গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের প্রধান মন্ত্রী Boris Johnson ঘোষণা দেন, ২০২৭ সালের মধ্যে তাদের সকল 5G নেটওয়ার্ক থেকে Huawei এর সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলবেন।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক Oliver Dowden বলেন, যুক্তরাজ্য ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে Huawei থেকে সমস্ত নতুন 5G অবকাঠামো কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে, ২০২৭ সালের মধ্যে বিদ্যমান সমস্ত সরঞ্জাম অপসারণ করা হবে।
তিনি আরও জানান চীনের বিভিন্ন প্রাইভেসি সিকিউরিটি প্রশ্নে এবং যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিভিন্ন কোম্পানি নিষিদ্ধ হবার পর এবার যুক্তরাজ্যেও তাদের পথ পরিবর্তন করতে চাচ্ছে।
এই বছরের শুরুর দিকে US একটি সর্তক বার্তা দেয়, "Huawei যুক্তরাজ্য 5G নেটওয়ার্ক তৈরিতে সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে"।
Boris Johnson এর সরকারি মুখপাত্র জানায় যেহেতু ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে Huawei এর উপর নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করেছে সুতরাং যুক্তরাজ্যের এটি করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা এবং অবকাঠামোগত স্থিতিশীলতার বিষয়ে আস্থা অর্জন করতে পারলেই আমরা আমাদের 5G নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করব।
তার বিভিন্ন বিবৃতিতে বলেন, "Huawei এর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং আমাদের সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমাদের 5G নেটওয়ার্ক থেকে Huawei কে নিষিদ্ধ করা জরুরি।
"২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন কোন কিট যুক্ত করা হবে না এবং ২০২৭ সালের শেষ দিকে পুরো যুক্তরাজ্যের 5G নেটওয়ার্ক Huawei মুক্ত হবে। এই পদক্ষেপটি পুরো UK জুড়ে 5G সরবরাহ করার ক্ষেত্রে স্পষ্টতা নিশ্চিত করবে"।
"আগামী নির্বাচনের সময় পর্যন্ত আমরা আমাদের 5G নেটওয়ার্ক থেকে Huawei এর সরঞ্জাম সম্পূর্ণ অপসারণের জন্য একটি অপরিবর্তনীয় আইনও প্রয়োগ করব"।
তবে জানা গেছে দেশটির 2G, 3G, 4G নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এমন কোন পরিকল্পনা নেই।
এই সিদ্ধান্ত, পুরো যুক্তরাজ্য জুড়ে 5G নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ আরও ২ বছর পিছিয়ে যাবে এবং অতিরিক্ত ২.৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে।
Huawei এর যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি বলেন, "এই সিদ্ধান্তটি যুক্তরাজ্যের ফোনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেকারো জন্যই খারাপ এবং হতাশাজনক। এটি ব্রিটেন এর ডিজিটাল গতি ধীর করে দেবে, এবং প্রযুক্তিতে বিভাজন তৈরি করবে তাই আমরা তাদের এই বিষয়ে আবার বিবেচনা করার অনুরোধ করছি। আমরা নিশ্চিত আছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা গুলো, যুক্তরাজ্যে আমাদের প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহারে কোন প্রভাব পড়বে না"।
সম্প্রতি Huawei ঘোষণা দিয়েছিল তাদের UK চেয়ারম্যান তারা প্রত্যাশিত দায়িত্ব পালন থেকে সরে এসেছে আর এর কয়েক ঘণ্টা পরেই যুক্তরাজ্য সরকার এমন ঘোষণা দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও কয়েকবার যুক্তরাজ্যকে Huawei এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আহবান জানায় এবং তাদেরকে সতর্ক করে দেয়। চীন তাদের তথ্য চুরি করে তা অন্যত্র পাচার করতে পারে বলেও তারা জানায় যুক্তরাজ্যকে।
সব মিলিয়ে বলা যায় যুক্তরাজ্যে Huawei ব্যান করার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল US এর। অনেকে ধারনা করছে US এর নিষেধাজ্ঞা এবং পরামর্শ এই ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য অনেকাংশে দায়ী।
-
টেকটিউনস টেকবুম - ২৪ জুলাই ২০২০
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 461 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।