সামনে কি ঘটবে সেটার বাস্তবিক রুপ কে না দেখতে চায়! ভবিষ্যত দেখার ইচ্ছে নেই এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। টাইমমেশিনে না বসেই আমরা আজ ভবিষ্যতে ঘটতে যাচ্ছে বা ঘটমান প্রবাহ চিত্র দেখার চেষ্টা করবো; এই মুহুর্তে যারা টিউনটি পড়ছেন- আশা নয় দৃঢ় বিশ্বাষ আপনারা প্রযূক্তির সাথেই আছেন। আর তার সাথে আছে আপনাদের স্নেহাশীষ (কারো কারো জমের শত্রুও বটে!) - নীল স্বপ্ন
যুগের সাথে বদলে গেছে অনেক কিছুই! সেই সাথে বদলে গেছে আমাদের চাহিদা, রুচিবোধ তথা দৈন্দিন জীবনযাপন। আমরা সব সময়ই চেয়েছি নতুন কিছু করে দেখাতে, এর জন্য শতাব্দির পর শতাব্দি একদল কর্মঠ্য মানুষ আমাদের উপহার দিয়েছেন নতুন নতুন সব আবিষ্কার! যার মাধ্যমে আমরা বদলে নিয়েছি আমাদের বাস্তবিক প্রেক্ষাপট। একবার চিন্তা করুন- সামান্য "সু্ঁই" আবিষ্কারের ফলে আমরা যাযাবর থেকে সভ্য হয়েছি, গোল একটি চাকা আবিষ্কারের ফলে জীবন পেয়েছে গতি ! ধাতব পদার্থকে পিটিয়ে আমরা বানাতে শিখেছি বিভিন্ন যন্ত্র আর সেই যন্ত্রকে আমরা আমাদের জীবনের একটি অংশ বানিয়ে নিয়েছি। আরো একবার চিন্তা করুন- সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যদি দেখেন "টুথব্রাশ" আবিষ্কারই হয়নি তখন কেমন মনে হবে? কয়েক ঘন্টার লোডশেডিং-এ আমরা অস্থির হয়ে যায়, গুষ্টি উদ্ধারের অভিযানে নামি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের! মনে করেই দেখুন না- এই বিদ্যুৎ-ই যদি না থাকতো?!!!
হ্যা, আমরাই হচ্ছি গত ১০০ বছরের ভবিষ্যত, আমাদের চোখের সামনেই ঘটে গেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ঘর ভর্তি যন্ত্রাংশ এখন আমাদের পকেটের ভেতরে! আরো মজার তথ্য হচ্ছে- পুরো দুনিয়া এখন যে সব প্রযুক্তি এবং পন্য দিয়ে মেতে আছে সেগুলোর অধিকাংশই আশির দশকের পরে বিকশিত হয়েছে। গুগল, ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুকের মত সে সমস্ত ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত বিচরন করি, অনুভব করি এগুলো ছাড়া আমাদের জীবন প্রায় অচল; সেগুলোর সব- কিছু বছর আগের তৈরি! তাহলে অকপটে বলতেই হয়- আমাদের সৌভাগ্য প্রশন্যই বটে!
এরপরেও কর্মযজ্ঞ থেমে নেই। থেমে নেই মানুষের চাহিদা এবং যুগের চাকা। আমাদের চোখের আড়ালেই প্রতিনিয়ত গবেষনা চলছে জীবন ধারনকে আরো সহযতর করে তোলার জন্য। ঠিকে এমনি সব অসাধারন গ্যাজেট এবং পন্য নিয়ে আজকের এই টিউন।
এই লোকটার কথা মনে আছে। ইনিই এখনকার সময়ের আধুনিক পকেটে ঢুকিয়ে রাখা টেলিফোনের স্বপ্নদ্রোষ্টা! নাম- মার্টিন কপার। ১৯৭৩ সালের বোনা সেই স্বপ্ন এখন ডাল-পালা মেলে ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের আনাচে-কানাচে। মটোরোলার হাত ধরে আসা এই সেলফোন এখন অনেক বড় বড় প্রযূক্তি প্রতিষ্ঠানের পুঁজি বাজারের অন্যতম উৎস। দিন বদলের সাথে সাথে এই সেলফোন হয়ে গেছে "স্মার্ট ফোন"
ট্যাবলেড, ফ্যাবলেট, স্মার্ট ওয়াচের জামানায় শুধু পকেটে আর হাতেই নয় স্মার্ট মোবাইল টেকনোলজি এখন পরিধান যোগ্য হয়ে উঠেছে সবার কাছে। কী করা যায় না এতে? রক্তের প্রেশার নিরিক্ষণ থেকে বাড়ি নিয়ন্ত্রন, দৈনন্দিন জীবনের ছোট খাটো নোট থেকে অফিসের বড়-শড় ডকুমেন্টেশন, আবহাওয়ার খবর থেকে বিশ্বের যে কোন প্রান্তের নিউজ আপডেট প্রায় সব কিছুই পাওয়া যায় এই স্মার্টফোনে।
আর খুব বেশি দেরী নয় যেদিন আপনার হাতের মোবাইল বাঁকানো যাবে ইচ্ছে মত! ভাঁজ করে ঢুকিয়ে রাখতে পারবেন আপনার ছোট্ট পার্সের ভেতর! ভয়েজ রিকগনাইজেশন টেকনোলজি হবে আরো উন্নত। ভয়েজের মাধ্যমে দিতে পারবেন যে কোন কমান্ড। হাতের মোবাইলটা হয়ে যাবে আপনার স্পেশাল এসিস্টেন্স!
থাকবে 3D টেকনোলজির সর্বচ্চ প্রয়োগ, যার মাধ্যমে স্ক্রীনের প্রায় সব কিছুই হয়ে যাবে জীবন্ত! আর তাই- ছোঁয়া ছাড়া সবই হবে বস! 😛 তখন হয়তো আপনিও আপনার গালফ্রেন্ডকে বলতে পারবেন- জানপাখি তোমার মোবাইল দিয়া ঢুইকা আমার মোবাইল দিয়া বাইর হও!
গবেষনা চলছে স্নায়ুতে মাইক্রোচিপ বসানোর, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী কোন ধরনের ডিভাইস ছাড়াই আঙ্গুলের ইশারায় কথা বলতে পারবেন যে কারোর সাথে! এমন কী গবেষকরা একধরনের টেকনোলজি ডেভলপ করেছেন যা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে স্মেল (গন্ধ) বিনিময় করা যাবে! এই কথা বলার মেশিনটা এখন অনেক কাজের কাজি!
আমাদের বিস্ময় আর পরবর্তি প্রজন্মের দৈনন্দিন সুযোগ-সুবিধার দ্বার খুলতে চলছে হলোগ্রাফিক টেকনোলজির মান উন্নয়ন। হ্যা এটিই হবে আমাদের প্রযূক্তিগত উতকর্ষতার অন্যতম হাতিয়ার।
মনে করুন আপনি একজন সফল লেকচারার, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় আপনি লেকচার দেন। ঠিক তেমন একটি উপলক্ষ্যেই একটি প্রোগ্রামে যাওয়ার কথা আপনার। কিন্তু কোন একটি কারনে আপনি যেতে পারছেন না, চিন্তা নেই আপনারে সেই শূন্যস্থান পূরন করবে এই হলোগ্রাফিক টেকনোলজি! আপনি যেখানেই থাকুন আপনার ইমেজ কে ত্রিমাত্রিক ভাবে উপস্থাপন করবে এই প্রযূক্তি।
মনে আছে এই টনির কথা? তার স্টার্কস্ নামের বাড়িতে কতই না প্রযূক্তির ঝনঝনানি! সেই প্রযূক্তির ভিড়ে সব'চে আকর্ষনীয় গ্যাজেট ছিলো হলোগ্রাফিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন। হাতের ইশারায় কত কিছুই না দেখে নিতে পারার অসিম দক্ষতা! এমনই টেকনোলজি বাস্তবে রুপান্তর করার জন্য বিশ্বের নামি দামি প্রতিষ্ঠানগুলো উঠেপড়ে লেগেছে। এখন দেখার বিষয় হলো কবে নাগাদ এই প্রযূক্তি মানুষের হাতে এসে পৌছাবে!
আমরা এখনকার সময়ের সাইন্স ফিকশন সিনেমাতে এতবার এই হলোগ্রাফিক টেকনোলজির ব্যবহার দেখেছি যে এগুলো একেবারেই আমাদের কাছে কমন হয়ে গেছে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে এই প্রযূক্তি এখনো পূর্ণাঙ্গ রুপ পায়নি! এটি নিয়ে গবেষকরা এখনো নিবিড় পর্যালোচনা করে চলেছেন।
বাজারে ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তির গবেষনায় ঘী ঢেলে দিতে মাইক্রোসফট তৈরি করেছে হলোলেন্স। এটির মাধ্যমে হলোগ্রফির দুনিয়ায় নতুন করে সংযোজন হলো মাইক্রোসফট।
বড়সড় স্ক্রীনে কোন কিছু দেখার মজাই আলাদা। এর জন্য বাজারে হরেক রকমের HD মনিটর, টিভি পাওয়া যায়। মনেই করুন না আপনার চোখ দিয়ে যতটুকু দেখা যায় তার সবটুকু যায়গা জুড়ে রয়েছে ডিজিটাল স্ক্রীন, যা দিয়ে দেখতে পারবেন সবকিছু! তাহলে কেমন হবে বলুন তো? এই ধারনার বাস্তবায়নে ইতিপূর্বে টেক-জায়ান্ট গুগল তাদের গুগল গ্লাস বাজারে এনে আলোড়ন তৈরি করেছিলো।
আমার বন্ধু রানা আমার বহুমাত্রিক ইন্টারনেট ব্যবহারে দেখে মাঝে মধ্যেই বলে- দোস্ত কাল দেখলাম চখাম একখান প্যান্ট নামছে বাজারে! আজ ডাউনলোডে দিস!! ঠিক এমনি ভাবেই আমাদের গতানুগতিক ভার্চুয়াল জগতের প্রতি অনির্বান চাহিদা আর আকাঙ্খা পূরনে এসে গেছে (পুরোটুকু না :D) 3D প্রিন্টার!
একবার মনেই করে দেখুন না সকাল বেলা বউ! (না থাকলে আ্মার কুনু দোষ নাই :P) বললো- অ্যাই শুনছো এককাপ কফি বানিয়ে দাও না! (মাঝে মধ্যে বাড়ির কাজ করলে শরির ভালো থাকে :D) কফি বানাতে গিয়ে আদরের বউয়ের পছন্দের কাপটাই ভেঙ্গে ফেললেন!! এখন "করার কিচ্ছু নাই" বলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ার সময় নয় বস! বউ জানার আগেই পছন্দের কাপটি ঝটপট প্রিণ্ট করে নিতে পারবেন এই অসাধারণ প্রিন্টার দিয়ে! হ্যা, এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে প্রায় সকল কিছুই বের করা যাবে এই ত্রিমাত্রিক প্রিণ্টার থেকে।
গায়ের পোষাক থেকে পায়ের জুতো, নিত্যপ্রয়োজনীয় তৈজশপত্র থেকে ব্যবহার উপযোগি জিনিসপত্র, এমন কী মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পর্যন্ত! কী চাই আপনার? আপনার ভিন্ন ভিন্ন ফরমায়েশ পূরণ করতেই এ যেন আলাদিনের প্রদিপ!
মনেই করুন না- এখনকার সময়ের আধুনিক ব্যাবস্থার অন্যতম মাধ্যম ই-কমার্স সাইট থেকে কোন একট পণ্য পছন্দ হয়ে গেলো আপনার, নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে পণ্যটির কুরিয়ার ডেলিভারি না নিয়ে ফাইলটি ডাইনলোড করে নিলেন, এখন ফাইলটি কম্পিউটারে প্রসেসিং করে বের করে নিলেন আপনার প্রিন্টার থেকে! এরপর? এরপর আবার কী? মনের সুখে ব্যবহার করুন আপনার ডিজিটাল পণ্যটি! যদি এই ভাবনাটা সত্যি হয় তবে কেমন হবে বলুন তো? হ্যা ঠিকই আন্দাজ করেছেন- এইটা আর প্রকাশ করার অবকাশ রাখে না! জেনে রাখুন- ২১ শতাব্দির নতুন শিল্প বিল্পব ঘটতে যাচ্ছে এই 3D প্রিণ্টারের হাত ধরে।
আধুনিকায়নের এই যুগে প্রযূক্তির সব'চে বড় বিস্ময় হলো এই রোবট! কী হচ্ছে না এই রোবট দিয়ে? খাবার তৈরি থেকে শুরু করে বাড়ি নিয়ন্ত্রন, ইন্ডাসট্রিয়াল কাজ থেকে শুরু করে আপনার ঘর পরিষ্কার; এত এত যায়গাতে রোবট কাজে লাগানো হচ্ছে যে এর বিবরনী দিতে গেলে এ রকম কয়েকটি টিউন করা লাগবে 🙂 (আপনাদের সাড়া পেলে ইনশাআল্লাহ্ নেক্সট শুধু রোবট এবং এর কাজের ধরন নিয়ে টিউন করবো)
প্রথম দেখাতে এটাকে কী মনে হবে আপনার? একজন সুন্দরী রমনী? আসলে আমরা রোবট সম্পর্ক্যে চিন্তা করলেই একটি মানুষের প্রতিকৃতির কথা চিন্তা করি। মনে করি রোবট হবে মানুষের মত! মানুষের মত চোখ, মানুষের মত নাক-কান-চুল-হাত দেহ; কিন্তু আদও কী তাই? উপরের ছবিটি একটি রোবটের! মানুষের আকাঙ্খা মেটাতে বিজ্ঞানীরা এমন রোবট বানাচ্ছেন যা আপনার পরিবেশের সাথে মিশে যেতে পারবে।
সাইন্স-ফিকশন সিনেমাতে হয়তো দেখেছেন এরকম পোকার উড়াউড়ি। এটি যেন তেন পোকা নয় কিন্তু, এই পোকাটাই এখন তাবৎ দুনিয়ার সবথেকে ছোট ড্রোন! কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি এই "রোবো-ফ্লাই" রোবটটি তৈরি এবং এর মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছেন হাভার্ড ইউনিভারসিটির একদল গবেষক টিম। এর দুটি ইলেকট্রনিক পাখা আছে যা সেকেন্ডে ১২০ বারের মত আপ-ডাউন করতে পারে!
গবেষকরা মনে করেন এই প্রযূক্তি কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে বিভিন্ন রেসকিউ অপারেশন, দুর্ঘটনার তদন্ত, মনিটরিং ছাড়াও বিভিন্ন কাজে লাগানো যাবে। এই রোবো ফ্লাই পোকাটি এখনো মান উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আছে, আর খুব বেশি দিন দেরি নয় যে- অন্য সব পোকাদের মাঝে এই রোবটিক পোকাও আমাদের চারপাশে উড়বে!
জ্যামে বাসে বসে বসে বোরিং সময়ে যখন করার কিছু থাকে না তখন না জানি কত মানুষের মাথার চুল অকালে ঝরে যায়- পড়ে যায়- ছিড়ে যায়! এমন চুলে ছেড়া সময়টাকে বাঁচিয়ে, প্রযুক্তির বিস্ময় কাজে লাগিয়ে দুরন্ত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যাবস্থা!
একটি চুল ছিড়ে মাটিতে পড়ার আগেই যদি পৌছে জান আপনার গন্তব্যে তবে কেমন হবে বলুন তো? এমনই প্রযুক্তির উন্নয়নে বিজ্ঞানিরা গবেষনা করছেন টিউব ট্রেইন বা ভ্যাক-ট্রেইন নিয়ে। যার গতি গবে ঘন্টায় ৬,৪০০ থেকে ৮০০০ কিলোমিটার! গ্র্যাভিটির যাদু কাজে লাগিয়ে হাইপারসনিক ছুটে চলবে শব্দের গতিতে!! আর বেশিদিন হয়তো নেই যে প্রবাদ বাক্য থেকে সুদূর চিনের কথাটা উঠে যাবে!
রাস্তায় চলাচলের জন্য মানুষ ঘোড়ার পরে গাড়ি ব্যবহার করছে অনেক যুগ থেকে। কালক্রমে এই গাড়ির উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক ভাবে। আর ব্যাপক ভাবেই বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। আমরা দেশীয় প্রযুক্তিতে যখন নসিমন-করিমন উন্নয়নে ব্যাস্ত তখন পৃথীবির অন্য প্রান্তে গবেষনা চলছে কী ভাবে চালক বিহীন গাড়ি নির্মান করা যায় তার উপর!
এমন একটি ব্যাবস্থা যা একটি গাড়ি হয়ে উঠবে সয়ংসম্পুর্ন। একটি গাড়ি আরাকটি গাড়ির সাথে যোগাযোগ করবে, জানাবে তার অবস্থান, দুরত্ব। এতে করে একটি গাড়ির সাথে আরাকটি গাড়ির সংঘর্ষ এড়ানো যাবে খুব সহযে।
এমন প্রযুক্তি নিয়ে গুগল অনেক আগে থেকেই গবেষনা করে চলেছে। বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে এই প্রযুক্তির মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে গুগল।
অদূর ভবিষ্যতে এভাবেই হয়তো শুয়ে-বসে ভ্রমনে করতে আরাম আয়েশ- আপনার পছন্দের গাড়িই পূরন করবে আপনার ফরামায়েশ!
পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা! সেই পেটকে ঠান্ডা করতে পিছিয়ে নেই প্রযুক্তি। খাবার প্রিয় মানুষের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে রান্না ঘরের নিত্য-নতুন সব গ্যাজেট। যা ব্যবহার করে রান্না-বান্নার কাজগুলো সমাধান করা যাবে খুব সহযে।
এখন আর কথা হবে না, শুধু ছবি হবে বস!
যেন তেন মাখন মাখানো ছুরি নয় এটি! এইটা হলো ইলেকট্রনিক ছুরি! যা প্রয়োজন অনুযায়ী গরম হবে, যাতে মাখন যেন মাখনের মত কাটতে পারেন!
এইটা নিয়ে কিছু বলার আছে নাকি?
রুসই ঘরের আনাড়িদের বিশেষ চুলা! দেখুন আর তৈরি করুন মন মত রেসিপি!!
আর এ হলো ডিজিটাল চুলা!!!
বাপরে ছুরির ছড়াছড়ি!
এটা হলো বায়ো রোবট রেফ্রিজেরেটর। এর ফিচারগুলো পড়লে আপনার পিলে চমকে যাবে!
ডান হাতের (খাবার) কথা হলো আর বাম হাতের (টয়লেট) কথা হবে না এটা কী হয় নাকি? বিশ্বের শান্তিময় যায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টয়লেট! আর এই শান্তিকে আরো প্রসান্তিতে রুপান্তরের জন্য থেমে নেই টেকি বিশেষজ্ঞরা।
অটোমোশনের এই জামানায় টয়লেটও হবে সব অটোমেটিক! প্রয়োজন মাফিক খরচ হবে পানি, ফলে পানির অপচয় রোধ করা যাবে। আপনি যদি লম্বা সময়ে অভ্যস্ত হন তবে আপনার এই সময়টাকে আরো বিনোদিত করতে গান শোনাবে আপনারই টয়লেট! ভাবুন তো এমন হলে কেমন হবে?!
চলবে....
টিউনটি রেডি করতে বেশ সময় লেগেছে। আরো অনেক কিছুই বাদ থেকে গেলো যা পরবর্তি টিউনে চমক হিসাবে থাকবে! ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর প্রযুক্তির সাথেই থাকুন 🙂
আমি Mostafizur Rahman। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Currently I'm teaching myself. I try to learn a new skill every day and I am so passionate about my work that I won't give up until I am fully satisfied with the outcome.