আদালতের নির্দেশনা মেনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির পাওনার প্রথম কিস্তির ১০০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে গ্রামীণফোন। রোববার বিটিআরসি এর কার্যালয়ে গিয়ে সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে গ্রামীণফোনের একটি প্রতিনিধিদল এ সংক্রান্ত পেঅর্ডার তুলে দেন। এ সময়ে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সেবার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। আর বিটিআরসি বলছে পরবর্তী সকল পদক্ষেপই নেয়া হবে আদালতের নির্দেশে।
সরকারের সঙ্গে দরকষাকষিতে ব্যর্থতা, আদালতে আইনি লড়াইয়ে হার আর প্রশাসক নিয়োগের হুমকিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাওনা পরিশোধের কথা জানিয়েছিল গ্রামীণফোন গেল শুক্রবারই। আদালতের নির্দেশনার সেই এক হাজার কোটি টাকার পেঅর্ডার আর এ সংক্রান্ত নথি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চার কর্মকর্তা দুপুরে আসেন বিটিআরসিতে।
এ সময় গ্রামীরফোনের হেড অফ রেগুলারিটি অ্যাফেয়ার্স বলেন:
"আমরা দেশের বিদ্যমান আইন ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের যে একটা আইনগত অবস্থান ছিল সেটাকে বর্তায় রেখে আমরা মহামান্য আপিল ডিভিশনের আদেশ অনুযায়ী আজকে এক হাজার কোটি টাকা সমান টাকা জমা দিলাম। "
বিটিআরসি এর চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন:
"আজ সংবিধান রক্ষা হল। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ রক্ষা হল। এবং এই সরকার তাঁর প্রাপ অংশের কিছু অংশ হলেও পেলো। এটা জনগণের টাকা এবং এই টাকা দেওয়ার জন্য আমি গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানাই। যে তাঁরা দেরিতে হলেও ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছে। এই টাকা দেওয়াই যখন লাগবে তাই তাঁরা এই টাকা দিয়েই দিয়েছে। "
এই বকেয়া আদায়ের জন্যই জিপির প্যাকেজ ও সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিটিআরসি। প্রথম কিস্তির অর্থ প্রাপ্তির পর সেই নিষেধাজ্ঞার কি হবে? এমন প্রশ্নে সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছে, উত্তর জানা যাবে সোমবার। গ্রামীণফোনের রিভিউ আবেদনের উপর আপিল বিভাগের আদেশের পর।
তিনি বলেন:
"আদালত সে সিদ্ধান্ত দেবে। যখন আদালত ২ হাজার কোটি টাকা দিতে বলেছিল তখন নিশ্চয়ই আদালতের এরকম আইডি একটা ছিল। আর ২ হাজার কোটি টাকায় তো লেনদেন শেষ হলো না। আমরা চাই ১২ হাজার, তাঁরা দিতে চায় আরও কম। নিশ্চয়ই একটা আলোচনার সিদ্ধান্ত আদালতের থাকবে। আমার বিশ্বাস মাননীয় আদালত সিদ্ধান্ত নিবে। এখন যে অবস্থায় আছে সেটা আদালতের নির্দেশ ছাড়া আমাদের কিছু করার নাই। "
এ সময় গ্রামীণফোনের হেড অফ রেগুলারিলি অ্যাফেয়ার্স বলেন:
"আমরা সব সময় বলে আশাকরি যে আমাদের এই যে বিরোধটা রয়ে গিয়েছে, অডিটের বিষয়ে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে অথবা বিটিআরসি এর চেয়ারম্যান স্যার যেটা বল্লেন আমাদের, লিগ্যাল প্রসেসর মাধ্যমে সমাধান হবে। "
রাজস্ববোর্ডের ৪ হাজার কোটি টাকাসহ মোট ২৭ টি খাতে ১২৫৮০ কোটি টাকা বকেয়া দাবি করে গ্রামীণফোনকে গেল বছর ২০১৯ এর এপ্রিলে চিঠি দেয় বিটিআরসি। যার বিরুদ্ধে আদালতে যায় গ্রামীণফোন। প্রথম দফায় বিচারিক আদালতে হেরে যায় প্রতিষ্ঠানটি। পরে হাইকোর্ট বিটিআরসির অর্থ আদায়ের কার্যক্রমের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আবারো হেরে যায় গ্রামীণফোন। ২৪ নভেম্বর ২০১৯ এর ঐ আদেশে আপিল বিভাগ পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের সময় বেঁধে দেয় গ্রামীণফোনকে।
-
টেকটিউনস টেকবুম - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 461 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।