ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস আক্রান্ত হলে গতি শ্লথ হয়ে আসবে এটাই কম্পিউটারের ধর্ম। বহুদিনের চিরায়িত রীতি। তবে সময়ের সাথে বদলে যাচ্ছে ভাইরাস আক্রমনের কৌশল এবং ধরণ। যদিও ভাইরাস ঠেকানোর জন্য আছে আন্টিভাইরাস। তবে বর্তমানে ভাইরাসের চাতুরতা হার মানাচ্ছে এসব অ্যান্টিভাইরাসের বুদ্ধিমত্তাকে। সেজন্য অ্যান্টিভাইরাসের নিরাপত্তা সংকেতের বাইরে এসে আপনি নিজেই কিছু ভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে পারবেন।
বর্তমানে ভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে সহজ মাধ্যম পপ-আপ বার্তা পাঠানো। মূলত ওয়েব ব্রাউজিং এর সময় অজানা কোনো লিংক এ প্রবেশ করলে এ ধরণের ভাইরাস কম্পিউটারে বসতি গড়ে তোলার সুযোগ পায়। ফলে ব্রাউজার বন্ধ থাকা অবস্থায় হঠাৎ উদয় হবে পপ-আপ বার্তা। ভেসে আসবে অনাকাক্ষিত পণ্যের বিজ্ঞাপণ অথবা লিংকযুক্ত বিজ্ঞাপণ। যেখানে ক্লিক করা মাত্র ডাউনলোড হবে শক্তিশালী কোনো ভাইরাস। ধীরে ধীরে পুরো কম্পিউটারকে অকেজো করে দিবে। তবে একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়।
কম্পিউটার ম্যালওয়্যার আক্রান্ত বুঝতে পারার আরেকটি সহজ উপায় ব্রাউজার নেভিগেশনের দিক পরিবর্তন। একটি সাইট খুলতে গেলে অন্য একটি সাইট চালু হওয়া। অনেক সময় গুগলে অনুসন্ধানের সময় সঠিক ওয়েব সাইটি প্রদর্শন না করে হুবহু আরেকটি ওয়েব সাইট প্রদর্শন করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যদি আপনার কম্পিউটারে ট্রোজেন ভাইরাস থাকে তবে এটি আপনাকে আপনার অনুসন্ধানকৃত আসল ওয়েব-সাইটের পরিবর্তে প্রতারণামূলক আরেকটি ওয়েব-সাইটে নিয়ে যাবে। ব্যাপারটা অনেক জটিল মনে হলেও এ ধরণের সমস্যা বুঝতে পারা ততোটা কঠিন কিছু নয়। অ্যাড্রেস বারের ইউআরএল দেখেই সনাক্ত করা যায়। সাধারণত নিরাপদ ইউআরএল থেকে ক্ষতিকর ইউআরএল কিছুটা আলাদা ধরণের হবে। সেজন্য সন্দেহ হওয়া মাত্র দুটো ইউআরএল তুলনা করে দেখতে হবে।
ছদ্মবেশি অ্যান্টিভাইরাস এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভ’মিকা পালন করে। ভাইরাস ছড়ানোর জন্য হ্যাকাররা সাধারণত অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া অ্যান্টিভাইরাস তৈরি করে বিনামূল্যে বিতরণ করে। তবে অনেকেই এ ধরণের অ্যান্টিভাইরাস ইচ্ছায় ইন্সটল না করলেও ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সময় ব্যবহারকারিকে বিশেষ ধরণের ভুয়া বার্তা দেখানো হয়। নতুন কম্পিউটার ব্যবহারকারি এমনকি পুরাতন ব্যবহারকারিরাও অনেক সময় ভুলবশত এসব অ্যান্টিভাইরাসের খপ্পরে পড়তে পারেন। একবার কম্পিউটারে ইন্সটল হয়ে গেলে এসব অ্যান্টিভাইরাস কারণে অকারনে আপনাকে সতর্ক বার্তা দেখাতে শুরু করবে। আর বার্তার পাশেই সমাধানের উপায় দেওয়া থাকবে। যেখানে ক্লিক করা মাত্র শুরু হবে আরেক ধরণের প্রতারণা। প্রতিটি সেবার জন্য আলাদাভাবে আপনার ক্রেডিট কার্ড নম্বর চাওয়া হবে। তাই যখনই কোনো অপরিচিত এন্টিভাইরাস এ ধরণের বার্তা দেখাবে সেটি পিসি থেকে মুছে দিতে হবে।
বর্তমানে ম্যালওয়্যারের অন্যতম টার্গেট ফেসবুক সহ সব সামাজিক যোগাযোগ সাইট। সামাজিক সাইট ব্রাউজিং এর সময় অনেক ম্যালওয়্যার আপনার কম্পিউটারে চলে আসতে পারে। যা আপনি অফলাইনে থাকা অবস্থায় অজান্তেই আপনার আইডিতে ভুয়া স্ট্যাটাস আপডেট করতে পারে। এসব স্ট্যাটাসের মধ্যে "OMG were you really that drunk? Look at this picture! অনেকটা এ জাতীয় বার্তা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। আর প্রতিটি স্ট্যাটাসেই থাকে বিশেষ লিংক। এ লিংক এ অন্য কেউ ক্লিক করা মাত্র সেই ব্যাক্তি ও একই ধরণের সমস্যায় পড়বে।
বি:দ্র: ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন।
আমি একাকী নির্জন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 25 টি টিউন ও 130 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভালো লাগে প্রযুক্তিকে জানতে। প্রযুক্তি ভাবনা জানাতে। পড়াশুনা টেক্সলাইল ইঞ্জিণিয়ারিং নামের এক মাথা নষ্ট সাবজেক্টে।
Have you any experience about Deep frezze, If you’ve pls comment this. Thanks for sharing.