সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার শত তম টিউন। আজকের দিনটি একটি সাধারন দিন হলেও আমার জন্য এটা বিশেষ একটা দিন হিসাবে চিহিৃত হয়ে থাকবে। কারন আজকেই টেকটিউনসে ৩০তম ব্যক্তি হিসাবে ১০০টি টিউনের মালিক হলাম। এর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর প্রথম টিউন করলেও আজ অনেক দিনের ব্যবধানে সেটা শতকে পৌছালো। ১ ডিজিট, ২ ডিজিট করে আজ ৩ ডিজিটের সংখ্যায় পদার্পন করলাম। তবে নিজেকে আজকের অবস্থানে আনার পেছনে সব থেকে বড় অবদান যার তিনি হলেন টিউনার প্রবাসী। তাই আমার শততম টিউনটি টিউনার প্রবাসীকে উৎসর্গ করলাম। যদিও জানি আমার এই উৎসর্গ টিউনার প্রবাসীর মতো মহান টিউনারের কাছে উপস্থাপনের অযোগ্য। তবুও নিজের মনকে শান্তনা দিতে পারবো যে যার কাছ থেকে এতো কিছু শিখেছি তাকে কিছুটা সম্মান জানাতে পারছি। যাহোক, টিউনের শুরুতে ব্যক্তিগত কথা বলে টিউজিটরদের সমস্যায় ফেলতে চাইনা। এবার টিউনের মুল বক্তব্যে চলে আসি, তবে ১০০ তম টিউন উপলক্ষে সামান্য কিছু কথা টিউনের শেষ অংশে থাকবে।
বর্তমান সময়টা হলো তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ। এখানে অবাস্তব বলে কোন কথা নেই। চিন্তুা এখানে বাস্তবতার রূপায়ন করে। আজকের টিউনে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো ভবিষ্যতে আমাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। যে সমস্ত প্রযুক্তি আমাদের বাস্তব জীবনকে স্বার্থক এবং সুন্দর করে তুলবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
আপনারা হয়তো জানেন পানিতে বসবাসকারী মাছদেরও অক্সিজেনের সাহায্যে শ্বাস কার্য পরিচালনা করতে হয়। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পানির নিচে অক্সিজেন আসলো কিভাবে? কারন আমরা নিজেরা যখন পানির নিচে মুখ ডুবাই তখন শ্বাস নিতে পারিনা। বিজ্ঞ জনেরা বলতে পারেন পানি তৈরী হয়েছে দুটি মৌলিক পদার্থ অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের সংমিশ্রনে। পানির বিয়োজন বিক্রিয়ায় অক্সিজেন তৈরী হওয়া সম্ভব। কিন্তু আমি বলবো বিয়োজনের জন্য যে পরিমান শক্তি লাগে সেটা পানিতে থাকেনা। চিন্তায় পড়ে গেলেন নিশ্চয়? কিন্তু সত্য তো হলো এটাই যে, পানিতে খুব সামান্য পরিমান অক্সিজেন থাকে যেটা মাছেরা তাদের ফুলকার সাহায্যে গ্রহণ করে থাকে। আশ্চর্য লাগলেও সত্য যে, ইজরাইলের একজন বিজ্ঞানী Alon Bodner মানুষের জন্যও মাছের মতো কৃত্রিম ফুলকা সৃষ্টি করেছেন যার সাহায্যে পানিতে শ্বাস নেওয়া যাবে। প্রাথমিক ভাবে এই যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে LikeAFish।
কিন্তু সমস্যা হলো মাছের শ্বসনের জন্য সামান্য পরিমাণ অক্সিজেনে কাজ হলেও মানুষের জন্য প্রয়োজন অধিক পরিমান অক্সিজেন। আপনার কি মনে হয় ছোট্ট এ যন্ত্রটি কি পারবে মানুষের প্রয়োজনীয় অক্সিজের যোগান দিতে? আজ আপনার শুধু আশ্চর্য হওয়ার পালা। কারন যন্ত্রটির কার্যক্ষমতা এতোটাই ব্যাপক যে, এটা প্রতি মিনিটে প্রায় ১৯০ লিটার পানিতে বিশ্লেষণ করে একজন মানুষের স্বাভাবিক শ্বাসকার্য বজায় রাখার জন্য। তবে যন্ত্রটি আবিষ্কার হলেও দুঃখের কথা হলো এটা সাধারন মানুষের জন্য তৈরী করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে শুধু মিলিটারিদের ব্যবহারের জন্য এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো নৌবাহিনিতে ব্যাপক ভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার হবে। কারন যন্ত্রটি সহজে বহনযোগ্য এবং এটা ব্যবহার করলে অতিরিক্ত কোন অক্সিজেন ট্যাংক এর প্রয়োজন হয়না।
কৃষি কাজে সুবিধা জন্য আমাদের দেশে নানা ধরনের যন্ত্রের ব্যহার লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এই যন্ত্রগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় একজন দক্ষ কৃষকের। যদিও এখানে অধিক কাজ করার জন্য যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তবুও আসল ক্রেডিট কিন্তু কৃষকের থাকছে। কারন ফসলের যত্ন, ফসল বুনা এবং সংগ্রহের সময়গুলোতে কৃষক তার যন্ত্র ব্যবহার করছে। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে আসছিলো ব্যক্তির পরিবর্তে কীভাবে যন্ত্রের ব্যবহার করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় তারা তৈরী করে কৃষক রোবট।
কৃষক রোবটে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর। এটা একজন ভালো মানের কৃষকের তুলনায় অনেক বেশি সেন্সিটিভ। কারন এটা ফসলের যাবতীয় আপডেট ধারন করতে সক্ষম। এবং বিভিন্ন মেয়াদে ফসল আহরনের জন্য কোন ফসল তুলতে হবে সেটা নির্ধারন করতে পারবে এই রোবট। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, আপনার একটা টমেটো ক্ষেত আছে। আপনি নিজে যদি টমেটো তুলতে যান তাহলে অনেক সময় পাকা টমেটোর সাথে কাঁচাগুলোও উঠে আসতে পারে। কিন্তু এই কৃষক রোবট শুধুমাত্র পাকা টমেটো গুলোকে শনাক্ত করে সেগুলো তুলে ফেলবে।
বর্তমান সময়ে যেখানে স্লিম স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সেখানে কাগজের মতো নমনীয় ও পাতলা ট্যাবলেট কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের ফোনের কথা কল্পনা করা কী খুব বেশি অযৌক্তিক হয়ে যাবে? আসলে এখন প্রযুক্তি মানুষকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে এসেছে যে কোন কিছু পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র সুন্দর কল্পনা শক্তি থাকাটাই যথেষ্ট। যা কিছু কল্পনা করবেন বছর ব্যবধানে যেগুলো সত্য হিসাবে ধরা দিবে। বর্তমানে এরকম একটা ডিভাইসেরই প্রটোটাইপ তৈরী করা হয়েছে যেটা কাগজের মতোই নমনীয় এবং পাতলা। সম্পূর্ণ টাচ নির্ভর এ ডিভাইসে সাধারন মনিটরের সমান মনিটার থাকলেও সেগুলোকে বাঁকানো বা ভাঁজ করা যাবে। তবে এটা মানুষের হাতের নাগালে পেতে হলে অপেক্ষাটা আরও একটু দীর্ঘায়িত করতে হবে।
একটি অ্যামেরিকান এবং একটি কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় এই পেপারফোন এবং পেপারট্যাব তৈরী হতে যাচ্ছে। Queens University এর পরিচালক Dr. Roel বলেছেন আগামী দিনে এরকম ডিভাইস তৈরী করাই তাদের বর্তমান ভিশন। তিনি বলেন আগামী ৫ বছরের মধ্যে এরকম ডিভাইস উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে। তাদের তৈরী পেপারফোনে ৯.৪ সেন্টিমিটারের বা ৩.৭ ইঞ্চির একটি মনিটার থাকলেও এটা কাগজের মতোই পাতলা হবে। এবং এটাকে যখন ব্যবহার করা হবেনা তখন এর কোন পাওয়ার কনজাম্পশন হবে না। তবে আশ্চর্য হলেও সত্য যে এই ফোনটি পাতলা এবং নমনীয় হলেও অন্যন্য সাধারন ফোনের চেয়ে অনেক বেশি শক্ত, ঘাতসহ এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
হলোগ্রাফিক টেলিভিশন প্রযুক্তির জগতে অন্যতম একটা আবিষ্কার। হলোগ্রাফিক টেলিভিশন মুলত আপনার নিজের চারপাশে ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্বের সৃষ্টি করতে পারে। এর মাধ্যমে টেলিভিশনে দেখানো যাবতীয় কিছু আপনার চোখের সামনে হচ্ছে বলে মনে হবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে সর্বপ্রথমে আসবে এই হলোগ্রাফিক টেকনোলজি। হলোগ্রাফিক টেকনোলজি নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন কিছুদিন আগে প্রকাশিত আমার হলোগ্রাফিক টেকনোলজি বিষয়ক টিউন থেকে। তবে এখন হলোগ্রাফিক টেলিভিশন নিয়ে কিছু বলি।
MIT এর একদল গবেষক একটি হলোগ্রাফিক টেকনোলজির জন্য বিশেষ এক ধরনের ডিসপ্লের জন্য বিশেষ একধরনের চিপ তৈরী করেছেন যেটা প্রতিসেকেন্ডে ৫০ গিগাপিক্সেল ছবি ধারন করতে পারে। এর ফলে এটি খুব সহজে ত্রিমাত্রিক পরিবেশ তৈরীতে সহায়ক হবে। অত্যন্তু ব্যয়বহুল এই ডিসপ্লে আগমী ৭-৮ বছরের মধ্যে বাজারে আসবে বলে ধারনা হচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার হলো উইন্ডোজ ১০ এ হলোগ্রাফিক লেন্স ব্যবহার করে আপনি এই প্রযুক্তির স্বাদ নিতে পারবেন।
আমরা যখন গুগল আর্থের সাহায্যে কোন জায়গা দেখি তখন সাধারনত স্থির ছবি দেখি। তাও সেটা কবেকার আপডেট আমরা জানিনা। কিন্তু বর্তমানে গুগল আর্থকে লাইভ করার প্রচেষ্টা চলছে। এর জন্যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বায়রে হাই কোয়ালিটি ভিডিও ক্যামেরা সংযোজন করা হয়েছে। মনে করবেন না যে ভিডিও ক্যামেরাগুলো মহাশূন্যের ছবি তুলতে ব্যস্ত। আসলে ক্যামেরাগুলোকে তাক করা রাখা হয়েছে পৃথিবী বরাবর। যখনি ভালো রেজুলেশন পাওয়া আসে (১পিক্সেল/ মিটার) তখনি সমস্ত পৃথিবীর লাইভ ভিডিও ব্রডকাস্টিং শুরু হয়।
Georgia এর টেকনোলজি গবেষকরা অবশ্য একটু ভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা পৃথিবীর চারপাশ থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও গুলো দ্বারা একটি ত্রিমাত্রিক তল তৈরী করে একটি বাস্তব ভিত্তিক Google Earth উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।
তারবিহীন মোবাইল চার্জারের কথা হয়তো আপনারা অনেকেই শুনেছেন। দেখেও থাকবেন হয়তো যারা উন্নত বিশ্বে থাকেন। কিন্তু আশ্চর্য কথা হলো এই তারবিহীন বিদ্যুতের কথা আজ থেকে প্রায় শত বছর আগে নিকোলাই টেসলা নামক একজন ব্যক্তি বলেছিলেন। দুঃখের কথা হলো তিনি আর্থিক ভাবে গরিব ছিলেন, দুর্ভাগ্য পীড়িত ছিলেন এবং মানুষ হিসাবে সামান্য উন্মাদ ছিলেন। গরীবের কথা নাকি বাসি হলে ফলে। টেসলার সেই ধারনা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
বর্তমানে তারবিহীন মোবাইল চার্জার আসলেও এই প্রযুক্তির আরও এক ধাপ উপরে চিন্তা করছেন MIT এর একদল গবেষক। তারবিহীন বিদ্যুৎ পরিবহনের ব্যাপক হারে প্রয়োগের পরীক্ষামুলক কাজ চলছে। ধারনা হচ্ছে আগামী দশকে এই পদ্ধতি বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।
বিজ্ঞানের এক অনন্য আবিষ্কার এই ৩ ডাইমেনশনাল কলম। এর সাহায্যে আপনি যেকোন দ্বিমাত্রিক পৃষ্টের উপর ত্রিমাত্রিক ছবি আঁকতে পারবেন। নিচের চিত্র দেখলে আপনার কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। সামনে আরও কী কী চমক অপেক্ষা করছে কোন ধারনা করতে পারবেন?
জাপানের একদল গবেষক তৈরী করেছে এই অসাধারন যন্ত্রটি। আপনি যখন কোন কিছুর চিন্তা করবেন তখন আপনার মাথায় লাগানো এই ক্যামেরা আপনার চিন্তাটাকে GIF ইমেজের সাহায্যে প্রদর্শন করবে। যদিও এটার বিকাশ এখনো সদুর প্রসারী তবুও সূচনালগ্নে এরকম আবিষ্কার একেবারে মন্দ না।
জানিনা সামনের দিনগুলোতে প্রয়োগের চাইতে অপপ্রয়োগ বেশি হয় কিনা। কারন বউ কিংবা গার্লফ্রেন্ডের মাথায় লাগিয়ে হয়তো মানুষ প্রশ্ন করবে সারাদিন কী কী করলা একেক করে বলো 😆 মিথ্যা ধরতেও এই যন্ত্র অনেক বড় ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
শ্যাডো নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করা হচ্ছে যেটা আপনার স্বপ্নকে বুঝতে সক্ষম হবে। যারা দুঃস্বপ্ন দেখে তাদেরকে স্বপ্নের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি। তাছাড়া আপনার দেখা স্বপ্নকে ভয়েস অথবা টেক্সট এর মাধ্যমে প্রকাশ করবে এই অ্যাপ্লিকেশন।
যারা ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখেন কিংবা স্বপ্নে ব্যাপারে উৎসুক তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে এই অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপ্লিকেশনকে আপনার দেখা সব স্বপ্নকে তার ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখবে যাতে পরবর্তি সময়ে আপনার মানুষিক অবস্থা সম্পর্কে সম্মক ধারনা লাভ করা যায়।
আমরা জানি নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার দুইটা প্রকারভেদ আছে। একটা নিউক্লিয়ার ফিশন এবং অন্যটা ফিউশন। নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ায় ফিশন বিক্রিয়ার তুলনায় অনেক বেশি শক্তি উৎপন্ন হয় এবং এতে কোন নিউক্লিয়ার বর্জ্রপদার্থ অবশিষ্ট থাকেনা। কিন্তু সমস্যা হলো কোন নিউক্লিয়ার রিএক্টরে এই বিক্রিয়া সংঘটিত করা অসম্ভব। সম্প্রতি খুব ছোট্ট পরিসরে এই বিক্রিয়া সংঘঠিত করা হয়েছে। এবং খুব শীঘ্রই এটাকে বড় পরিসরে করা হবে। (আমরা যে নিউক্লিয়ার শক্তির কথা জানি যেটা ফিশন প্রক্রিয়ায় হয়)
বর্তমান সময়ের ৭টি শক্তিশালী দেশ (US, EU, Russia, China, Japan, South Korea, and India) এই শক্তি উৎপাদনের জন্য একমত হয়েছে। এবং ফ্রান্সে এর জন্য স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে। নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া ফিশনের চাইতে ৩গুন শক্তি উৎপন্ন করতে পারবে।
টিউনের এই অংশে ব্যক্তিগত কোন আলোচনা নয় বরং কিছু মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। যাদের কল্যাণে আজকের অবস্থানে এসে পৌছলাম। টেকটিউনসের জন্ম লগ্ন থেকেই প্রায় টেকটিউনসের সাথে আছি। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কিছু গুণী টিউনারের কল্যাণে আজকের প্রযুক্তি বিষয়ক এতো কিছু জানতে পারছি। যতোটুকু জানি তার সব টুকুই যে টেকটিউনসের কল্যানে একথা বলতে কোন বাধা নেই। কারন গুগল সার্চ কীভাবে করতে হয় এ কথাটিও টেকটিউনস থেকেই জেনেছি। যাহোক, আমার ৫০ তম টিউনে বলেছিলাম যে কোন কোন টিউনারের কাছে আমি সব সময় কৃতজ্ঞ কিংবা যাদেরকে সব সময় ভালোলাগে। তবে আজ আর যেসব বলবো না। আমি আজ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সেই টিউমেন্টাদের যারা সব সময় আমাকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, এবং সংশোধনের উদ্দেশ্যে সমালোচনা করে আমার এই পথ চলাকে শাণিত করেছে।
আমি অকৃতি অধম বলেও তো কিছু কম করে মোরে দাওনি
যা দিয়েছো তারই অযোগ্য ভাবিয়া কেড়েও তো কিছু নাওনি.
আমি টেকটিউনস পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে আমার মতো একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে আপনারা এতোটা ভালোবাসা দিয়েছেন। আপনাদের কাছে বলার মতো শুধু এটুকুই আছে যে, যতোটা ভালোবাসা দিয়েছেন সব সময় যেন ততোটুকু নিয়ে পাশে থাকবেন এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে আমার করা ভুলগুলোকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।
টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।
আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ
➡ ইমেইলে পেয়ে যান আমার সকল টিউনের আপডেট! ক্লিক করুন এবং ইমেইল দিয়ে ভেরিফাই করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ 🙄
আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।
১০০ তম টিউনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। সত্যিই অসাধারন আপনার লেখার হাত আর দেবার মানসিকতা। শুভ কামনা রইল অন্তর থেকে………………..