আসসালামুয়ালাইকুম সবাই। বর্তমান পৃথিবীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে পরেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা যেন ব্যস্ত হয়ে উঠি SOCIAL MEDIA চেক করার জন্য। হ্যাঁ, এটা সত্যি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদেরকে নানা ভাবে উপকৃত করছে। যেমন, আমাদের কে খুবই সহজ ভাবে দুরের কারো সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। অনেক ভাবে আমাদের বিনোদনও দিচ্ছে। সুযোগ থাকছে ছবি টিউন করার, ভিডিও আপলোড করার, সবার মাঝে আমাদের অনুভুতি শেয়ার করার। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আমরা উপার্জনও করতে পারি। যেমন ; এইযে টেকটিউনস এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
কিন্তু শুধুই কি আমরা উপকৃতই হচ্ছি? না। আমরা শুধুই উপকৃত হচ্ছি না। দেখা যাচ্ছে এইসব সামাজিক মাধ্যম আমাদের অজান্তেই নানা ধরনের ক্ষতি করে যাচ্ছে।
গবেষকরা বিভিন্ন গবেষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক ক্ষতির দিক সম্পর্কে জানিয়েছেন।
প্রথমত, এইসব social media মানুষের depression এর মূল কারণ। social media তে এমন অনেক টিউন করা হয় যা আমাদেরকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কষ্ট দেয়। মনে রাখবেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশিরভাগ জিনিসই মিথ্যা হয়। কিন্তু আমরা সহজেই সেইসব এ বিশ্বাস করে ফেলি। আবার এমন অনেক কিছুই আছে যা আমাদের ক হতাশ করে। যেমন ; আমরা জানি সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ নিজেদেরকে প্রকাশ করার চেষ্টা করে। তারা তাদের প্রতিভাগুলো এইখানে প্রকাশ করে। এমনকি কেও কোথাও বেড়াতে গেলে, কোন দামি রেস্টুরেন্ট এ গেলে তার ছবি আপলোড দিতে ভুলে না। কিন্তু দেখা যায় এই বিষয় টাই আপানার মধ্যে এক ধরনের খারাপ লাগার অনুভুতি সৃষ্টি করে। আপনার মনে হয় "যদি আপনিও এমন কিছু করতে পারতেন!" মনে রাখবেন, নিজেদের সুখ বাস্তবেই খোঁজার চেষ্টা করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে আসল আনন্দ পাওয়া যায় না।
এরপরে, কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এসব সোশ্যাল মিডিয়া আপনাকে ভুল খবর দিয়ে বিভ্রান্ত করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বর্তমানে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারক এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রোফাইল হ্যাক ও হচ্ছে। আবার আর্থিক ভাবেও অনেকে খতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এরপর আসি, শারীরিক ক্ষতির দিকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হল এক ধরনের নেশার মতো। মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পিছে সময় নষ্ট করে। একটানা মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর জন্য সময় নষ্ট করার ফলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। যেমন; কোমর এ সমস্যা, আঙ্গুল এ সমস্যা, হাতে সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি।
University of Michigan এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মানুষ যত বেশি ফেসবুক ব্যবহার করে, তত বেশি মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগে।
এখন প্রশ্ন হল, এরকম সমস্যা থেকে মুক্তি কিভাবে পাওয়া যাবে?
প্রথমত খেয়াল রাখতে হবে, আপনি কি আসক্ত হয়ে পরেছেন নাকি। কিভাবে বুঝবেন আপনি আসক্ত কিনা? দেখবেন, আপানার আশে পাশের মানুষ কি আপনার মূল্যবান সময় হতে বঞ্চিত হচ্ছে নাকি? যদি দেখেন আপনি আপনার মোবাইল এ সময় বেশি নষ্ট করছেন, আপানার কাছের মানুষ কে আপনি সময় দিতে পারছেন না, তাহলে আপনি আসক্ত। এমন হলে চেষ্টা করুন যাতে পরিবার এর সাথে, বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। প্রয়োজনে তাদের নিয়ে ঘুরতে যান। কিন্তু উদ্দেশ্যটা যাতে হয় সময় কাটানোর। সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি না দাওয়ার।
যদি আপনি শারীরিক শমসশায় ভুগছেন তবে একেবারেই এইসব বন্ধ করে দিন। প্রয়োজনে ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহন করুন।
আপনার সামাজিক মাধ্যমের কোন বন্ধুর দ্বারা যদি আপনি হতাশা অনুভব করেন তাহলে তাকে এড়িয়ে চলুন।
আজকের লিখাটি এইখানেই শেষ করছি। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। চেষ্টা করবো পরবর্তীতে আরও ভালো কিছু লিখার। এইখানেই শেষ করছি তাহলে। ধন্যবাদ।
আমি সামিয়া মেহেজাবিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।