হ্যালো টেকটিউনস জনগণ, কেমন আছেন আপনারা সবাই? টেকটিউনসের নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিস নিয়ে ভালো না থেকে আর উপায় আছে? আর এই নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিসের ধারা বজায় রাখার নিমিত্তে, আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হলাম। আর আপনারা এই টিউনের মাধ্যমে জানতে পারবেন অনেক নতুন নতুন সব তথ্য।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো, আপনি যখন ইন্টারনেট থেকে কোন কিছু ডাউনলোড করবেন সেটা কি কি কারণে ইলিগ্যাল হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন।
আপনি মাঝে মাঝেই ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন কন্টেন্ট ডাউনলোড করেন, আর হ্যাঁ আপনি ডাউনলোড করে কোন ভুল করেননি। আপনার কাজে লাগবে এমন একটি ফাইল আপনি ডাউনলোড করেছেন। আর আপনি হয়তো কখনো চিন্তা করে দেখেননি যে আপনি ডাউনলোড করে কোন ইলিগ্যাল কাজ করে ফেলেছেন! তবে এখানে একটা কিন্তু থেকেই যায়। আর আপনি যে ফাইল ডাউনলোড করেছেন সেটা ইলিগ্যাল কিনা তাও নিশ্চিত না। তাহলে আপনি কি আইনগত ভাবে নিরাপদ? আইন কি আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বা আপনার অধিকার নিশ্চিত করবে? এর সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে আপনি কি চিন্তা করেছেন তারা যা করছে তা আইনগত ভাবে বৈধ, এমন কিছু করছে যা কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে?
যা ইচ্ছা তা ডাউনলোড করা কঠিন কাজ, আর তা যদি হয় ফাইল শেয়ারিং সাইট তাহলে তো কথাই নাই। যারা একাধিক ফাইল ডাউনলোড করে থাকেন তাদের জন্য বিটটরেন্ট থেকে ডাউনলোড করা ভাল একটি মাধ্যম। যারা বিটটরেন্ট থেকে ডাউনলোড করেন তারা জানেন যে, বিটটরেন্ট নেটওয়ার্কগুলি থেকে ফাইলগুলি ডাউনলোড করলে আপনি প্রতি সেকেন্ডে 1.5 মেগাবাইট স্পীড পাবেন। আর বিটটরেন্ট থেকে যেমন আপনি যেকোনো ফাইল ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন ঠিক তেমনি যেকোনো ফাইল আপনি সারা বিশ্বে শেয়ার করতে পারবেন।
কিন্তু বিটটরেন্ট থেকে ডাউনলোড করলে কিছু সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এমনকি আপনি যদি আইনের ডান হাতও হন, তবুও আপনি ইলিগ্যাল কার্যকলাপের জন্য আটক হতে পারেন। তবে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা ইলিগ্যাল ফাইল ডাউনলোড করার চেষ্টা করছে না এবং তারা অজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। আর অন্যরা ইচ্ছাকৃত ভাবেই টরেন্ট নেটওয়ার্কগুলো থেকে ইলিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করে থাকে।
যারা ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে লিগ্যাল থাকতে চান তাদের কে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্যই আমরা আপনাদের পাশে আছি। আর আপনি ইলিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করে আইনের খারাপ দিকটি দেখে আসেন তা আমরা চাই না।
আমরা সবাই প্রোডাক্ট, সেবা এবং ইনফরমেশন ইত্যাদি ফ্রিতে পেতে পছন্দ করি। ফ্রিতে যা পাওয়া যায় তার সাথে জড়িত প্রত্যেকে বিনিময় ছাড়াই করে যাচ্ছে- তবে তারা ব্যতীত যারা তাদের কাজের জন্য মাস শেষে বেতন নিয়ে থাকেন। আমরা কেন ইলিগ্যালি ডাউনলোড করি তার কিছু কারণ নিম্নে আলোচনা করা হল:
নেপস্টার এর কথা মনে আছে? তারা সর্বপ্রথম জনপ্রিয় গানের MP3 ডাউনলোড করার জন্য পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) ফাইল শেয়ারিং সেবা শুরু করা প্রথম কোম্পানিগুলোর একটি। সময়ের সাথে সাথে, অনেক গুলো গান অন্য পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) ফাইল শেয়ারিং নেটওয়ার্কে ফ্রিতেই ডাউনলোড করা যাচ্ছিল। ফলে অনেকেই টাকা দিয়ে সম্পূর্ণ অ্যালবাম অথবা একটি গান iTunes থেকে না কিনে, পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) ফাইল শেয়ারিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফ্রিতেই ডাউনলোড করেছে।
যখন চারদিকে ফ্রি মিউজিক ডাউনলোড করার উৎসব চলছিল ঠিক তখনই পাইরেটকারীরা মুভি ইন্ডাস্ট্রির দিকে মনোযোগ দিয়েছিল। মিউজিক ফাইলের থেকে মুভির সাইজ অনেক বড় তবুও ব্যবহারকারীরা টরেন্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কয়েক মিনিটের মধ্যে মুভি ডাউনলোড করতে পারে। আর আমরা যখন নিজের ল্যাপটপে ফ্রিতে মুভি ডাউনলোড করতে পারি তখন টাকা দিয়ে কেন মুভির টিকিট কিনতে যাব?
এখানেও সেই একই কথা, আপনি যখন যেকোনো টিভি সিরিজ ফ্রিতেই দেখতে পারছেন তখন নেটফ্লিক্সের পিছনে কেন টাকা খরচ করতে যাবেন?
মিউজিক, মুভি এবং টিভি শো ছাড়াও এমন অন্যান্য মিডিয়া ইন্টারনেট থেকে ইলিগ্যালি ডাউনলোড করা যায়। আর ডিজিটাল যেকোনো কিছুই ইলিগ্যালি ডাউনলোড করা যায়। পেইড সাবস্ক্রিপশন, ভিডিও গেমস এবং অন্যান্য ক্রিয়েটিভ কাজ ইত্যাদি কপিরাইট আইনের আওতাধীন। এবং এই আইনগুলি সর্বদা অনুসরণ করা সহজ হয় না।
ক্রিয়েটিভ সবকিছুই কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত, যার মাধ্যমে শিল্পী এবং মিডিয়া কোম্পানিকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তারা যেসব কন্টেন্ট তৈরি করে থাকে তার বিপরীতে তারা পারিশ্রমিক চায় কিন্তু লোকেরা তাদের অনুমতি ছাড়াই সেসব কন্টেন্ট বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নেয়। যখন কোন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কোন কন্টেন্ট পাবলিশ করে, তখন কন্টেন্টের মালিক নির্দিষ্ট বছর পর্যন্ত তাদের কন্টেন্ট এর কপিরাইট এর মালিক হন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা তাদের সম্পূর্ণ জীবন এবং অতিরিক্ত ৫০ বছরের জন্য কপিরাইটের মালিক হন। প্রতিটি দেশের কপিরাইট আইন আলাদা হওয়ার কারণে আপনি যে দেশে বসবাস করছেন সে দেশের আইন ভিন্ন হতে পারে।
ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স হচ্ছে বিশেষ ধরনের একটি লাইসেন্স। এই লাইসেন্স এর মাধ্যমে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর যে কাউকে তার নিজস্ব কাজ শেয়ার করতে, ব্যবহার করতে এবং নিজের মত করে পরিবর্তন করতে অনুমতি প্রদান করা হয়। উদাহরণস্বরূপ ব্যক্তি পর্যায় এবং প্রকাশনা কোম্পানিগুলির মধ্যে অনেকেই তাদের তৈরি করা কাজকে জনগণকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে থাকে তবে তা সচারচর করা হয় না।
আর এই সমস্ত আইন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মালিকদের প্রটেক্ট করে থাকে। এই আইনের মাধ্যমে প্রতিটি শিল্পী, অভিনেতা এবং রয়্যালটি চেক প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাজের পারিশ্রমিক পাওয়া নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে ক্রিয়েটিভ কাজের জন্য যে বিনিময় দাবি করা হয় তা খুবই সামান্য। একটা সুন্দর গান বা মুভির দৃশ্য তৈরি করতে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয় এবং তারা চায় মানুষ যেন তাদের কাজের উপযুক্ত মূল্যায়ন করে। তাছাড়া আইনের দৃষ্টিতে প্রতিটি গান বা টিভি শো ফ্রিতে ডাউনলোড করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
কপিরাইট আইন এর মাধ্যমে পেইড কন্টেন্ট ফ্রিতে ডাউনলোড করাকে বেআইনি করা হয়। যদি আপনি আপনার কোম্পানির গাইডলাইন মেনে কোম্পানির একটি পিডিএফ ডাউনলোড করেন তবে আপনি সঠিক কাজই করেছেন। কেননা আপনার বস আপনাকে সেই ফাইলটি ডাউনলোড করার অনুমতি দিয়েছেন। তাহলে আপনি আপনার নিজের কোম্পানির নিয়ম কানুন অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন কিন্তু টরেন্ট ব্যবহার করে ঠিকই অন্য কোম্পানির পেইড কন্টেন্ট ফ্রিতে ডাউনলোড করছেন? আজ থেকে টরেন্ট থেকে ফ্রি কন্টেন্ট গুলো ডাউনলোড করার কাজে ব্যবহার করবেন।
তবে, আপনি যদি Taylor Swift এর নতুন গান ফ্রিতে ডাউনলোড করেন, তাহলে আপনি ইলিগ্যাল কাজ করেছেন। যেহেতু আপনি কন্টেন্ট তৈরি করতে প্রদান করেন নি এবং আপনি কন্টেন্টের মালিক না বা কন্টেন্ট তৈরি করেননি সেহেতু আপনি আইনি সমস্যার পড়বেন। আর আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না Taylor Swift এর সাথে ঝামেলায় জড়াতে।
যাই হোক, আপনি যদি এখনও কোনটা ডাউনলোড করা লিগ্যাল আর কোনটা ডাউনলোড করা ইলিগ্যাল তা নিয়ে অনিশ্চিত থাকেন তাহলে নিচের প্রশ্নগুলি নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন:
আপনি যদি কন্টেন্টের মালিক না হন বা কন্টেন্ট নিজেই তৈরি করেননি, তাহলে আপনাকে সেই কন্টেন্টের জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে, যার মানে আপনাকে সেই কন্টেন্টটি টরেন্ট বাদে অন্য কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডাউনলোড করতে হবে।
ইলিগ্যালি ডাউনলোড করার এটিই সবচেয়ে বড় এবং অন্যতম কারণ। মিউজিক, মুভি এবং টিভি শো গুলির মালিক এবং নির্মাতারা বিনামূল্যে তাদের তৈরি কন্টেন্ট ডাউনলোড করার অনুমতি দেয় না। তারা তাদের কন্টেন্টগুলি ডাউনলোড করতে দেবে - যদি ইউজার'রা যথাযথ ভাবে তাদের কন্টেন্টের জন্য অর্থ প্রদান করেন। আর ডাউনলোড করার জন্য অনুমতি পাওয়ার জন্য এক সহজ উপায় হল তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা। তবে কখনও কখনও, আপনি যদি কোন শিল্পীকে জিজ্ঞাসা করেন যে আমি কি আপনার কন্টেন্টটি ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারি? তবে সাধারণত তারা ফ্রিতে ডাউনলোড করার অনুমতি দেয় না। তবে কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে যেখানে শিল্পীরা তাদের কন্টেন্টগুলি ফ্রিতে ডাউনলোড করার অনুমতি দিয়েছিলেন - এবং এর পরে এক এক করে সবাই তাদের কে জিজ্ঞাসা করেছিল যে তারাও কি ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবে কিনা।
মনে করুন, যেকোনো কারণে আপনি বিটটরেন্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে একাধিক গান ডাউনলোড করেছেন। প্রথমে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা ISP দেখবে না যে আপনি ইলিগ্যালি গান ডাউনলোড করছেন, তারা দেখবে যে আপনি বিটটরেন্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন। তখন আপনার ISP আপনার ইন্টারনেট কানেক্টশন বন্ধ করে দিবে ফলে আপনার ডাউনলোড বন্ধ হয়ে যাবে।
শুধুমাত্র আপনি ISP জানে তা কিন্তু নয়, তবে এখন এমন নতুন প্রযুক্তি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি পাইরেটেড মিডিয়া ব্যবহার করে ডাউনলোড করছেন কিনা তা জানতে পারে। এইতো কয়েক বছর আগে, সমস্ত ISP এবং কপিরাইট হোল্ডারগণ কপিরাইট এলার্ট সিস্টেম তৈরির জন্য স্বাক্ষর করেছিলেন। এই সিস্টেমটি ইমেইলের মাধ্যমে ইলিগ্যাল ইউজারদের এক্টিভিটি সম্পর্কে এলার্ট বা সতর্ক করে। কপিরাইট এলার্ট সিস্টেমে স্বাক্ষর করার আগে, মিডিয়া কোম্পানিগুলো প্রচুর ইলিগ্যাল ডাউনলোডারদের একসাথে দলবদ্ধ করেছিল এবং তাদের সকলের বিরুদ্ধে সিভিল কোর্টে মামলা করেছে। সময়ের সাথে সাথে, এটি মিডিয়া কোম্পানিগুলোর কাছে ব্যয়বহুল এবং ব্যয়ভার বহন করা কষ্টসাধ্য হতে লাগল, ফলে তারা এর সাথে জড়িত প্রত্যেকের পক্ষে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
কপিরাইট এলার্ট সিস্টেমটি ইউজারকে ইমেইল করবে যে, তারা টরেন্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইলিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করেছেন। আর প্রথম দুইটি মেইল আপনাকে সতর্ক করার জন্য পাঠানো হয়। তবে এর পরে যদি আপনি ইলিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করা বন্ধ করেন তাহলে আপনি আর এই ইমেইল গুলি পাবেন না। কিন্তু আপনি যদি তা না মেনে ইলিগ্যাল ডাউনলোড করতেই থাকেন তাহলে আপনি তৃতীয় এবং চতুর্থ ইমেইলে একটি ফর্ম পেয়েছেন সেটা আপনাকে পূরণ করতে হবে।
এইভাবে আপনি ছয় বার ইমেইল পাবেন এবং এর পরেও যদি আপনি ইলিগ্যালি ডাউনলোড করে থাকেন, তাহলে মিডিয়া কোম্পানিগুলি আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে কারণ তারা আপনাকে একাধিকবার ফ্রিতে কন্টেন্ট ডাউনলোড করতে সতর্ক করেছিল।
মিউজিক, মুভি বা টিভি শো ডাউনলোড করার পরিবর্তে আপনি টরেন্ট ব্যবহার করে অন্য কিছু ডাউনলোড করতে পারেন:
Spotify, Apple Music, অথবা অন্যান্য মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপগুলির যেকোনো ফ্রিতে সাইন আপ করুন। এগুলোতে যদিও প্রতি আধা ঘণ্টায় অ্যাড দেখায়, তবুও সমস্ত মিউজিক শুনা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে এখান থেকে ডাউনলোড করা আইনত বৈধ। আর আপনি যদি অ্যাড দেখতে আ চান তবে সাবস্ক্রিপশন করতে পারেন ফলে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন আপনি পছন্দের সবগুলো গান শুনতে পারবেন অনায়াসেই।
ফ্রিতে কন্টেন্ট সন্ধান না করে অল্প টাকা দিয়েই লিগ্যাল ভাবে বিনোদন নিন এবং নেটফ্লিক্সে সাবস্ক্রিপশন করুন। তবে নেটফ্লিক্সে সাবস্ক্রিপশন করে ব্যবহার করে এমন আপনার বন্ধু বা পরিবারের কেউ থাকলে তাদের অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে পারেন। শিল্পীদের অনুমতি চেয়ে জিজ্ঞাসা করার মতোই, আপনার বন্ধুদের থেকে তাদেরHBO Go বা নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্টটি ব্যবহারের অনুমতি চাইবেন।
এতে সবচেয়ে খারাপ যে ঘটনাটি ঘটতে পারে?
অবশ্যই, আমরা যতই আপনাদেরকে বলি ইলিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড না করার জন্য, তবুও আপনারা কেউ কেউ ইলিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করেই যাচ্ছেন। আমরা আপনাকে ইলিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করার ঝুঁকিগুলো জানিয়েছি। কিন্তু তারপরেও আপনি তা করতেই থাকেন ফলে আপনাকে জরিমানা করা হবে যা সাবস্ক্রিপশন করতে যে টাকা লাগতো তার থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা আপনাকে জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
সব মিলিয়ে, টরেন্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে লিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করার সেরা উপায় নিম্নে আলোচনা করা হল:
একটি সময় নিন এবং লিগ্যাল কন্টেন্ট পাওয়ার জন্য সমস্ত টরেন্ট নেটওয়ার্ক গুলোতে সার্চ করুন। এমন কিছু নেটওয়ার্ক রয়েছে যা আপনার কন্টেন্টকে ইলিগ্যাল হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, যদিও আপনি অনেক মাস যাবত লিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করে যাচ্ছেন। আর এটা হওয়ার কারণ হচ্ছে এসোসিয়েশন, টরেন্ট থেকে ডাউনলোড কে ভুল হিসেবেই দেখে। তাছাড়াও টরেন্ট নেটওয়ার্কে থাকা কিছু ইলিগ্যাল কন্টেন্টে দুর্ঘটনা বসত আপনার IP অ্যাড্রেস শো করতে পারে। এছাড়াও, কন্টেন্টের ভিতরে ইলিগ্যাল এমন কিছু কন্টেন্ট থাকতে পারে যা আপনি কন্টেন্টটি ডাউনলোড করার মুহূর্তে জানতেন না।
আপনাকে যা করতে হবে তা হল কন্টেন্টের মালিককে জিজ্ঞাসা করতে হবে। তারপরে কন্টেন্টের মালিকরা আপনাকে যা করতে হবে তাই করুন। আর যদি তারা আপনাকে তাদের কন্টেন্ট ডাউনলোড করার অনুমতি না দেয় তাহলে সেই কন্টেন্ট ডাউনলোড করবেন না। পরবর্তীতে আবার নম্র ভাবে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করার জন্য অপেক্ষা করুন।
আমরা আপনার পরিচয় এবং সুরক্ষার জন্য এই পরামর্শ দিয়ে থাকি। তবে এটিকে ইলিগ্যাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করার উপায় ভাবলে ভুল করবেন এবং এটাও ভাবা ঠিক হবে না যে আপনার এক্টিভিটি সম্পর্কে কেউ জানতে পারবেনা। আর আমাদের মাঝে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা তাদের পরিচয় গোপন রাখতে যান যাতে তারা ইলিগ্যাল কন্টেন্ট ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারেন। নিম্নে টরেন্টে ডাউনলোড করার সময় আপনার পরিচয় গোপন রাখার কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করবো:
আজকের টিউন থেকে আমরা জানলাম, ফ্রিতে যেসব কন্টেন্ট ডাউনলোড করে থাকি তা প্রায় সবই অবৈধ। আর এইসব অবৈধ ফাইল ডাউনলোড করলে কি কি অসুবিধায় আমরা পড়তে পারি। আর আমরা এও জানলাম যে, কিভাবে আমরা এর থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবো এবং যদি অবৈধ ফাইল ডাউনলোড করতেই হয় তাহলে কিভাবে নিজের পরিচয় গোপন রেখে তা করতে পারবো ইত্যাদি। আশাকরি আপনার এই টিউনের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন, আর তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ টিউনটি আপনারদের ফ্যামিলি এবং ফ্রেন্ড এর কাছে শেয়ার করুন। কেননা জ্ঞান শেয়ার করলে কিন্তু কমে না উল্টো বাড়তেই থাকে।
আমি এরকম নিত্যনতুন কাজের সফটওয়্যার নিয়ে টেকটিউনসে হাজির হবো নিয়মিত। তবে সে জন্য আপনার যা করতে হবে তা হলো আমার টেকটিউনস প্রোফাইলে আমাকে ফলো করার জন্য 'Follow' বাটনে ক্লিক করুন। আর তা না হলে আমার নতুন নতুন টিউন গুলো আপনার টিউন স্ক্রিনে পৌঁছাবে না।
আমার টিউন গুলো জোসস করুন, তাহলে আমি টিউন করার আরও অনুপ্রেরণা পাবো এবং ফলে ভবিষ্যতে আরও মান সম্মত টিউন উপহার দিতে পারবো।
আমার টিউন গুলো শেয়ার বাটনে ক্লিক করে সকল সৌশল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। নিজে প্রযুক্তি শিখুন ও অন্য প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানান টেকটিউনসের মাধ্যমে।
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 191 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।