টেকটিউনস Super Successor : আসাদ ইকবাল, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, Gadget Bangla

টেকটিউন Super Successor গেস্ট:  আসাদ ইকবাল, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, Gadget Bangla
সময়: রবিবার,১৩ আগষ্ট ২০১৭।দুপুর ১২ টা।
ব্যাপ্তি: প্রায় ১২ মিনিট
স্থান: Gadget Bangla এর অফিস, ঢাকা।

টেকটিউনস Super Successor হিসেবে আজকে আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে হাজির করেছি, যিনি কিনা বাংরাদেশের  E-Commerce এ যারা অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছেন এবং দেশের  E-Commerce কে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি হচ্ছেন আমাদের Gadget Bangla সহ-প্রতিষ্ঠাতা আসাদ ইকবাল সাহেব।

Gadget Bangla এর শুরুর কথটা আমাদের বলুন।

আমি যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করি তখন কথাটা আমার মাথায় আসে। টেকনিকাল যেকোনো কাজে যদি টেকনোলজি এর দরকার হয়, সেটাই best টেকনোলজি। থিওরিটিক্যাল কাজেও যদি টেকনোলজি এর ইমপ্লিমেন্টেশন থাকে তাহলে আরও ভালো হয়। গ্যাজেট হচ্ছে uptodate জিনিস।মানে একই জিনিস ১০ ভাবে ১০টা device থেকে করা যায়, এটা অনেক দারুণ একটা বিষয়। একদিকে গ্যাজেট অনেক পছন্দ, অন্যদিকে টেকনিকাল কিছু জ্ঞান আছে। তাই সব মিলিয়ে এই gadget bangla এর কার্যক্রম শুরু করা।

gadget bangla নিয়ে আমাদের প্ল্যানিং টা আসলে খুব আগে থেকে ছিল না। এই ১০ই আগস্টে gadget bangla এর ৩বছর পূর্ণ হয়েছে। আমার ভাই এবং আমি, আমরা ২জন মিলেই মূলত কিছু একটা করব, এই চিন্তা করেই আমাদের gadget bangla নিয়ে কাজ করা শুরু করা। আমাদের একটা plan ঠিকই ছিল।

কিন্তু নাম সিলেকশন, product সিলেকশন, আবার আমরা কতটুকু টিকে থাকতে পারব এই মার্কেটে এ সব কিছু চিন্তা করতে করতে বেশ কিছু সময় লেগে যায়। প্রায় ৪-৫ মাসের মত সময় লেগেছে। কিন্তু Finally, ৩ বছর আগে ২০১৪ সালের ১০আগস্ট আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম আমরা ছোট একটা shop নিয়ে কাজ শুরু করি।Shop টা 118sqft এর ছিল। এরপর ২ বছর পর আমরা বর্তমানে যেখানে আছি, এখানে এসেছি। এই shopটা 500sqft এর মত। গত বছর রোজার প্রায় ১ মাস আগে এসেছিলাম।

আপনার নিজের সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন।

আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার, বি.এস.সি, এম. এস. সি কম্পিউটার সাইন্স থেকে করা। ইউনিভার্সিটি লাইফে এচিভমেন্ট বলতে ঘরে খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানো এই ধরনের কাজ গুলো বেশী করতাম। ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকেই জব করা হয়েছে, ইউনিভার্সিটি থেকে বের হওয়ার একমাস আগে একটি স্বনামধন্য স্কুলে এমআইএস ডিপার্টমেন্টে, ওখানে চাকরি করেছিলাম ২১ মাস ১০ দিন, তার পর আর কোথাও চাকরি করি নি। আমাদের আরও একটি বিজনেস আছে, আমাদের মাদার কোম্পানি যেটি, যেখানে আমরা সফটওয়্যার তৈরি করি তার বয়স হচ্ছে ৮ বছর।

আমাদের আইটি কোম্পানি যেটায় আমরা সফটওয়্যার তৈরি করি তার বেসিস মেম্বারশীপ নেই আমরা ২০১৩ সালে, আর গ্যাজেট বাংলা হচ্ছে এর পরে শুরু করা হয়। এছাড়া এচিভমেন্ট বলতে আমরা গত বছর বিপিএল যা খুব বড় করে হোস্ট করা হয় তার টিকেটিং পার্টনার ছিলাম। ঐ টি আমাদের বেশ বড় এচিভমেন্ট ছিল এই কারণে যে সেখান থেকে আমরা কাস্টমার হ্যান্ডেল করার কেপাসিটি টের পাই, তবে আমরা খুব খুশি ছিলাম এই কারণে যে গত বছর আমরা ভাল ভাবেই এটা ট্যাকেল করতে পেরেছি আমাদের লিমিটেড টিম মেম্বার দিয়ে।

আমাদের সবচেয়ে বড় এচিভমেন্ট এইটাই যে আমাদের সব বিজনেস এই আমাদের রিটার্নিং কাস্টমার আছে এবং এটাই আমাদের সবচাইতে বড় এচিভমেন্ট। সবাই প্রোডাক্ট নেয়ার পরে দ্বিতীয়বার আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, হয় তো প্রোডাক্ট আমাদের কাছে নেই কিন্তু আমাদের কাছে সাজেশন এর জন্য যোগাযোগ করে, যে ভাই জিনিসটি তো আপনাদের কাছে নেই কিন্তু জিনিসটি কি রকম হবে? বা এই কোম্পানির হোস্টিং টি কি রকম?

প্রাইস্ট হোস্ট আমরা শুরু করি ২০০৯ এ যখন আমি ইউনিভার্সিটি থেকে বের হই, ডেট টি ঠিক মনে নেই, আর virtuanic solution আমাদের আরেকটি বিজনেস virtuanic solution এর মানে হচ্ছে ভারচুয়াল ক্লিনিক, এটার আইডিয়া হচ্ছে আপনার বিজনেসের প্রয়োজনে যত ধরনের সফটওয়্যার দরকার পরবে সেটা আমরা দিব, এ জন্যই এটি ভারচুয়াল ক্লিনিক বা virtuanic solution, আর গ্যাজেট বাংলা এর পরে আমাদের আরও কিছু প্রজেক্ট আছে কিন্তু ওগুলো এখনো আইডিয়া লেভেলে আছে। একটি একটি করে ইস্টাবলিশ করার পর আমরা অন্যটিতে সুইচ করব। আমার ইউনিভার্সিটির নাম ছিল ইউডা (ইউনিভার্সিটি অফ ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ)

বাংলাদেশের ই-কর্মাস ইন্ডাস্টি নিয়ে কিছু বলুন?

বাংলাদেশের ই-কর্মাস ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আমার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। আমি আপনাদের সেটা বলি।আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে বড় বড় কিছু e-commerce বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে। যেমন - Snapdeal। ঐখানে যেই জিনিসটা হয়েছিল। এখানেও একই জিনিসটা হচ্ছে।

আমাদের এখানে বড় বড় কিছু কোম্পানি বিনিয়োগ করবার পরে, আমরা যারা startup কোম্পানি রয়েছি। তাদের বাজেটটা অনেক কম থাকে। বড় কোম্পানি পাগলের মত টাকা ইনভেস্ট করে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। বিজনেস এর কিছু স্ট্রাটেজি আছে। আপনার যদি end of the day কোন লাভ না থাকে, তাহলে সেই ব্যবসাটা sustain করানো খুব কঠিন। যখন কম্পিটিশন টা অসম হয়ে যায়, তখন সেই কম্পিটিশন এ টিকে থাকাটা খুবই কঠিন হয়। আমাদের দেশের e-commerce field এ বর্তমান সময় এ এমন কিছু অসম কম্পিটিশন দেখা যায়। মার্কেট প্লেস ছাড়া, আমাদের মত যারা আছে তাদের অনেক কষ্ট হয়।

মজার আরেকটা বিষয় হচ্ছে, যখন আপনি নিজে ব্যবসা করবেন বলে চিন্তা করেন। তখন আপনি যদি specialist হতে পারেন সেটি শুধু প্রোডাক্ট এ না,  after sale service, customer serviceও support এবং যদি কিছু customer base তৈরি করা যায়, তাহলে ব্যবসা sustain করবার একটা সম্ভাবনা থাকে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থার কথা আমাদের বলুন?

আমাদের বর্তমানে ১৪২৩টা প্রোডাক্ট আছে। maximun প্রোডাক্ট আমাদের showroom এ রাখা আছে। ঢাকার ভিতরে যারা আছে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়। তারা আমাদের শোরুম এসে প্রোডাক্ট গুলো দেখতে পারে। বর্তমানে আমরা নিজেরাই ভিডিও রিভিউ শুরু করেছি।খুবই unprofessional ভাবে। unprofessional ভাবে শুরু করবার ২টা কারণ আছে, একটা হচ্ছে আমাদের কিছু technical সীমাবদ্ধতা আছে।অনেকে আবার অনেক পলিস রিভিউ prefer করে না।

তারা prefer করে in house প্রোডাক্ট রিভিউ। তাদের কাছে এসকল রিভিউ গুলো তখন রিয়েল রিভিউ মনে হয়। অনেক সময় প্রোডাক্ট ততটা ভালো, ছবিতে বোঝা যায় না যতটা ভালো ভিডিওতে বোঝা যায়।আমরা ২৪ঘন্টা সাপোর্ট দেবার চেষ্টা করি। একটা সমস্যা হচ্ছে, মানুষ পড়তে চায় না। প্রোডাক্ট এর দাম দেয়া থাকলেও পড়তে চায় না। রিভিউ দেয়া থাকলেও দেখতে চায় না। আমরা আমাদের মত করে সব ভাবেই সাপোর্ট গুলো দিয়ে থাকি। ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ সব ভাবেই আমরা সাপোর্ট গুলো সবসময় দেবার চেষ্টা করে থাকি।

আপনার প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তো অনেক। আমাদের যেই ১৪২৩টার মত প্রোডাক্ট আছে। সেগুলোর মাঝে ৩ টি থেকে সর্বোচ্চ ১০টার মত প্রোডাক্ট থাকতে পারে বাংলাদেশী। বাকী সব প্রোডাক্টই Chinese, কিছু আছে Korean বা American।
কিছু কিছু টেকনোলজি আছে যেটা খুবই দারুণ প্রজেক্ট, সেটা হয়তো আপনি ঘরে তৈরি করতে পারবেন ছোটখাটো setup দিয়েই। সেই সকল জিনিস ও আমরা চায়না থেকে নিয়ে আসি। একটা নিদিষ্ট সময় পরে, আমরা কিছু যদি প্রোডাক্শন করতে পারি হতে পারে ছোটখাটো charger light, Fan এসব। হয়তো ব্যাটারি চায়না থেকে আসলো, Fan এর body টা আমরা কোন এক plastic production house কে বানিয়ে দিতে বললে সে বানিয়ে দিতে পারবে। এ রকম করেও আমরা কিছু দারুণ দারুণ প্রজেক্ট করতে পারি চাইলে।

আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট থেকে কেন ভালো?

প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটি অনেক ক্ষেত্রে different কিছু হয় না। একই হয়ে থাকে। কিন্তু customer after sales support এবং যখন প্রোডাক্ট কিনছে তখন কি ধরনের support পাচ্ছে, কি ধরনের information পাচ্ছে। এ সব কিছুই অনেক নির্ভর করে থাকে। এছাড়া এডভার্টাইসিং এবং ব্র্যান্ডিংও আছে। অনেকেই অনেক ধরনের e-commerc করে থাকে। আমরা চেষ্টা করি বিশেষ করে after sale support দেবার জন্য।

আমরা চিন্তা করি, আমরা যখন একটা প্রোডাক্ট কিনব এবং জিনিসটা কেনার পরে যদি কোন প্রবলেম হয়, অনেক প্রোডাক্টেই ওয়ারেন্টি থাকেনা, তার পরও আমরা আমাদের নিজস্ব নলেজ দিয়ে সেটা রিকভারি করার চেষ্টা করে থাকি, আমি ছোট বেলা থেকেই ইলেকট্রনিক্স হবিস্ট ছিলাম, তাই ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট বা গ্যাজেট এগুলো যদি নষ্ট হয় বা ধরেন হাত থেকে পরে গেল বা অন্য কোন ভাবে নষ্ট হয়ে গেলে, দেখা যায় রিপেয়ার বা সোল্ডারিং এর দরকার হয়, যেহেতু আমার এর উপর আগে থেকে নলেজ আছে তাই কাস্টমারকে হেল্প করাটা আমার পক্ষে সহজ হয়। এর পাশাপাশি আমাদের যারা টিম মেম্বার আছে তারা মোটামুটি তিন বছর যাবত আমাদের সাথে আছে এবং তারা মোটামুটি আন্তরিক কাস্টমারদের সাপোর্ট দেয়ার জন্য।

ইদানীং আমরা খেয়াল করেছি আমাদের বেশ কিছু রিটার্নিং কাস্টমার আছে যারা রেগুলার বেসিসে আমাদের কাছ থেকে প্রোডাক্ট নিচ্ছে, অর্ডার হিস্ট্রি চেক করলে আমরা দেখতে পারি যে কোন কাস্টমার হয়তো ১০ বার বা ১৫ বার আমাদের থেকে প্রোডাক্ট নিয়েছে, এটা হচ্ছে আমাদের জন্য ৩ বছর পরে একটা এচিভমেন্ট, কারণ রিটার্নিং কাস্টমার ছাড়া একটা প্রতিষ্ঠানের সামনের দিকে আগানোর কোন উপায় নেই, কারণ আপনি সারাজীবন শুধু মাত্র নতুন কাস্টমার গ্রেপ করতে পারবেন না।

আমাদের তরুণদের জন্য কিছু বলুন। যারা আপনার মত এই ব্যবসায় আসতে চায়?

পরামর্শ প্রথমেই একটা যে, সব কথাই শুনবেন কিন্তু সব কথা শুনলেই যে করতে হবে এমন কোন কথা নেই, ই-কমার্স একটা পুরোপুরি এনালেটিকাল একটা বিজনেস, সো এখানে আপনার অনেক ধরনের টুলস ব্যবহার করতে হয় এবং এগুলোর যে এনালেটিকাল রিপোর্ট, সেই রিপোর্ট টাকে আপনার বিচার করার ক্ষমতা থাকতে হবে, অনেক ধরনের সংগঠন বা অনেক ধরনের ফেইসবুকের গ্রুপ আছে এবং অনেক ধরনের মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম হয়, সেখানে স্টার্ট-আপ শুরু করার মানেই হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে ই-কমার্স, এটা খুব ছোট খাট বিজনেস না, নরমাল দোকানদারির সাথে এটার অনেক পার্থক্য আছে।

আপনি একটা দোকানে কিছু প্রোডাক্ট আনলেন, সেটা বিক্রি করলেন, কিন্তু ই-কমার্স এর একটা লাইফ সাইকেল আছে, আপনার প্রোডাক্ট টা নিয়ে আসা, অর্ডার পরা তারপর সেটি ডেলিভারি তে দেওয়া, ডেলিভারির সময় প্রবলেম হলে সাপোর্ট দেয়া, ডেলিভারি না হলে প্রোডাক্ট টা যখন স্টোরে আসে তখন স্টোরিং করা, আর যদি ডেলিভারি হয় তখন কুরিয়ারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে  আসা, এই যে একটা লাইফ সাইকেল এটা একটা বিশাল ব্যাপার, এটাকে আমি শুভঙ্করের ফাকিই বলব, কারণ হচ্ছে আপনার লিকুইড ক্যাশ যখন চলে যাচ্ছে কুরিয়ারের কাছে এবং কুরিয়ারের কাছ থেকে আসছে এর মাঝে ৫ থেকে ৭ দিনের একটা গ্যাপ আছে এবং এই গ্যাপের একটা হিসেব আছে, যদি এই হিসেব আপনি সঠিক ভাবে ক্যালকুলেট না করতে পারেন তাহলে আপনার স্টার্ট-আপ ফেইল করবে, অথবা আপনি বেশ বিপদে পরবেন।

নতুন প্রজন্ম যারা আছে তাদেরকে প্রথমেই বলব আগে এই ব্যাপারে পড়াশোনা করতে হবে, আমাদের দেশের কেস স্টাডি খুবই কম, আমাদের দেশের না হোক ভারত বা পাকিস্তানের কেস স্টাডি পুরোপুরি ফলো না করে, আমাদের দেশের যতটুকু দরকার ফলো করে ভালমতো বুঝে এই বিজনেসে আসেন। এই ব্যবসাটা একটু কিন্তু কঠিন, যতটা মনে হয় সহজ, যে আমি একটা ওয়েব সাইট খুললাম বা ফেইসবুক পেইজে বুস্ট করলাম প্রোডাক্ট বিক্রি হল, কিন্তু এটা কোন Sustainable আইডিয়া না, তাই বলছি আগে কিছু পড়াশুনা করা প্রয়োজন এই বিজনেস শুরু করতে হলে।

টেকটিউনস বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে এক বিশাল অবদান রেখেছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?

টেকটিউনস সম্পর্কে মতামত বলতে, যখন কেউ ছিল না তখন টেকটিউনস ছিল আর এখন অনেকেই আছে কিন্তু টেকটিউনস ঠিক ই আছে, সো কিছু তো আছে টেকটিউনস এর মধ্যে আর না হলে কেন এখনো আছে। নতুন লেআউট সম্পর্কে আমি কিছু কথা বলতে চাই। এটি আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে, একটু স্পিল্ট মনে হয় বাড়াতে হবে টেকটিউনস এ। টেকটিউনস ভিডিও টিউন শুরু করেছে এটি খুব ভাল হয়েছে, অনেক তরুন যারা, যাদের ৫ বছর আগে ১৮ থেকে ২০ বছর ছিল এখন হয়তো তাদের ২৫ বছর তারা যারা টিউটোরিয়াল লেখে বা টিউমেন্ট করে এই প্লাটফর্মে বাংলায় কিছু শুরু করা এটা একটা খুব বড় ব্যাপার। বাংলাদেশে এই ধরনের প্লাটফর্ম খুব কম ছিল, ২০০৭ এ আমাদের একটি ফোরাম ছিল প্রজন্ম ফোরাম, কিন্তু বাংলায় হাতে গোনা যে কয়েকটা ব্লগ ছিল তার মধ্যে টেকটিউনস একটি, টেকটিউনস এখনো আছে এবং আশা করি টেকটিউনস থাকবে, এই যে একটি প্লাটফর্ম কে continue করে নিয়ে যাচ্ছে এই জন্য টেকটিউনস কে ধন্যবাদ দিতে হয়।

টেকটিউনসে এডভারটাইসিং করে আপনি কিভাবে উপকৃত হয়েছেন।

আমি টেকটিউনস এর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছি, আমি মনে করি টেকটিউনস এ ভিজিটর আছে, এখানে certen লেভেলের ভিজিটর যাচ্ছে, তাদের কথা মাথায় রেখে যদি কেউ এডভারটাইসিং করে বা ব্রান্ডিং করে তাহলে ভাল হবে। এখানে যদি কেউ consumer প্রোডাক্ট নিয়ে এডভারটাইসিং করে বা ব্রান্ডিং করে যেটা তরুণরা পছন্দ করে সেই প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে যদি ব্রান্ডিং বা প্রমোশন করে তাহলে তাদের কাছে আসবে বলে আমি মনে করি।

টেকটিউনস সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ আছে?

পরামর্শ বলতে টেকটিউনস এর এখন যে আউটলুক এটি যদি আরও কিছুটা ইউজার ফ্রেন্ডলি করা যায়, এটি রেসপনসিভ ঠিক আছে। টেকটিউনস এর আ্যাপটা যদি একই ভাবে চলে আসে তাহলে আমরা যা বলি যে মোবাইল থেকে একরকম আর পিসি থেকে অন্যরকম এ ধরনের কনফিউশন দুর হবে। আর আ্যাপটা থাকলে আমাদের সুবিধা হবে, কারণ অনেক সময় দেখা যায় ব্রাউজ করার সময় হয় না আর আ্যাপটা থাকলে যদি নটিফিকেশন দেয়া থাকে তাহলে আমাদের কে জানানো যাবে যে আজকে ১০ টি নতুন টিউন এসেছে আর তখন এগুলো আমরা দেখে নিতে পারবো।

Level 9

আমি টেকটিউনস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 131 টি টিউন ও 2929 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 530 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1590 টিউনারকে ফলো করি।

মেতে উঠুন প্রযুক্তির সুরে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস