ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার একি সাথে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) ও চালু থাকছে। বয়সের মাপকাঠিতে পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছে। অনলাইনেই পূরণ করা যাবে ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র। এ ছাড়া পিডিএফ ফরম্যাট ডাউনলোড করে কম্পিউটারে ফরমটি পূরণ করা যাবে।
ই-পাসপোর্ট কী?
ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যাতে একটি ইলেকট্রনিক চিপ রয়েছে। ইলেকট্রনিক চিপের মধ্যে রয়েছে বায়মেট্রিক তথ্য যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্যে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ই-পাসপোর্টে ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের মনির বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। ই-পাসপোর্টে মোট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে।
বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের বইও একই রকমের। কিন্তু মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) বইয়ে প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে বরং পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরশনি।
ফলে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই পাসপোর্টধারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”এটি অত্যন্ত নিরাপত্তা সংবলিত একটি ব্যবস্থা। যে কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন ই-পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু করেছে। আমরাও সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছি। ”
যাঁদের এখন এমআরপি পাসপোর্ট আছে, মেয়াদ শেষ হলে তাঁদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) পরিবর্তে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, ই-পাসপোর্টে পাতায় থাকা চিপসে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এতে চোখের মণির ছবি ও আঙুলের ছাপসহ সিকিউরিটি চিহ্ন থাকবে। এই সিকিউরিটি ব্যবস্থার কারণে পরিচয় গোপন করা কঠিন হবে। যেসব দেশে ই-পাসপোর্টের সুবিধা রয়েছে, সেখানে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় না তাই আমাদের ই-পাসপোর্টের সুবিধা গ্রহন করবেন তাদের ও কোন ভোগান্তি হবে না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ প্রায় বিশ্বের ১১৮টি দেশে এই ধরনের পাসপোর্ট চালু আছে।
ই-পাসপোর্টের আর এমআরপি পার্থক্য
ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) আর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এর মধ্যে পার্থক্যকে অনেকটা চেকবই আর এটিএম কার্ডের মতো তুলনা করা যেতে পারে। চেকবই যেভাবে স্বাক্ষর যাচাইবাছাই করে ব্যাংক কর্মকর্তারা অনুমোদন করে টাকা প্রদান করেন। কিন্তু এটিএম কার্ড দিয়ে যে কেউ নিজে থেকেই টাকা তুলতে পারেন।
তেমনি এমআরপি পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তথ্য যাচাই বাছাই করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে থাকেন। কিন্তু ই-পাসপোর্টধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। তবে পরবর্তী ধাপে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারাই পাসপোর্টে আগমণ অথবা বর্হিগমন সিল দেবেন।
এসব দিক বিবেচনা করে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সব ধরনের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ই-পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।
ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
আমি বেলাল হোসাইন। , Engineer, Gazipur। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, আমি "বেলাল হোসাইন"। আমি আপনাদের দারুন ও মানসম্মত টিউন নিয়মিত উপহার দিতে পারব বলে আশা করি। আমার প্রশ্ন ও উত্তর মূলক ওয়েবসাইটে ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইলোঃ https://eprosno.com