই পারছেন অভ্র দিয়ে বাংলা লেখা কত সহজ ।
এখানে ইংরেজিতে Ami লেখার সাথে সাথে প্রিভিউ উইন্ডোতে দেখা যাচ্ছে আমি,আমই,এমই তো আপণী এখান থেকে আপনার সঠিক বাংলা লেখাটা বেছে নিতে পারবেন।
শুধু তাই নই অভ্রতে অনেক ইংলিশ ওয়ার্ড লিখলে তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বাংলা হয়ে যায় যেমনঃ আপনি যদি ইংলিশ এ “Book” লিখেন তাহলে সেটা বাংলায় “বুক” হয়ে যাবে, একই ভাবে আপনি যদি “Blog” লিখেন তাহলে সেটা বাংলায় “ ব্লগ” হয়ে যাবে। কি মজাদার না? যুক্ত অক্ষর লেখার জন্য আপনাকে কোন কষ্ট করতে হবে না। যুক্ত অক্ষর লিখতে চাইলে যেভাবে ইংলিশ হরফে লিখেন ঠিক অই একই ভাবে লিখতে হবে। যেমনঃ যদি “শিক্ষক” লিখতে চান তাহলে “shikkhok” কিবোর্ড থেকে প্রেস করতে হবে, যদি “কষ্ট” লিখতে চান তাহলে “koshto” লিখলেই হয়ে যাবে।
আরো ভালো করে বুঝার জন্য রয়েছে অভ্র কি ম্যাপ যেখানে আপনি দেখতে পাবেন কোন সুইচ এ চাপ দিলে কি অক্ষর স্ক্রিনে আসবে? তাই এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আপনারা অভ্রর কি ম্যাপ দেখে নিতে পারেন।
অভ্র কি ম্যাপ চালু করতে হলে নিচের দেখানো আইকনে ক্লিক করুণ।
এবার আপনি কি অভ্রর নিচের ম্যাপ দেখে দেখে শিখুন কোন ইংরেজী অক্ষরে বাংলা অক্ষর আছে তার নিয়ম।
শিখুন আর আজ থেকে অভ্র দিয়ে বাংলা লিখুন ।
এবার টেকটিউনসে এবং ফেইসবুকে বাংলা লিখুন ।
(বিশেষ করে আজকের টিউনটি নতুনদের জন্য করা)
ভাল লাগলে কমেন্ট জানাতে ভুলবেন না,আজ এই পর্যন্ত।
আমি হোছাইন আহম্মদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 485 টি টিউন ও 2510 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 14 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি হোছাইন আহম্মদ, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে আছি শিক্ষক হিসাবে। ভালবাসি ব্লগিং, ডিজাইনিং এবং তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত যে কোন কিছু, খুবই সামান্য যা জানি শেয়ার করি এবং কিছু শেখার চেষ্টা করি।
আপনি যা লিখেছেন তা আপনার মতামত, আপনার মতামতকে আমি অবশ্যই শ্রদ্ধা করি, কিন্তু ভায়া যারা আগে থেকেই বাংলা টাইপিং জানে তাদের মতামত আপনার সাথে নাও মিলতে পারে। কারন অভ্রদিয়ে লিখতে প্রতিটা বাংলা শব্দকে কষ্টকরে ইংরেজীতে বানান করতে হয় যা মেলানো অনেক ক্ষেত্রেই কষ্টকর বলে মনে হয়। এখানে বিজয় বায়ান্নোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আমি নরমালি যে ভাবে বাংলায় টাইপ করি ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও একই ভাবে টাইপ করা যায় তবে সামান্য দোষ ক্রটি বিজয় এরও আছে যেমন – ”রেপ” এর ব্যবহারটা এখানে ভালো ভাবে করা যায় না এরকম আরো দু একটা থাকতে পারে তবে আমার মনে হয় সব মিলিয়ে বিজয় -ই সেরা। এটা আমার একটা মতামত, কেউ মনে কষ্ট নিবেন না প্লিজ।