ভয়ংকর খবর! Apple কে তাঁর ইউজারদের Encrypted Data সরকারের হাতে তুলে দিতে বাধ্য করছে UK সরকার

আমরা সবাই-ই এখন Technology-র উপর নির্ভরশীল। SmartPhone ছাড়া একটা দিনও যেন কাটানো যায় না, তাই না? 🤔 কিন্তু এই SmartPhone-এ থাকা আমাদের ব্যক্তিগত Data, আমাদের Privacy কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে কি আমরা যথেষ্ট ভাবি?

আজ আমি এমন একটা বিষয় নিয়ে এসেছি, । UK সরকার নাকি Apple-কে তাদের গ্রাহকদের Encrypted Data সরকারের হাতে তুলে দিতে বাধ্য করতে পারে! যেটা সরাসরি আপনার ব্যক্তিগত জীবন এবং Security-র উপর আঘাত হানতে পারে। 😨 বিষয়টা কোনো সাধারণ বিষয় নয়, রীতিমতো ভয়ংকর। তাই চলুন, গভীরে গিয়ে সবকিছু জেনে আসি।

UK সরকারের কেন এত Data-র প্রতি লোভ? 😈

আসলে UK Authorities চায় Apple তাদের End-to-End Encryption Protection ভেঙে দিক। এর মাধ্যমে তারা সারা বিশ্বের Apple গ্রাহকদের Cloud Storage Service-এ থাকা সমস্ত Data-র উপর নজরদারি করতে পারবে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, End-to-End Encryption জিনিসটা আসলে কী? 🤔 কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, End-to-End Encryption হলো এমন একটি Security System, যেখানে আপনি যখন কোনো Message পাঠান বা কোনো Data Share করেন, তখন সেটি এমনভাবে Encrypt (Lock) করা হয় যে, শুধুমাত্র Sender (আপনি) এবং Receiver (যাকে পাঠাচ্ছেন) সেই Data-কে Decrypt (Unlock) করতে পারবে। মাঝখানে অন্য কেউ, এমনকি যে Company এই Service-টা দিচ্ছে (যেমন WhatsApp, Signal), তারাও আপনার Data Access করতে পারবে না। এটা আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অন্যতম সেরা উপায়।

কিন্তু UK সরকার কেন এই Encryption ভাঙতে চাইছে? তাদের দাবি, এর মাধ্যমে তারা Criminal Investigation-গুলো আরও দ্রুত এবং সঠিকভাবে করতে পারবে। Terrorist বা Cyber Criminal-দের শনাক্ত করা সহজ হবে। তাদের মতে, এটা দেশের Security-র জন্য জরুরি। কিন্তু Privacy Experts-রা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, এভাবে Encryption ভেঙে দিলে সাধারণ মানুষের Privacy বলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। 😟 কারণ, সরকারের হাতে যদি সবার Data থাকে, তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহারের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

The Washington Post সবার প্রথমে এই Undisclosed Order-এর খবরটি জনসম্মুখে আনে। তাদের Article অনুযায়ী, Apple সম্ভবত UK-তে Encrypted Storage Service দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ তারা তাদের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সঙ্গে কোনো আপোস করতে রাজি নয়। Apple-এর CEO Tim Cook বরাবরই গ্রাহকদের Privacy রক্ষার ব্যাপারে সোচ্চার। কিন্তু প্রশ্ন হলো, UK-তে Service বন্ধ করে দিলেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? 🤔 যদি অন্যান্য Country-গুলোও যদি একই ধরনের দাবি জানায়, তখন Apple কী করবে? সারা বিশ্ব থেকে কি তারা ব্যবসা গুটিয়ে নেবে?

Investigatory Powers Act, একটি ভয়ঙ্কর আইন? ⚖️

UK সরকার ২০১৬ সালের Investigatory Powers Act ব্যবহার করে Apple-এর উপর এই চাপ সৃষ্টি করছে। সমালোচকরা এই Act-কে 'Snooper's Charter' নামেও অভিহিত করেন। এই Act-এর মাধ্যমে সরকার Tech Company-গুলোকে তাদের System-এ Backdoor তৈরি করতে বাধ্য করতে পারে। Backdoor হলো এমন একটি গোপন রাস্তা, যা ব্যবহার করে সরকারের Agent-রা গ্রাহকদের Data Access করতে পারবে, আর গ্রাহকরা টেরও পাবে না! 😱 এটা যেন আপনার বাড়ির দরজায় একটা গোপন তালা লাগিয়ে রাখা, যার চাবি শুধু সরকারের কাছে থাকবে।

Security Experts-রা বলছেন, এই Backdoor তৈরি করা হলে Cyber Attack-এর ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যাবে। Cyber Criminal-রা যদি কোনোভাবে এই Backdoor-এর সন্ধান পেয়ে যায়, তাহলে তারা খুব সহজেই গ্রাহকদের Data চুরি করতে পারবে। Mass Surveillance-এর ভয় তো আছেই। সরকার যদি সবার উপর নজর রাখা শুরু করে, তাহলে Freedom of Speech এবং Freedom of Expression-এর মতো মৌলিক অধিকারগুলো বিপন্ন হতে পারে। 😟

Meta এবং Google-এর ভবিষ্যৎ কী? 🤖

এখানেই শেষ নয়! Apple-এর পর Meta (Facebook, WhatsApp, Instagram) এবং Google-ও UK সরকারের নজরে রয়েছে। এই Company-গুলোও গ্রাহকদের Encrypted Backup Option সরবরাহ করে। একবার ভাবুন, আপনার Facebook Messenger বা WhatsApp-এর সমস্ত Private Conversation যদি সরকারের হাতে চলে যায়, তাহলে কেমন লাগবে? 😰 আপনার ব্যক্তিগত ছবি, Chat, Voice Message সবকিছুই চলে যাবে তাদের হাতে।

Apple তাদের Advanced Data Protection (ADP) Feature ব্যবহার করে গ্রাহকদের Data Encrypt করে রাখে। এই Feature Enable করলে Apple-ও আপনার Data Access করতে পারবে না। কিন্তু UK সরকার চায় Apple এই Security Wall ভেঙে দিক। তারা Apple-কে বাধ্য করতে চাইছে এমন একটা System তৈরি করতে, যার মাধ্যমে তারা প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রাহকদের Encrypted Data Access করতে পারবে।

FBI-ও এই ADP Feature নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। তাদের ভয়, Criminal-রা যদি এই Feature ব্যবহার করে তাদের Data লুকিয়ে রাখে, তাহলে তাদের শনাক্ত করা এবং আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়বে।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন, আমাদের Privacy কি সত্যিই শেষ? 😔

Proton-এর Head of Public Policy জুরগিতা মিসেভিচিউট (Jurgita Miseviciute) এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "এটা Encryption এবং বিশ্বব্যাপী People's Data Privacy-র উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। " তার মতে, Apple যদি সরকারের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে, তাহলে অন্যান্য Company-গুলোও একই পথে হাঁটতে উৎসাহিত হবে। এর ফলে Privacy-র ধারণাটাই হয়তো একদিন জাদুঘরে চলে যাবে।

Big Brother Watch-এর Director Silkie Carlo আরও কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "গণতন্ত্রে কোনো সরকার যদি নাগরিকদের ব্যক্তিগত Conversation-এর উপর নজরদারি করার অধিকার কেড়ে নেয়, তাহলে সেটা চরম অশুভ একটা সংকেত। "

তাহলে আমাদের কী করা উচিত? 🤔 এখনই জেগে উঠুন! ✊

এই পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকার কোনো মানে নেই। বরং, আমাদের নিজেদের Privacy এবং Security রক্ষার জন্য এখনই সচেতন হতে হবে। কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিতে পারেন:

শক্তিশালী Password ব্যবহার করুন

প্রতিটি Online Account-এর জন্য Strong এবং Unique Password ব্যবহার করুন। Password মনে রাখার জন্য Password Manager ব্যবহার করতে পারেন। LastPass এবং 1Password-এর মতো বহু Password Manager App রয়েছে, যেগুলো আপনার Password Encrypt করে নিরাপদে Save করে রাখে।

Two-Factor Authentication (2FA) Enable করুন

Two-Factor Authentication Enable করলে, কেউ আপনার Password জেনে গেলেও আপনার Account Access করতে পারবে না। কারণ Second Factor হিসেবে আপনার মোবাইল ফোন বা Email-এ একটা Verification Code আসবে, যেটা ছাড়া Login করা সম্ভব নয়। Google Authenticator, Authy-এর মতো বহু 2FA App রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার Account-গুলোকে আরও Secure করতে পারেন।

Encrypted Messaging App ব্যবহার করুন

WhatsApp এখন End-to-End Encrypted হলেও, তারা আপনার Metadata সংগ্রহ করে। তাই Privacy-র জন্য Signal বা Telegram-এর মতো Encrypted Messaging App ব্যবহার করতে পারেন। Signal আপনার Message, Photo, Video সবকিছু End-to-End Encrypt করে রাখে। Telegram-ও Secret Chat Option-এ End-to-End Encryption সরবরাহ করে।

VPN (Virtual Private Network) ব্যবহার করুন

Public Wi-Fi ব্যবহার করার সময় অবশ্যই VPN ব্যবহার করুন। Public Wi-Fi Network সাধারণত Secure হয় না, তাই Hacker-রা সহজেই আপনার Data চুরি করতে পারে। VPN আপনার Internet Traffic Encrypt করে এবং আপনার IP Address লুকিয়ে রাখে, ফলে Hacker-দের পক্ষে আপনার Data Access করা কঠিন হয়ে যায়। ExpressVPN, NordVPN, Surfshark-এর মতো বহু ভালো VPN Service রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করে আপনি আপনার Internet Connection-কে Secure করতে পারেন।

নিয়মিত Software Update করুন

আপনার Operating System (Windows, macOS, Android, iOS) এবং App-গুলো সবসময় Update করুন। Software Update-গুলোতে Security Bug Fix করা হয়, যা Cyber Criminal-দের Attack থেকে রক্ষা করে। পুরাতন Software ব্যবহার করলে Cyber Attack-এর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

App Permission যাচাই করুন

আপনার SmartPhone-এ App Install করার সময় App-গুলো কী Permission চাইছে, তা ভালো করে দেখে নিন। Camera, Microphone বা Location Access-এর মতো Permission দেওয়ার আগে ভাবুন, App-টির সত্যিই সেই Permission-এর প্রয়োজন আছে কিনা। অপ্রয়োজনীয় Permission দিলে আপনার Privacy ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

Privacy Policy পড়ুন

যেকোনো App বা Service ব্যবহার করার আগে তাদের Privacy Policy ভালো করে পড়ুন। জানুন, তারা কীভাবে আপনার Data সংগ্রহ করে, কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে এবং কার সঙ্গে Share করে। Privacy Policy না পড়ে কোনো Service ব্যবহার করা উচিত নয়।

Location Service সীমিত করুন

আপনার SmartPhone-এর Location Service সবসময় Enable করে রাখবেন না। শুধুমাত্র প্রয়োজন হলেই Location Access দিন। Location Data ট্র্যাক করার মাধ্যমে আপনার গতিবিধি এবং ব্যক্তিগত অভ্যাস সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যায়, যা Privacy-র জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

Ad Tracking সীমিত করুন

Online-এ আপনার Activity Track করে Targeted Advertisement দেখানোর জন্য Ad Tracking ব্যবহার করা হয়। আপনি চাইলে আপনার Browser এবং Operating System-এর Setting-এ গিয়ে Ad Tracking সীমিত করতে পারেন। এর ফলে আপনার Online Activity-র উপর নজরদারি কম হবে।

অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন

আপনার Computer এবং SmartPhone-এ ভালো মানের Antivirus Software ব্যবহার করুন। Antivirus Software আপনার Device-কে Malware, Virus এবং Ransomware-এর মতো Cyber Threats থেকে রক্ষা করে।

মনে রাখবেন, আপনার Data আপনার দায়িত্ব। টেক-এর এই জটিল যুগে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে হলে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সরকার কী করছে, সেটা হয়তো আমরা সবসময় Control করতে পারব না। কিন্তু নিজেদের Security নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো তো আমরা নিতেই পারি, তাই না? 😉

আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করছি। আশাকরি, আজকের তথ্যগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন এবং নিজের Privacy রক্ষা করুন। 🙏 আর হ্যাঁ, এই টিউনটি Share করতে ভুলবেন না, যাতে আপনার বন্ধুরাও এই বিষয়ে জানতে পারে। 😉

-

টেকটিউনস টেকবুম

Level 2

আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 618 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস