অন্যতম একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাব OpenAI, এমন একটি টুল আবিষ্কার করেছে যা মানুষের লেখা কপি করে নিজেই আর্টিকেল লেখতে পারে। টুলটিতে এমন ভাবে কোডিং করা হয়েছে যে এটি ভিন্ন ভাবে বড় বড় লেখদের লেখা কপি করতে পারে, এমনকি ওয়েবসাইটও কোড করতে পারে।
Natural Language Generation এর এই মডেলটির নাম দেয়া হয়েছে GPT-3। GPT-3 এর এলগোরিদম বিশাল এক ডাটাবেজ থেকে মানুষের লেখা গুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং বাক্য গুলো সম্পর্কে ধারনা নেয় তারপর নিজেই আর্টিকেল তৈরি করে।
ইতিমধ্যে Natural Language Model গুলো বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে যেমন, গুগলের Smart Compose, বিভিন্ন ওয়েব অ্যাপ এর অটো কমপ্লিট ফিচার তাছাড়া বিভিন্ন খেলার সংবাদ বা প্রেসে এই মডেল গুলো ব্যবহৃত হয়। তবে পর্যাপ্ত ডেটার অভাবে এই ধরনের বাক্য গুলো বেশির ভাগ সময় বিশ্রী বা অপ্রাকৃত লাগতো।
Carnegie Mellon University এর প্রফেসর Carolyn Rose জানান, গতানুগতিক মডেল গুলোতে কিছুটা জ্ঞানের অভাব ছিল এবং এই সীমাবদ্ধতা গুলো দুর করতেই GPT-3 এর আবির্ভাব। এখানে কোন বাক্য সাজাতে প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন প্যারামিটার ব্যবহার করা হবে যাতে করে বাক্য গুলো হবে পুরোপুরি ন্যাচারাল।
মে মাসে GPT-3 এর একটি টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি এর একটি প্রদর্শনীতে এটি মানুষকে অবাক করে দেয়। এটি খুব কম সময়ের মধ্যেই একটি ওয়েবসাইট কোড করে ফেলে, এবং উইলিয়াম শেকসপিয়ের অনুকরণে একটি সনেট তৈরি করে দেখিয়ে দেয়।
GPT-3 এর জড়িত ডেভেলপাররা বলছে যদিও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কাছে এই প্রযুক্তিটি নতুন নয় তবুও একটু বেশি এডভান্সড। গুগল এবং অ্যাপল text-to-speech প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও সেগুলোর চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে GPT-3।
ডেভেলপাররা বলছে এখন পর্যন্ত GPT-3 পুরোপুরি পারফেক্ট নয়, কিছু কিছু বাগ আছে তবে সেটি খুব তাড়াতাড়িই ঠিক হয়ে যাবে।
তবে এই GPT-3 এর ক্ষেত্রে কিছু নৈতিকতার ইস্যু দেখা দিয়েছিল। ইলন মাস্ক, পিটার থিয়েল, এবং স্যাম আল্টম্যান এর নেতৃত্বে ২০১৫ সালে, OpenAI চালু করা হয়। প্রথম দিকে তারা বলে, OpenAI এর কাজ সম্পর্কে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। তবে, Elon Musk এই বছরের শুরুর দিকে OpenAI এর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, OpenAI এর তাদের কাজটি সম্পর্কে আরও উন্মুক্ত হওয়া উচিত। MIT Technology Review এর Karen Ha জানিয়েছে যে সংস্থাটির গোপনীয়তার সংস্কৃতি রয়েছে যা জনসাধারণের ভাবমূর্তির বিপরীতে কাজ করে। আরও অনেকে দাবী করে, GPT-3 এটি দিয়ে বাস্তবসম্মত ফেইক নিউজ বানানো সম্ভব যা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করবে।
The Allen Institute এর Etzioni বলেন, এটি এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে যা দিয়ে বুঝার উপায় থাকবে না যে কোনটি আসল বা কোনটি নকল। কোন লেখাটি মানুষের লেখা আর কোনটি GPT-3 এর লেখা এটি বুঝা কঠিন হয়ে পড়বে।
তবে বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গুলোতে যে বর্ণবাদ বা লিঙ্গ বৈষম্যের ঘটনা ঘটছে এটি প্রত্যাখ্যান করে OpenAI, । তারা জানায় এতে কোন ধরনের বৈষম্য ইউজাররা পাবে না। আর যেগুলো ডেটা বেজে যা ইনপুট দেয়া হবে তাই আউটপুট হিসাবে আসবে তাই GPT-3 এর ক্ষেত্রে এমনটি হবে না।
-
টেকটিউনস টেকবুম - ৬ আগস্ট ২০২০
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 461 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।