আসসালামু আলাইকুম টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভাল আছেন। বরাবরেই মত আজকেও চলে এসেছি নতুন টিউন নিয়ে।
শৈশবের দিন গুলোতে প্রযুক্তি কেমন ছিল হয়তো আপনার স্পষ্ট মনে আছে। আমরা প্রথম অভিজ্ঞতা লাভ করেছি Nintendo এর গেম কনসোল এবং টুলবক্সের মত মোবাইল ফোনের সাথে। এখন ইমেইল সেন্ড হতে দেরি হলে আর কখনো কখনো কল ড্রপ করলে রেগে যাই অথচ একটা সময় ছিল যখন গ্রামে গাছের উপর উঠে সাধারণ ফোন কল করা লাগতো। সেই দিন গুলো থেকে 5G! প্রযুক্তি রাতারাতি বদলে যায় নি লেগেছে অনেক সময় এবং অনেক পরিশ্রম।
আজকে আমি ফিরে যাব শৈশবের সেই দিন গুলোতে, আলোচনা করব সেই প্রযুক্তি গুলো নিয়ে যেগুলো এক সময় আমাদের ফেসিনেশন কাজ করতো বিভিন্ন কারণে এখনো করে।
বর্তমানে সেই প্রযুক্তি গুলো থেকে আরও ভাল প্রযুক্তি এসেছে তবে আজকের এই প্রযুক্তি গুলোর পেছনে সেই প্রযুক্তি গুলোই ছিল
বর্তমান iPods বা পোর্টেবল মিউজিক ডিভাইস গুলোকে পূর্বসূরি ছিল Walkman বা Discman। এই Walkman প্রযুক্তি ৩৫ বছরও ছিলো না মানুষের মধ্যে।
Walkman TPS-L2 ছিল বিশ্বের প্রথম ক্যাসেট প্লেয়ার হিসাবে পোর্টেবল মিউজিক প্লেয়ার। ১৯৭৯ সালে এটা উদ্ভাবনের পর থেকে Sony বিশ্বব্যাপী ২২০ মিলিয়নের উপরে ইউনিট বিক্রি করেছে। প্রথম দিকে Sony আশা করেছিল প্রতি মাসে ৫০০০ ইউনিট বিক্রি হবে কিন্তু প্রথম দুই মাসেই ৫০, ০০০ ইউনিক বিক্রি হয়।
তবে সেই সময় আকাশছোঁয়া এই সেলকে আশ্চর্যজনক ভাবারও কিছু নাই। এর বড় কারণ ছিল এমন ডিভাইস মানুষ প্রথমবারের মত দেখেছিল, প্রথমবারের মত হাটতে চলতে গান শুনার সুবিধা পেয়েছিল গানপ্রিয় মানুষেরা। মিউজিক ঘরের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে বাসে ট্রেনের বোরিং ভ্রমণেও সঙ্গী হয়েছিল। ১৯৮০ শতকের দিকে এটি ছিল বেশ জনপ্রিয় একটি ডিভাইস, ১৯৮৬ সালে অফিসিয়াল ভাবে Walkman শব্দটি ডিকশনারিতে জায়গা করে নেয়।
Walkman এর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিল Discman। যখন আশির দশকে CD জনপ্রিয়তা পায় তখন Sony তাদের D-50 পোর্টেবল Compact Disc (CD) প্লেয়ার বাজারে নিয়ে আসে। এতে করে ভাল কোয়ালিটির মিউজিক অভিজ্ঞতা পাওয়ার সুযোগ হয়, গান স্কিপ করার সুযোগ আসে। ১৯৯৯ পর্যন্ত এটি ১০ মিলিয়ন বিক্রির রেকর্ড তৈরি করে।
ফিজিক্যাল স্টোরেজ অডিও ডিভাইস থেকে MP3 দিকে শিফট শুরু হয় ১৯৯৭ সাল থেকে। তখন SaeHan Information Systems বাজারে নিয়ে আসে MPMan নামে MP3 প্লেয়ার ডিভাইস। এটা ইউজারকে সহজে আরও অনেক বেশি মিউজিক এর সুযোগ করে দেয়। ২০১৩ সালে iPod চলে আসলে Walkman ডিসকন্টিউ হয়ে যায়।
VHS প্রায় ৩৫ বছর মানুষের গৃহস্থালির আসবাবপত্রের মত ছিল। মানুষের কাছে এটি VCR বলে বেশি পরিচিত ছিল। তখন VCR প্রোগ্রাম করা বেশ জটিল কাজ ছিল।
আপনি হয়তো Videotape Format War এর কথা শুনে থাকবেন। এটি মূলত ভিডিও হোম সিস্টেম ডিভাইস গুলোর মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে নির্দেশ করে। প্রথম দিকে জাপানি ইউজারদের জন্য JVC, Sony Corporation এবং Matsushita Electric (Panasonic) হোম ভিডিও সলিউশন তৈরি শুরু করে। এক সময় তারা আলাদা হয়ে JVC, ডেভেলপ করে VHS (1973) এবং Sony ডেভেলপ করে Betamax (1975)।
১৯৮০ সালে Videocassette Recorder বা VCR এর জন্য VHS এবং Betamax formats, ১০ মিলিয়ন এর মত বিক্রি হয়। ৮ বছর পর VHS প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউনিট ছাড়িয়ে যায় সেখানে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত Betamax ২৫ মিলিয়নে আটকে থাকে। VHS ঘর থেকে শুরু করে সিনেমা হল গুলোতে পর্যন্ত ব্যবহৃত হওয়া শুরু করে।
VHS প্রযুক্তির পতন শুরু হয় যখন বাজারে ১৯৯৩ সালে VCD এবং ১৯৯৬ সালে DVD আসে। এরপরেও বিভিন্ন ম্যানুফেকচাররা DVD+VHS ইউনিট তৈরি করে। ফাইনালি ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে VHS পুরোপুরি ডিসকন্টিনিউ করা হয়।
সর্বশেষ ২০০৫ সালে হলিউডের VHS এ সিনেমা (A History of Violence), রিলিজ হয়। যদিও এখনো অনেক জায়গায় VHS এর ব্ল্যাংক ট্যাপও বিক্রি হয় এবং অনেক বাসায় আগের দিনের ট্যাপ গুলো আছে। ,
CD এবং DVD তে ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হচ্ছে লেজার ডিস্ক প্রযুক্তি। যার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ২৩ বছর। প্রথমবারের মত এই প্রযুক্তির DiscoVision বাজারজাতকরণ করা হয় ১৯৭৮ সালে, MCA তৈরি করে। প্রথম LD প্লেয়ার তৈরি করে Phillip। LD প্রযুক্তি আগের VHS থেকে অনেক ভাল মানের অডিও এবং ভিডিও দিতে সমর্থ হয়। প্রতিটি লেজার ডিস্কের ব্যাস ছিল ৩০ সেমি যেখানে বর্তমান সময়ের DVD গুলো ১২ সেমি, এবং MiniDVD গুলো ৮ সেমি।
সেই সময় যখন লেজার ডিস্কের জনপ্রিয়তা কিছুটা বৃদ্ধি পায় তখন এটি কেনার বদলে ভাড়া দেয়া হতো দাম পড়তো ১০০ ডলারের মত। লেজার ডিস্ক ২০০১ পর্যন্ত ছিল শেষ মুভি ছিল ‘The Cell’। ২০০৯ সালে LD প্লেয়ারের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয় কিন্তু মানুষের মনে ছিল আরও উন্নত মানের অডিও ও ভিডিও কোয়ালিটির কোন কিছু।
চলুন গেমিং এর ক্ষেত্রে কিছু কিছু ইতিহাস সৃষ্টি করা ডিভাইস সম্পর্কে জেনে নিই,
১৯৮৩ সালে জাপানে Nintendo Entertainment System (NES) রিলিজ হলেও যুক্তরাষ্ট্রে রিলিজ হয় ১৯৮৫ সালে। সেই সময়ে এটাকে বেস্ট সেলিং কনসোল হিসেবে ধরা হয়, ১৯৯৫ সালের শেষে ৬০ মিলিয়নের উপরে ইউনিট সেল হয়েছিল।
8-bit এর এই ভিডিও গেম কনসোলটি প্রথম রিলিজের সাথে সাথে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এশিয়ান মার্কেটে এই কনসোলটি পরিচিত ছিল ‘Family Computer’ অথবা ‘Famicom’, নামে। South Korea তে এটি ইউজারদের কাছে ‘Hyundai Comboy’ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৪ Nitendo শুধু মাত্র জাপানিজ মার্কেটেই ২.৫ মিলিয়ন ইউনিক Famicom সেল করে।
NES ১৯৮৮ সালে Super Mario Bros. 3 ডেভেলপ করে যা আমেরিকার মার্কেটে ৭ মিলিয়ন কপি সেল করে এবং জাপান মার্কেটে ৪ মিলিয়ন করে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি গ্রোস করে। সেই সময় সিঙ্গেল হোম ভিডিও গেম হিসেবে এটি হিস্ট্রি তৈরি করেছিল।
এছাড়া আরও কিছু কনসোন আসে বাজারে। ১৯৯০ শতকে নেক্সট জেনারেশন ১৬ বিট কনসোল যেমন, Sega Genesis এবং Nintendo এর Super Nintendo Entertainment System ছিল জনপ্রিয়।
এটি অবিশ্বাস্য ভাবে NES এর জায়গা নিয়ে নিয়েছিল, এটি ভিডিও গেমে নতুন স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে তাদের কন্ট্রোল এখনো জনপ্রিয় যা এখনকার Xbox এবং Sony PlayStation এর মত কনসোল গুলোতেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
১৯৮০ এর দশকের প্রথম দিকে ভিডিও গেম ক্র্যাশ এর পর NES প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের উভয়ের জন্য গেম ডেভেলপ করার আগ্রহ ফিরে পায় যা মাত্র পাঁচ বছরে ভিডিও গেমকে মাল্টি-বিলিয়ন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করে।
১৯৮১ সালে বিশ্বে আগমন ঘটে IBM পারসোনাল কম্পিউটারের। বিভিন্ন ফিচারের জন্য এটি ছিল ট্রু কম্পিউটার যা এখনো পিসি গুলো ফলো করে। ১৯৮৭ সালে IMB পিসির লাইনআপ বন্ধ হয়ে যায়।
এটার প্রভাব বেশ সুদূরপ্রসারী ছিল বিভিন্ন কম্পিউটার কোম্পানিও IBM কম্প্যাটিবল ডেভেলপ করে। এই ক্লোন গুলো IBM এরই কী ফিচার গুলো দিয়ে তৈরি করা। তৈরি হয় PC-DOS এর মত আরেকটা OS, MS OS। এখানে উল্লেখ্য PC-DOS হচ্ছে IBM এর অপারেটিং সিস্টেম।
সেই সব ক্লোন গুলোতে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার কম্প্যাটিবিলিটি ইস্যু ছিল। তবে একটা ক্লোন এ ক্ষেত্রে সফল ছিল সেটা ছিল Compaq Portable। এটি শুধু মাত্র IBM কম্পিউটারের ১০০% কম্প্যাটিবিলিটি ছিল না একই সাথে পোর্টেবল সাইজ অফার করেছিল যা আবার IBM অফার করতে পারে নি।
আপনি হয়তো ডায়েল আপ ইন্টারনেটের কথা শুনে থাকবেন। পাবলিক ভাবে ডায়েল আপ চালু হয় ১৯৮৯ সালে। তখনকার সময় এটা সেরা ছিল কারণ আমরা যেভাবেই হোক কানেক্ট হবার সুযোগ পেয়েছিলাম অন্যদিকে স্পিড এর দিকে চিন্তা করলে খারাপ সময় ছিল। তবে যেখানে থেকে World Wide Web (WWW) এর উৎপত্তি সেটাকে ছোট করে দেখার কিছু নাই অবশ্য।
গত এক দশকে, আমরা ডায়াল-আপ ইন্টারনেট অ্যাক্সেস দেখেছি, মডেম স্পিড ২৮.৮k থেকে শুরু করে ৫৬k পর্যন্ত থাকলেও এখন সেটা ব্রডব্যান্ড দ্বারা রিপ্লেস হয়েছে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছে 60.39 Mbps এবং সুইডেনে 46 Mbps ইন্টারনেট কানেকশন। অন্যদিকে Google Fiber এটিকে 1000 Mbps পর্যন্ত নিয়ে যাবার প্ল্যান করছে।
এখন আমরা ৪ জিবি পেন্ড্রাইভ ফুল হলে হতাশ হয়ে যাই অথচ এটা সময় আমরা ৩ এম্বি এরও কম ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করেছি। এখনকার সময় পিসি গুলোতে এই ডিস্ক-ড্রাইভ দেখাই যায় না।
USB ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক, CD/DVD স্টোরেজ, আসার আগে আমরা কম্পিউটারের ডকুমেন্ট রাখার জন্য Floppy Diskettes ব্যবহার করতাম। প্রথম floppy diskettes বাজারে আসে ১৯৭১ সালে যার ব্যাস ছিল ৮ ইঞ্চি। এর পর এর সাইজ কমতে কমতে ১৯৭৬ সালে ৫.২৫ ইঞ্চি (Shugart Associates) এবং ১৯৮২ সালে ৩.৫ ইঞ্চিতে (IBM)।
Floppy Diskettes আরও বেশি কম্প্যাক্ট হবার সাথে সাথে 80KB থেকে 2.88MB সাইজে পৌছায়। লিমিট সাইজ হবার পরেও ফাইল ট্রান্সফারের অন্যতম মাধ্যম হতে এটিকে কেউ আটকাতে পারে নি। ১৯৯৭ সালে ৫ বিলিয়নের বেশি 3.5” Floppy Diskettes ব্যবহৃত হচ্ছিল। এমনকি অনেক পারসোনাল কম্পিউটারের সাথেও ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ দিয়ে দেয়া হত।
আস্তে আস্তে স্টোরেজের প্রয়োজন বাড়ার সাথে, ১৯৯৪ সালে Lomega Zip Drive, ১৯৮৮ সালে রেকর্ডেবল CD (CD-R), ১৯৯৭ সালে আসে Rewritable CD (CD-RW) যে গুলোর স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ছিল ফ্লপি ডিস্ক থেকে অনেক বেশি। তখনো ভারত এবং জাপানের মত দেশ গুলোতে মিলিয়নের বেশি ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহৃত হয়েছে। ফাইনালি ২০০৯ সালে Sony এর প্রোডাকশন বন্ধ করে দেয়।
আপনি অবশ্যই বিটিভিতে আলিফ লাইলা বা সাদাকালো যুগে ইত্যাদি দেখে থাকবেন। সেই সময়কার টিভি গুলো মূলত CATHODE RAY TUBE (CRT) স্ক্রিন। কম্পিউটার বা টিভি দুই জায়গাতেই এই স্ক্রিন ব্যবহৃত হত। ২০০০ সালের পর LCD আসার আগে CRT মনিটরই বিনোদনের অন্যতম উৎস।
CRT টেকনোলজি এসেছিল ১৮৯৭ সালে যখন প্রথম Cathode Ray Tube তৈরি করা হয়। আশির দশকে এটি কম্পিউটারে ব্যবহৃত হতে থাকে ১৯৩০ এর দশকে এটি টিভি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এর আগে এটি ভিডিও ডিসপ্লে টার্মিনাল হিসেবে পরিচিত ছিল, আশির দশকে ৪ থেকে ১৬ টির মত কালার ছিল এতে।
৯০ এর দশক থেকে আস্তে আস্তে LCD মনিটর আসা শুরু করে প্রথমে ল্যাপটপের স্ক্রিন এবং পরবর্তীতে আলাদা LCD মনিটর ইউজারদের জন্য বাজারে আসে। এতে করে মনিটরের আকারও ছোট হয়ে আসে এবং হাই রেজুলেশন ভিডিও অভিজ্ঞতা এবং এনার্জি ব্যবহারও কমে আসে। আস্তে আস্তে এটি ৫০ ইঞ্চি পর্যন্ত টিভি স্ক্রিন তৈরিতে সমর্থ হয়।
গত বছর ভারতে শিপ হয়েছে ১০ মিলিয়ন LCD টিভি এবং ৯.৩ মিলিয়ন CRT টিভি। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে ৮৪.২% LCD টিভি এবং ৯.৯% CRT টিভি রয়েছে। LCD টিভি জনপ্রিয়তা পেলেও CRT টিভি একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে না কারণ সাইন্টিফিক বিভিন্ন কাজে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে CRT মনিটর এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্রেন নিয়ে স্ট্যাডি যেসব জায়গায় রেসপন্স স্পিড খুব বেশি দরকার সেখানে CRT মনিটর বেশি উপযুক্ত।
ক্যামেরা ফোন বা DSLR বের হবার আগে ছবি তুলতে ব্যবহৃত ছিল ফিল্মের কার্তুজ ক্যামেরা। শেষ Instamatic ক্যামেরা রিলিজ করা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে সেটি ছিল X-15F মডেলের ক্যামেরা। পরবর্তীতে ১২৬ এবং ১১০ ফিল্ম ফরমেট ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে ডিসকন্টিনিউ করা হয়।
প্রথম Instamatic ক্যামেরায় ছিল অটোমেটিক ফিল্ম লোডিং ফিচার। পুরনো এবং বড় ক্যামেরা গুলোতে বেশির ভাগ 126 ফিল্ম ফর্মেট ব্যবহৃত হতো। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ৫০ মিলিয়নের বেশি ফিল্ম কপি বিক্রি হয়। লাইটওয়েট এবং কম্পেক্ট ডিজাইনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হতো ১১০ ফরমেট। প্রথম তিন বছরে ২৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না Kodak এর কার্তুজ ফিল্ম উদ্ভাবন এবং Instamatics ক্যামেরা সেই সময় গুলোতে ক্যামেরা গুলোকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল এবং ডিজিটাল ক্যামেরা এসে সেটাকে কেড়ে নেয়। ৯০ দশকে Kodak তাদের বেশির ভাগ ফিল্ম ডিসকন্টিনিউ করে দেয়, ২০০৯ শেষ বারের মত কোডাক্রোম ফিল্ম ক্যামেরা রোল হয়।
প্রথম দিকের কম্পিউটার প্রিন্টিং এ ব্যবহৃত হত ডট মেট্রিক্স প্রিন্টিং অথবা ইমপ্যাক্ট মেট্রিক্স প্রিন্টিং যা ১৯৭০ সালে আসে। ১৯৯০ এর মাঝামাঝি এটি চলে যায় এবং জায়গা করে নেয় Inkjet প্রিন্টার।
বিশ্বের প্রথম ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার প্রতি সেকেন্ডে ৩০ এটি ক্যারেক্টার প্রিন্ট করতে পারতো। ১৯৯০ এর আগে লেজার প্রিন্টার বা Inkjet প্রিন্টার থেকে ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারই হোম কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হতো।
আমরা জানি প্রিন্টার মূলত টাইপ রাইটারের মত কাজ করে। প্রিন্টিং এ ম্যাকানিজম হচ্ছে নির্দিষ্ট ক্যারেক্টারের নির্দিষ্ট ফ্রেম থাকবে সেটা পেপারে বা কাপড়ে ছাপ তৈরি করবে। ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার কেবল মাত্র নির্দিষ্ট লেটার ফিক্সড করে প্রিন্টই নয় একই সাথে বিভিন্ন গ্রাফিক্স ফন্ট প্রডিউস করতে পারে।
প্রয়োজনীয় পেটেন্টে মেয়াদ শেষ হলে এবং বাজারে ইনজেক্ট টেকনোলজি চলে আসলে ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে থাকে। দ্রুত প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রেও এটি পিছিয়ে থাকে। তবে এখনো পয়েন্ট অফ সেল ডিভাইস, ক্যাশ রেজিস্টার, এবং ATM মেশিনের ক্ষেত্রে ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার দেখতে পাই। যাই হোক ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারের প্রসারে ফলে এখন বাসা বাড়ি অফিসে কম্পিউটারে তাৎক্ষণিক প্রিন্ট করতে পারছি।
এখন হয়তো বা আমাদের বিনোদন ক্ষেত্রে অন্য অত্যাধুনিক গ্যাজেট এসেছে কিন্তু শৈশবের সেই ডিভাইস গুলো এখনো আমাদের স্মৃতি-কাতর করে তুলে। তাই এখনো অনেকের ঘরেই পাওয়া যায় পুরনো দিনের সেই ডিভাইস গুলো।
তো আজকে এই পর্যন্তই পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 627 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।