সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি স্মার্টফোন প্রসেসর বৃত্তান্ত এবং কোয়াড কোর ও অক্টাকোর প্রসেসরের পারফোরমেন্স পার্থক্য সম্বলিত আমার আজকের টিউন।
একটা স্মার্টফোন বর্তমান সময়ের জন্য মৌলিক চাহিদার মতোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী স্মার্টফোন ক্রয় করা তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই কঠিন। কারন স্মার্টফোন বাজারে হরেক রকমের স্মার্টফোন রয়েছে সেগুলোতে রয়েছে বিচিত্র রকমের সব ফিচারস। কোনটি ছেড়ে কোনটা কিনবেন সেটা নিয়ে নিজের সাথেই নিজের দ্বন্দ্ব করতে করতে হয়। কিন্তু সমাধান হিসাবে আমরা সেই চিরাচরিত থিওরী ব্যবহার করি। জিনিস যেটা ভালো দাম তার একটু বেশিই। আর এ কারনে আমরা স্মার্টফোন হার্ডওয়্যার কোয়ালিটি চাইতে দামের ব্যাপারটাকে বেশি প্রাধান্য দেই। তাছাড়া হার্ডওয়্যারের কনফিগারেশনে আমরা ফোনের পারফোরমেন্সের চাইতে কতো বেশি ক্যামেরা পিক্সেল আছে কিংবা কতো বেশি প্রসেসর কোর আছে সেই বিষয়টাকে বেশি গুরুত্বের চোখে দেখি। কিন্তু আপনারা হয়তো এতো দিনে বুঝে গেছেন যে ক্যামেরা বেশি মেগাপিক্সেল হলেও ছবির কোয়ালিটি ভালো হয় না। ঠিক তেমনি ফোনের প্রসেসরের ক্ষেত্রে কোর সংখ্যা বেশি হলেই সেটা ভালো পারফোরমেন্স দিবে এমনটা না। কারন অনেক সময় অক্টাকোর প্রসেসরের চাইতেও কোয়াড কোর প্রসেসর ভালো পারফোরমেন্স দেয়। এই বিষয়টাই আমরা টিউনের পরবর্তি অংশে ব্যাখ্যা করা চেষ্টা করবো। তবে তার আগে আপনাকে প্রসেসর কোর কী, কীভাবে কাজ করে এই সব বিষয় জানতে হবে। প্রসেসর কোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার নিজের টিউনটি এক নজরে দেখে নিন।
আমার আগের টিউনটিতে পড়ে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, প্রসেসরের অনেক বেশি কোর থাকা মানেই তার ভালো পারফোরমেন্স কে বুঝায় না। পারফোরমেন্স এর জন্য আমাদের আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়। তবে একটা বিষয় মানতেই হবে প্রসেসরের এক একটি কোর মোবাইল ফোনের সামগ্রিক পারফোরমেন্সের একটি করে ছোট ইউনিট। কিন্তু এই ইউনিটগুলো তখনি শতভাগ কার্যকর হবে যখন মোবাইলের সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন কোরগুলোকে সমানভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। ধরুন, আপনার একটি হোটেল আছে যেখানে শুধুমাত্র ডাল রান্না করার জন্য ৮ জন রাধুঁনী আছে। এখন ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, যেখানে ডাল রান্না করার জন্য একজন রাধুঁনিই যথেষ্ট সেখানে বাকি ৭ জন রাধুঁনী কী করবে? তারা তো কেবল কাজ না পেয়ে রন্ধনশালায় বিশৃঙ্খলায় সৃষ্টি করবে।
মোবাইল ফোনের গেইমগুলো এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যেন তারা মোবাইল ফোনের প্রসেসরের সবগুলো কোর একসাথে ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে যে ফোনের প্রসেসরের যতো বেশি কোর আছে সেই ফোনের পারফোরমেন্স ততো বেশি ভালো হবে। কিন্তু অন্যান্য সাধারন অ্যাপ্লিকেশনগুলো একটা কিংবা সর্বোচ্চ দুইটা কোর ব্যবহার উপযোগি করে তৈরী করা হয়ে থাকে। এর বেশি কোর ব্যবহার করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু আপনার স্মার্টফোনের প্রসেসরের যদি ৮টি কোর থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে বাকি ৬টি কোর অকেজো হয়ে বসে থাকবে। ভাবুন, অ্যাপ্লিকেশন চালু করা মাত্রই ৮ কোর একসাথে চালু হবে কিন্তু ২টা ছাড়া বাকিগুলো কোন কাজে আসবে না। কিন্তু বাকি কোরগুলো এবং সেই সংশ্লিস্ট চিপগুলো অকারণ চালু থাকার কারনে ব্যাটারী লাইফ কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ফোনের সামগ্রিক পারফোরমেন্স হ্রাস করে ফেলবে।
প্রসেসর দেখতে একটি বর্গাকার চিপ এর মতো হলেও সেখানে অনেক অনেক জটিল সার্কিটের সন্নিবেশ রয়েছে। প্রত্যেক প্রসেসরের মৌলিক উপকরণ হিসাবে রয়েছে কোর, মেমোরি ক্যাশ, লজিক গেইট এবং আরও অনেক কিছু। এই টিউনের মুল বিষয় বুঝতে আপনাকে অন্তত এটা জানতে হবে না যে এগুলো কীভাবে কাজ করে। কিন্তু একটু বেশি আগ্রহী হলে আপনি এতোটুকু জানতে পারেন যে কীভাবে প্রসেসর ডিজাইন করা হয় যাতে এটা খুব ভালো পারফোরমেন্স দিতে পারে। এক্ষেত্রে লজিক গেইট সম্পর্কে একটু ধারনা নিতে পারেন।
লজিক গেইটের অন্যতম কাজ হলো কম্পিউটারের প্রসেসরের কোর এবং ক্যাশ এর মাঝে এমনভাবে সংযোগ স্থাপন করা যাতে ডুয়েল কোর প্রসেসর কোয়াড কোর এর চাইতে এবং কোয়াড কোর প্রসেসর অক্টাকোরের চাইতে বেশি পারফোরমেন্স দিতে পারে।
অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের জন্য দুইটা প্রধান চিপসেট নির্মাতা রয়েছে যারা স্মার্টফোনের প্রসেসর নির্মানে কাজ করে থাকে। এরা হলো ইনটেল এবং ARM। এই দুই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রসেসরগুলো সর্বোত্তম পারফোরমেন্সের জন্য আলাদা আলাদা আইডিওলজি অনুসরণ করে থাকে। অনেক চিপসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আছে (Qualcomm, Samsung, NVIDIA & Mediatek) যারা তাদের প্রসেসর তৈরি করার জন্য ARM দ্বারা তৈরি করা ডিজাইন ব্যবহার করে। কিন্তু ইনটেল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম, তারা তাদের নিজেদের আর্কিটেকচারের উপর প্রসেসর তৈরী করে থাকে।
স্মার্টফোন প্রসেসরগুলোর অধিকাংশই এআরএম প্রসেসর। কারন তারা নিজেদের ব্র্যান্ডিং এর পাশাপাশি Qualcomm, Samsung, NVIDIA & Mediatek কোম্পানিগুলোর সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রসেসর নির্মান করে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে একটি স্মার্টফোন কিনেন তাহলে তার প্রসেসরটি ARM বেইজড হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক। ARM প্রসেসর নিয়ে আমরা এখানে বিস্তারিত বর্ণনা না দিলেও যতোটুকু আপনাদের জানার প্রয়োজন ততোটুকু তথ্য জানাতে চেষ্টা করব।
প্রসেসরগুলোর ক্ষেত্রে ARM এর আইডিওলজি হলো তারা সব সময় দুইটা সম্মিলিত কোর ব্যবহার করে। মানে যদি তাদের অক্টাকোর প্রসেসরের প্রয়োজন হয় তাহলে তারা দুইটা কোয়াড কোর প্রসেসর ব্যবহার করে। এই দুইটা কোয়াড কোর প্রসেসর একটা স্মার্টফোনের সর্বোচ্চ পারফোরমেন্স নিয়ন্ত্রন করে। আরেকটা স্মার্টফোনের ইফিসিয়েন্সির উপর দৃষ্টি রাখে বিশেষ করে ব্যাটারী লাইফ এবং স্মার্টফোনের গরম হওয়ার বিষয়। এই দুইটা প্রসেসর বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সব সময় স্বাধীনভাবে কাজ করে। অধিকাংশ স্মার্টফোন চিপই ARM ভিত্তিক, যেগুলো Qualcomm, Samsung, NVIDIA & Mediatek কর্তৃক ম্যানুফ্যাকচার করা হয়।
স্মার্টফোন প্রসেসর নির্মাতাদের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বি হলো ইনটেল। ARM কে টেক্কা দেওয়ার জন্য ইনটেল নতুন পদ্ধতি তৈরি করার চেষ্টায় আছে। আসলে ARM প্রসেসরগুলোর তুলনায় ইনটেল প্রসেসর স্মার্টফোন দুনিয়ায় খুব কম দেখা যায়। কম্পিউটার জগতে ইনটেল যেভাবে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছে সেভাবে চিন্তা করলে স্মার্টফোন জগতে ইন্টেলের পদচারণা একটু বেশিই মলিন। বর্তমানে হাতেগুনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যেমন লেনেভো এবং আসুস ইন্টেল প্রসেসর ব্যবহার করছে। কিন্তু দুঃখের কথা ইন্টেল এখনো কোয়াড কোর প্রসেসরের যুগেই আটকে আছে।
ইন্টেল যদিও ল্যাপটপ প্রসেসরে জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে Two in One ল্যাপটপগুলোর প্রসেসরগুলো অত্যাধুনিক। তাদের মধ্যে নতুন ইনটেল কোর এম (Core-M) প্রসেসরটি হলো সর্বাধুনিক। কিন্তু এটাকে মোবাইলফোনে কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।
অক্টা মানে হলো আট। অক্টাকোর প্রসেসর মানে হলো যে প্রসেসরে আটটি কোর আছে। যদিও বর্তমান সময়ে প্রচলিত অধিকাংশ স্মার্টফোনে ডুয়েল কোয়াডকোর প্রসেসর ব্যবহার করে অক্টাকোর প্রসেসর তৈরী করা হয়। কিন্তু এই আটটি প্রসেসর কিছু বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া কখনোই একসাথে চলতে পারে না। তাহলে এই অক্টাকোর প্রসেসর এর মাহাত্ম্য কোথায়? এই প্রশ্নের জবাবে অনেক স্মার্টফোন কোম্পানি তাদের প্রসেসরের গুণগান করতে গিয়ে বলেন আমাদের প্রসেসরগুলো সত্যিকারের অক্টাকোর (True Octa-Cores)। মানে হলো এগুলো একসাথে কাজ করতে সক্ষম।
কিন্তু মজার ব্যাপারটা অন্য জায়গায়, বর্তমান সময়ে যে সমস্ত স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপস্টোরে রয়েছে তাদের কোনটাই অক্টাকোর প্রসেসরের জন্য তৈরী করা হয়নি। কয়েকটা হাই কোয়ালিটি গেইম ছাড়া বাকি অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডুয়েল কোর প্রসেসরের জন্য তৈরী করা। আমার স্মার্টফোনের প্রসেসর হলো হেক্সা কোর (৬টি কোর)। কিন্তু আমি কখনোই গেইম খেলিনা। তাহলে বাকি কোরগুলোর কাজটা কী? আমার মনে হয় কোয়াড কোর প্রসেসর দিয়েই যদি সব হয় তাহলে অক্টাকোর প্রসেসর ব্যবহার করাটা অপচয়। কিন্তু দ্বিধা হতে পারে, সত্যিকারের অক্টাকোর তো কোয়াড কোরের চাইতে বেশি পারফোরমেন্স দিবে মনে হয়। আসলেই দিবে কিন্তু সে অনুযায়ী অ্যাপ্লিকেশন থাকতে হবে আগে। নাহলে অক্টাকোর ব্যবহার করা শুধুই ব্যাটারী অপচয়।
সব ধরনের কোয়াড কোর প্রসেসর আর অক্টাকোর প্রসেসর এক ধরনের না। প্রসেসরের ভেতরেও প্রকারভেদ রয়েছে। বর্তমানে ২০ টাকার মাঝেও কোয়াড কোর কিংবা অক্টাকোর পাওয়া যায় আবার ১০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যায়। তো আপনি নিশ্চয় দ্বিধায় পড়ে যাবেন কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ নিয়ে। চলুন তাহলে আপনার দ্বিধান্বিত মনকে কিছুটা স্বচ্ছতা দেওয়া যাক। বর্তমানে বাজারে প্রচলিত প্রসেসরগুলো অন্যতম হলো ARM এর Cortex-A সিরিজের প্রসেসর। কিন্তু সব A সিরিজের প্রসেসর সমান শক্তিশালী না। তাদের শক্তির অধঃক্রমগুলো একবার দেখুন।
A72 (বেশি শক্তিশালী) > A57 > A53 > A17 > A15 > A9 > A7 > A5 (কম শক্তিশালী)
কী বুঝলেন তাহলে? বেশি কোর হলেই কিন্তু সেটা ভালো মানের প্রসেসর না। প্রসেসর বিবেচনা করার আগে দেখে নিতে হবে যে এর মধ্যে কোন কোয়ালিটির কোর ব্যবহার করা হয়েছে। খারাপ কোয়ালিটির আটটি কোরের চাইতে ভালো কোয়ালিটির কোয়াড (চারটি) কোর কিংবা সর্বোত্তম কোয়ালিটির ডুয়েল কোরও অনেক ভালো।
চিরাচরিত থিওরীটা এবার ভুলে যেতে হবে। বেশি কোর দেখে ফোন কেনার দিন আপাততো শেষ। কারন কোর বেশি থাকলেই সেটা ভালো পারফোরমেন্স দিবে না। বর্তমান সময়ে কোর নিয়ে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর এতো এতো তত্ত্ব আসলে প্রতারণা। খুব কম মানুষই জানেন আসলে কোর দিয়ে কী হয়। তারা কোরের সংখ্যা দেখে অজ্ঞান হয়ে যায়। এই সুযোগটাই কোম্পানিগুলো নিয়ে থাকে। যারা টেকটিউনসে আমার লেখাগুলো পড়ছেন তাদের কাজ হলো অন্ধ বিশ্বাস পরিত্যাগ করে জেনে বুঝে সঠিক কাজ করা। সুতরাং স্মার্ট ফোন কেনার আগে প্রসেসর কোরগুলোর কোয়ালিটি সম্পর্কে আগে জানার চেষ্টা করুন। প্রসেসরের কোর সংখ্যার চাইতে প্রসেসরের কোয়ালিটির দিকে বেশি মনযোগ দেবার চেষ্টা করুন।
আপনি যদি অনেক হাই কোয়ালিটির গেইমার না হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য কোয়াডকোর প্রসেসর যথেষ্ট। অহেতুক বেশি কোরের স্মার্টফোন কিনে মোবাইল ফোনের পারফোরমেন্স এবং ব্যাটারী লাইফ নষ্ট করার কোন মানে হয় না। জেনে বুঝে কাজ করুন। প্রয়োজনে টিউনটি আবার পড়ুন এবং প্রত্যেকটা টার্ম বুঝার চেষ্টা করুন। সেই সাথে টিউনটি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন। আপনাদের ভালো কিছু জানানোর জন্য আমার যে কর্তব্য ছিলো সেটা আমি পালন করেছি। এবার আপনারা টিউনটি শেয়ার করে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের কর্তব্য পালন করুন।
টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর টিউনটিকে মৌলিক মনে হলে এবং নির্বাচিত টিউন হওয়ার উপযুক্ত মনে হলে নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন দিতে ভুলে যাবে না যেন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।
আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ
➡ ইমেইলে আমার সকল টিউনের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ 🙄
আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।
এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করে ফেললাম। আপনার টিউনগুলোতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা ঘোর লাগা ব্যাপার আছে। প্রিয়তে রেখে দিলাম পরে আবার রিভিশন করবো। প্রসেসর নিয়ে আপনার দুটি টিউনই বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য সবচেয়ে বড় তথ্য ভান্ডার। সব সময় এরকম অসাধারন টিউন করে টেকটিউনস পরিবারের সবাইকে প্রযুক্তির সুরে মাতিয়ে রাখুন।
আপনার জন্য সব সময় শুভ কামনা। তবে আরেকটু ঘনঘন টিউন করলে জাতি আরও উপকৃত হত।