বিষ্ময়কর প্রযুক্তি – যে আবিষ্কারগুলো বদলে দিবে জীবনযাত্রা বদলে দিবে পৃথিবী টেকটিউনস পরিবারে আমার ১০০ তম টিউন

টিউন বিভাগ প্রযুক্তি কথন
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 7
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা
————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার শত তম টিউন। আজকের দিনটি একটি সাধারন দিন হলেও আমার জন্য এটা বিশেষ একটা দিন হিসাবে চিহিৃত হয়ে থাকবে। কারন আজকেই টেকটিউনসে ৩০তম ব্যক্তি হিসাবে ১০০টি টিউনের মালিক হলাম। এর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর প্রথম টিউন করলেও আজ অনেক দিনের ব্যবধানে সেটা শতকে পৌছালো। ১ ডিজিট, ২ ডিজিট করে আজ ৩ ডিজিটের সংখ্যায় পদার্পন করলাম। তবে নিজেকে আজকের অবস্থানে আনার পেছনে সব থেকে বড় অবদান যার তিনি হলেন টিউনার প্রবাসী। তাই আমার শততম টিউনটি টিউনার প্রবাসীকে উৎসর্গ করলাম। যদিও জানি আমার এই উৎসর্গ টিউনার প্রবাসীর মতো মহান টিউনারের কাছে উপস্থাপনের অযোগ্য। তবুও নিজের মনকে শান্তনা দিতে পারবো যে যার কাছ থেকে এতো কিছু শিখেছি তাকে কিছুটা সম্মান জানাতে পারছি। যাহোক, টিউনের শুরুতে ব্যক্তিগত কথা বলে টিউজিটরদের সমস্যায় ফেলতে চাইনা। এবার টিউনের মুল বক্তব্যে চলে আসি, তবে ১০০ তম টিউন উপলক্ষে সামান্য কিছু কথা টিউনের শেষ অংশে থাকবে।

বর্তমান সময়টা হলো তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ। এখানে অবাস্তব বলে কোন কথা নেই। চিন্তুা এখানে বাস্তবতার রূপায়ন করে। আজকের টিউনে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো ভবিষ্যতে আমাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। যে সমস্ত প্রযুক্তি আমাদের বাস্তব জীবনকে স্বার্থক এবং সুন্দর করে তুলবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

কৃত্রিম ফুলকা – মাছের শ্বাস যন্ত্র

আপনারা হয়তো জানেন পানিতে বসবাসকারী মাছদেরও অক্সিজেনের সাহায্যে শ্বাস কার্য পরিচালনা করতে হয়। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পানির নিচে অক্সিজেন আসলো কিভাবে? কারন আমরা নিজেরা যখন পানির নিচে মুখ ডুবাই তখন শ্বাস নিতে পারিনা। বিজ্ঞ জনেরা বলতে পারেন পানি তৈরী হয়েছে দুটি মৌলিক পদার্থ অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের সংমিশ্রনে। পানির বিয়োজন বিক্রিয়ায় অক্সিজেন তৈরী হওয়া সম্ভব। কিন্তু আমি বলবো বিয়োজনের জন্য যে পরিমান শক্তি লাগে সেটা পানিতে থাকেনা। চিন্তায় পড়ে গেলেন নিশ্চয়? কিন্তু সত্য তো হলো এটাই যে, পানিতে খুব সামান্য পরিমান অক্সিজেন থাকে যেটা মাছেরা তাদের ফুলকার সাহায্যে গ্রহণ করে থাকে। আশ্চর্য লাগলেও সত্য যে, ইজরাইলের একজন বিজ্ঞানী Alon Bodner মানুষের জন্যও মাছের মতো কৃত্রিম ফুলকা সৃষ্টি করেছেন যার সাহায্যে পানিতে শ্বাস নেওয়া যাবে। প্রাথমিক ভাবে এই যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে LikeAFish

কিন্তু সমস্যা হলো মাছের শ্বসনের জন্য সামান্য পরিমাণ অক্সিজেনে কাজ হলেও মানুষের জন্য প্রয়োজন অধিক পরিমান অক্সিজেন। আপনার কি মনে হয় ছোট্ট এ যন্ত্রটি কি পারবে মানুষের প্রয়োজনীয় অক্সিজের যোগান দিতে? আজ আপনার শুধু আশ্চর্য হওয়ার পালা। কারন যন্ত্রটির কার্যক্ষমতা এতোটাই ব্যাপক যে, এটা প্রতি মিনিটে প্রায় ১৯০ লিটার পানিতে বিশ্লেষণ করে একজন মানুষের স্বাভাবিক শ্বাসকার্য বজায় রাখার জন্য। তবে যন্ত্রটি আবিষ্কার হলেও দুঃখের কথা হলো এটা সাধারন মানুষের জন্য তৈরী করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে শুধু মিলিটারিদের ব্যবহারের জন্য এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো নৌবাহিনিতে ব্যাপক ভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার হবে। কারন যন্ত্রটি সহজে বহনযোগ্য এবং এটা ব্যবহার করলে অতিরিক্ত কোন অক্সিজেন ট্যাংক এর প্রয়োজন হয়না।

কৃষক রোবট – কৃষি বিপ্লবের ভবিষ্যৎ অগ্রদুত

কৃষি কাজে সুবিধা জন্য আমাদের দেশে নানা ধরনের যন্ত্রের ব্যহার লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এই যন্ত্রগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় একজন দক্ষ কৃষকের। যদিও এখানে অধিক কাজ করার জন্য যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তবুও আসল ক্রেডিট কিন্তু কৃষকের থাকছে। কারন ফসলের যত্ন, ফসল বুনা এবং সংগ্রহের সময়গুলোতে কৃষক তার যন্ত্র ব্যবহার করছে। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে আসছিলো ব্যক্তির পরিবর্তে কীভাবে যন্ত্রের ব্যবহার করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় তারা তৈরী করে কৃষক রোবট।

কৃষক রোবটে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর। এটা একজন ভালো মানের কৃষকের তুলনায় অনেক বেশি সেন্সিটিভ। কারন এটা ফসলের যাবতীয় আপডেট ধারন করতে সক্ষম। এবং বিভিন্ন মেয়াদে ফসল আহরনের জন্য কোন ফসল তুলতে হবে সেটা নির্ধারন করতে পারবে এই রোবট। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, আপনার একটা টমেটো ক্ষেত আছে। আপনি নিজে যদি টমেটো তুলতে যান তাহলে অনেক সময় পাকা টমেটোর সাথে কাঁচাগুলোও উঠে আসতে পারে। কিন্তু এই কৃষক রোবট শুধুমাত্র পাকা টমেটো গুলোকে শনাক্ত করে সেগুলো তুলে ফেলবে।

কাগজের মতো নমনীয় ও পাতলা কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন

বর্তমান সময়ে যেখানে স্লিম স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সেখানে কাগজের মতো নমনীয় ও পাতলা ট্যাবলেট কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের ফোনের কথা কল্পনা করা কী খুব বেশি অযৌক্তিক হয়ে যাবে? আসলে এখন প্রযুক্তি মানুষকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে এসেছে যে কোন কিছু পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র সুন্দর কল্পনা শক্তি থাকাটাই যথেষ্ট। যা কিছু কল্পনা করবেন বছর ব্যবধানে যেগুলো সত্য হিসাবে ধরা দিবে। বর্তমানে এরকম একটা ডিভাইসেরই প্রটোটাইপ তৈরী করা হয়েছে যেটা কাগজের মতোই নমনীয় এবং পাতলা। সম্পূর্ণ টাচ নির্ভর এ ডিভাইসে সাধারন মনিটরের সমান মনিটার থাকলেও সেগুলোকে বাঁকানো বা ভাঁজ করা যাবে। তবে এটা মানুষের হাতের নাগালে পেতে হলে অপেক্ষাটা আরও একটু দীর্ঘায়িত করতে হবে।

একটি অ্যামেরিকান এবং একটি কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় এই পেপারফোন এবং পেপারট্যাব তৈরী হতে যাচ্ছে। Queens University এর পরিচালক Dr. Roel বলেছেন আগামী দিনে এরকম ডিভাইস তৈরী করাই তাদের বর্তমান ভিশন। তিনি বলেন আগামী ৫ বছরের মধ্যে এরকম ডিভাইস উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে। তাদের তৈরী পেপারফোনে ৯.৪ সেন্টিমিটারের বা ৩.৭ ইঞ্চির একটি মনিটার থাকলেও এটা কাগজের মতোই পাতলা হবে। এবং এটাকে যখন ব্যবহার করা হবেনা তখন এর কোন পাওয়ার কনজাম্পশন হবে না। তবে আশ্চর্য হলেও সত্য যে এই ফোনটি পাতলা এবং নমনীয় হলেও অন্যন্য সাধারন ফোনের চেয়ে অনেক বেশি শক্ত, ঘাতসহ এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।

হলোগ্রাফিক টেলিভিশন – স্বপ্ন নয় এটা বাস্তব

হলোগ্রাফিক টেলিভিশন প্রযুক্তির জগতে অন্যতম একটা আবিষ্কার। হলোগ্রাফিক টেলিভিশন মুলত আপনার নিজের চারপাশে ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্বের সৃষ্টি করতে পারে। এর মাধ্যমে টেলিভিশনে দেখানো যাবতীয় কিছু আপনার চোখের সামনে হচ্ছে বলে মনে হবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে সর্বপ্রথমে আসবে এই হলোগ্রাফিক টেকনোলজি। হলোগ্রাফিক টেকনোলজি নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন কিছুদিন আগে প্রকাশিত আমার হলোগ্রাফিক টেকনোলজি বিষয়ক টিউন থেকে। তবে এখন হলোগ্রাফিক টেলিভিশন নিয়ে কিছু বলি।

MIT এর একদল গবেষক একটি হলোগ্রাফিক টেকনোলজির জন্য বিশেষ এক ধরনের ডিসপ্লের জন্য বিশেষ একধরনের চিপ তৈরী করেছেন যেটা প্রতিসেকেন্ডে ৫০ গিগাপিক্সেল ছবি ধারন করতে পারে। এর ফলে এটি খুব সহজে ত্রিমাত্রিক পরিবেশ তৈরীতে সহায়ক হবে। অত্যন্তু ব্যয়বহুল এই ডিসপ্লে আগমী ৭-৮ বছরের মধ্যে বাজারে আসবে বলে ধারনা হচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার হলো উইন্ডোজ ১০ এ হলোগ্রাফিক লেন্স ব্যবহার করে আপনি এই প্রযুক্তির স্বাদ নিতে পারবেন।

Google Earth এ দেখুন লাইভ পৃথিবী

আমরা যখন গুগল আর্থের সাহায্যে কোন জায়গা দেখি তখন সাধারনত স্থির ছবি দেখি। তাও সেটা কবেকার আপডেট আমরা জানিনা। কিন্তু বর্তমানে গুগল আর্থকে লাইভ করার প্রচেষ্টা চলছে। এর জন্যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বায়রে হাই কোয়ালিটি ভিডিও ক্যামেরা সংযোজন করা হয়েছে। মনে করবেন না যে ভিডিও ক্যামেরাগুলো মহাশূন্যের ছবি তুলতে ব্যস্ত। আসলে ক্যামেরাগুলোকে তাক করা রাখা হয়েছে পৃথিবী বরাবর। যখনি ভালো রেজুলেশন পাওয়া আসে (১পিক্সেল/ মিটার) তখনি সমস্ত পৃথিবীর লাইভ ভিডিও ব্রডকাস্টিং শুরু হয়।

Georgia এর টেকনোলজি গবেষকরা অবশ্য একটু ভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা পৃথিবীর চারপাশ থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও গুলো দ্বারা একটি ত্রিমাত্রিক তল তৈরী করে একটি বাস্তব ভিত্তিক Google Earth উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।

তারবিহীন বিদ্যুৎ

তারবিহীন মোবাইল চার্জারের কথা হয়তো আপনারা অনেকেই শুনেছেন। দেখেও থাকবেন হয়তো যারা উন্নত বিশ্বে থাকেন। কিন্তু আশ্চর্য কথা হলো এই তারবিহীন বিদ্যুতের কথা আজ থেকে প্রায় শত বছর আগে নিকোলাই টেসলা নামক একজন ব্যক্তি বলেছিলেন। দুঃখের কথা হলো তিনি আর্থিক ভাবে গরিব ছিলেন, দুর্ভাগ্য পীড়িত ছিলেন এবং মানুষ হিসাবে সামান্য উন্মাদ ছিলেন। গরীবের কথা নাকি বাসি হলে ফলে। টেসলার সেই ধারনা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

বর্তমানে তারবিহীন মোবাইল চার্জার আসলেও এই প্রযুক্তির আরও এক ধাপ উপরে চিন্তা করছেন MIT এর একদল গবেষক। তারবিহীন বিদ্যুৎ পরিবহনের ব্যাপক হারে প্রয়োগের পরীক্ষামুলক কাজ চলছে। ধারনা হচ্ছে আগামী দশকে এই পদ্ধতি বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।

3D কলম – মনের মতো ডিজাইন করুন কোন সীমাবদ্ধতা ছাড়াই

বিজ্ঞানের এক অনন্য আবিষ্কার এই ৩ ডাইমেনশনাল কলম। এর সাহায্যে আপনি যেকোন দ্বিমাত্রিক পৃষ্টের উপর ত্রিমাত্রিক ছবি আঁকতে পারবেন। নিচের চিত্র দেখলে আপনার কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। সামনে আরও কী কী চমক অপেক্ষা করছে কোন ধারনা করতে পারবেন?

মাইন্ড রিডিং ক্যামেরা

জাপানের একদল গবেষক তৈরী করেছে এই অসাধারন যন্ত্রটি। আপনি যখন কোন কিছুর চিন্তা করবেন তখন আপনার মাথায় লাগানো এই ক্যামেরা আপনার চিন্তাটাকে GIF ইমেজের সাহায্যে প্রদর্শন করবে। যদিও এটার বিকাশ এখনো সদুর প্রসারী তবুও সূচনালগ্নে এরকম আবিষ্কার একেবারে মন্দ না।

জানিনা সামনের দিনগুলোতে প্রয়োগের চাইতে অপপ্রয়োগ বেশি হয় কিনা। কারন বউ কিংবা গার্লফ্রেন্ডের মাথায় লাগিয়ে হয়তো মানুষ প্রশ্ন করবে সারাদিন কী কী করলা একেক করে বলো  😆 মিথ্যা ধরতেও এই যন্ত্র অনেক বড় ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

স্বপ্ন ধরতে পারবে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন

শ্যাডো নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করা হচ্ছে যেটা আপনার স্বপ্নকে বুঝতে সক্ষম হবে। যারা দুঃস্বপ্ন দেখে তাদেরকে স্বপ্নের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি। তাছাড়া আপনার দেখা স্বপ্নকে ভয়েস অথবা টেক্সট এর মাধ্যমে প্রকাশ করবে এই অ্যাপ্লিকেশন।

যারা ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখেন কিংবা স্বপ্নে ব্যাপারে উৎসুক তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে এই অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপ্লিকেশনকে আপনার দেখা সব স্বপ্নকে তার ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখবে যাতে পরবর্তি সময়ে আপনার মানুষিক অবস্থা সম্পর্কে সম্মক ধারনা লাভ করা যায়।

নিউক্লিয়ার ফিউশন রিয়েক্টর

আমরা জানি নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার দুইটা প্রকারভেদ আছে। একটা নিউক্লিয়ার ফিশন এবং অন্যটা ফিউশন। নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ায় ফিশন বিক্রিয়ার তুলনায় অনেক বেশি শক্তি উৎপন্ন হয় এবং এতে কোন নিউক্লিয়ার বর্জ্রপদার্থ অবশিষ্ট থাকেনা। কিন্তু সমস্যা হলো কোন নিউক্লিয়ার রিএক্টরে এই বিক্রিয়া সংঘটিত করা অসম্ভব। সম্প্রতি খুব ছোট্ট পরিসরে এই বিক্রিয়া সংঘঠিত করা হয়েছে। এবং খুব শীঘ্রই এটাকে বড় পরিসরে করা হবে। (আমরা যে নিউক্লিয়ার শক্তির কথা জানি যেটা ফিশন প্রক্রিয়ায় হয়)

বর্তমান সময়ের ৭টি শক্তিশালী দেশ (US, EU, Russia, China, Japan, South Korea, and India) এই শক্তি উৎপাদনের জন্য একমত হয়েছে। এবং ফ্রান্সে এর জন্য স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে। নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া ফিশনের চাইতে ৩গুন শক্তি উৎপন্ন করতে পারবে।

শত তম টিউন, সামান্য কিছু কথা

টিউনের এই অংশে ব্যক্তিগত কোন আলোচনা নয় বরং কিছু মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। যাদের কল্যাণে আজকের অবস্থানে এসে পৌছলাম। টেকটিউনসের জন্ম লগ্ন থেকেই প্রায় টেকটিউনসের সাথে আছি। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কিছু গুণী টিউনারের কল্যাণে আজকের প্রযুক্তি বিষয়ক এতো কিছু জানতে পারছি। যতোটুকু জানি তার সব টুকুই যে টেকটিউনসের কল্যানে একথা বলতে কোন বাধা নেই। কারন গুগল সার্চ কীভাবে করতে হয় এ কথাটিও টেকটিউনস থেকেই জেনেছি। যাহোক, আমার ৫০ তম টিউনে বলেছিলাম যে কোন কোন টিউনারের কাছে আমি সব সময় কৃতজ্ঞ কিংবা যাদেরকে সব সময় ভালোলাগে। তবে আজ আর যেসব বলবো না। আমি আজ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সেই টিউমেন্টাদের যারা সব সময় আমাকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, এবং সংশোধনের উদ্দেশ্যে সমালোচনা করে আমার এই পথ চলাকে শাণিত করেছে।

আমি অকৃতি অধম বলেও তো কিছু কম করে মোরে দাওনি 

যা দিয়েছো তারই অযোগ্য ভাবিয়া কেড়েও তো কিছু নাওনি.

আমি টেকটিউনস পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে আমার মতো একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে আপনারা এতোটা ভালোবাসা দিয়েছেন। আপনাদের কাছে বলার মতো শুধু এটুকুই আছে যে, যতোটা ভালোবাসা দিয়েছেন সব সময় যেন ততোটুকু নিয়ে পাশে থাকবেন এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে আমার করা ভুলগুলোকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ

➡ ইমেইলে পেয়ে যান আমার সকল টিউনের আপডেট! ক্লিক করুন এবং ইমেইল দিয়ে ভেরিফাই করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ 🙄

Level 7

আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

১০০ তম টিউনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। সত্যিই অসাধারন আপনার লেখার হাত আর দেবার মানসিকতা। শুভ কামনা রইল অন্তর থেকে………………..

    @S. M. SALAH UDDIN: অনেক ধন্যবাদ সালাউদ্দিন ভাই 🙂 আপনাদের এতো শুভকামনা এবং ভালোবাসার পথ ধরেই আগামী দিনগুলো পার করতে চাই। আশা করি সব সময় পাশেই থাকবেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।যে সন্মান দেখিয়েছেন তার প্রতিদান নিশ্চয়ই টেকটিউনস স্নমানের সাথেই আপনাকে ফেরত দিবে।অনেক ভালো লাগলো।টিউন না পড়েই কমেন্ট করলাম কারন যে টিউন করেছেন তাতে চট করে পড়তে চাচ্ছি না,একটু রসিয়ে রসিয়ে পড়তে চাই।আপনার শততম টিউনে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।এগিয়ে যান স্বার্থহীনভাবে।জয় সুনিশ্চিত।

    @প্রবাসী: টেকটিউনসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ টিউনারের জন্য এটা কিছুইনা। আমার তো স্বপ্ন ছিলো যে আমার প্রথম সেঞ্চুরিটি আপনাকে উৎসর্গ করবো। স্বপ্ন পুরন হয়ে লাভ তো আমারই হলো, কারন আমার জীবনে কদাচিৎ যে স্বপ্নগুলো পুরন হয়েছে তার মাঝে এটাও একটি। সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান দেখানোটাই প্রকৃত সৌভাগ্যের কাজ। আজ আমিও সৌভাগ্যবান।

অস্থির সব জিনিস 😀 😀
কলম টা ভাল্লাগসে 😀
carry on

অভিনন্দন ভাই। ১০০ নাম্বারে তো বল স্টেডিয়ামের বাইরে ফেলে দিয়েছেন। আরো নতুন নতুন আর অভিনব টিউন করবেন পূর্বের মত। সেই আশায়…
না দাবি জানাচ্ছি।

জানার কোন শেষ নেই
এবং জানানোরও কোন শেষ নেই
ঠিক তেমনি করে জানার এবং জানানোরও কোন বয়স নেই | 100 th
টিউনের পুর্তিতে রইল শুভেচ্ছা | আসলেই টিউনটা অনেক বড় হইছে কারন নতুন কিছু আবারো শিখতে পারছি !

এইতো সেদিন, এরই মাঝে সেঞ্চুরি। গুটি গুটি পায়ে যে একদিন শোয়া কাটাও প্রজাপতিতে রূপান্তরিত হয়, আর যেটা মানুষের ভালোবাসার পাত্র হয়ে উঠে তা কেউ উপলব্ধি করতে পারে না!!
ঠিক সেইভাবেই যেন মানুষের মাঝে আরও বেশি দিন শোভা বিলাতে পারেন সেই কামনা তো থাকবেই, সেই সাথে ভালো কিছু করার জন্য থাকবে অগ্রিম শুভকামনা।
একটু কাব্যিকতা উঁকি দিলো-
“আরও পথ বাকি,
আরও পথ হাটতে হবে,
আরও দিন গুনতে হবে
নতুন সেই দিন, নতুন সেই আশার যাত্রার জন্য,
নতুন সব সৃষ্টির জন্য-
আমরা আশার ভেলায় ভাসবো!!”

*** সব সময় শুভ কামনা থাকবে!!

    @আই,টি সরদার: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় টিউনার আই,টি সরদার ভাই 🙂 আপনার কাব্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দোয়া করবেন যাতে সব সময় আপনাদের পাশে থাকতে পারি।

টেকটিউনস এর ‘থ্রি ডিজিট টেকটিউনার’ এর খাতায় নাম লেখানোর জন্য আপনাকে ইফিনিটি ডিজিটের অভিনন্দন। 3D পেনটা সত্যি চমৎকার! 🙂

    @মেহেদী: ভার্চুয়াল রাইটিং এর জন্য 3D পেনটা আপনাকে গিফট করলাম মেহেদী ভাই 🙂 আর সুন্দর টিউমেন্টের জন্য ধইন্যা 🙂

কি যে বলব ? অস্হির টিউন আর ঝাকানাকা টিউমেন্টের ভিড়ে আমি পিপাসার্ত অধম প্রযুক্তির যে নির্যাস দিয়েছেন তাই পান করেই চুপচাপ ।

আপনার লেখা আমার কাছে ভালো লেগেছে। শততম টিউনের শুভেচ্ছা রইল

শততম টিউনে ভাল কিছু উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ।
সেই সাথে শতক পূর্ন করতে পারার জন্য অভিনন্দন।

আপনাকে সু-স্বাগতম ১০০ তম টিউনে 🙂 আপনার ৩ ডিজিটের টিউন , ৪ ডিজিটে উন্নতি হোক দোয়া রইলো

টেকটিউনস এর ‘থ্রি ডিজিট টেকটিউনার’ এর খাতায় নাম লেখানোর জন্য আপনাকে অভিনন্দন। এগিয়ে যান, জয় সুনিশ্চিত।

Apnar sob gulo tune e ami pori.
Apnar protita tune thekei notun kisu pai ba notun kisu jante pari.
apnar centurian tune er jonnoo ovinondhon.
Asa kori vobissot eo notun kisu diye amader notunotter maje matiye rakhben.

    আপনার টিউমেন্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো হাবিব ভাই 🙂
    আশা করি সব সময় এভাবে উৎসাহ দিয়ে আমার চলার পথকে মসৃণ করে রাখবেন।

Apnar Hater lekha to darun 🙂

অনেক অনেক অভিনন্দন আপনাকে।…… ফোর ডিজিটের সংখ্যাটাও অদুর ভবিষ্যতে দেখতে পারবো বলে আশা রাখি।

Level 0

শততম টিউনের জন্য অভিনন্দন। প্রতিটি টিউনে কমেন্ট না করলেও প্রতিটি টিউনই অসাধারন। ধন্যবাদ।

ভাই আপনার ফেইসবুক আইডি লিংক টা দেন তো 🙂

১০০ তম টিউনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন

Level 2

ভালো লাগলো ভাই টিউন, ১০০ বার Congratulation 🙂 Go ahead (y)

অনেক কিছু জানলাম।

টি টুয়েন্টি স্টাইলে 100 করে ফেললেন। আথচ আমরা বল, ওভার খেতে খেতে তিন বছরের কাছাকাছি। আপনার টিউন অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সেঞ্চুরী করার জন্য।

    @জামান: টি টুয়েন্টি বলা যাবে কিনা জানিনা। তবে ১০০টি টিউন করতে ১৮ মাস লেগেছে জামান ভাই। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও হার্ড হিটার হওয়ার। টিউমেন্টের জন্য ধন্যবাদ 🙂

১০০ তম টিউন উপলক্ষে আপনাকে স্বাগতম ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। আপনার প্রতিটি টিউনই অসাধারন। খুবই অল্প সময়েই অন্য সব বিখ্যাত টিউনারের মত আপনিও আমার মনের জায়গাতে স্থান করে নিলেন। পরিশেষে অন্তস্থল হতে রইল শুভ কামনা এবং পরবর্তিতে আরো কিছু পাবার অপেক্ষাতে রইলাম।

    @ফেরী ওয়ালা: ধন্যবাদ ফেরীওয়ালা, আপনার টিউমেন্ট আমার অন্তরের অন্তস্থলে এক অন্য রকম ভালোলাগার সৃষ্টি করলো। দোয়া রাখবেন আপনার অন্তরের জায়গাটুকু যেন সব সময় ধরে রাখতে পারি।

১০০ তম টিউনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন (৫০০ তম টিউনের অপেক্ষায়) এগিয়ে যান ভাই সাথে আছি।

১০০ তম টিউনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন…

কি আর বলব! টিউন তো অসাধারণ!! ও আর আপনাকে অভিনন্দন শততম টিউনের।

১০০ তম টিউনের অভিনন্দন

১০০ তম টিউনের কাঙ্ক্ষিত উপহারটা পেয়ে গেছি।
আপনার মূল্যবান সময় অতিবাহিত করে,ভবিষ্যৎ এর আগত তথ্য-প্রযুক্তির বিস্ময়,কল্পনাশ্রয়ী এইসব গবেষণাধর্মী,জ্ঞানগর্ভ মজাদার বিষয়গুলো খুব সুন্দর সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করার জন্য আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা এবং সমগ্র টেঁক টিউন্স বাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এবং আশা করছি সামনের দিন গুলিতে আপনার কাছ এই রকম আরও অনেক লেখা পাবো এবং
প্রযুক্তির সব অজানা জ্ঞানকে জানবো।
আর বুঝতে পারছি না কি মন্তব্য করবো আর কিভাবে নিজের ভালো লাগাটা এক্সপ্লেইন করবো।
আমি সত্যি নিজেকে খূবই ভাগ্যবান অনুভব করছি,আপনার মত একজন বিজ্ঞ-জ্ঞানী মানুষের সাথে থাকতে পেরে,কথা বলতে পেরে ।
জানেন?
আমার আজ পর্যন্ত তেমন বড় কোন ইচ্ছে নাই।
তবে এখন একটা ইচ্ছা প্রবলভাবে কাতর করছে যে “মৃত্যুর আগে হলেও আপনার সাথে একবার সাক্ষাৎ করা”
আপনার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
অসাধারণ ভাই !,এগিয়ে যান,আমাদের নুতন এক স্বপ্নিল এক বিস্ময়কর তথ্য-প্রযুক্তির গ্রহে নিয়ে যান

ধন্যবাদ

    @আইনুল ইসলাম: মুন্না ভাই, আপনার টিউমেন্ট দেখে আমি হতবাক হয়ে গেছি। আমার মতো একজন অভাজনের জন্য কেউ এতোটা ভালোবাসা জমা রেখেছে আমি কল্পনা করতে পারিনি। অধিক আনন্দে মানুষ বাকরূদ্ধ হয়ে যায়। আমার অবস্থাও তাই হয়েছে। আপনার এই সুন্দর টিউমেন্টের প্রতি উত্তরে কী বলবো আমি খুঁজে পাচ্ছিনা। তবে আপনার প্রবল ইচ্ছে বিষয়ে বলতে চাই, মৃত্যুর আগে নয়। যেকোন সময়ে আমাদের দেখা হতে পারে। আজকের অবস্থানে আশার পেছনে যতোটা উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। দোয়া করবেন, যতোদিন বেঁচে আছি তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন তথ্য সামগ্রি আপনাদের সাথে শেয়ার করে যেন আপনাদের সামান্য সেবা করতে পারি।

    আল্লাহ আপনাকে সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং নিরাপদে রাখুন; আমিন।

অভিনন্দন 🙂

১০০ তম টিউনের শুভেচ্ছা আপনার কাজ থেকে অনেক কিছু শিখেছি,সব সময় নিজের জ্ঞানকে উজাড় করে সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন,আপনার জাদুগরি হাতে লিখা প্রত্যেকটি টিউন আমার মনে জায়গা করে নিয়েছে অনেক আগে থেকেই,শুধু আমার বললে ভুল হবে টেকটিউনস কোমিউনিটির সাথে যুক্ত প্রত্যেকটি মানুষের মনের মাঝে বিশেষ ভাবে জায়গা করে নিয়েছে আপনার ভিন্ন ধর্মী সব টিউন,সব শেষে একটি কথা বলব নিজে এগিয়ে যান এবং টেকটিউনস কমিউনিটিকে ও এগিয়ে নিয়ে যান অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
:::::::::::::ধন্যবাদ::::::::::::::::::

    আমি নিজেও কিন্তু তোমার লেখার অনেক বড় ভক্ত! নিয়মিত লিখলে টেকটিউনসে সেরা টিউনার হতে তোমাকে বঞ্চিত করার কেউ থাকবেনা! আশা করি তুমি টেকটিউনসে নিয়মিত হবে!

    তোমার টিউমেন্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো! আশা করি সব সময় তোমাকে পাশে পাবো!

@সানিম মাহবীর ফাহাদ: 3D কলম টা ভালো লাগলো। ১০০ তম টিউনের অভিনন্দন। ১০০০ তম টিউনের অপেক্ষায়

অনেক অনেক অভিনন্দন ভাই।

চালাইয়া যান বস 😀
টিটি তে অনেক দিনপর ঢুকলাম আপনাকে অভিনন্দন জানাতে
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।:D

আপনার বার্ষিকীমুলক টিউনগুলো মাথা ঘামাবার মতো হচ্ছে……টিউনপূর্তি নিয়ে বলব না যেটা দিয়ে ভাবাচ্ছেন সেটার গুন গাইব- বাইরের শীতল বাতাসে শরীর জুড়াতে জুড়াতে এই-ই ভাবছি :mrgreen:

এই জন্যই সায়েন্স ফিকশন বই আর মুভিগুলো আমার এতো পছন্দের…..কাল্পনিক জিনিস- কিন্তু মানুষ এই কল্পনাতে ভর করেই ভবিষ্যতকে বানায়….এবং এটা আবিস্কারকরাও স্বীকার করেন। “সাবমেরিন”(ডুবোজাহাজ) এভাবেই আবিস্কৃত হয়েছিল- আগে কল্পনা পরে বাস্তবতা 😎
জলের নিচে মানুষের “ফুলকা” কিন্তু লেখক “আলেক্সান্দর বেলায়েভ” তার উভচর মানুষ বইতে বহু আগেই বলে গেছেন – ছোট্ট বেলায় পড়া সেই রোমাঞ্চ কাহিনি এখনও পড়ে দেখতে পারেন, প্রতিটা সেকেন্ড উসূল হয়ে যাবে!! হলোগ্রাফিক টিভির সর্বশেষ ডেমোও “Hunger Games” মুভিগুলোতে দেখা গেছে…..satelliteworldmap.com নামে এই সাইটটাও গুগল আর্থের বাপের সমান- মাথাটা খারাপ করে দেয়!! প্রযুক্তি মানুষকে পাষাণ করে দিলেও এর উদ্ভাবনী শক্তি সবসময়ই অভিভূত করে রাখে বৈকি 😉

শতক হাঁকানোর জন্য ধইন্যার ফুলঝুরি বসন্ত বাতাসের মতো ছড়িয়ে দিলুম 🙂

তবে “মুন্নী” কিন্তু জানতে চায় এই প্রান্তে এসে আপনার নিজস্ব অনুভূতি কী? 😆 যিনি রাঁধেন তার তৃপ্তিটা কিন্তু সবার থেকে সবসময়ই আলাদা হয়….সেটা যেমনই হোক রেসিপির ভিন্নতা আর টক-ঝাল-মিষ্টিময় নানা পদের টানেই আপনার দরজায় আমরা নক করি- আমাদের এই আগ্রহ আর স্বাদের মান অখন্ড অক্ষুন্ন থাকুক এই শুভকামনা থাকল…..চলার পথে একটা করে নতুন নতুন মাইলফলক গাঁথতে থাকুন সেই প্রত্যাশা থাকল….কী-বোর্ডে ঝড় তুলতে থাকুন- পাশে আছি 😉

    @নিওফাইট নিটোল: জুল ভার্নের বিজ্ঞান কল্পকাহিনীগুলোর ক্ষেত্রেও কিন্তু একই কথা বলতে হবে। আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে যা তিনি লিখে গিয়েছিলেন সেগুলো আজ বাস্তবে চলে আসছে। তবে আমার হলোগ্রাফিক টেকনোলজির টিউনটি আপনি সম্ভবত দেখেননি। প্রযুক্তি যে কোন পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে তা আজ কল্পনাতীত ব্যাপার।

    একজন লেখকের চিন্তা হলো নিজের চিন্তাগুলোকে অন্যের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া। টিউনগুলো যদি সত্যিই আপনার মাথা ঘামাতে পারে তাহলে নিজেকে এক প্রকার স্বার্থক বলা চলে।

    শত তম টিউনের অনুভুতি প্রসঙ্গে বলতে গেলে যে কথাটি বলবো, টিউনে শতক কিংবা অর্ধশতক বলে কোন কথা নেই। এখানে এমন কোন প্লাটফর্মও নেই যেখানে কিছুক্ষণ মন খুলে জুড়িয়ে নেওয়া যাবে। আসলে যাত্রা সীমাহীন। পথ এখানে শেষ হওয়ার মতো নয়। আপনারা হয়তো এখন একসাথে ১০০টি টিউন দেখতে পারছেন কিন্তু ব্যক্তি হিসাবে এটাকে মাইল ফলক বলতে আমি নারাজ। তবে কাউন্টেবল একটা নাম্বারে চলে আসছি দেখে ভালো লাগছে।

    টিউনের শেষে ক্রেডিট কিন্তু আমি টিউমেন্টারদেরকেই দিয়েছি। কারন যতোটা টেকটিউনস থেকে শিখে কিছু দেওয়ার কথা ভেবেছি তার চেয়ে কিন্তু আপনারাই আমাকে অনেক কিছু দিতে বাধ্য করেছেন। এতো ভালোভালো মন্তব্য, অনেক বেশি প্রত্যাশা এগুলোর জন্যই কিন্তু আজকের এই অবস্থান। আশা করি সব সময় এভাবেই পাশে থাকবেন। বরাবরের মতো সুন্দর এবং সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

সত্যি অসাধারণ টিউন

Level 0

সেঞ্চুরী আপ্নার আর আজকে তামীমের ডবল সেঞ্চুরি…… শীঘ্রই আপ্নিও করে ফেলেন 🙂

শত তম টিউনের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে আরও আশা করছি আপনি সামনের দিকে আরও সুন্দর টিউন করে আমাদের সবার জানার পথকে আরও প্রশারিত করবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

সেঞ্চুরির জন্য একশত শুভেচ্ছা । প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের আগাম আপডেট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ । সবকটি আবিষ্কারই মানব সভ্যতার উন্নতি ঘটাবে যদিও ‘3D কলম’ এর ব্যাপারটা আমার সবথেকে বেশি ভাল লেগেছে । এই কলমে কি কালি ব্যবহার হবে ?
যাইহোক ডবল সেঞ্চুরির জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা ।