আমাদেরকে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের যেকোন একটি ব্রাউজারের প্রয়োজন হয়। আমরা যখন কোন একটি ব্রাউজার ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করি, তখন কিন্তু সেখানে হিস্টরি গুলো জমা হতে থাকে। এক্ষেত্রে আমরা যে সকল ওয়েবসাইট গুলোতে ভিজিট করি, সে সমস্ত ওয়েবসাইট বা পেজগুলোর URL ব্রাউজারে সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে। আর পরবর্তীতে আমরা চাইলেই যেকোন সময় সেই History থেকে আমাদের ওয়েবসাইটের ভিজিট করা পেজটিতে যেতে পারি।
যাই হোক, একটি ব্রাউজার ব্যবহার করে প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করা এবং সে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোর ইউআরএল ব্রাউজারে সংরক্ষিত অবস্থায় থাকা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। আমরা কিন্তু চাইলেই যেকোন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নিয়ে তার ব্রাউজারের সেটিং থেকে তার ইন্টারনেট ব্যবহার করার History গুলো জেনে নিতে পারি। আমরা চাইলেই আমাদের ব্রাউজার এর সেটিং থেকে সে সমস্ত হিস্টরি গুলো ডিলিট করেও দিতে পারি।
এবার, আপনাদের মাথায় কি কখনো এই প্রশ্ন এসেছে, আমাদের ব্রাউজার থেকে History গুলো ডিলিট করে দেওয়ার পরও কি আমাদের ব্যবহারের History গুলো সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে? আর, আজকের এই টিউনটির মূল আলোচনা হবে ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টিং নিয়ে। আপনি আপনার Browser ব্যবহার করে যে কাজগুলো করেন, সেগুলো কীভাবে সংরক্ষিত হয়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব আজকের এই টিউনটিতে।
মার্কেটরেরা কোন একজন ব্যবহারকারীর অ্যাক্টিভিটি গুলো ট্র্যাক করার জন্য মূলত ইন্টারনেট জুড়ে ব্রাউজিং ফিঙ্গারপ্রিন্ট গুলো ব্যবহার করতে পারে। এটি তাদের একটি গোপন অনুশীলন।
একজন মানুষের আঙ্গুলের ছাপ যেমন সেই ব্যক্তির একটি ইউনিক মানবিক পরিচয় প্রকাশ করে, ঠিক তেমনি ভাবে একটি ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্ট একজন ব্যক্তির অনলাইনের আচরণ সম্পর্কিত অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গুলো প্রকাশ করে। Browser fingerprinting হল এমন একটি পদ্ধতি, যেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি ব্যক্তির অ্যাক্টিভিটি গুলো ট্রেস করতে এবং তাকে সনাক্ত করতে ব্যবহার হয়।
কিন্তু, আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টিং পরিচালনার পদ্ধতি গুলো কী কী? আমরা কী কোন ভাবে জানতে পারি যে, আমরা ইন্টারনেটে কতটা ট্র্যাকিং এর শিকার হতে পারি? আর ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় আমাদের কি কোনভাবে এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় আছে? চলুন, এসব বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
আমরা এটি প্রায় সবাই জানি যে, ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অনেক কয়ভাবে ট্র্যাকিং করা হয়। এসব উপায় গুলোর মধ্যে যেমন ব্রাউজিং কুকিজ এর মাধ্যমে Tracking, বিভিন্ন বৈধ স্ক্রিপ্ট এর এর মাধ্যমে Tracking ইত্যাদি। এর মধ্যে যেমন: Google analytics এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর গুলোর Activity গুলো ট্র্যাক করতে পারি। যাইহোক, ইন্টারনেটে এসব ট্র্যাকিং গুলো একটি সিম্পল প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে, ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে করা Tracking টি কুকি-ভিত্তিক ট্র্যাকিংয়ের চাইতেও বেশি আক্রমণাত্মক। এমনকি এটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন কেও বাইপাস করতে পারে।
Browser fingerprinting এর মাধ্যমে সেই ব্যবহারকারীর ডিভাইসের মডেল, Browser version, Operating system, Browser extensions, সেই ব্যবহারকারীর Time zone, তার Languages settings, সে কোন Ads blocker ব্যবহার করছে কিনা, তার ডিভাইসের Screen size এবং Screen Resolution ইত্যাদি সনাক্ত করা যায়। এমনকি এই প্রক্রিয়ায় সেই ব্যবহারকারী তার কম্পিউটারে বা স্মার্টফোনে কোন ধরনের সিপিইউ ব্যবহার করছে, সেই প্রযুক্তি সম্পর্কে ও তথ্য পাওয়া যায়।
আর এসব তথ্য গুলোর মাধ্যমে ইন্টারনেটের বিশাল ব্যবহারকারীদের মধ্যে থেকে কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর পরিচয় খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়।
ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টের এই বিষয়টি ডিভাইস ফিঙ্গারপ্রিন্ট নামেও পরিচিত। এটি মূলত এক ধরনের Invisible প্রক্রিয়া। এটি হল এক ধরনের ডেটা সংগ্রহের কৌশল, যা কোন একজন ব্যবহারকারী ডিভাইসের ইউনিক বৈশিষ্ট্যগুলো শনাক্ত এবং সংগ্রহ করে। আর এসব Revealed attributes গুলোর সংমিশ্রণ ব্যবহার করে কোন একজন ব্যবহারকারীকে খুব সহজেই সনাক্ত করা যায়। ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার হলো, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা কোন একজন অপরাধীকে সনাক্ত করার ক্ষেত্রে।
এছাড়াও, এই পদ্ধতি অনেক মার্কেটার এবং ডেটা ব্রোকারেরা ও ব্যবহার করে। এখানে নিচে কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো, যেগুলো বিভিন্ন মার্কেটার এবং ডেটা ব্রোকাররা ব্যবহার করে থাকে।
এটি হলো HTML5 এ লেখা কোড। এই কোডটির মাধ্যমে কোন একটি ওয়েব পেজের গ্রাফিক্স, Generates data; যেমন Font size এবং সেই ওয়েব পেজে একটিভ Background color সংগ্রহ করা হয়। ক্যানভাস ফিঙ্গারপ্রিন্ট হলো, অনলাইনে ব্যবহারকারীদের অ্যাক্টিভিটি গুলো ট্র্যাক করার জন্য অনেকগুলো ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টিং কৌশল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কৌশল। এটি ব্রাউজারে কুকিজ বা অন্যান্য উপাদান গুলো ব্যতীত শুধুমাত্র HTML5 Canvas Element ব্যবহার করে কোন একজন ভিজিটরকে সনাক্ত করতে বা ট্র্যাক করতে পারে।
ওয়েব অ্যাপ গুলো বা ওয়েবসাইট গুলো জাভাস্ক্রিপ্ট কোড এর মাধ্যমেও ব্যবহারকারীর ডাটা সংগ্রহ করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ডিভাইসটির Local language, Media Access Control বা (MAC) address, এবং Screen brightness এর তথ্য নিয়ে থাকে।
সেই ডিভাইসটি কীভাবে সাউন্ড প্লে করে তা পরীক্ষা করার জন্য এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। Audio Fingerprinting এর বিষয়টি আমরা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং Shazam এর মত মিউজিক অনুসন্ধানকারী অ্যাপ গুলোতে দেখতে পাই। এই পদ্ধতিতে কোন একটি শব্দের Audio Buffer, Oscillator, বা Compressor চিহ্নিত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করা যেতে পারে।
একটি JavaScript Application Programming (API), WebGL on-screen graphics এবং Image রেন্ডার করে। এটি একটি ডিভাইসের গ্রাফিক্স সিস্টেমের তথ্য পাবার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
বেশিরভাগ লোকেরাই Cookies Tracking এর সাথে ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্ট কে মিশিয়ে বিভ্রান্ত করে ফেলে। যদিও ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে Cookies আপনাকে অনলাইনে ট্র্যাক করে, এবং এটির মাধ্যমে কোন ব্যক্তির অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। অর্থাৎ, আপনি যদি কোন একটি ওয়েবসাইটে গিয়ে কুকি সংগ্রহের জন্য অনুমতি দেন, তবেই তারা আপনার ব্রাউজিং কুকিজ গুলো সংগ্রহ করবে।
কিন্তু, অন্যদিকে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্টিং কোন অনুমতি ছাড়াই আপনার ডিভাইসের পর্দার আড়ালে ঘটে থাকে। অর্থাৎ, কুকিজ এর মত এই ক্ষেত্রে আপনার থেকে অনুমতি চাওয়া হয় না। Fingerprint এর জন্য ব্যবহৃত স্ক্রিপ্ট গুলো, ওয়েবসাইটের ফাংশন তৈরি করতে ব্যবহৃত অন্যান্য স্ক্রিপ্ট গুলোর থেকে বেশ আলাদা।
আপনি চাইলে আপনার কুকিজ মুছে ফেলতে পারেন। কিন্তু, আপনার ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্ট মুছে ফেলার কোন উপায় নেই। আপনি যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করার শুরু করেন, তখন ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপনাকে ওয়েবে ফলো করতে থাকে এবং আপনি যখনই সাইটগুলোতে ভিজিট করেন, তখন সে ওয়েবসাইটগুলো আপনার আইডেন্টেকটিউনস প্রকাশ করে।
আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় অনেক ভাবেই ট্র্যাকিং এর শিকার হতে পারেন। আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় ওয়েবে কতটা শনাক্ত যোগ্য তা দেখার জন্য Browser fingerprinting checker গুলি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এখানে নিচে আমি এরকম কয়েকটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করছি, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি এটি চেক করতে পারেন যে, আপনার ডিভাইস থেকে কতটা পরিমাণ তথ্য ট্র্যাক করা হচ্ছে।
এখানে কয়েকটি জনপ্রিয় ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টিং Checker এর তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
আপনি যদি এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে আপনি আপনার ডিভাইস সম্পর্কিত অনেক তথ্য দেখতে পাবেন। এটি একটি সাধারণ ওয়েবসাইট, যা আপনাকে আপনার সিস্টেম সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য গুলোর একটি Snapshot প্রদান করবে। আর এটিকে আপনি আপনার ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টের একটি স্ন্যাপশট হিসেবে ও ভাবতে পারেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Device Info
Am I Unique হলো একটি ওপেন সোর্স ভিত্তিক চেকার, যেটির মাধ্যমে আপনি এটি পরীক্ষা করতে পারেন যে, আপনি অনলাইনে কতটা সনাক্ত যোগ্য। আর এই সাইটটির ডেভেলপারদের ভালো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ডিজাইন করতে সাহায্য করার জন্য ডেটা সরবরাহ করে।
আপনি যদি আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট চেক করতে চান, তাহলে আপনি Simply হোম পেজে যান এবং তারপর View my browser fingerprint অপশনটিতে ক্লিক করুন। তবে, আপনি মনে রাখবেন যে, তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট টি সংগ্রহ করবে এবং তাদের কাজে বা মিশনে সহযোগিতা করার জন্য চার মাসের জন্য আপনার ব্রাউজারে একটি কুকি রাখবে।
এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারীদের তাদের Browser fingerprint ডাউনলোড করতে দেয়। এমনকি এটি ব্যবহারকারীদের Fingerprint গুলো ট্র্যাক করার জন্য ক্রোম এক্সটেনশন ও ব্যবহার করতে দেয়।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Am I Unique
ডিজিটাল প্রাইভেসি নিয়ে কাজ করা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান Electronic Frontier Foundation দ্বারা এই ওয়েবসাইটটি পরিচালিত। এই বিনামূল্যের সার্ভিসটির মাধ্যমে কোন একজন ব্যবহারকারী তার ব্রাউজার গুলোকে পরীক্ষা করতে পারে যে, সেসব ব্রাউজারগুলো ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ট্র্যাকিং থেকে কতটা সুরক্ষিত। আপনি এই অনলাইন টুলটির মাধ্যমে আপনার ব্রাউজারটিকে Check করতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, আপনার ব্যবহৃত ব্রাউজারটির যেসব বিষয়গুলো Track করতে পারবেন তা হল:
যাইহোক, আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উপরের তিনটি বিষয় Check করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে Test Your Browser অপশনটিতে ক্লিক করলেই হবে। এরপর কিছু সময় ধরে লোডিং হবে এবং এটি আপনার ব্রাউজারটি সম্পর্কে একটি ফলাফল জানিয়ে দিবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Cover Your Tracks
আমরা সবাই চাই যে, অনলাইনে আমাদের যেন কোন তথ্য জমা না থাকে; যেটির মাধ্যমে পরবর্তীতে আমাদেরকে সনাক্ত করা সম্ভব। যদিও আপনি কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে ১০০% ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারবেন না। তবে, আপনি কিছু ক্ষেত্রে এর হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন। আপনি যদি ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টিং এর শিকার হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে চান, তাহলে আপনাকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চলুন, সেসব বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ব্রাউজার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ও বিবেচনা করতে হবে। Chrome এবং Firefox এর মতো মূল ধারার ব্রাউজারগুলো সর্বদা আপনার ডেটা সুরক্ষার জন্য ভালো নাও হতে পারে। আর বলা চলে যে, এসব ব্রাউজারগুলো আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যথেষ্ট সুরক্ষা প্রদান করতে পারে না।
নিজের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অধিক সচেতনতার জন্য আপনি Brave এর মতো Privacy-focused ব্রাউজারগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ব্রাউজারটি Data cookies সংরক্ষণ করার অনুমতি দেয় না। এটি প্রত্যেকটি সেশনের পরে সংগ্রহ করা ব্রাউজিং কুকি গুলো ক্লিয়ার করে দেয়।
বেশিরভাগ ওয়েবসাইট গুলোর ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টিং তথ্যগুলো সংগ্রহ করার জন্য JavaScript ব্যবহার করে। তাই আপনি আপনার প্রাইভেসির কথা চিন্তা করে এটি Disable করে দিন।
আপনি যদি ব্রাউজার সেটিং থেকে JavaScript Disable করে দেন, তাহলে একটি ওয়েবসাইটের সঠিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করার কোন উপায় থাকবেনা। অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে যেহেতু শুধুমাত্র আপনার সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য পাবে, তাই আপনার সঠিক Fingerprint তৈরি করা সম্ভব নয়।
আপনার ব্যবহৃত সফটওয়্যার আপডেট রাখা, ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টিং থেকে নিজেকে রক্ষা করার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে একটি। আপনার ডিভাইসে ইন্সটল থাকা এন্টি-ম্যালওয়্যার এবং এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো সবসময় আপডেট রাখা অপরিহার্য। আর তা না হলে, এই টুলগুলো Recently আবিষ্কার হওয়া দুর্বলতা গুলোর জন্য Exploits বা Patches install করতে সক্ষম হবে না।
ব্রাউজিং করার ক্ষেত্রে Private mode এ যাওয়া মানে, Incognito mode ব্যবহার করা। যদিও এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে পারবেন না, কিন্তু তবুও এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার তথ্যের শেয়ার অনেকাংশ কমাতে পারেন।
ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্টিং হল একটি Harmful practice এবং এ ধরনের কাজ শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে তার ও কোনো লক্ষণ নেই। এখন সমস্যা হচ্ছে সচেতনতার অভাব।
যদিও আজকাল অনেক ব্রাউজার তাদের প্রাইভেসির ব্যাপারে উন্নত করার জন্য অনেক উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু তবুও, আমাদের ব্রাউজারের প্রাইভেসি পরীক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই। আমরা এক্ষেত্রে বিভিন্ন টেকনিক অনুসরণ করে ব্রাউজার ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করা এড়াতে পারি। আর এক্ষেত্রে আমরা মূলধারার ব্রাউজার ব্যবহার বাদ দিয়ে সিকিউর কোন ব্রাউজার কে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারি।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)