বর্তমানে সাইক্লিং আমাদের দেশে একটা নতুন ট্রেন্ড। বিশেষত গাড়ির বিকল্প হিসেবে সাইকেলের কদর বাড়ছে। জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও চীনে সাইকেলের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এসব দেশে ছোটখাটো কাজ ও ভ্রমণের জন্য গাড়ির বদলে সাইকেলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক সাইকেল আসার পর সাইকেল চালানো বেশ সহজ হয়ে গেছে। অন্যান্য দেশের সাথে তাল দিয়ে সাইকেল চালকদের সংখ্যার দিক দিয়ে আমাদের দেশও এগিয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই পাওয়ার ঘাটতির সময়ে এই ট্রেন্ডটাকে অনেকে একটা ভাল দিক হিসেবে বিবেচনা করছেন তবে সংখ্যার দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেই হবেনা, বরং তার পাশাপাশি নিরাপত্তাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
সাইকেল চালাতে গিয়ে ভয় পাচ্ছেন? কোন দুর্ঘটনা ঘটাননি কিন্তু মনে হয় ঘটে যেতে পারে?
এক বন্ধু বলেছিলেন, সাইকেল চালাতে গেলে তিন ধরনের জিনিস সামনে পড়লে ভাবতে হবে, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, ফলে সতর্ক থাকতে হবে।
এরা হল কুকুর, বাছুর ও বাচ্চা।
চলুন কিছু টিপস জেনে নিইঃ
**প্রথমত আপনার নিরাপত্তাই প্রধান।
ব্যস্ত রাস্তায় যখন চালাবেন কখনোই অন্য সাইকেলিস্টের সাথে বা অন্য কোন যানের সাথে প্রতিযোগীতায় যাবেন না। সবসময় নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিন।
**দূর থেকে দেখা যায় এই রকম পোশাক পরুন। (উজ্জ্বল হলুদ রঙ্গের পোশাক সবচেয়ে ভাল)
**রাস্তার বাম পার্শ্বে চালান। কোন যান কে কেটে যেতে হলে তাঁর ডান পাশ দিয়ে যান এবং অবশ্যই ড্রাইভারের সাথে লুকিং গ্লাসে(যদি থাকে) আই কন্টাক্ট করুন।
** শুধু সাইকেল না, যে কোন যানবাহন চালালে সব সময় একট কথা চিন্তা করবেন, "আমি যে গতিতে চালাচ্ছি কোন সমস্যা হলে নিয়ন্ত্রন করতে পারবো তো ?"
এই কথা ভাবলে আশা করি কোন বিপদ হবে না।
রাস্তা ফাঁকা থাকলে অনেকে লাগামহীন গতিতে সাইকেল চালায় কিন্তু সামনে কিছু আসলে নিযন্ত্রন করতে পারবো কি না এই কথা অনেকের মাথায় আসে না কিংবা থাকে না।
**রাতে বা কম আলোতে চালালে সাইকেলের সামনে এবং পেছনে সতর্কতা বাতি জ্বালান।
**কখনোই ইয়ারপিসে গান শুনতে শুনতে সাইকেল চালাবেন না।
**ট্রাক এবং লম্বা লরি থেকে সবসময় সাবধান থাকুন। পারতপক্ষে এদের ক্রস করবেন না বরং এদের পেছনে থাকুন।
লম্বা লরির পেছনের অনেক অংশ ঐ গাড়ির ড্রাইভার দেখতে পায়না। এইসব অংশকে ব্লাইন্ড জোন বলে, ওই ব্লাইন্ড জোনে থাকলে ড্রাইভার আপনাকেও দেখবেনা। সুতরাং ড্রাইভারের অনিচ্ছা সত্ত্বেও যে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সবসময় লম্বা গাড়ির পেছনে থাকলে একটু দূরত্ব বজায় রাখুন(কমপক্ষে তিন মিটার)।
***রাইডার ম্যাক্সী টেম্পু থেকে সাবধান। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এইগুলার ড্রাইভারগুলা খুব বজ্জাত। কখনোই ওভারটেক করতে যাবেন না।
****ঢাকার বেশিরভাগ সাইকেল/মোটরসাইকেল আরোহীকেই দেখি ড্রাইভিং এর কোন আইন মানে না। ফুটপাতে উঠে ফুল স্পীডে চালানো, লালবাতির সময়ও রোড ক্রস করা....অহরহ দেখি।
পথচারী কে শ্রদ্ধা করে চলুন। কখনো যদি ফুটপাতে চালাতে হয় (ওয়ান ওয়ে এড়িয়ে সংক্ষেপে যেতে হলে) আস্তে চালান। মানুষ দেখলে অযথা বেল দেবেন না, অপেক্ষা করুন। মনে রাখবেন এইটা মানুষ হাঁটার পথ ।
রাস্তায় আপনি ছাড়াও আরো অনেকে আছে এটা মনে করে গাড়ি চালাবেন- এই আশাই করব আপনার কাছে। ফুটপাত আর সিগনাল প্লীজ মাথায় রাখবেন। নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকেও নিরাপদে চলতে দিন।
শেষ কথা, একটু বেশী সময় নিলে হলেও ঝুকিমুক্ত পথ দিয়ে আপনার যাএার পরিক্ল্পনা করুন, এটা আপনার যাত্রাকে নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক করবে।
ভাল লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদেরকে জানিয়ে দিন আর নিরাপদ সাইক্লিং এর ব্যাপারে আপনার কোন মতামত থাকলে কমেন্টে বলতে দ্বিধা করবেন না। মনে রাখবেন আপনার একটি ছোট্ট টিপসই অসংখ্য মানুষকে ঝুকিমুক্ত রাখতে পারে।
ভাল লাগলে আমাদের এই পেজ থেকে ঘুরে আসতে পারুন, আশা করি আপনার ভাল লাগবে।
এখানে ক্লিক করুন
আমি bicycle। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ধন্যবাদ বলার জন্যই লগইন করলাম। দারুন পোষ্টা।