স্মার্টফোন প্রসেসর বৃত্তান্ত :: ফোন কেনার আগে প্রসেসর কোর সম্পর্কে A-Z স্বচ্ছ ধারনা রাখুন!

Level 7
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা
————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি স্মার্টফোন প্রসেসর বৃত্তান্ত এবং কোয়াড কোর ও অক্টাকোর প্রসেসরের পারফোরমেন্স পার্থক্য সম্বলিত আমার আজকের টিউন।

একটা স্মার্টফোন বর্তমান সময়ের জন্য মৌলিক চাহিদার মতোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী স্মার্টফোন ক্রয় করা তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই কঠিন। কারন স্মার্টফোন বাজারে হরেক রকমের স্মার্টফোন রয়েছে সেগুলোতে রয়েছে বিচিত্র রকমের সব ফিচারস। কোনটি ছেড়ে কোনটা কিনবেন সেটা নিয়ে নিজের সাথেই নিজের দ্বন্দ্ব করতে করতে হয়। কিন্তু সমাধান হিসাবে আমরা সেই চিরাচরিত থিওরী ব্যবহার করি। জিনিস যেটা ভালো দাম তার একটু বেশিই। আর এ কারনে আমরা স্মার্টফোন হার্ডওয়্যার কোয়ালিটি চাইতে দামের ব্যাপারটাকে বেশি প্রাধান্য দেই। তাছাড়া হার্ডওয়্যারের কনফিগারেশনে আমরা ফোনের পারফোরমেন্সের চাইতে কতো বেশি ক্যামেরা পিক্সেল আছে কিংবা কতো বেশি প্রসেসর কোর আছে সেই বিষয়টাকে বেশি গুরুত্বের চোখে দেখি। কিন্তু আপনারা হয়তো এতো দিনে বুঝে গেছেন যে ক্যামেরা বেশি মেগাপিক্সেল হলেও ছবির কোয়ালিটি ভালো হয় না। ঠিক তেমনি ফোনের প্রসেসরের ক্ষেত্রে কোর সংখ্যা বেশি হলেই সেটা ভালো পারফোরমেন্স দিবে এমনটা না। কারন অনেক সময় অক্টাকোর প্রসেসরের চাইতেও কোয়াড কোর প্রসেসর ভালো পারফোরমেন্স দেয়। এই বিষয়টাই আমরা টিউনের পরবর্তি অংশে ব্যাখ্যা করা চেষ্টা করবো। তবে তার আগে আপনাকে প্রসেসর কোর কী, কীভাবে কাজ করে এই সব বিষয় জানতে হবে। প্রসেসর কোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার নিজের টিউনটি এক নজরে দেখে নিন।

বেশি কোর থাকা মানেই ভালো প্রসেসর না!

আমার আগের টিউনটিতে পড়ে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, প্রসেসরের অনেক বেশি কোর থাকা মানেই তার ভালো পারফোরমেন্স কে বুঝায় না। পারফোরমেন্স এর জন্য আমাদের আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়। তবে একটা বিষয় মানতেই হবে প্রসেসরের এক একটি কোর মোবাইল ফোনের সামগ্রিক পারফোরমেন্সের একটি করে ছোট ইউনিট। কিন্তু এই ইউনিটগুলো তখনি শতভাগ কার্যকর হবে যখন মোবাইলের সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন কোরগুলোকে সমানভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। ধরুন, আপনার একটি হোটেল আছে যেখানে শুধুমাত্র ডাল রান্না করার জন্য ৮ জন রাধুঁনী আছে। এখন ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, যেখানে ডাল রান্না করার জন্য একজন রাধুঁনিই যথেষ্ট সেখানে বাকি ৭ জন রাধুঁনী কী করবে? তারা তো কেবল কাজ না পেয়ে রন্ধনশালায় বিশৃঙ্খলায় সৃষ্টি করবে।

মোবাইল ফোনের গেইমগুলো এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যেন তারা মোবাইল ফোনের প্রসেসরের সবগুলো কোর একসাথে ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে যে ফোনের প্রসেসরের যতো বেশি কোর আছে সেই ফোনের পারফোরমেন্স ততো বেশি ভালো হবে। কিন্তু অন্যান্য সাধারন অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটা কিংবা সর্বোচ্চ দুইটা কোর ব্যবহার উপযোগি করে তৈরী করা হয়ে থাকে। এর বেশি কোর ব্যবহার করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু আপনার স্মার্টফোনের প্রসেসরের যদি ৮টি কোর থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে বাকি ৬টি কোর অকেজো হয়ে বসে থাকবে। ভাবুন, অ্যাপ্লিকেশন চালু করা মাত্রই ৮ কোর একসাথে চালু হবে কিন্তু ২টা ছাড়া বাকিগুলো কোন কাজে আসবে না। কিন্তু বাকি কোরগুলো এবং সেই সংশ্লিস্ট চিপগুলো অকারণ চালু থাকার কারনে ব্যাটারী লাইফ কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ফোনের সামগ্রিক পারফোরমেন্স হ্রাস করে ফেলবে।

প্রসেসর আর্কিটেকচার - ARM vs. Intel

প্রসেসর দেখতে একটি বর্গাকার চিপ এর মতো হলেও সেখানে অনেক অনেক জটিল সার্কিটের সন্নিবেশ রয়েছে। প্রত্যেক প্রসেসরের মৌলিক উপকরণ হিসাবে রয়েছে কোর, মেমোরি ক্যাশ, লজিক গেইট এবং আরও অনেক কিছু। এই টিউনের মুল বিষয় বুঝতে আপনাকে অন্তত এটা জানতে হবে না যে এগুলো কীভাবে কাজ করে। কিন্তু একটু বেশি আগ্রহী হলে আপনি এতোটুকু জানতে পারেন যে কীভাবে প্রসেসর ডিজাইন করা হয় যাতে এটা খুব ভালো পারফোরমেন্স দিতে পারে। এক্ষেত্রে লজিক গেইট সম্পর্কে একটু ধারনা নিতে পারেন।

লজিক গেইটের অন্যতম কাজ হলো কম্পিউটারের প্রসেসরের কোর এবং ক্যাশ এর মাঝে এমনভাবে সংযোগ স্থাপন করা যাতে ডুয়েল কোর প্রসেসর কোয়াড কোর এর চাইতে এবং কোয়াড কোর প্রসেসর অক্টাকোরের চাইতে বেশি পারফোরমেন্স দিতে পারে।

অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের জন্য দুইটা প্রধান চিপসেট নির্মাতা রয়েছে যারা স্মার্টফোনের প্রসেসর নির্মানে কাজ করে থাকে। এরা হলো ইনটেল এবং ARM। এই দুই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রসেসরগুলো সর্বোত্তম পারফোরমেন্সের জন্য আলাদা আলাদা আইডিওলজি অনুসরণ করে থাকে। অনেক চিপসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আছে (Qualcomm, Samsung, NVIDIA & Mediatek) যারা তাদের প্রসেসর তৈরি করার জন্য ARM দ্বারা তৈরি করা ডিজাইন ব্যবহার করে। কিন্তু ইনটেল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম, তারা তাদের নিজেদের আর্কিটেকচারের উপর প্রসেসর তৈরী করে থাকে।

ARM – এআরএম প্রসেসর বৃত্তান্ত

স্মার্টফোন প্রসেসরগুলোর অধিকাংশই এআরএম প্রসেসর। কারন তারা নিজেদের ব্র্যান্ডিং এর পাশাপাশি Qualcomm, Samsung, NVIDIA & Mediatek কোম্পানিগুলোর সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রসেসর নির্মান করে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে একটি স্মার্টফোন কিনেন তাহলে তার প্রসেসরটি ARM বেইজড হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক। ARM প্রসেসর নিয়ে আমরা এখানে বিস্তারিত বর্ণনা না দিলেও যতোটুকু আপনাদের জানার প্রয়োজন ততোটুকু তথ্য জানাতে চেষ্টা করব।

প্রসেসরগুলোর ক্ষেত্রে ARM এর আইডিওলজি হলো তারা সব সময় দুইটা সম্মিলিত কোর ব্যবহার করে। মানে যদি তাদের অক্টাকোর প্রসেসরের প্রয়োজন হয় তাহলে তারা দুইটা কোয়াড কোর প্রসেসর ব্যবহার করে। এই দুইটা কোয়াড কোর প্রসেসর একটা স্মার্টফোনের সর্বোচ্চ পারফোরমেন্স নিয়ন্ত্রন করে। আরেকটা স্মার্টফোনের ইফিসিয়েন্সির উপর দৃষ্টি রাখে বিশেষ করে ব্যাটারী লাইফ এবং স্মার্টফোনের গরম হওয়ার বিষয়। এই দুইটা প্রসেসর বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সব সময় স্বাধীনভাবে কাজ করে। অধিকাংশ স্মার্টফোন চিপই ARM ভিত্তিক, যেগুলো Qualcomm, Samsung, NVIDIA & Mediatek কর্তৃক ম্যানুফ্যাকচার করা হয়।

Intel – ইনটেল প্রসেসর বৃত্তান্ত

স্মার্টফোন প্রসেসর নির্মাতাদের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বি হলো ইনটেল। ARM কে টেক্কা দেওয়ার জন্য ইনটেল নতুন পদ্ধতি তৈরি করার চেষ্টায় আছে। আসলে ARM প্রসেসরগুলোর তুলনায় ইনটেল প্রসেসর স্মার্টফোন দুনিয়ায় খুব কম দেখা যায়। কম্পিউটার জগতে ইনটেল যেভাবে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছে সেভাবে চিন্তা করলে স্মার্টফোন জগতে ইন্টেলের পদচারণা একটু বেশিই মলিন। বর্তমানে হাতেগুনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যেমন লেনেভো এবং আসুস ইন্টেল প্রসেসর ব্যবহার করছে। কিন্তু দুঃখের কথা ইন্টেল এখনো কোয়াড কোর প্রসেসরের যুগেই আটকে আছে।

ইন্টেল যদিও ল্যাপটপ প্রসেসরে জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে Two in One ল্যাপটপগুলোর প্রসেসরগুলো অত্যাধুনিক। তাদের মধ্যে নতুন ইনটেল কোর এম (Core-M) প্রসেসরটি হলো সর্বাধুনিক। কিন্তু এটাকে মোবাইলফোনে কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।

অক্টাকোর প্রসেসর তো কী হয়েছে? আমার কিছু যায় আসে না!

অক্টা মানে হলো আট। অক্টাকোর প্রসেসর মানে হলো যে প্রসেসরে আটটি কোর আছে। যদিও বর্তমান সময়ে প্রচলিত অধিকাংশ স্মার্টফোনে ডুয়েল কোয়াডকোর প্রসেসর ব্যবহার করে অক্টাকোর প্রসেসর তৈরী করা হয়। কিন্তু এই আটটি প্রসেসর কিছু বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া কখনোই একসাথে চলতে পারে না। তাহলে এই অক্টাকোর প্রসেসর এর মাহাত্ম্য কোথায়? এই প্রশ্নের জবাবে অনেক স্মার্টফোন কোম্পানি তাদের প্রসেসরের গুণগান করতে গিয়ে বলেন আমাদের প্রসেসরগুলো সত্যিকারের অক্টাকোর (True Octa-Cores)। মানে হলো এগুলো একসাথে কাজ করতে সক্ষম।

কিন্তু মজার ব্যাপারটা অন্য জায়গায়, বর্তমান সময়ে যে সমস্ত স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপস্টোরে রয়েছে তাদের কোনটাই অক্টাকোর প্রসেসরের জন্য তৈরী করা হয়নি। কয়েকটা হাই কোয়ালিটি গেইম ছাড়া বাকি অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডুয়েল কোর প্রসেসরের জন্য তৈরী করা। আমার স্মার্টফোনের প্রসেসর হলো হেক্সা কোর (৬টি কোর)। কিন্তু আমি কখনোই গেইম খেলিনা। তাহলে বাকি কোরগুলোর কাজটা কী? আমার মনে হয় কোয়াড কোর প্রসেসর দিয়েই যদি সব হয় তাহলে অক্টাকোর প্রসেসর ব্যবহার করাটা অপচয়। কিন্তু দ্বিধা হতে পারে, সত্যিকারের অক্টাকোর তো কোয়াড কোরের চাইতে বেশি পারফোরমেন্স দিবে মনে হয়। আসলেই দিবে কিন্তু সে অনুযায়ী অ্যাপ্লিকেশন থাকতে হবে আগে। নাহলে অক্টাকোর ব্যবহার করা শুধুই ব্যাটারী অপচয়।

সব কোয়াড কোর প্রসেসর আর সব অক্টাকোর প্রসেসর এক রকম না!

সব ধরনের কোয়াড কোর প্রসেসর আর অক্টাকোর প্রসেসর এক ধরনের না। প্রসেসরের ভেতরেও প্রকারভেদ রয়েছে। বর্তমানে ২০ টাকার মাঝেও কোয়াড কোর কিংবা অক্টাকোর পাওয়া যায় আবার ১০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যায়। তো আপনি নিশ্চয় দ্বিধায় পড়ে যাবেন কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ নিয়ে। চলুন তাহলে আপনার দ্বিধান্বিত মনকে কিছুটা স্বচ্ছতা দেওয়া যাক। বর্তমানে বাজারে প্রচলিত প্রসেসরগুলো অন্যতম হলো ARM এর Cortex-A সিরিজের প্রসেসর। কিন্তু সব A সিরিজের প্রসেসর সমান শক্তিশালী না। তাদের শক্তির অধঃক্রমগুলো একবার দেখুন।

A72 (বেশি শক্তিশালী) > A57 > A53 > A17 > A15 > A9 > A7 > A5 (কম শক্তিশালী)

  • Mediatek MT6592 প্রসেসরটিও বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় অক্টাকোর প্রসেসর যেটা মোটামুটি বাজেটের স্মার্টফোনগুলোতে পাওয়া যায়। MT6592 প্রসেসরটিতে রয়েছে ৮টি ARM Cortex A7 কোর যেগুলো একই সাথে কাজ করতে সক্ষম। এদের ক্লক স্পিড 1.7GHz থেকে 2GHz এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
  • এছাড়াও NVIDIA Tegra 4 কোয়াড কোর প্রসেরটিও অনেক জনপ্রিয় যেটাতে ARM A15 কোর ব্যবহার করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো এই প্রসেসরের কোরগুলোর ভালো কোয়ালিটির (ARM A15) কারনে এটি MT6592 (ARM A7) এর অক্টাকোর প্রসেসরের চাইতে অনেক ভালো পারফোরমেন্স দিতে সক্ষম।

কী বুঝলেন তাহলে? বেশি কোর হলেই কিন্তু সেটা ভালো মানের প্রসেসর না। প্রসেসর বিবেচনা করার আগে দেখে নিতে হবে যে এর মধ্যে কোন কোয়ালিটির কোর ব্যবহার করা হয়েছে। খারাপ কোয়ালিটির আটটি কোরের চাইতে ভালো কোয়ালিটির কোয়াড (চারটি) কোর কিংবা সর্বোত্তম কোয়ালিটির ডুয়েল কোরও অনেক ভালো।

স্মার্টফোন কেনার আগে প্রসেসর সম্পর্কে কোন বিষয়গুলো দেখবেন?

চিরাচরিত থিওরীটা এবার ভুলে যেতে হবে। বেশি কোর দেখে ফোন কেনার দিন আপাততো শেষ। কারন কোর বেশি থাকলেই সেটা ভালো পারফোরমেন্স দিবে না। বর্তমান সময়ে কোর নিয়ে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর এতো এতো তত্ত্ব আসলে প্রতারণা। খুব কম মানুষই জানেন আসলে কোর দিয়ে কী হয়। তারা কোরের সংখ্যা দেখে অজ্ঞান হয়ে যায়। এই সুযোগটাই কোম্পানিগুলো নিয়ে থাকে। যারা টেকটিউনসে আমার লেখাগুলো পড়ছেন তাদের কাজ হলো অন্ধ বিশ্বাস পরিত্যাগ করে জেনে বুঝে সঠিক কাজ করা। সুতরাং স্মার্ট ফোন কেনার আগে প্রসেসর কোরগুলোর কোয়ালিটি সম্পর্কে আগে জানার চেষ্টা করুন। প্রসেসরের কোর সংখ্যার চাইতে প্রসেসরের কোয়ালিটির দিকে বেশি মনযোগ দেবার চেষ্টা করুন।

আপনি যদি অনেক হাই কোয়ালিটির গেইমার না হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য কোয়াডকোর প্রসেসর যথেষ্ট। অহেতুক বেশি কোরের স্মার্টফোন কিনে মোবাইল ফোনের পারফোরমেন্স এবং ব্যাটারী লাইফ নষ্ট করার কোন মানে হয় না। জেনে বুঝে কাজ করুন। প্রয়োজনে টিউনটি আবার পড়ুন এবং প্রত্যেকটা টার্ম বুঝার চেষ্টা করুন। সেই সাথে টিউনটি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন। আপনাদের ভালো কিছু জানানোর জন্য আমার যে কর্তব্য ছিলো সেটা আমি পালন করেছি। এবার আপনারা টিউনটি শেয়ার করে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের কর্তব্য পালন করুন।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর টিউনটিকে মৌলিক মনে হলে এবং নির্বাচিত টিউন হওয়ার উপযুক্ত মনে হলে নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন দিতে ভুলে যাবে না যেন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ

➡ ইমেইলে আমার সকল টিউনের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ 🙄

FB PageProfileTwitterLinkedInGPlusSubscriptionMail

Level 7

আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করে ফেললাম। আপনার টিউনগুলোতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা ঘোর লাগা ব্যাপার আছে। প্রিয়তে রেখে দিলাম পরে আবার রিভিশন করবো। প্রসেসর নিয়ে আপনার দুটি টিউনই বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য সবচেয়ে বড় তথ্য ভান্ডার। সব সময় এরকম অসাধারন টিউন করে টেকটিউনস পরিবারের সবাইকে প্রযুক্তির সুরে মাতিয়ে রাখুন।

আপনার জন্য সব সময় শুভ কামনা। তবে আরেকটু ঘনঘন টিউন করলে জাতি আরও উপকৃত হত।

    যে টিউন করেছি এটাকে ৫ ভাগ করে ৫টা টেকটিউনস স্ট্যান্ডার্ড টিউন করা যাবে মনে হয়। সুতরাং দেরীতে হলেও মান সম্মত টিউন করতে আমি বেশি আগ্রহী। কোয়ান্টিটির চাইতে আমি কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী। তার কারনেই জীবনে কোনদিন টপ টিউনার কিংবা হটটিউনার লিস্টে প্রথমে আসতে পারিনি। আসতে চাইও নি। যাহোক, টিউমেন্টের জন্য ধইন্যা 🙂

Level 0

অনেক কিছু জানলাম, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

@ছায়া মানব আমি আপনার সাথে একমত। পুরো বিষয়টা নিয়ে এখনো ঘোরের মধ্যে আছি। আবার একবার রিভাইজ দিতে হবে……….এরকম তথ্য বহুল টিউন উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

Vai Onek valo Hoice.

অনেক অনেক ধন্যবাদ। স্মার্টফোনের GPU নিয়ে একটা টিউন করার অনুরোধ থাকল।

    কথা দিতে পারছি না। তবে সুযোগ পেলে অবশ্যই গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট নিয়ে একটি টিউন করবো। ধন্যবাদ 🙂

খুশি হয়ে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য লগইন করছি। আরেকটা কথা হ্যাকিং এর দায়ে কি তাহলে আজ র‍্যাবের হাতে আপনি এ্যারেষ্ট হন নাই? দুই ফাহাদকে গুলায়ে ফেলছিলাম। চমৎকার টিউন

    খবরে কি টেকটিউনস সুপ্রিম টিউনারকে মেনশন করা ছিলো? আমি ভাই হ্যাকিং নিয়ে মাথা ঘামাই না। কেমন জানি এই বিষয়টাতেই কখনো আগ্রহ খুঁজে পেলাম না কখনো! যাহোক, টিউমেন্টের জন্য ধইন্যা 🙂

বর্তমানে বেশির স্মার্ট প্রসেসর গুলোতে পাওয়ার সেভিং ফিচার দেয়া থাকে, এর মানে প্রয়োজন ছাড়া সিপিইউ কোর গুলো এক্টিভ থাকে না, সহজ কথায় যখন ২টা কোর দরকার তখন ২ কোর এক্টিভ থাকবে বাকি গুলা স্লিপিং মুড এ থাকবে, সুতরাং কোয়াডকোর প্রসেসর, অক্টাকোর প্রসেসরের চেয়ে বেশি পাওয়ার এফিশিয়েন্ট এটা ভাবা ঠিক না। শুধু গেমিং এর জন্যই অক্টাকোর এটা ভাবা ঠিক না আর অক্টাকোর প্রসেসরের আরেকটি সুবিধা হলো মাল্টি টাস্কিং মানে অনেক গুলা এপ একসাথে চালানোর সুবিধা, সেম জেনারেশনের কোয়াডকোর প্রসেসরের চেয়ে অক্টাকোরে অনেক ভালো মাল্টি টাস্কিং হবে। শুধু প্রসেসর ফিচার দিয়ে দুইটা প্রসেসরকে কম্পেয়ার করা বোকামি, এক্ষেত্রে কম্পেয়ার করার সবচেয়ে ইফেক্টিভ ওয়ে হচ্ছে পারফরমেন্স বেঞ্চমার্ক (অবশ্যই ভালো কোন ওয়েবসাইটের)।

ওভার অল টিউন ভালো হয়েছে, ধন্যবাদ।

    ভালো বলেছেন! আমিও কিন্তু বেঞ্চমার্ক টেস্ট দেখেছি অক্টাকোর এবং কোয়াডকোরের। আমার টিউনের অন্যতম একটি বিষয় ছিলো ভালো মানের কোর দিয়ে কোয়াড কোর প্রসসর অপেক্ষাকৃত খারাপ মানের অক্টাকোর প্রসেসরের চাইতে ভালো হবে। বর্তমান চাইনা ফোনের অক্টাকোর প্রসেসর আর স্যামসাং এর কোয়াড প্রসেসর এর সাথে তুলনা করলে কোনটাকে আপনি ভালো বলবেন? আসলে ভালো পারফোরমেন্সের জন্য অক্টাকোরই একমাত্র সমাধান না।

    সুন্দর এবং সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধইন্যা 🙂

Level New

অসাধারন। ভাল, বললে কম হবে।

এমন সব টিউন করেন যে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য হলেও অন্তত লগিন করা লাগে। আমি আর কি বলবো, ছোট মানুষ। আমি শুধুই জানতে চাই, জানার ইচ্ছাটাকে পুর্ন করতে থাকুন। প্রতিদান টুকু আল্লাহর কাছে থেকে নিয়েন। 🙂

    আল্লাহ আপনার দোয়াকে কবুল করুন। সব সময় পাশে থাকবেন আশা করি। টিউমেন্টের জন্য ধইন্যা 🙂

স্ন্যাপ ড্রাগন প্রসেসর সম্পর্কে কিছু লিখলে ভালো হতো ৷ অন্যান্য mediatek এর প্রসেসরের তুলনামূলক পার্থক্য থাকলে ভালো হতো কারন আমাদের দেশের বেশির ভাগ ফোন ই মিডিয়াটেক এর তৈরি প্রসেসর ব্যবহার করে ৷ আমরা প্রতারনার হাত থেকে বাঁচতাম ৷ ধন্যবাদ সুন্দর টিউনের জন্য

    কতো কিছু সম্পর্কেই তো লেখা যায় কিন্তু টিউনের সাইজের কথাও তো ভাবতে হবে ব্রাদার! যাহোক, ধন্যবাদ আপনাকে 🙂

নাইচ টিউন।।। আপনারা আছেন বলে টেকটিউন এখনো বেঁচে আছে । Go Ahead

Level 2

জটিল হয়েছে।স্ন্যাপ ড্রাগন প্রসেসর সম্পর্কে কিছু লিখলে আরো ভালো হতো অপেক্ষায় থাকলাম।

    কতো কিছু সম্পর্কেই তো লেখা যায় কিন্তু টিউনের সাইজের কথাও তো ভাবতে হবে ব্রাদার! যাহোক, ধন্যবাদ আপনাকে 🙂

আপনার ৬ কোর Android এর An Tu Tu Benchmark কত 😀

অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার সবগুলি টিউনই খুব ভাল মানের হয়।

সানিম মাহবীর ফাহাদ vai
A7 (বেশি শক্তিশালী) > A57 > A53 > A17 > A15 > A9 > A7 > A5 (কম শক্তিশালী)
ei Line e A7 dui bar likhsen .. eta ektu clear korben?
and thanks for your Tunes.

    দুঃখিত ব্রাদার, সবচেয়ে শক্তিশালীটা হবে A72. শব্দটি থেকে `2′ মিসিং হয়ে গিয়েছিলো। এবার সংশোধন করে দিয়েছি। শোধরাতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ 🙂

Level 0

আমি অনেক দিন ধরে এইসব বিষয়ের উপর টিউন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সময়ের অভাবে আর করা হয়নি। আপনার টিউনটি একদম স্বচ্ছ হয়েছে। পরবর্তীতে আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে টিউন করবেন ইনশাল্লাহ।

    ধন্যবাদ ভাই, তবে আপনি চাইলে অন্যান্য প্রসেসর সম্পর্কে বিস্তারিত টিউন করতে পারেন। অনেকেই এ ব্যাপারে রিকোয়েস্ট করেছে। ভেবে দেখবেন আশা করি।

Level 0

আমিও এরকম জানতাম। পিসি তে যতো কোর তত পারফরমান্স হলেও স্মার্টফোনে এরূপ নয়

কি আর বলব ফাহাদ ভাই ?
পুরো ২৩ মিনিট পড়লাম। মন ভরে গেল টিউনটি পড়ে।
যাক, আর কিছু বলার দরকার নাই!
অসংখ্য ধন্যবাদ সাজিয়ে -গুজিয়ে লেখার জন্য।

ধন্যবাদ

পড়াশোনার চাপে টেকটিউন্স এ আর আসা হয়নি অনেকদিন যাবৎ। অনেকদিন পরে টেকটিউন্স এ ঢুকেছিলাম। মনে করেছিলাম জাস্ট একবার ঢুকেই বেরিয়ে যাবো। কিন্তু আপনার টিউন দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না পড়তেই হলো।এনিওয়ে খুব ভালো হয়েছে। আবার ও আপনার কাছে থেকে অনেক কিছু শিখতে পারলাম জানতে পারলাম । আর হ্যা ভাইয়া আমার ১ তারিখ থেকে জে.এস.সি পরীক্ষা। দোয়া করবেন ভাইয়া যেন পরীক্ষা গুলো ভালো করে দিয়ে সবাইকে ভালো একটা রেজাল্ট উপহার দিতে পারি। 🙂

    আপনার জন্য শুভ কামনা। এখন অনলাইন জগত থেকে একটু অফলাইনে চলে যান। পড়াশোনাটা জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি হয়তো আগামী বছরেও এই টিউনগুলো পড়তে পারবেন কিন্তু আগামী বছর পরীক্ষা দিতে পারবেন না।

দারুণ লিখেছেন ভাইয়া। এর আগে ইংলিশ এ একটা আর্টিকেল পরেছিলাম, বাট অতটা বুঝি নাই। আপনার বাংলা ভাষায় সুন্দর লেখনির মাদ্ধমে বিস্তারিত জেনে খুব ভাল লাগছে!!!!
ধন্যবাদ!

    ধন্যবাদ ভাই, আপনাদের কাছে সহজবোধ্য ভাবে টিউন করাটাই তো আমার সব সময়ের প্রত্যয়। পাশে থাকুন সব সময়।

many many thanks for this informative tune

ফাহাদ ভাই আপনার টিউন মানেই তো নতুন কিছু শিখা। আমার মনে হয় সবারই উচিৎ তার কাজ অনুযায়ী মোবাইল কেনা। যদি HD গেইম খেলে তবেই ভাল কোর মোবাইল নেয়া দরকার। তাছাড়া নিলে তার সেটা অপ্রয়োজনীয় হিসেবেই গণ্য হবে। আর একটি কথা অক্টাকোরের কোর ৭, ৮ যে কাজ করে কোর ১, ২, ৩, ৪ মিলেও কিন্তু তার সমপরিমাণ কাজ করে। আর কোর এর পর তো গ্রাফিক্স এর ব্যাপারও আছে। একটা দাবি; সামনে মোবাইল গ্রাফিক্স আর ডিসপ্লে নিয়ে বিস্তারিত টিউন চাই। ধন্যবাদ

    সহমতের জন্য ধন্যবাদ কামরান পারভেজ ভাই। সময় পেলে আগামীতে আপনার প্রত্যাশিত বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো। টেকটিউনসের সাথেই থাকুন।

Level 0

osthir

মাসকয়েক অাগে চৌকস ফোন কিনতে গিয়ে কোর নিয়ে অামারও বেশ ঘাম ঘরাতে হয়েছিল…..ভালো ব্র্যান্ডের সেটগুলোর ওপর কিছুটা ভরসা রাখা যায় (যদিও বাজেট কম হলে সবাইকে নিয়েই ভাবতে হয়!!), কিন্তু চায়নিজ সেটগুলোর প্রসেসরগুলোই বাছবিচারের অর্ধেক সময় কেড়ে নেয়…..অার এটাও ঠিক- এখনো ‘খরিদনেওয়ালা’-রা ডিসপ্লে অার অক্টা-ফক্টা দেখেই লাফালাফি শুরু করে দেয়- তা না হলে বাজে পারফরমেন্স অথবা/এবং ফাউল কাষ্টমার সার্ভিস দেয়ার পরও ওয়ালটন অার সিম্ফনি কীভাবে অাজও এতখানি টিকে থাকে!!! 😳

অাসলে প্রসেসরের ওপরে জ্ঞানের ওজনটা একটু না বাড়ালে ফোন কিংবা কম্পু কেনার ক্ষেত্রে পছন্দ অার সাধ্যের কাছে কেনার পর শেষমেষ ঠকতেই হয় 😀
অাপনার অাজকের উপাদান অাসলেই অালাদা কিছু টিউন করার দাবী রাখে…..সমস্যা নাই ম্যাঙ্গো পিপল অাশায় অাছে 🙂

টিউনের জন্য বাক্সবন্দী ধইন্যা 🙂

******অফটপিক : টিউনের টপিকটা অারেকটু ছোট করলে মনে হয় ভাল হয়, হয়তোবা জঘন্য বস্তাপঁচা টিউনের ভীড়ে অাপনার টিউনের স্বত্ন্ত্রতা ও বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ততা প্রকাশই মূল উদ্দেশ্য ছিল অাপনার, কিন্তু মাঝেমধ্যে সংক্ষিপ্ত শিরোনামই শিরোমনি হয়ে যায় (তারমানে দীর্ঘ শিরোনাম অগ্রাহ্যকর বলছি না)….অাপনার টিউনের যথার্থতা প্রশ্নাতীত, ছোট শিরোনাম মানাবে বেশ……তাই বিষয়টা উদিত করলাম 🙂 যেমন অাজকে হয় মাঝের বাক্যাংশ নয়তো শেষাংশ বাদ দেয়া যেতে পারতো 😉

    আসলে টিউনটি যখন প্রথম পাবলিশড করি তখন শিরোনামের শেষের অংশটুুকু ছিলো না। কিন্তু পরবর্তি সময়ে মনে হয়েছে যে অনেকেই শিরোনাম দেখে টিউনের বিষয়বস্তু বুঝতে পারবে না। তাই পরের অংশটুুকু যোগ করে দিয়েছিলাম। আপনার কথার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে মাঝের অংশটুকু বাদ দিয়ে দিলাম।

    বরাবরের মতোই সুচিন্তিত মতামত এবং শোধরে দেওয়ার প্রয়াসের জন্য বস্তাভর্তি ধইন্যা 🙂 শীতকাল বলে কথা! :mrgreen:

এত গোছানো এবং তথ্যবহুল টিউন বতর্মান টেকিটিউন্স এ খুব কম দেখা যায়
সরাসরি প্রিয়তে 🙂

আজ অনেক দিন পরে লগইন করতে বাধ্য হইলাম। শুধুমাত্র আপনার টিউনের কারনে।

Level 0

Just salute!!

Level New

সত্যিই অনেক কিছু জানলাম, যা আমাদের প্রত্যেক স্মার্টফোট ব্যবহারকারীর জানা দরকার। ধন্যবাদ।