পানি অক্সিজেন দিয়ে তৈরী হলেও মাছের মত মানুষ কেন পানির নিচে শ্বাস নিতে পারে না?

টিউন বিভাগ প্রযুক্তি কথন
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 7
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা
————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি পানির গাঠনিক উপাদান, মাছের শ্বসন প্রণালী, মানুষের সাথে মাছের শ্বসনের পার্থক্য এবং পানির ভেতর মানুষের শ্বাসকার্য সম্পর্কিত আমার আজকের টিউন।

 ➡ একটু স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করলেও মাছদের শ্বাসকার্যের সাথে আমাদের শ্বসনের বিষয়টা মাথায় খটকা লাগিয়ে ফেলে। কারন মাছ এবং মানুষ উভয়েরই শ্বসনের প্রধান উপকরণ হলো অক্সিজেন। কিন্তু মাছ পানির নিচে অনায়াসেই শ্বাসকার্য চালাতে পারলেও মানুষ পারে না। কিছুদিন আগে আমার এক ছাত্র আমাকে প্রশ্নটি করলে তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এ বিষয়ে একটি টিউন করার পরিকল্পনা মাথায় আসে। রসায়নের দৃষ্টিকোন থেকে এবং কিছুটা প্রযুক্তির সংমিশ্রনে আজকের টিউনটি তৈরী করেছি। আজ আমরা জানবো- কেন মাছেরা পানির নিচে শ্বাস নিতে পারলেও আমরা পারি না, মাছদের সাথে আমাদের শ্বসন প্রক্রিয়ার পার্থক্য এবং কীভাবে মাছের মতো পানিতে শ্বাস নেওয়া যায় সেই উপায় সম্পর্কে। তো চলুন শুরু করা যাক।

শ্বসনের জন্য পানি কি সত্যিই উপযোগী?

রাসায়নিক পদার্থের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যখন কিছু মৌল বা যৌগকে উপযুক্ত শর্ত সাপেক্ষে এক সাথে মেশানো হয় তখন তারা পরস্পর মিলিত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থ সৃষ্টি করে। যার মধ্যে বিক্রিয়ক সমূহের কোন চিহ্ণ দেখা যায় না। বা নতুন উৎপন্ন পদার্থটি তার গাঠনিক উপাদানগুলোর মতো আচরণ করে না। যেমন আমরা যদি কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে একটা বিশেষ পদ্ধতিতে একত্র করি তাহলে তারা গ্লুকোজ তৈরী করবে। অন্যান্য পদ্ধতিতে করলে তারা যথাক্রমে ভিনেগার (ইথানোয়িক এসিড), অ্যালকোহল, কিংবা চর্বি তৈরী করতে পারে। এই নতুন তৈরী হওয়া গ্লুকোজ, ভিনেগার, ইথানল এবং ফ্যাট এর সাথে এর গাঠনিক উপাদান অক্সিজেন, কার্বন ও হাইড্রোজেন কোন মিল নেই।

হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন কে যদি আমরা ২:১ (অনুপাত) হিসাবে মিশ্রিত করি তাহলে দুই অনুপাত পানি তৈরী হবে। এ থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি পানির গাঠনিক উপাদান হলো হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন। এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন পানি যদি অক্সিজেন দিয়ে তৈরী হয় তাহলে পানিতে কেন আমরা শ্বাস নিতে পারি না? কারন চেয়ার টেবিলকে ভাঙ্গলে এর গাঠনিক উপাদানগুলো (কাঠ) আমরা সহজেই পেয়ে যাই। তাহলে পানি থেকে আমরা কেন অক্সিজেন পাবো না? এই প্রশ্নের উত্তর আমি আগের অংশে ব্যাখ্যা করেছি। মানে হলো পানি তৈরী হওয়ার পরে তার সাথে তার গাঠনিক উপাদানের কোন সম্পর্ক থাকে না। তাই বিশুদ্ধ পানির মধ্যে শ্বসনের উপযোগি কোন অক্সিজেন থাকে না। এই পর্যন্ত কথাগুলো খুশি মনে নিলে মাথায় আরেকটি প্রশ্ন উদয় হবে। সেটা হলো মাছেরা কীভাবে তাহলে পানিতে শ্বাস নেয়? কারন তারাও তো অক্সিজেন নির্ভর!

মাছেরা পানিতে যেভাবে শ্বাস নেয়

আপনাদের অবাক করে দিয়ে একটি তথ্য আপনাদের বলতে চাই, মাছেরা শ্বসনের জন্য যে অক্সিজেন ব্যবহার করে থাকে সেই অক্সিজেন পানি থেকে আসে না। মূলত পানির সাথে অক্সিজেন সহ আরও কিছু গ্যাস দ্রবীভুত অবস্থায় থাকে। যেমনটা কোমল পানিয়ের সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস উচ্চ-চাপে দ্রবীভুত থাকে। পানির সাথে স্বল্প দ্রবনীয় অক্সিজেন গ্যাস মাছেরা তাদের শ্বসনের জন্য সংগ্রহ করে। মূলত বাতাশে যে পরিমাণ অক্সিজেন থাকে তার বিশ ভাগের এক ভাগ অক্সিজেন পানিতে থাকে। কিন্তু পানি অনেক ভারি এবং পুরু বিধায় পানি থেকে এই অক্সিজেন আলাদা করা কষ্টকর।

মাছেরা তাদের ফুলকার সাহায্যে পানি থেকে অক্সিজেন শোষণ করতে পারে। এখন কথা হলো, মাছের জন্য কি এই পরিমাণ অক্সিজেন যথেষ্ট? আমরা জানি, মাছ একটি শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী। এ কারনে মাছের শ্বসনের জন্য স্বল্প পরিমাণ অক্সিজেনই যথেষ্ট। মাছ তাদের ফুলকার সাহায্যে যে পরিমাণ অক্সিজেন শোষন করে সে পরিমাণ অক্সিজেন তাদের প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট হলেও মানুষ কি পানিতে শ্বাস নিতে পারবে? যদি পারে তাহলে কীভাবে আর যদি না পারে তাহলে কেন পারবে না?

মানুষ কি পারবে পানিতে শ্বাস নিতে? না পারলে সেটা কেন?

আমরা সকলেই জানি মানুষ পানির নিচে শ্বাস নিতে পারে না। যদি পারতো তাহলে প্রত্যেক বছর অন্তত হাজারখানেক মানুষ পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করতো না। যাহোক, মাছ মুখ ভরে অক্সিজেন যুক্ত পানি শোষন করে আর মাছের ফুলকা সেই পানি থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করে ফেলে। মানুষের শ্বসনের জন্য রয়েছে ফুসফুস যেটি মাছের মতো এতো পরিমাণ অক্সিজেন যুক্ত পানি শোষন করতে পারে না। তাছাড়া মানুষের ফুসফুস শুধু বাতাস ধারণের জন্য। এখানে যদি পানি প্রবেশ করে তাহলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।

আমি আগেই বলেছি বাতাসের চাইতে পানিতে বিশ ভাগ অক্সিজেন কম থাকে। তাই সেখান থেকে মানুষ অক্সিজেন সহজেই পৃথক করতে পারে না। কিন্তু যদি এমন কোন তরল পাওয়া যেত যেখানে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন দ্রবীভুত করা যায় তাহলে কি হতো? এরকম একটা তরলের সন্ধান বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছে সেখানে অধিক পরিমাণ অক্সিজেন দ্রবীভুত করা যায়। সেই তরলটির নাম ফ্লোরোকার্বন। আমাদের ফুসফুস ফ্লোরোকার্বন থেকে সফলভাবে অক্সিজেন শোষণ করতে সমর্থ হয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুশির খবর হলেও পানিতে শ্বাস নেওয়ার কি হলো? আমরা কি কোনদিন পানিতে শ্বাস নিতে পারবো না তাহলে?

মানুষও পারবে মাছের মতো পানিতে শ্বাস নিতে

মাছেরা যেমন ফুলকার সাহায্যে শ্বাস নেয় তেমন একটা ফুলকা যদি মানুষের জন্য তৈরী করা যেতো তাহলে কী হতো? মানুষও কি তখন মাছের মতো পানিতে শ্বাস নিতে পারতো? এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পরে Alon Bodner নামের ইজরাইলের একজন বিজ্ঞানী মানুষের জন্যও মাছের মতো কৃত্রিম ফুলকা সৃষ্টি করেছেন। এই ফুলকার সাহায্যে পানিতে মাছের মতো শ্বাস নেওয়া যায়। এ কারনে যন্ত্রটির নামকরণও করা হয়েছে Like A Fish। এখন সমস্যা হলো মাছের শ্বসনে সামান্য অক্সিজেন লাগলেও মানুষের জন্য প্রয়োজন ব্যাপক পরিমান অক্সিজেন। প্রশ্ন জাগতে পারে, যন্ত্রটি কি পারবে মানুষের প্রয়োজনীয় এতো পরিমাণ অক্সিজেন এর যোগান দিতে?

মজার ব্যাপার হলো যন্ত্রটির কার্যক্ষমতা এতোটাই ব্যাপক যে, এটা প্রতি মিনিটে প্রায় ১৯০ লিটার পানিকে বিশ্লেষণ করতে পারে যা একজন মানুষের স্বাভাবিক শ্বাসকার্য বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট। তবে যন্ত্রটি আবিষ্কার হলেও সাধারন মানুষ এটা ব্যবহার করতে পারছে না। প্রাথমিকভাবে শুধু মিলিটারিদের ব্যবহারের জন্য এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো নৌ-বাহিনীতে ব্যাপক হারে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। কারন যন্ত্রটি সহজে বহনযোগ্য এবং এর ব্যবহারে অতিরিক্ত কোন অক্সিজেন ট্যাংক এর প্রয়োজন হয়না।

শেষ কথা

টেকটিউনস ব্লগিং ক্যারিয়ারে এটাই আমার একমাত্র টিউন যেটা আমি আমার একাডেমিক দক্ষতা দিয়ে লিখেছি। রসায়নের ছাত্র হলেও কখনো রসায়ন দিয়ে কোন কিছুকে ব্যাখ্যা করতে ইচ্ছে হতো না। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক বড় ভাই আমাকে অনেকদিন থেকে অনুরোধ করছিলো আমি যেন রসায়নের আলোকে কিছু লিখি। তারই প্রতিফলন আজকের এই টিউনটি। কিন্তু মাধ্যমিক পর্যন্ত রসায়ন আমাকে টানলেও এখন আর এতোটা আগ্রহ পাই না এই বিষয়ে। তাই হয়তো বা টিউনটি ততোটা ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি। আশা করি আমার সামান্য প্রচেষ্টা আপনাদের কারও বিরক্তির কারণ হয়নি।

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর টিউনটিকে মৌলিক মনে হলে এবং নির্বাচিত টিউন হওয়ার উপযুক্ত মনে হলে নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন দিতে ভুলে যাবে না যেন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ

➡ ইমেইলে আমার সকল টিউনের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ 🙄

Sanem Mahbeer Fahad Facebook Fan PageSanem Mahbeer Fahad Facebook ProfileTwitterLinkedInGoogle PlusE-mail SubscriptionMail To Sanem Mahbeer Fahad

Level 7

আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

এটা শুধু যে রসায়নের দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছেন তা কিন্তু নয়। এটাতে আপনি বায়োলজি এবং রসায়নের একটি চমৎকার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন। এক কথায় বলতে গেল প্রাণরসায়ন (বায়োকেমিস্ট্রি) বিষয়ে একটি অসাধারণ টিউন। সাথে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হৃদয়ে এক অনুরননের সৃষ্টি হয়েছে। প্রিয়তে রেখে ধন্য হলাম।

    ঠিকই বলেছেন, এটা শেষমেষ বায়োটেককেমিস্ট্রি হয়ে দাড়িয়েছে। যাহোক, সুন্দর টিউমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। টেকটিউনসের পাশেই থাকুন।

ভাই এমন দৃষ্টিনন্দন টিউটোরিয়ার আপনার কাছ থেকেই আশা করা যায়।একদিন আপনার এমন দৃষ্টিনন্দন ভাবে টিউটোরিয়াল উপস্থাপনের রহস্য একটি টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে আমাদের সামনে উপস্থাপন করবেন,এই আশা নিয়ে বুকবেধে রাখলাম।

    হা হা হা,ধন্যবাদ ভাই 🙂 এখানে কোন রহস্য নেই। আপনাদের ভালো কিছু দেওয়ার প্রত্যয়ের ফলাফলগুলোই আমার এই টিউনগুলো। সব সময় টেকটিউনসের পাশেই থাকুন।

রসায়ন ( চ.বি. ২য় বর্ষ) পড়তে ভাল না লাগলেও আপনার টিউন টি আমার অনেক ভাল লাগলো। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার এই সুন্দর টিউন এর জন্য।

    আমিও আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলাম। আপনি রসায়নের শুনে ভালো লাগলো। একই সেশনের রসায়নে আমার কিছু ভালো বন্ধু আছে।

      তবে ভাইয়া আপনি চ.বি. তে থাকলে আমার জন্য ভাল হত। কারন রসায়ন বিভাগে নিজের এলাকার একজন বড় ভাই পাইতাম।

hebby tune, chaliye jaaan vai

অসাধারন

Good Tune Bro… Go Ahead 😀

onak valo laglo kesu janta parlan thanks Fahad vai……

sorry, parlan na parlam hoba….

vai ekto shahajjo korben? https://www.techtunes.io/internet/tune-id/387997
aikhane je softwar dea hoe se ta ki amar pc te kono somossa korbe ?.ai softwar install disi kinto delete korte partasina. kivabe delete korbo.

    এ সমস্ত টিউন অনুসরণ করাটাই আপনার উচিত হয়নি। যাহোক, কোন একটা আনইনস্টলার ব্যবহার করুন। এটা কি লগারও হতে পারে।

প্রথমেই আপনার সুন্দর টিউনের জন্য ধন্যবাদ। ভাই ব্লগার পোস্ট টু অটো ফেসবুক পোস্ট কিভাবে করা যায় এ সম্পর্কে আপনার একটি টিউন করার জন্য অনুরোধ করছি আপনার টিউন হলে বিস্তারিত পরিস্কার ভাবে থাকে তাই নতুনদের অনেক উপকার হবে এবং তারা আপনার টিউনের মাধ্যমে অটো পোস্ট ব্লগার টু ফেসবুক করতে কোন অসুবিধাই হবে না না। একের সাহায্যেই অন্যের পথ চলা শুরু হোক আপনার মাধ্যমেই। অসংখ্য ধন্যবাদ।

    এ ব্যাপারে সাবেক টেকটিউনস মডারেটর সাইফুল ভাইয়ের চমৎকার একটি টিউন আছে। আপনি সাইফুল ভাইয়ের টিউনটি দেখতে পারেন। ধন্যবাদ 🙂

পাখিকে দেখে আকাশ জয় সম্ভব হয়েছে ৷ এখন মাছকে দেখে পানিও জয় করা হয়ে যাবে 🙂

লেখাটা খাসা হয়েছে । এই জাতীয় জ্ঞানমুলক টিউনের জন্য থাঙ্কস । টিউনের প্রথম অংশটা জানা থাকলেও শেষ টুকু অজানা ছিল । ব্যাপারটা সহজভাবে হলে খুবই ভাল হত । Like A Fish কবে আবিস্কার হয় সেটা উল্লেখ আরও করলে ভাল হত ।
প্রতি মিনিটে প্রায় ১৯০ লিটার জলকে বিশ্লেষণ করলে বোধহয় জলের বাস্তুতন্ত্রের/জলজ জীবের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা থাকে , তাই বোধহয় এর ব্যবহার সীমিত থাকাই ভাল ।

    আমি এরচেয়ে বেশি তথ্য পাইনি। ঘাটাঘাটিও বেশি একটা করা হয়নি অবশ্য। তবে কোন একদিন বিস্তারিত বলবো।