ডোমেইন নেম সিস্টেম কি কেন দেখুন বিস্তারিত

————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আন্তরিক সালাম শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউনটি। আজকের টিউনটির বিষয় বস্তু হচ্ছে : ডোমেইন নেম সিস্টেম কি? কেন?
ডোমেইন নেম সিস্টেম
(ডিএনএস) ডোমেইন নেমের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য রাখার একটি ব্যবস্থা। এটি মূলত ফোন বুকের মত কাজ করে। এটি সাধারণ মানুষের বোধগম্য কম্পিউটারের হোস্টনেম যেমন example.com কে কম্পিউটারের উপযোগী আইপি এড্রেসে যেমন 208.77.188.166 রুপান্তর করে দেয়, যার মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাংশগুলি তথ্য বিনিময় করে থাকে। এছাড়া ডিএনএস অন্যান্য তথ্যও রাখে, যেমন মেইল সার্ভারের তালিকা ইত্যাদি। ডিএনএস কিওয়ার্ড ভিত্তিক পুননির্দেশনা ব্যবস্থা পালন করে। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ডিএনএস একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ডোমেইন নেম সিস্টেম কি কেন দেখুন বিস্তারিত
ডোমেইন নেম সিস্টেম কি কেন দেখুন বিস্তারিত

ব্যবহার

ডিএনএস ফলেই কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে নেটওয়ার্কের রাউটিং কি রকম হবে সেটি সম্পর্কে চিন্তা না করেও ডোমেইন নেম দেয়া যায়। নেটওয়ার্কের রাউটিং নির্ভর করে সংখ্যাভিত্তিক আইপি এড্রেসের উপরে। একারণে আইপি এড্রেস কোন কারণে পরিবর্তিত হলেও একই হাইপারলিংক বা ইন্টারনেট এড্রেস দিয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় বা মেইল পাঠানো যায়। সুতরাং নেটওয়ার্কের বাহ্যিক আকারের বা গঠনের ওপরে ওয়েবসাইটকে নির্ভর করতে হয় না। এছাড়া আইপি এড্রেসের তুলনায় ডোমেইন নেম অনেক সহজ হয়ে থাকে। যেমন "example.com" মনে রাখা যতটা সোজা এর আইপি এড্রেস 208.77.188.166 মনে রাখাটা ততটা সোজা হবে না। সাধারণ মানুষ ইউআরএল ও ইমেইল এড্রেস মনে রাখে, কম্পিউটার কিভাবে তা খুঁজে বের করবে তা চিন্তা করে না।

ডোমেইন নেম সিস্টেমে বিভিন্ন ডোমেইন নেম দেয়া ও সেগুলোকে আইপি এড্রেসের সাথে একীভূত করার কাজটি কয়েকটি অথরিটিভ নেম সার্ভারকে ভাগ করে দেয়া হয়। এসব সার্ভার আলাদাভাবে ডোমেইন নেম নিবন্ধন, পরিবর্তন করার কাজটি করে থাকে ফলে একটি কেন্দ্রীভূত সার্ভারের প্রয়োজন পড়ে না।

এছাড়া অন্যান্য সেবা সমূহ যেমন আরএফআইডি ট্যাগ, ইউপিসি কোড ইন্টারনেট হোস্টনেমের স্থলে আন্তর্জাতিক অক্ষর ব্যবহার ইত্যাদি কাজেও ডিএনএস ব্যবহার করা হয়।

 

ইতিহাস

কম্পিউটার মেশিনের সাংখ্যিক ঠিকানার বদলে মানুষের উপযোগী নাম ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল টিসিপি/আইপি'রও আগে। আরপানেট যুগেও মানুষের উপযোগী নাম ব্যবহার হত। তখন অবশ্য অন্য পদ্ধতি ব্যবহৃত হত। ডিএনএস আবিষ্কার হয় ১৯৮৩ সালে, টিসিপি/আইপি চালুর কিছু পরেই। পুরনো ব্যবস্থায় নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটার এসআরআই (বর্তমানে এসআরআই ইন্টারন্যাশনাল) থেকে HOSTS.TXT নামে একটি ফাইল নিয়ে আসত। [২][৩] এই HOSTS.TXT ফাইল থেকেই সাংখ্যিক ঠিকানা থেকে নামের ম্যাপিং দেয়া থাকত। বর্তমানেও অধিকাংশ আধুনিকতম অপারেটিং সিস্টেমেও একটি হোস্ট ফাইল থাকে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীগণ ডিএনএসের সাহায্য ছাড়াই বিভিন্ন নামকে (যেমন http://www.example.net) আইপি এড্রেসের (যেমন 208.77.188.166) সাথে সংযোগ করতে পারেন। এই হোস্ট ফাইলের ওপর নির্ভরশীল ব্যবস্থার জন্মগত সমস্যা হচ্ছে যখনই কোন এড্রেসের আইপি এড্রেস পরিবর্তিত হবে, তখন এই এড্রেসের সাথে যোগাযোগে ইচ্ছুক সকল কম্পিউটারকে এই ফাইলটি আপডেট করতে হবে।

নেটওয়ার্কিংএর প্রসারের সাথে সাথে এমন ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়ল যাতে কোন হোস্টের এড্রেস পরিবর্তিত হলেও যাতে তা কেবল একটি স্থানে রেকর্ড করে রাখলেও চলে। অন্যান্য হোস্ট ডাইনামিক্যালি এই পরিবর্তন জানতে পারবে নোটিফিকেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে। এভাবে সার্বজনীন একটি ব্যবস্থার তৈরি হবে যাতে সকল হোস্টনেমকে তাদের সংযুক্ত আইপি এড্রেস দিয়ে চেনা যায়।

জন টিউনেলের অনুরোধে ১৯৮৩ সালে পল মকাপেট্রিস ডোমেইন নেম সিস্টেম উদ্ভাবন করেন এবং এর প্রথম বাস্তবায়ন ঘটান। এর মূল স্পেসিফিকেশন পাওয়া যাবে আরএফসি ৮৮২ ও আরএফসি ৮৮৩ তে। ১৯৮৭ সালের নভেম্বর মাসে আরএফসি ১০৩৪ ও ১০৩৫ প্রকাশিত হয় যাতে ডিএনএস এর স্পেসিফিকেশন আপডেট করা হয়। ফলে আরএফসি ৮৮২ ও ৮৮৩ বাতিল হয়ে যায়। একাধিক সাম্প্রতিক আরএফসিতে বর্তমান ডিএনএস কোরের বিভিন্ন এক্সটেনশন প্রস্তাব করা হয়েছে।

১৯৮৪ সালে বার্কলের চারজন ছাত্র - ডগলাস টেরি, মার্ক পেইন্টার, ডেভিড রিগ্‌ল ও সংনিয়ান ঝুও প্রথম ইউনিক্স সংস্করণ লেখেন যেটি পরবর্তীকালে র‌্যালফ ক্যাম্পবেল দেখাশোনা করতেন। ১৯৮৫ সালে ডিইসি'র কেভিন ডানলপ ডিএনএস বাস্তবায়নের পুনসংস্কার করেন এবং নাম রাখেন বাইন্ড (বার্কলে ইন্টারনেট নেম ডোমেইন, যেটি পূর্বে বার্কলে ইন্টারনেট নেম ডেমন) নামে পরিচিত ছিল। এরপর থেকে বাইন্ডের দেখাশোনা করতেন মাইক ক্যারেলস, ফিল আলকুইস্ট ও পল ভিক্সি। ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে উইন্ডোজ এনটি সংস্করণে বাইন্ড দেয়া হয়।

বাইন্ডের বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত কারণে বিকল্প অনেক নেমসার্ভার ও রিসলভার প্রোগ্রাম প্রকাশিত হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থলে ব্যবহৃত হচ্ছে।

 
সর্বশেষ কথা :
আজকের টিউনটি করতে বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য খুঁজে বের করে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। জানি না কেমন হয়েছে। ভালো হলে অবশ্যই
টিউনমেন্ট/টিউমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের টিউনমেন্ট/টিউমেন্ট পেলে আরো নতুন টিউন করতে ভালো লাগলে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন এই কমনায় আসকের মতো বিদায় নিলাম।

 

ফেসবুক টুটইটার | আমার ব্লগ

 

Level 2

আমি তাহসিন হামিম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি খুব সাধারন একজন। প্রযুক্তি নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে । এর থেকে বেশি কিছু বলার নাই।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস