ভার্চুয়াল রিয়ালিটি নিয়ে এখন মানুষের মধ্যে উত্তেজনার শেষ নেই। ভিআর এর মাধ্যমে মানুষ ভ্রমনে না গিয়েও ভ্রমনের স্বাদ পাবে। বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে এই প্রযুক্তিতে। তাই এর প্রসার বেড়েই চলছে। কিন্তু শিশুদের জন্য কতটা নিরাপদ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এটাই দেখার বিষয়।
বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও খুব প্রিয় ভার্চুয়াল রিয়ালিটি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৩ বছরের নিচের শিশুদের এই জিনিসটি দেয়া ঠিক নয়। প্রযুক্তির বিভিন্ন পন্য নির্মাতারাও এই বিষয়ে সতর্ক হয়েছেন। এ কারণে স্যামসাং গিয়ার ভিআর হেডসেটে ১৩ বছরের বয়সের ওপরের ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহার করার নির্দেশনা রয়েছে। অন্যদিকে প্লেস্টেশন ভিআর তাদের নির্দেশনায় ১২ বছরের নিচের শিশুদের তা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। একইভাবে এইচটিসি ভাইভও শিশুদের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এইচটিসি জানিয়েছে, অল্পবয়সী কোনো শিশুকেই এ হেডসেট ব্যবহার করতে দেওয়া ঠিক হবে না। এ ছাড়া গুগলের লো-টেক কার্ডবোর্ড হেডসেটটিও শিশুদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড়দের তত্ত্বাবধানে চালানোর নির্দেশনা রয়েছে।
২০১৪ সালের এক গবেষণায় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি নিয়ে অনুসন্ধান করেন। এতে তারা জানান, মস্তিষ্কের স্থানিক বা স্থানসম্পর্কিত অনুভূতি শেখার বিষয়টির গুরুত্ব রয়েছে। তবে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এ স্থানিক বিষয়গুলো শিখতে বাধা দেয়। আর এতে শিশুদের মস্তিষ্কের উন্নতিও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে শিশুদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। তবে বিষয়টি নিয়ে আরও অনুসন্ধানের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
আমি মাহাবুবা জান্নাত মিমি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 71 টি টিউন ও 22 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।