আসসালামু আলাইকুম।octacores.com থেকে আমি তৌহিদুর রহমান সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আজকে আমার টিউন ইন্টেল এর তিনটি প্রোসেসর নিয়ে আর এগুলো হল core i3,i5 এবং i7। আর আজকে টিউন এর মূল বিষয় হল তিনটি প্রোসেসর এর ভেতর পার্থক্য কোথায় কোথায় এবং আমাদের কাজের উপর ভিত্তি করে এদের ভেতর কোনটি ব্যবহার করা উচিত।
প্রোসেসর এর ভেতর থাকে ছোট ছোট ট্রানজিস্টার এসব ট্রানজিস্টার যত ছোট হবে প্রোসেসর এর পারফর্মেন্স বা কর্মদক্ষতা তত ভালো হবে এবং পাওয়ার কনজিউম তত কম হবে।ইন্টেল প্রতি জেনারেশনে এই ট্রানজিস্টার এর সাইজ পূর্বের আরো ছোট করে।বর্তমানে সবচেয়ে ছোট ট্রানজিস্টার যেটা ইন্টেল ব্যবহার করে তার সাইজ ১৪ ন্যানোমিটার;তারপূর্বে ছিল ২০ ন্যানোমিটার, তারআগে ২৮,৩০,৪০ এভাবে বড় সাইজের ছিলো। সুতরাং জেনারেশন যত নতুন প্রোসেসর এর পারফর্মেন্সওও পূর্বের তুলনায় আরও ভালো।
সুতরাং প্রোসেসর এর ক্ষেত্রে জেনরোশন অতি গুরুত্বপূর্ণ।
core i3/i5/i7 কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে আমাদের দন্দে পড়তে হয় এই প্রোসেসর গুলোর ভেতর কোনটি ভালো এই বিচার করতে গিয়ে।
এটি ইন্টেল বেসিক প্রোসেসর।ল্যাপটপ বা কম্পিউটার যেখানেই থাকুন না কেন এটি ডুয়াল কোর হিসেবে থাকে; তবে এতে একটি বিশেষ ফিচার রয়েছে যায় নাম হল Hypenthreading; এর কারনে ওপারেটিং সিস্টেম প্রোসেসর এর কোর কে ডাবল বা দ্বিগুন মনে করে,অর্থাত ডুয়াল কোরকে ওপারেটিং সিস্টেম মনে করবে চারটি কোর বা কুয়াড কোর হিসেবে।
বাজারে core i3 এর কয়েকটি মডেল রয়েছে আ মডেল ভেদে ক্লকিং(২.৪ ghz/৩.৪ ghz) ও ক্যশ মেমোরি পার্থক্য রয়েছে।
কেউ যদি সাধারন নেট ব্রাউজিং,ব্লগিং,ওয়েব ডিজাইন,ওয়ার্ড,এক্সেল,পাওয়ার পয়েন্ট বা গ্রাফিক্স কাড়ড রয়েছে টুকটাক গেমিং করতে চায় তবে core i5/i7 এ টাকা না অপচয় করে core i3 লেটেস্ট জেনারেশন কেনা ভালো।
এটি দুটও রূপে দেখা যায়।ল্যাপটপে সাধারনত ডুয়াল কোর ভার্সনটি থাকে; যাতো Hypenthreading সুবিধা বিদ্যমান আর যার ফলে তুলনা মূলক কুয়াড কোর এর কাজই করে।আর কম্পিউটারে সাধারনত কুয়াড কোর ভার্সনটি দেখা যায় আর এতে Hypenthreading. সুবিধা থাকে না।
core i3 এর তুলনায় এর স্পীড, কর্মদক্ষতা, ক্যাশ মেমোরি,ট্রানজিস্টার সংখ্যা সবই বেশি। গেমিং, ফটোশপ,আফটার ইফেক্ট ইত্যাদি কাজের জন্য এটি কেনা যেতে পারে।
এটি ইন্টেল এর সবচেয়ে হাইএন্ড প্রোসেসর।এটি ক্যশ মেমোরী সর্বোচ্চ ৮ এম বি পর্যন্ত আর এতে ট্রানজিস্টার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি,এর ক্লক স্পীড অন্যান্য গুলোর থেকে ভালো।
ল্যাপটপে এর ডুয়াল কোর এবং কুয়াডকোর ভার্সন দেখা যায়,তবে ডুয়াল কোর খুব কম আল্ট্রাবুক এ দেখা যায়,আর ম্যাকবুক প্রো ইত্যাদিতে কুয়াড কোর ভার্সন পাওয়া যায়।কম্পিউটরে এর কুয়াড কোর ও ওক্টাকোর ভার্সন পাওয়া যায়।
কেবল বড় বড় গেমস খেলা বা থ্রী ডি গ্রাফিক্স,কার্টুন মেকিং, হাই এন্ড অডিও ভিডিও রেন্ডারিং ইত্যাদি কাজের জন্য এর বিকল্প নেই।
ভালো প্রসেসর গুলোতে এ সুবিধাটি থাকে এর মাধ্যমে প্রোসেসর এর ক্লক স্পীড নিজের ইচ্ছামত বাড়িয়ে নেয়া যায়;যেমন : ৩ ghz থেকে বাড়িয়ে ৩.৮ বা ৪ ghz করা যায়।ভালো প্রোসেসর এ এ সুবিধা পাওয়া যায়।যেসব প্রোসেসর এর মডেল নাম এর শেষে K থাকে বুঝতে হবে সে প্রোসেসর এ ওভারক্লকিং আছে,যেমন : i7 4770K।
আর ওভারক্লকিং এর জন্য প্রোসেসর এর আশেপাশে অবশ্যই পর্যাপ্ত কুলিং থাকতে হবে।
ধরুন কোন প্রোসেসর এর মডেল নাম core i7 4470; 4470 এর সামনের 4 মানে এটি ৪র্থ জেনারেশন; তেমনিভাবে i7 5570 মানে এটি ৫ম জেনারেশন।
আশা করি সবার ভালো লেগেছ,টিউমেন্ট এ জানান।নির্বাচিত মনোনয়ন দিতে পারেন।
আমার ওয়েবসাইটে আপনাদের আমন্ত্রণ রইল।
আমি Touhidur Rahman Mahin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 326 টি টিউন ও 88 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভালোবাসি প্রযুক্তি নিয়ে লিখতে, ভালবাসি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে।
আমার টা Intel i7 4790K 🙂