TikTok এখন US-এ অফলাইন। কিন্তু কেন? কীভাবে? এর পেছনের গল্পটা কী? আসুন, আমরা সবকিছু খুঁটিয়ে দেখি।
আসলে, US Government বেশ কিছুদিন ধরেই TikTok নিয়ে চিন্তিত ছিল। এটা কোনো হুট করে নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়। এর পেছনে আছে অনেক দিনের জল্পনা-কল্পনা, অনেক আলোচনা, এবং অনেক Concerns। মূল কারণটা হলো, TikTok-এর মালিকানা ByteDance নামে একটি চাইনিজ Company-র হাতে। এখন প্রশ্ন হল, US Government-এর মূল ভয়টা কোথায়? তাদের ভয়টা আসলে অনেক গভীরে প্রোথিত। তারা মনে করে যে, TikTok ব্যবহার করার মাধ্যমে User-দের ব্যক্তিগত Data, যেমন তাদের Location, তাদের Browsing History, তাদের পছন্দের বিষয় - এসব কিছু চুরি হতে পারে।
US Government-এর ভয় আরো একটা জায়গায়। তারা মনে করে যে, ByteDance যেহেতু চাইনিজ Company, তাই চাইনিজ Government হয়তো TikTok-এর মাধ্যমে US Citizens-দের উপর নজর রাখতে পারে। এটা শুধু একটা Security বিষয়ক Concern নয়, এটা US-এর National Security নিয়েও একটা বড় প্রশ্ন। US Government মনে করে, TikTok ব্যবহার করার মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানো হতে পারে, যা কিনা US-এর Politics এবং Society-র উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
এইসব Concerns-এর জেরেই শেষ পর্যন্ত TikTok-এর ওপর Ban জারি করা হল। এই Ban-টা শুধু TikTok-এর উপরই নয়, ByteDance-এর আরও কিছু জনপ্রিয় Apps, যেমন Capcut আর Lemon8-ও এখন US-এর App Stores থেকে গায়েব। এমন কী, Apple আর Google-এর মতো জায়ান্ট Company-দের App Store থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই Apps গুলো। এর মানে, এখন US-এর Users চাইলেও এই Apps গুলো আর ব্যবহার করতে পারবেন না। এটা সত্যিই খুব হতাশাজনক, বিশেষ করে সেই Users-দের জন্য যারা নিয়মিত এই Apps গুলো ব্যবহার করতেন, যারা Content Creators ছিলেন, যাদের রুটিরুজি ছিল এই Apps-এর ওপর।
তবে, সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। একটা ক্ষীণ আলো এখনো জ্বলছে, যেন অন্ধকারের মাঝে এক চিলতে আশার আলো।
TikTok কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে একটা অফিসিয়াল Message দেওয়া হয়েছে, যেখানে তারা জানিয়েছে যে তারা আশা করছে US-এর President-ElectDonald Trump হয়তো তাদের জন্য কিছু করবেন। তারা বিশ্বাস করে, Trump হয়তো এই Situation-টা বুঝতে পারবেন এবং TikTok-কে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করবেন। TikTok আরো জানিয়েছে যে, PresidentTrump নাকি তাদের সাথে কাজ করে একটা Solution বের করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যাতে তিনি Office-এ আসার পরেই TikTok আবার চালু করা যায়। এই মুহূর্তে, TikTok-এর ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে Trump-এর সিদ্ধান্তের উপর।
এখন প্রশ্ন হল, Trump কি সত্যিই TikTok-এর জন্য কিছু করবেন? নাকি এটা শুধুই একটা রাজনৈতিক চাল? কারণ, Trump এর আগেও TikTok নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তিনি কখনও TikTok-কে সমর্থন করেছেন, আবার কখনও Ban-এর কথাও বলেছেন। তাই, তার আসল উদ্দেশ্য কী, তা বলা কঠিন।
Trump-এর সোমবার Office গ্রহণের কথা। রাজনৈতিক মহল এবং Tech Experts-দের ধারণা, তিনি হয়তো TikTok-কে ৯০ দিনের একটা Reprieve দিতে পারেন। এই Reprieve-এর মানে হল, TikTok হয়তো কিছুদিনের জন্য আবার US-এ ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এর পরে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত। কারণ, এই Ban-এর পেছনে অনেক জটিল Legal এবং Political বিষয় জড়িত। এটা শুধু একটা Tech Issue নয়, এটা International Relations, National Security, এবং Data Privacy-এর মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে স্পর্শ করে।
তবে, এখনকার মতো Ban কার্যকর, আর US-এ TikTok পুরোপুরি অফলাইন।
অনেকে এই Ban এড়ানোর জন্য VPNs-এর মতো Workarounds ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো লাভ হচ্ছে না। কারণ, TikTok-এর System-টা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে VPN ব্যবহার করেও US-এর বাইরে থেকে Access করা কঠিন। এর মানে হল, TikTok-এর Developers এই Ban-কে খুবই সিরিয়াসলি নিয়েছে এবং তারা চাইছে না যে কেউ কোনোভাবে এই Ban এড়াতে পারুক।
-
টেকটিউনস টেকবুম
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 488 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।