3D প্রিন্টার, পৃথিবী বদলে দেবার প্রযুক্তির নাম

টেলিভিশনে একটি অ্যাডভার্টাইজ দেখাত, এক ফটোকপি মেশিনে কাচা আম ঢুকানোর পর অপর পাশ থেকে কাচা আমের ক্যান্ডি বের হয়ে আসে! ব্যাপারটি অবাস্তব মনে হলেও এর চেয়েও ভাল প্রযুক্তি কিন্তু বর্তমানেই আছে! হ্যা, এই আশ্চর্যের নাম হচ্ছে ৩ ডি প্রিন্টার। সাধারন প্রিন্টার থেকে এর পার্থক্য হচ্ছে, সাধারন প্রিন্টারে আপনি একটি ছবি তুলে সেটি একটি কাগজের ২ডি সারফেসে প্রিন্ট করে আনতে পারবেন, কিন্তু ৩ডি প্রিন্টার আপনাকে সেই ছবিটির বাস্তব রূপটিই বের করে দেবে! এর মানে হচ্ছে কাচা আমের ছবি তুলে প্রিন্ট দিলে অপর পাশ থেকে আরেকটি কাচা আম বের হয়ে আসবে, না ছবি নয়, ত্রিমাত্রিক আম ই পাবেন! তবে সেই আম খাওয়া যাবে না, কারন আমটি প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়ালে তৈরী। চলুন জেনে নেই কি আছে এই 3D প্রিন্টারে।

3D প্রিন্টার কি?:

পূর্বেকিছুটা বলা হয়েছে। এটি এমন একটি ডিভাইস যা যেকোন বাস্তব বস্তুর ত্রিমাত্রিক রেপ্লিকা তৈরী করতে সক্ষম। একটি সম্পূর্ন 3D প্রিন্টাররের ৩টি অংশ রয়েছে–

মেশিন প্রোপার, কম্পিউটার এবং ত্রিমাত্রিক ছবি তোলার জন্য একটি ক্যামেরা বা স্ক্যানার। যে বস্তুটিকে প্রিন্ট করা হবে প্রথমে স্ক্যানার এর সাহায্যের তার একটি ত্রিমাত্রিক ছবি তোলা হয়, বস্তুটির সব দিক ঘুরিয়ে সব খুটিনাটি অংশ ক্যামেরায় ধরা পরে। এবার এই ইমেজটিকে কম্পিউটারে প্রসেস করা হয়। কম্পিউটারে ইচ্ছামত এডিট ও করা যায়, যেমন আকার পরিবর্তন, কোন অংশ বাদ দেয়া বা সংযোজন বা রঙ পরিবর্তন, ইত্যাদি। এবার প্রসেসিং শেষে প্রিন্ট দিলেই মেশিন প্রপারে রাখা মেটেরিয়ালের সাহায্যে বস্তুটির একটি বাস্তব রেপ্লিকা তৈরী হয়ে যায়! অর্থাৎ যদি কোন মানুষের ত্রিমাত্রিক ছবি তোলা হয় তবে এই প্রিন্টার তার একটি ত্রিমাত্রিক কপি তৈরী করে দেবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই!

কি কাজে ব্যাবহার করা যাবেঃ

বলুন কি কাজে ব্যাবহার করা যাবে না! প্রোটোটাইপ তৈরী করা, আর্কিটেকচারাল মডেল তৈরী করা, রেপ্লিকা তৈরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ডেমন্সট্রেশন প্রভৃতি কাজে ব্যায়বহুল উপকরনের পরিবর্তে মডেল ব্যাবহার করা, ফসিল এর রেপ্লিকা তৈরী, বিনোদন এবং স্বাস্থ্য উপকরন তৈরী, অরগান প্রিন্টিং, মানব দেহের বিভিন্ন অংশের সূক্ষ মডেল তৈরী, খেলনা, মডেল টাউন, মাইক্রোবায়োলজিকার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার বড় মডেল তৈরী ইত্যাদি অসংখ্য কাজে এই প্রিন্টার ব্যাবহার করা যাবে।

মূল্যঃ

ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং হোম ২ ধরনের প্রিন্টার রয়েছে। অনেক বড় আকারের এবং অনেক সংখ্যাক প্রোডাকশনের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রিন্টার ব্যাবহার করা হয়। গড়ে দাম পড়বে, ১০০০০ ইউরো, আর হোম প্রিন্টারের দাম পড়বে ৫০০-১৫০০ ইউরো।

ভিডিওঃ

মূল আর্টিকেল ও ভিডিও

সূত্রঃ সুখবর২৪.কম

Level 0

আমি Ripendil। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 140 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবার শেয়ার করার জন্য।

ভাল খুবই ভাল…. 😉

ভালই হবে

কবে কিনতে পারব?

আমি discovery তে এটা দেখছি্‌….just awesome

হুম…………তাহলে আমি আইপ্যাড এর 3d করে বিক্রি করতাম……….
বাংলাদেশ মানুষ তো বুঝবে না………কেন যে ভাই এই টিউন টা করলেন…….আমার ব্যবসার ১২টা বাজায়া দিলেন………….:P

Level 0

ভাল লাগল,ধন্যবাদ।

Level 0

তবে নারী ছাড়া বিজ্ঞাপনের জন্য আর কিছু পায়না কোম্পানীগুলো।

এই প্রিন্টার টা বাজারে আসলে সবথেকে দামীটা কিনব আমি। ঐ প্রিন্টার দিয়া আমি ডলার বানাবো। ডলার বানাইতে পারলে আর এত কষ্ট করে নেটে কাজ করতে হবে না। কাজ খুজতেও হবেনা।

আমার কাজ শুধু একটাই হবে ডলার বানানো আর সেই ডলার সেল করা।

বাপস! দাম দেখে দমে গেলাম 🙁

😮 ৫০০-১৫০০ টাঁকা হইলে কিনতাম ( কেও আমারে ধর )