তাহলে আসল কথায় আসি। আমি আসলে যা বলতে চাইছি তা হল, আমাদের দেশে এখন টেকনোলোজি এগিয়ে নেউয়ার জন্য প্রত্যেকটি ক্লাসে কম্পিউটার বিষয়টা বাধ্য করেছে। এইটা সমস্যা নয় সমস্যা হল টিচারদের নিয়ে। তারা একেকজন ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মধ্যে ভুল ধারনা সৃষ্টি করে দিচ্ছে। আমিও কিন্তু মাত্র ক্লাস সেভেনে পড়ি। কিন্তু আমি ছোট না। কারন আমি ৪ বছর মাদ্রাসায় পড়ছি। কিন্তু আমি ভালোবাসতাম কম্পিউটারকে। তাই আবার স্কুলে চলে আসলাম। এখন আপনাদের টিচারদের ভুলের ২টি উদাহরণ দেই। কম্পিউটার ক্লাসে স্যার বলতাছে কম্পিটার এর চারটি অংশ। ইনপুট, আউটপুট, প্রোসেসিং এবং মনিটর। আর ওই স্যার বলে উনি নাকি কম্পিটার এর উপর ডিপ্লোমা করছে।
আর একটা উদাহরণ বাকি। আচ্ছা ওইটাও বলি। আমাদের ওই স্যারকে চেঞ্জ করালাম। পাইলাম আর এক জিনিয়াসরে। সে আমাদের শিখায় কম্পিউটারে ইন্টারনেট দিলে একটা প্রোগ্রাম চালু করতে হয়। প্রোগ্রামকে বলে গুগল ক্রম। এতটুক ঠিক আছে। কিন্তু পরে যা কইছে তা শুইনা মাথা নষ্ট হইয়া যাইব। তাই মাথা ভালো কইরা ধরেন। এরপর কয় অনেক রকম গুগল ক্রম আছে। যেমন মজিলা ফায়ারফক্স একটা গুগল ক্রম, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার একটা গুগল ক্রম আরো কয়েকটা নাম বলল। এই স্যারই আবার কয় যখন কোনো গুগল ক্রমে যাইবা তখন দেখবা একটা বার আছে সেইখানে যা সার্চ দিবা তাই আসবে। একে বলে গুগল। তার বক্তব্য অনুযায়ী ইন্টারনেটে যারা তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে চায় তারা গুগলে এবং অন্য সার্চ ইঞ্জিনে তা দিয়া রাখে তাই গুগলে কিছু খুজলেই তা পাউয়া যায়। আবার বলে যেই কোনো বিষয়ের বা বিশ্বের যে কোনো বই ইন্টারনেটে ফ্রিতে ডাউনলোড করা যায়। তাহলে আমি যে কত বই খুঁজি তা পাইনা কেন...?
এভাবেই আমাদের দেশের মানুষদের মধ্যে ভুল ভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এই ভুল শিখার থেকে না শিখা ভালো। না শিখা আর ভুল শিখার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ।
অনেক প্যাঁচাল পারলাম। এইবার যাই। আমি আসলে কোনো টিচারকে বলতে চাই নাই। এখানে টিচারদের ভুল নিয়া বলসি। টিচারদের বলি নাই। আমার মনে হয় টিচারদেরও টেকটিউনস এর মত ব্লগ পড়া উচিৎ। তারা শিখে তারপর শিখাবে। নাহলে ভুল শিখাইয়া লাভ কি।
আমি এসকে ওসামা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আর কি বলুম রে ভাই, এইসব মখা গুলার জন্যই দেশের এই অবস্থা। এসব ছাগল ধরনের টেক আবুল গুলারে ধইরা সকাল-বিকাল দুই টাইম নিয়মমত থাপড়ানো উচিৎ