ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু ফেসবুক ব্যবহার করেন এমন কেউ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এবং ছোট থেকে বড় সবারই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। তাই এখন একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করা অনেক সহজ। আমরা সাধারণত এই যোগাযোগ করি কিভাবে? চ্যাট বা ভয়েস ভা ভিডিও কল এর মাধ্যমে।
কিন্তু ভাবুন আপনার কারো সাথে যোগাযোগ করতে টাইপ করা লাগছে না। ভয়েস দিয়েই সব হচ্ছে। এরকম যদিও অনেক টেক প্রোডাক্ট এখনই বাজারে এসেছে। গুগলের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট এরকম একটি অ্যাসিস্ট্যান্ট।
কিন্তু আজ থেকে ২০ বছর আগে কেউ কি এরকমটা ভেবেছিল? হয়ত কেউ কেউ। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এগুলো নিয়ে মাথা ঘামায় নি। কিন্তু দেখুন আজকে আপনি ঘুম থেকে উঠে সবার প্রথমে কি করেন? আপনার স্মার্টফোন চেক করেন। কেউ ম্যাসেজ দিলে তার রিপ্লাই দেন। অথবা ইমেইল এর উত্তর দেন। আগে কিন্তু এরকমটা ছিল না। আর প্রযুক্তি তো আর বসে থাকার জিনিস নয়, তাই তা দিন দিন আধুনিক হচ্ছে।
আগে যেমন তার ছাড়া কথা পাঠানোকে অবাস্তব মনে হত এখনো আমাদের কাছে অনেক জিনিস অবাস্তব মনে হতেই পারে। বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমরা কত কিছুই না করেছি? আর এখন সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য সবচেয়ে বেশি যেই মাধ্যমটি ব্যবহৃত হয় সেটি অবশ্যই ফেসবুক।
অনেকেই হয়ত অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। কিন্তু বলতেই হবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। কারণ এই ফেসবুক আমাদের একে অপরকে অনেক কাছাকাছি এনে পৃথিবীটাকে গ্লোবাল ভিলেজ বানাতে সাহায্য করেছে।
আর ফেসবুক এই নিয়ে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। আপনার অনেকেই জানেন যে ফেসবুক ২ বিলিয়ন ইউ.এস. ডলার দিয়ে অকুলাস নামের কিনে নিয়েছে। অকুলাস ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে আমাদের সাধ্যের মধ্যে এনে দিয়েছে। আমরা এখন যেকোনো স্মার্টফোন দিয়েই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাধ উপভোগ করতে পারি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পর ফেসবুক অর্থাৎ অকুলাস এখন একটি চশমা বানাচ্ছে যেটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাথে আপনাকে এ.আর এর সুবিধা দিবে। এখন কথা হল এ.আর কি?
এ.আর হল এমন একটি পদ্ধতিতে, যেখানে রিয়েল ভিডিওর সাথে কম্পিউটার জেনারেটেড বিভিন্ন জিনিস আমাদের দেখানে পারে। ধরুন আপনি কোণ একটি জিনিসের দিকে তাকিয়ে আছেন তখন এ.আর তা বুঝে আপনাকে জিনিসটির ব্যাপারে নানা তথ্য দিতে পারবে।
আমার আপনি ধরুন এ.আর আছে এমন একটি চশমা পরে আছেন তখন আপনি রাস্তা দেখার সাথে সাথে রাস্তের ম্যাপ ও দেখতে পাবেন। আপনার কাছে ব্যাপারটি খুবই স্বাভাবিক মনে হবে। ফেসবুক যে চশমাটি বানাচ্ছে সেটিই এরকমই কাজ করবে। এবং এই চশমায় সাধারণ ভি.আর এর মত স্ক্রিন থাকবেন না। বদলে চশমা থেকে আপনার চোখে আলোক রশ্মি ফেলা হবে। ফলে আপনি চশমা দিয়ে দেখার পাশাপাশি আরো অনেক জিনিস জিনিস দেখতে পাবেন।
ফেসবুক সহ অনেকেই মনে করে যে আজ থেকে ২০-২৫ বছর পরে স্মার্টফোন এর বদলে মানুষ স্মার্ট গ্লাস ব্যবহার করতে শুরু করবে। তবে ফেসবুক থেকে পরিষ্কার ভাবে কিছু বলা না হলেই আশা করা যায় ২০২২ এর মধ্যে আমরা এরকম একটি স্মার্ট গ্লাস পাব। যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে পারব। টিউনটি কেমন লাগলো তা সবাই জানাবেন।
আমি আশরাফুল ফিরোজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 77 টি টিউন ও 35 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।