সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ অভিযোগ করে, যুক্তরাজ্যের কোম্পানি গুলো গুপ্তচর প্রযুক্তি বিক্রয় এবং বিপণন করে দেশ গুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
তাদের প্রযুক্তিগুলো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন তথ্য।
অভিযোগ গুলোর মধ্যমে অন্যতম একটি অভিযোগ হল, IMSI Catcher। যা নকল ফোন টাওয়ারের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে মোবাইল ফোনের IMSI নাম্বার গুলো লিক করে ফেলছে। এটি ডিভাইসের মালিকানা বের করে ফেলছে যা সহজে এডভান্সড Snooping এর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে অপ্রকাশিত ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে এ জাতীয় সরঞ্জাম রপ্তানির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।
জারি করা লাইসেন্স গুলোর মধ্যে অনেক গুলো অস্থায়ী থাকলেও, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রযুক্তি গুলোর প্রচারের পর অনেক গুলোই স্থায়ী হয়ে যায়।
যেহেতু ইন্টারসেপশন প্রযুক্তি একটি "দ্বৈত-ব্যবহার" প্রযুক্তি যা সামরিক ও বেসামরিক উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে, তাই যুক্তরাজ্য ব্যবসায়ীদের বিদেশে এই সরঞ্জামগুলি বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের একটি লাইসেন্স নিতে হয়।
অন্যান্য "দ্বৈত -ব্যবহার" পণ্য গুলো রপ্তানিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদ্বেগ থাকায় সেগুলো রপ্তানি মোটামুটি কন্ট্রোল করা হয়েছে।
২০২০ সালের প্রথম তিন মাসের রপ্তানি লাইসেন্সের তথ্য থেকে জানা যায় যে একটি নামহীন ব্রিটিশ সংস্থাকে এমন এক সময়ে পাকিস্তানে ইন্টারসেপশন সরঞ্জাম রফতানির অধিকার মঞ্জুর করেছে, যেখানে কর্তৃপক্ষ COVID-19-এর প্রতিক্রিয়ায় নাটকীয়ভাবে নাগরিকদের উপরে তাদের নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলেছে।
পাকিস্তান ভিত্তিক অলাভজনক মিডিয়া ম্যাটার্স ফর ডেমোক্রেস প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিজা কামরান বলেছেন, এই প্রযুক্তির ব্যবহার পাকিস্তানের উদ্বেগের কারণ।
এর আগে যুক্তরাজ্যের একটি সংস্থাকেও আরব আমিরাতেও ইন্টাসেপশন প্রযুক্তি রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকা, যারা ২০২০ সালের প্রথম দিকে যুক্তরাজ্য থেকে প্রযুক্তি আমদানি করেছিল৷ তারা এই ধরনের নজরদারিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে।
২০১৬ সালে Privacy International জানতে পারে, যুক্তরাজ্যের ১০৪ টি কোম্পানি যারা বিভিন্ন টেকনোলজি ডিজাইন করে, তারা তাদের ডিভাইসে গোপনে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা রেখে দিয়েছে। আরও জানা যায় টুল গুলোর মাধ্যমে নির্বিচারে নজরদারি করা হয় এবং বিভিন্ন সেনসিটিভ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
তারপরেও এই সরঞ্জাম গুলো বিক্রয় আন্তর্জাতিক ভাবে লাভ জনক একটি ব্যবসায়৷ Guardian এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্য ৯৫ মিলিয়ন ডলারের লাইসেন্স বিক্রি করেছে।
২০১৯ সালে যুক্তরাজ্য হংকং কর্তৃপক্ষের কাছেও তাদের টুল বিক্রয়ের অনুমোদন দেয়। একই সাথে বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হচ্ছে এই ধরনের সরঞ্জাম গুলো।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকার একটি তথ্য প্রকাশ করে যেখানে দেখা গেছে এই ধরনের ইন্টারসেপশন প্রযুক্তি বিক্রয়ের ট্রেন্ড এখনো অব্যাহত আছে।
-
টেকটিউনস টেকবুম - ১০ আগস্ট ২০২০
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 470 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।