করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের মোবাইল বাজারে সংকট তৈরির আশংকা

করোনা ভাইরাসের কারণে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে মোবাইল এক্সেসরিজ পণ্যের। চার্জার, হেডফোন, মোবাইল স্ক্রিন সহ সব ধরনের এক্সেসরিজ এর দাম বেড়েছে বাজারে। টান পড়তে শুরু করেছে চীন থেকে আমদানি হওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেটেও। শুধু হ্যান্ডসেটেই নয়, বন্ধ আছে মোবাইলের যন্ত্রাংশ আমদানিও। যদিও এর ফলে এখনো দেশে তৈরি কিংবা সংযোজিত হ্যান্ডসেটের উৎপাদন ব্যাহত হয়নি বলে দাবি কোম্পানিগুলোর।

মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আইফোন স্মার্টফোনের ২৫ ভাগের বেশি যোগান দেয় চীন। করোনা ভাইরাসের কারণে কোম্পানিটির চিনা কারখানায় উৎপাদন বন্ধ আছে এক মাসের বেশি সময় ধরে। ফলে এরই মধ্যে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে ফোনটির বিশ্ববাজারে। যার প্রভাব এসে পড়েছে হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশেও। আইফোনের ১৬টি মডেল এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পাওয়া যাচ্ছে না ঢাকার বাজারে।

এ সম্বন্ধে ঢাকার এক মোবাইল বিক্রেতা বলেন:

"যে প্রোডাক্ট লাগবে সে প্রোডাক্ট যদি অর্ডার করি দেখা যাচ্ছে ওটা নাই। যেখানে ৫ পিস লাগবে সেখানে হয়ত ১ পিস পাচ্ছি। যেটা ২ পিস লাগবে সেটা হয়ত একেবারে নাই। "

আরেক মোবাইল বিক্রেতা বলেন:

আমাদের কাছে iPhone 11 Pro (আইফোন এলিভেন প্রো) আছে কিন্তু iPhone 11 Pro Max (এলিভেন প্রো ম্যাক্স) নাই। তারপরে iPhone 11 XS Max (আইফোন এলিভেন এক্সএস ম্যাক্স) নাই। এগুলো নাই। iPhone আগের ভার্সন গুলো কিছু আছে। নতুন iPhone গুলো অল্প অল্প সাপ্লাই। তত বেশি নাই। "

iPhone ছাড়া অন্যান্ন ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেটের সরবরাহে এখনও টান পরেনি। কেননা চাহিদার ৮০ ভাগ স্মার্টফোন এখন তৈরি কিংবা সংযোজিত হচ্ছে স্থানীয়ভাবে আমদানি করার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে। তবে চীন থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধ থাকলেও এখনি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে দাবি হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর।

হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে যে তাঁরা চাইনিজ নিউইয়ার ও হলিডে এর জন্য বেশ কিছু প্রোডাক্ট আগে থেকেই নিয়ে আসেছে। সুতরাং দেশের হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো স্টক সিচুয়েশন অন্যদের থেকে বেশ ভালো। তবে যদি প্রোডাক্টশন সহসা শুরু না হয়, তবে হয়তো মার্চের শেষ থেকে সংকট শুরু হবে।

তবে হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছেন বেশির ভাগ ফ্যাক্টরিই ৫০% চালু হয়ে গিয়েছে। তারা ধারণা করছে যে মার্চের ফাস্ট উইক থেকে পুরোপরি চালু হয়ে যাবে। সবমিলিয়ে ৪ সপ্তাহের এর মধ্যে ২ সপ্তাহ ওরা কভার করতে পারবে। ২ সপ্তাহের একটা গ্যাপ পড়বে। কিন্তু চ্যানেলে পর্যাপ্ত হ্যান্ডসেট আছে। ব্যবসায়িরা মনে করছেন না যে কাস্টমার লেভেলে খুব একটা প্রভাব পড়বে।

স্মার্টফোনের বাজারে খুব একটা প্রভাব না পড়লেও ব্যাটারি, চার্জার, হেডফোন এর মত এক্সেসরিজের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বাজারে। তাই দামও বাড়ছে প্রতিদিন। সব ধরনের এক্সসরিজের উপর দাম বেড়েছে। কারণ এক্সসরিজ সবগুলোই চায়না থেকে আসে।

বিশেষ করে আইফোনের কাভার, আইফোনের গ্লাস, আইফোনের ইয়ারফোন বা আইফোনের চার্জার এখন খুবই কম আছে মার্কেটে। নাই বললেই চলে। এক্সসরিসের দাম ১৫ % থেকে ২০% বেড়ে গিয়েছে। হেডফোন, কভার, গ্লাস প্রটেক্টর সহ আরও যেসব এক্সসরিস আছে সেগুলো মার্কেটে অপ্রতুল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিও কমে গেছে এসব পণ্যের।

-

টেকটিউনস টেকবুম - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Level 2

আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 461 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস