আসসালামু অলাইকুম বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আলহামদুলিল্লাহ, আল্লার রহমতে আমি ভালোই আছি । আজকে বেশি কিছু বলবো না, তো শুরু করা যাক ।
আর দু’বছর অপেক্ষা করুন । চাঁদে চাষ হওয়া ওলকপি আর পুদিনা পাতা পেতে পারেন আপনি । না । হাঁসজারুন কল্পকাহিনী নয়, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসা ২০১৫ সালের মধ্যে চাঁদে ওলকপি এবং পুদিনা পাতা চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে । শুধু এই দুই রকমের সবজি নয়, আরও নানধরনের সবজি চাষ করা হবে চাঁদে । এর উদ্দেশ্য চাঁদে মানুষ থাকতে পারে কী না, তা পরখ করা । এর জন্য নাসার বিজ্ঞানীরা ঠিক করেছেন, দরকার হলে পৃথিবীর মাটি আর চাঁদের রুখ্ণ মাটি মিশিয়ে তাতে চাষ করা হবে ।
ছোট ছোট কফিপাত্রের মতো বাক্সে গাছ লাগানো হবে, যাতে চাঁদের বিরূপ প্রকৃতির হাত থেকে গাছকে রক্ষা করা যায় । ওই গাছ কিভাবে বেড়ে উঠছে তা ধরে রাখবে ক্যামেরা, গাছের টবের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে সেন্সর ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি । এর মাধ্যমে নিয়মিত পৃথিবীতে খবর আসবে ওই গাছের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে । বিজ্ঞানীরা দেখেছে, ওলকপি এবং পুদিনার মতো গাছের জিয়নশক্তি অন্য গাছের তুলনায় অনেক বেশি । প্রতিকুল আবহাওয়াতেও এরা টিকে থাকতে পারে । তাই ওই দুই গাছের প্রতিই জোর দেওয়া হয়েছে ।
নাসার বিজ্ঞানীরা চাঁদে স্থাপিত মহাকাশযানের মধ্যে কফিপাত্রের মতো টবে গাছ বসিয়ে যাতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে তা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিকশিত করা যায় সেই ব্যবস্থা করছেন । ওই টবেই প্রথমে ওলকপি, পুদিনা এবং সূর্যমুখী লাগানো হবে । নাসা যে মহাকাশযানকে চাঁদে পাঠিয়েছে তার মধ্যেই এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে । ওই মহাকাশযান এমনভাবে গড়া হয়েছে তার ভর মাত্র এক কিলোগ্রাম । চাঁদের পৃষ্ঠে ওই মহাকাশযান অবতরণ করার পর ওলকপি, পুদিনা এবং সূর্যমুখী গাছের বীজ মাটিতে মিশিয়ে তাতে পরিস্রাবন করে জল দেওয়া হবে । এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে একটু একটু করে চুইয়ে চুইয়ে জল পড়বে মাটিতে । এভাবেই বীজবপন হবে । যাতে প্রয়োজনীয় বাতাস পেতে পারে গাছ তারও ব্যবস্থা থাকছে । বীজবপন প্রক্রিয়া সেন্সরের মাধ্যমে তদারকি করা হবে । বিজবপনের জন্য চাঁদের যে স্বাভাবিক সূর্যের কিরণ তা যাতে গাছ পায় তা দেখা হবে । নাসা মনে করছে, এই পরীক্ষা অন্তত দুটি ব্যাপারে কাজ দেবে । এক, বিরূপ আবহাওয়ায় কিভাবে গাছের বৃদ্ধি হয়, তা জানা যাবে । দুই, চাঁদে মানুষকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আদপেই বাস্তবায়িত করা সম্ভব কি না, তাও জানা যাবে । যেসব সংস্থা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাঁদে মানুষ পাঠানোর কথা ভেবে রেখেছে তাদের জন্যও এই উদ্যোগ নাসার । তবে নাসার এই উদ্যোগ চিনের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ঠেকাতে কি না, সেটাও একটি প্রশ্ন । কারণ গত বছরই চিনের বিজ্ঞানীরা প্রথম বলেছিলেন, তাঁরা চাঁদ এবং মঙ্গলে পরীক্ষামূলকভাবে গাছ চাষ করে দেখাতে আগ্রহী । তাই আগেই নাসা করতে চাইছে ।
আপনারা ইচ্ছা করলে এই Site থেকে ঘুরে আসতে পারেন ।
আমি Musharof। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 14 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই আমরা উ্ত্তরাঞ্চলের লোক শাক সবজী চাষে আমাদের খুব দক্ষতা আছে পারলে একটা টিকেট কিনে দিন।