ফেসবুক এর সাবেক চিফ সিকিউরিটি অফিসার Alex Stamos সম্প্রতি বলেছেন, রাজনৈতিক বক্তব্য পরিচালনায় ফেসবুক কিছুটা "Haphazard" বা এলোমেলো পন্থা অবলম্বন করছে।
Alex Stamos সম্প্রতি CNBC এর Power Lunch এ ফেসবুকের চ্যালেঞ্জ গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য উপস্থিত হয়েছিল। এইদিকে গত বুধবার Civil Right Audit টি পুরোপুরি প্রকাশ করে সবার সামনে নিয়ে আসা হয়। প্রকাশিত এই নিরীক্ষণে উঠে এসেছে, যদিও প্রভাবশালী এই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ভাবে অগ্রগতি হয়েছে তবুও তারা কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা নাগরিক অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ফেসবুক এর CEO, Mark Zuckerberg বলেন, প্রযুক্তির প্রভাবশালী এই সোশ্যাল মিডিয়ার সত্য মিথ্যা বিচার করা বা কোন বিবাদ নিষ্পত্তি করার ভূমিকায় থাকা উচিত নয়। সুতরাং এটা যাচাই করাও উচিত নয় যে কোন রাজনৈতিক এড বা রাজনৈতিক ব্যক্তির টিউন বিতর্কিত হতে পারে।
George Floyd এর আন্দোলনে, মে মাসে করা Donald Trump এর বিতর্কিত ফেসবুক টিউন "When the looting starts, the shooting starts" এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়ে। এর পর থেকেই ফেসবুকের আসলে কিভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য পরিচালনা করা উচিৎ সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় ফেসবুকের একজন কর্মী পদত্যাগ করেছে এবং অন্যান্য কর্মীরাও ফেসবুকের এমন আচরণে অসম্মতি প্রকাশ করেছে।
Zuckerberg এর দৃষ্টিকোণ থেকে এবং ফেসবুকের এই চ্যালেঞ্জে Stamos বলেন, "ফেসবুক কি এটার বিচারক হয়েছে যে কোন বক্তব্য গ্রহণযোগ্য "। বিতর্কের মধ্যে এমন বক্তব্য দিয়ে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক বক্তব্য কিভাবে পরিচালনা করা উচিৎ।
Alex Stamos, CNBC কে বলেন, যেহেতু এখনো কোন নির্দিষ্ট আইনি কাঠামো নেই সুতরাং এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের উপর। এবং তারা রাজনৈতিক বাতাস যেদিকে যায় ওইদিকেই ধাবিত হয়। আর এটাই তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য পরিচালনার একটি এলোমেলো পদ্ধতি।
যদিও তিনি নির্বাচনের হস্তক্ষেপ মোকাবেলায় ফেসবুকের প্রচেষ্টা কে তিনি স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বক্তব্য সেন্সরশিপে Zuckerberg এর দৃষ্টিভঙ্গি তে সমস্যা রয়েছে।
ফেসবুকের CEO কিভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য পরিচালনা করেন এটি বুঝাতে Stomas, জাকারবার্গের একটি বক্তব্যকে উল্লেখ করে বলেন, আমি মনে করি গত বছরে প্রথম Georgetown এর এক বক্তব্য থেকে মার্ক এই ধরনের ভুল করেই যাচ্ছে।
জাকারবার্গ সেই বক্তব্যে বলেছিলেন, আমরা কখনো কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাহায্য করি না, তবে মনে করি জনগণের দেখা উচিৎ যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কি বলছে। যদি বিষয়বস্তু সংবাদ যোগ্য হয় তাহলে সেটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড এর সাথে সাংঘর্ষিক হলেও সরাতে পারি না।
Stamos এখানে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন জাকারবার্গের, ফেসবুকের পাওয়ার সম্পর্কে আরও ভাবা উচিৎ যখন তা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিষয়বস্তুকে বাড়িয়ে তুলে।
ফেসবুকে মানুষ জন কি ধরনের বক্তব্য ছড়াতে পারবে সেই সক্ষমতার বিষয়টি নির্দিষ্ট করা উচিত, কারণ আজ থেকে ৫ বা ১০ বছর আগেও মানুষ তাদের বক্তব্য এত দ্রুত সবার মাঝে করতে পারে নি যা এখন ফেসবুকের মাধ্যমে হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ Twitter কে উল্লেখ্য করেন, যে Twitter কিভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য গুলো ভাল ভাবে পরিচালনা করছে। টুইটার আন্দোলন নিয়ে একই পোস্টকে সতর্কবার্তা দিয়ে লেভেল করেছে এবং সাথে Mail-in Ballots কথাটি সম্পর্কে মিথ্যা উল্লেখ্য করা ফ্যাক্ট-চ্যাকিং লিংক যুক্ত করে দিয়েছে।
Twitter এই মেসেজটি ছড়ানো লিমিট করে দিয়েছিল এবং তারা অন্য একটি মাধ্যম খুঁজে পেয়েছিল। Alex Stamos বলেন, যদি Zuckerberg কয়েকমাস আগে একই উপায় অবলম্বন করতো তাহলে ফেসবুক এর অবস্থান এখন আরও ভাল থাকত।
-
টেকটিউনস টেকবুম - ১৬ জুলাই ২০২০
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 461 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।