(Hangzhou হানযৌ) বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রান্স-ওশেনিক ব্রীজ; স্থাপত্যকলার অবাক নির্মাণ

আমরা এখন বাস করছি গতিশীল এক পৃথিবীতে। পৃথিবী সবসময়ই গতিশীল ছিলো। সময়ের ধাবমান গতিবেগ প্রকৃতিগত নিয়মেই ছাপ ফেলেছে পৃথিবীর পরিবেশ প্রকৃতিতে। একসময় মানুষের টিকে থাকা নির্ভর করতো, তার সাহস, হিংস্রতা, দুর্যোগ সহনের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। এখন সময় পাল্টেছে। প্রকৃতির সাথে সহাবস্থানের সাথে সাথে মানুষ দ্রুত শিখে নিচ্ছে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের বিদ্যা। অসম্ভব সব কাজ করছে মানুষ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। তেমনই একটি নিদর্শন নিয়ে আজকের এই লেখা। চীনের হানযৌ ( ইংলিশে Hangzhou। সঠিক উচ্চারনের জন্য ক্লিক করুন) ব্রীজ। সভ্যতার এক অপার বিষ্ময়। বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রান্স-ওশেনিক ব্রীজ। সাগরের অলঙ্ঘনীয় বাঁধাকে ডিঙিয়ে চীনের দুটি প্রদেশকে সংযুক্ত করেছে এই ব্রীজ। এর নির্মাণ ছিলো দীর্ঘ দশ বছরের নিরবচ্ছিন্ন পরিকল্পনার ফসল।

ব্রীজটি ঝুলন্ত তারের উপর নির্মিত একটি সুপারস্ট্রাকচার। যার নির্মাণ এ’কথা প্রমাণ করে যে, মানুষ পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্যই এসেছে। যুগে যুগে মানুষের বিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তিত হয়েছে সভ্যতা। পূর্ণতা পেয়েছে সামাজিক অবকাঠামো। কিন্তু, মানুষ টিকে থাকছে। আছে। থাকবে। যদিও সর্বময় ক্ষমতা স্রষ্টার। তবুও, সৃষ্টা তার সৃষ্টিকে সুনির্দিষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছেন। সেই সীমার মাঝেই মানুষ যোগ্যতম প্রমান করেছে নিজেকে।

ব্রীজটির অবস্থান চীনের পূর্ব উপকূলবর্তী অঞ্চলে। সাগরপাড়ের দুটি শহরের সংযোগমাধ্যম এটি।

ব্রীজটি জিয়াজিং এবং নিংবো ( Jiaxing এবং Ningbo in Zhejiang ইংলিশ উচ্চারন দিয়ে দেয়া হলো ) নামক দুটি প্রদেশের সংযোগ মাধ্যম হিসেবে তৈরী করা হয়েছিলো।
35,673 কিমি (22 মাইল) দৈর্ঘ্যের এই ব্রীজটি বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রান্স-ওশেনিক ব্রীজ। চায়না রেলওয়ে ব্রীজ ব্যুরো কোম্পানী লিমিটেড ছিলো ব্রীজটির প্রধান নির্মাণপ্রতিষ্ঠান। প্রধান পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ছিলো হার্ডসওয়ে এন্ড হ্যানোভার। লেই লিন ইন্টারন্যাশনাল ছিলো প্রধান ডিজাইনার।

২০০৭ সালের ১৪ জুন শেষ হয়েছিলো এর নির্মাণকাজ। ২৬ জুন সাড়ম্বর অনুষ্ঠান এবং মিডিয়া কাভারেজের ভেতর দিয়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় ব্রীজটি।

তবে, জনসাধারণের জন্য ২০০৮ সালের মে মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত ব্রীজে চলা চলের অনুমতি ছিলো না।

তখন চলছিলো এর বাস্তবিক পরীক্ষা নিরীক্ষা। এই ব্রীজ নিংবো এবং সাংহাইয়ের মাঝে দূরুত্ব কমিয়ে আনে ৪০০ কিলোমিটার থেকে ২৮০ কিলোমিটারে। ভ্রমণের সময়ও কমে যায় অনেক।

তীব্র স্রোতধারার মুখে নির্মিত এই ব্রীজ অসংখ্য সব সমস্যা সমাধানের পর তৈরী হয়। সাধারণত ব্রীজের মূল কাঠামোকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য ঝুলন্ত তারের ব্রীজগুলোতে কংক্রিটের পিলার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিন্তু, এ’ক্ষেত্রে আর্কিটেকচাররা ব্যবহার করলেন স্টীলের পিলার। যা, একটা অসম্ভবকে সম্ভব করতে অনেকাংশে সহায়তা করেছিলো। এখানের স্রোতের তীব্রতা ছিলো প্রচন্ডরকমের। যার ঢেউ কখনো প্রায় ২৫ ফিট উচ্চতা ছাড়িয়ে যেতো।

সুতীব্র এই স্রোতধারার কারণে বারবার পাল্টেছে ব্রীজের নির্মান প্যাটার্ণ। তৈরী করতে হয়েছে অসংখ্য নতুন পন্থা।


তাই, আর্কিটেকচাররা মনে করলেন, নতুন ধরণের কোন প্রযুক্তির সাহায্য না নিয়ে এই ব্রীজের নির্মাণ অসম্ভব। দীর্ঘস্থায়ী নির্মানের জন্য স্টীল ছিলো সর্বোত্তম ধাতু। যার যথার্থ ব্যবহার করা হয়েছিলো এই ব্রীজের নির্মানযজ্ঞে। এর নির্মানকাজ পরিচালনায় দুটি অতীব ক্ষমতাশীল ক্রেইন ব্যবহার করা হয়েছিলো।


যার একটি বহন করতো প্রায় ২২০০ টন এবং অপরটির বহনক্ষমতা ছিলো প্রায় ৩০০০ টন। বাতাসের গতিবেগও ছিলো এর জন্য একটি অন্যতম বাঁধা।

আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল প্রবর্তিত একটি থিওরী এর নির্মাতাদের এই সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।

প্রায় ৭০০ এর উপরে বিশেষজ্ঞের ৯ বছরের অবিরাম প্রচেষ্টায় এই ব্রীজের নকশা তৈরী হয়েছিলো। সাগরের মাঝে প্রচলিত পদ্ধতিতে ব্রীজের অবকাঠামো নির্মাণ প্রায় অসম্ভব ছিলো।

তাই সমাধাণ হিসেবে ব্রীজের প্রতিটি অংশ ডাঙা থেকে নির্মাণ করার পর, নিয়ে আসা হতো কন্সট্রাকশন স্থানে। এতে ব্যবহৃত কেবলের একত্রিত দৈর্ঘ্য প্রায় ৩২.২ কি.মি।

Wang Yong ওয়াং যূন, হাংযুই বে ট্রান্স ওশেনিক ব্রীজ কন্সট্রাকশন কমান্ড পোষ্টের প্রধাণ- তিনি বলেন এখানে ব্রীজ নির্মাণের সিন্ধান্ত ছিলো অনেকটা অসম্ভব।

কারণ, এখানের সাগরিক আবহাওয়া খুব জটিল এবং পৃথিবীর তিনটি বৃহৎ স্রোতধারার একটিতে ছিলো এর অবস্থান।

টাইফুনের প্রভাব ছিলো অত্যন্ত বেশি। এবং এর সমুদ্রতলের ভুত্বক ছিলো নির্মানের প্রতিকূল অবস্থানে। ব্রীজের মাঝামাঝি অবস্থানে প্রায় ১০০০০ বর্গফুটের একটি সার্ভিস সেন্টার আছে।


বৃহদায়তন এই ব্রীজ নির্মাণ মানুষের সামর্থের কথা সগর্বে ঘোষণা করছে। অসীমের সীমা খুঁজবে মানুষ, হয়তো এটাই তার জিনগত বৈশিষ্ট্য। নাহলে, কোথাকার কোন এক লাল গ্রহ, মঙ্গলে প্রাণের চিহ্ন খুঁজবে কেনো মানুষ!

ব্রীজের এই সার্ভিস সেন্টার বলা হয় আকাশ এবং ভূমির মধ্যকার স্থান। অপর্থিব রকমের সুন্দর এই জায়গাটাকে পর্যটকেরা এই নামেই ডাকে।


এখানে রয়েছে একটি বিশ্রামাগার, একটি রেস্টুরেন্ট, একটি গ্যাস স্টেশন, একটি হোটেল, একটি কনফারেন্স রুম, এবং একটি জনপ্রিয়তম পর্যটন টাওয়ার।

ব্রীজের মাঝে অবস্থিত পর্যটন টাওয়ারের জনপ্রিয়তা অসম্ভব রকমেরই। সারাবছরই প্রায় ভিড় লেগে থাকে আগ্রহী পর্যটকদের।

এই ব্রীজ যেমন চীনের যোগাযোগ ব্যবস্থার মাইলফলক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। তেমনি চীনের অর্থনীতিতেও এই স্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আরো বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্রীজ রয়েছে চীনে। যেগুলো চীনের আগামীদিনের স্টার হয়ে উঠার ইঙ্গিত বহন করছে।

বেইজিং অলিম্পিকে বার্ড নেষ্ট স্টেডিয়ামের সুপার স্ট্রাকচার অবাক করেছিলো বিশ্ববাসীসহ আর্কিটেকচার সংশ্লিষ্টদের। এমনসব সুপারস্ট্রাকচার নিয়ে এখন সময় কাটছে বর্তমান চীনা প্রজন্মের।

ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, সাধারণ ছোটখাটো খেলনা থেকে শুরু করে লোকাল মার্কেট ভরে আছে মেইড ই্ন চায়না ট্যাগ লাগানো পণ্যে। এখন বাজারে যতো সস্তাদরের মোবাইল, ইলেক্ট্রনিক খেলনা এবং গ্যাজেট পাওয়া যাচ্ছে, তার অধিকাংশেই এই ট্যাগ পাওয়া যাবে।

বর্তমান পৃথিবীর ইলেক্ট্রিক মার্কেটেও চীনাদের আধিপত্য সমানতালে চলছে। সুপার পাওয়ার আমেরিকার আলোঝলমলে শপিংমল থেকে শুরু করে আমাদের জিঞ্জিরাতেও পাওয়া যাচ্ছে চীনা পন্য। চীন উঠে আসছে প্রথম বিশ্বের কাতারে।

আমরা জনসংখ্যার দোষ দিচ্ছি প্রতিনিয়ত। অথচ, চীন তাদের বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কেউ আমাকে চীনপ্রেমী ভাববেন না যেনো। আমি এ’কথা বলছি না যে, চীন সর্বাংশে সফল একটা রাষ্ট্র। কিন্তু, চীনের শ্রমবাজার একটা উন্নতশীল দেশের জন্য শিক্ষনীয় হতে পারে। চীনের বর্তমান প্রতিটি কার্যক্রম এ’কথার আভাস দিচ্ছে যে, চীন হয়ে উঠছে আগামী বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি।

আমাদের এই দেশটাকে আমরা ভীষণ ভালোবাসি। আমরা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু, দেখেছি মুক্তিযোদ্ধার চোখের জল। দেখেছি যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় মানুষের ভোগান্তি। দেখেছি আমাদের অতিজরুরী পদ্মা ব্রীজ নির্মাণ নিয়ে দেশের কর্ণধারদের অর্থনৈতিক লুকোচুরি। মেঘনা ব্রীজ, দাউদকান্দি ব্রীজ নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। স্থায়িত্ব হারাচ্ছে যমুনা সেতু। তারপরও আমাদের নেতাদের পাজেরো জীপ, প্রচন্ড জ্যামের এই শহরে, জ্যামহীন নির্বিঘ্নতায় সাইরেন সাঁ সাঁ করে পথ চলছে। তাদের বাড়িতে এসির বাতাসে সুগন্ধি উড়ছে। অথচ, অসংখ্য গ্রাম ডুবে আছে বিদ্যুৎহীন। আমরা এমন বাংলাদেশ তো চাইনি। আমরা চাই, আমাদের প্রিয় এই দেশ একদিন পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এই হানযৌ ব্রীজের মতো অসংখ্য সুপারস্ট্রাকচারের সাথে সবুজের মিতালীতে প্রাণবন্ত থাকবে আমাদের প্রিয় এই মাতৃভূমি। আমাদের প্রিয় এই দেশটার ভালো একদিন হবেই। আমরা বর্তমান প্রজন্ম সে চেষ্টাই করছি।

=======================
তথ্য এবং ছবিসূত্রঃ-
১। উইকিপিডিয়া
২। উইকিমিডিয়া
৩। পিপল ডটকম.চায়না
৪। ব্রীজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
৫। চাইনিজ নিউজ 163.কম
৬। রোডট্রফিক টেকনোলজি

Level 3

আমি নীরব মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 210 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি অতি সাধারণ একাকী একজন মানুষ। প্রতিনিয়ত শিখছি একটু একটু করে। ভীষণ ছোট্ট একটা জগত আমার। প্রযুক্তির অসাধারণ অগ্রযাত্রা আর বিশ্বায়নের এই যুগে নিজের চরিত্রটাকে বড্ড বেমানান লাগে। তবুও, পথ চলি অবিরাম। নতুন কোন সুন্দর আলো ঝলমলে সোনালী প্রভাতের প্রতিক্ষায়।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

Awesome tune.thanks

    @গোপাল:
    সর্বপ্রথম মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। একই সাথে আমার টিটি-বাড়িতে প্রথম আসার জন্য স্বাগতম। আসলে অসাম হয়েছে কিনা জানিনা। তবে, চেষ্টা করেছি সুন্দর করার। শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন।

অনেক কিছু জানতে পারলাম।আপনাকে এ জন্য বিশাল ধন্নবাদ।

    @তামীম তানভীর:
    জানতে পারাটাই বড়ো কথা। আমরা সবাই প্রতিনিয়ত শিখছি। আমি আপনার কাছ থেকে। আপনি তার কাছ থেকে। সে আবার অন্যের কাছ থেকে। বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর….। সে জন্য বিশেষ ধন্যবাদের প্রয়োজন নেই ভাইয়া। মন্তব্য করার জন্য শুভ কামনা রইলো। জানা এবং জানানোর এই প্লাটফর্মে আপনিও লিখুন।

অনেক কিছু জানতে পারলাম।আপনাকে এ জন্য বিশাল ধন্যবাদ।

চীনারা ওদের দেশকে অসম্ভব ভালোবাসে আর এখানে থেকে দেখি ওদের বিপুল জনসংখ্যা কি করে ওদের সবচেয়ে বড় শক্তিতে পরিণত হয়ে যায়।ভবিষ্যতে এই ব্রিজটায় যাবার ইচ্ছা আছে

    @অচেনা বালক:
    চীনারা ওদের দেশটাকে ভালোবাসে। আমরাও আমাদের দেশটাকে ভালোবাসি। ওরা পারলে আমরা কেনো পারছি না? আমাদের ভালোবাসায় কি তাহলে খাঁদ আছে? আমার মনে হয়, আমরা সাধারণের কাতারে যারা আছি, আমরা বেশিরভাগ মানুষেই আমাদের প্রিয় এই দেশটাকে ভালোবাসি। কিন্তু, কিছু মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে। তবে, আমি আশাবাদী মানুষ। স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে। আমার গভীর ভাবে ভাবতে ভালোলাগে, প্রিয় এই দেশটার ভালো একদিন হবেই। আমি জানি, আমার স্বপ্ন আজকে অনেক অসম্ভব মনে হলেও একদিন সত্যি হবেই। শুভ কামনা রইলো ভাইয়া, মন্তব্যর জন্য। ভালো থাকবেন।

      @রুপালি গিটার: আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমাদের মত নিখুতভাবে চীনারাও দেশকে ভালবাসতে পারবে না কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি করে অল্প কিছু মানুষের মানসিকতা।ক্ষমতায় থেকে যারা দেশের ভার নেন প্রতিবার তাদের দেশের উন্নতির চেয়ে পকেটের উন্নতিতেই বেশী মনোযোগ দেখা যায়।খুব অল্প কিছু মানুষের জন্য।জানেন চায়নার সাথে জাপানের বর্তমান কিছু সমস্যার কারণে প্রতিটি চায়নিজ জাপানের সমস্ত কিছু বর্জন করছে নিজেদের সমস্যায় এরা এক হয়ে দাঁড়িয়েছে।অথচ আমি এখানে এসেই কিছু বাঙালির(আসলে এরা এই নামের কলঙ্ক হবারও যোগ্যতা রাখেনা) মুখে শুনেছি আমরা নাকি পূর্ব পাকিস্তান থাক্তেই ভালো ছিলাম।যেদিন আমরা সবাই মিলে দেশের কথা ভাবতে পারব সেদিন আমাদের হবেই

টিউনটি পড়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম।আমরা বাঙ্গালীরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি ভাবতেও লজ্জা হয়।আমাদের জাতীয় নেতা নেত্রিরা জনগণের টাকায় বিদেশ ঘুড়ে আসে কিন্তু এগুলো দেখে কিছু শিখে আসে না কেন?আমার মনে হয় সবকিছু বাদ দিয়ে বাঙ্গালী জাতীকে আগামী ২০ বছর মেরে/ধরে স্কুল/কলেজে পাঠানো উচিত যাতে তারা নিজের/দেশের ভালো বুঝতে পারে।শিক্ষিত জাতিই পারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে।
টিউনটি অনতিবিলম্বে নির্বাচিত করার অনুরোধ রেখে গেলাম কর্তৃপক্ষের কাছে।ধন্যবাদ টিউনারকে।

    @প্রবাসী:
    প্রবাসী দাদাভাই, আপনার মন্তব্য পেয়ে সত্যি ভালো লাগছে। আপনার টিউনগুলো পড়ি আর ভাবি, এতো পরিশ্রম করে পোষ্ট দেয়া যায়! অনুপ্রাণীত হই নিজে। আপনার সফট কালেশন দারুন! একজন টপটিউনারের মন্তব্য পেয়ে আসলেই ভালো লাগলো।
    আমাদের নীতিনির্ধারকদের কথাবার্তা শুনলেই ইদানিং খুব মেজাজ খারাপ হয়। একটা মানুষ কতোটা নীচে নামতে পারে!! নিজের বিবেক বোধহয় উনারা ব্যাংকে জমা রেখে দিয়েছেন! এখন গেছেন সেই এ্যাকাউন্ট নাম্বার ভুলে। ব্যস, আর তাদের বিবেকের কোন বালাই নাই!! যাকগে। সেকথা বলে আর লাভ কি। তবে, আমার খুব মনে হয়, দিন পাল্টাবে। আমাদের আগামী প্রজন্ম নিশ্চয়ই আরো সুন্দর একটা বাংলা গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করবে। আমরা যতটুকু পারবো, করবো। বাকীটুকু ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। অনেক ধন্যবাদ দাদা, কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন দূর-পরবাসে। শুভ কামনা জানবেন।

Level New

খুব সুন্দর টিউন শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্নবাদ।

    @সোহেল_১৯৯৮৮৫:
    মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। সুন্দর হয়েছে কিনা, জানিনা। তবে, চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার। শুভ কামনা রেখে যাচ্ছি। ভালো থাকবেন।

Level 0

kub daun lika can. thanks a lot

    @bbasujon:
    মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া। বাংলায় লিখলে ভালো লাগতো আরো। আমি বাংলায় গান গাই। বাংলাতেই চিৎকার করতে আমার বেশ লাগে। একটু চেষ্টা করলেই বাংলায় লিখতে পারবেন। চেষ্টা করে দেখুন। ভালো লাগবে আপনারও। শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন খুব।

আমিও টিউনটি অনতিবিলম্বে নির্বাচিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি ।

    @Aowlad Hossain:
    মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। টিউন নির্বাচিত হবার জন্য কতোটুকু যোগ্য, সেটা বিচার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে, আপনার মূল্যায়ণ ভালো লেগেছে। শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন সারাক্ষণ।

অসাধারণ টিউন।
আপনার আগের টিউনগুলো পড়েও মন ভাল হয়ে গিয়েছিল। এটাও তার ব্যতিক্রম নয়।
আসলে আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা আমরা নিজেরাই। চোর-বাটপারদের ভোটতো আমরাই দেই আবার আমরাই হা- হুতাশ করি।
তরুণ নেতৃত্ব দরকার। প্রযুক্তিপ্রেমী নেতা। 🙂

অনেক ধন্যবাদ টিউনের জন্য।

    @হাসান যোবায়ের (আল-ফাতাহ্):
    আপনি!!! ভাইয়া, আমার পোষ্টে আপনাকে পেলে সত্যিই আমার ভালো লাগে। আপনাদের দেখে দেখেই পোষ্ট লেখা শেখা, অনলাইনে হাঁটি হাঁটি পা পা করতে শেখা। তাই, আপনাকে দেখে আনন্দ লাগছে। অসাধারণ হয়েছে কিনা জানি না। তবে, আমার চেষ্টা ছিলো, যাতে ভালো হয়। সেই দুপুরের আগে থেকে শুরু করেছি। অনেক্ষণ লেগে গিয়েছে। যাহোক।

    আসলে, সমস্যা আমাদের নিজেদের। আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি। আমরা এখন কেমন নির্বিকার। কোন কিছুতেই যেনো আমাদের কিছু যায় আসে না। প্রতিবাদী কিছু সত্যিকারের মানুষের বড়ো বেশি প্রয়োজন। তরুণ নেতৃত্ব অবশ্যই। প্রযুক্তিপ্রেমী না হলে পথ চলাই মুশকিল হয়ে পড়বে।

    ফিরতি ধন্যবাদ আপনার জন্যও ভাইয়া। ভালো থাকবেন খুব। প্রিয় মানুষদের নিয়ে। অনেক অনেক শুভ কামনা জানবেন।

অনেক সুন্দর টিউন, আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেব সে ভাষা খুজে পাচ্ছি না। টিউনের শেষের কথাগুলো পরে আমার খুব খারাপই লেগেছে, আমাদের মন্ত্রী-এম্পিদের কোনদিনও দেশের জন্য কিছু করার মন মানুশিকতা হবেনা। সে জন্য আমাদের এই নতুন প্রজন্মের চেষ্টা করতে হবে। আবারো আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, আর ভাল রাখুন আপনার আশেপাশের অসহায় মানুশগুলোকে।

    @আব্দুল মালেক:
    মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ধন্যবাদ প্রয়োজন নেই আমার । এই যে আমার পোষ্টে এসেছেন, পড়লেন, মন্তব্য করলেন, প্রিয় এই দেশটাকে নিয়ে একটু ভাবলেন, এগুলোই আমার জন্য যথেষ্ট ভাইয়া। আপনিও লিখুন। বলুন। আপনার প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিন আপনার চারপাশে। প্রিয় এই দেশটার ভালো একদিন অবশ্যই হবে। শুভ কামনা জানবেন ভাইয়া। সেই সাথে ভালোও থাকবেন খুব।

Level 2

দারুন…………………………………………………।

    @Harun0212:
    মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রেখে গেলাম। ভালো থাকুন।

Level 0

এই পোষ্টটি নি সন্দেহে প্রসংশার দাবীদার।আমরা বাংঙ্গালী একাই ১০০ কিন্তু ১০০ বাংঙ্গালী কখনও এক হতে পারলাম না।ধন্যবাদ রুপালী গিটার।

    @Laserbeam:
    প্রশংসা করবার জন্য ধন্যবাদ তো জানাতেই হয়..:) তবে, মন্তব্যর জন্য আসলেই ধন্যবাদ ভাইয়া। আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন হতেই হবে। তাহলেই হয়তো আমাদের কাঙিক্ষত বাংলাদেশ পাবো আমরা। শুভ কামনা রইলো ভাইয়া..।

হাংজু তে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই জিনিসটি দেখার সময় হয়নি। ইনশাল্লাহ্‌ পরের বার দেখব। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

    @শিকদার:
    মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ রইলো। এখনো কি প্রবাসেই আছেন? ভালো থাকবেন। আর, সরাসরি দেখার অভিজ্ঞতা জানার অপেক্ষায় থাকলাম। শুভ কামনা।

অনেক তথ্যমূলক টিউন। এত বড় না হোক এতে অনুপ্রেরনা নিয়ে যদি অন্তত চিমটিখানিক প্রযুক্তিবিদ্যা আমাদের সরকার কাজে লাগাতো তাহলে চীনাদের মতো আমরাও নিজেদেরকে নিয়ে গর্ববোধ করতে পারতাম। তাদের প্রযুক্তি কতটুকু এগিয়ে সাগরকে পদতলিত করে দিয়েছে। সাগারের উপর দিয়ে হন হন করে গাড়ি চালাচ্ছে আর আমরা নদীর পর ব্রীজ করব তাতেই কত দুর্নীতি।

    @Md Shah Alam:
    আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে। আমার সাধারণ মানুষ যদি সঠিকমাত্রায় সচেতন হই, তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের পরিচিত দুর্নীতিবাজ মুখগুলো ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আমাদের জাতীয় প্রশাসনিক অবকাঠামোর ভিত পচে গিয়েছে। নতুন করে সব কিছু সাজানো দরকার। দরকার নতুন প্রজন্মের কোন একজনকে। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা বোধহয় কখনোই আমাদের বর্তমান বেহাল দশার বাইরে বেরুতে পারবো না। কিন্তু, যখন দেখি অসংখ্য তরুণ, অসংখ্য সাধারণ মানুষের স্বপ্ন এক হয়ে মিশে যায়, তখন শক্তি পাই। আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে, প্রিয় এই দেশটার ভালো একদিন হবেই। আমরা একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবোই। জানিনা, সেদিন কবে আসবে..। তবে, আমি জানি, সেদিন আসবেই। শুভ কামনা রইলো ভাইয়া। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদও। ভালো থাকবেন খুব। নিজের জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব, দেশের জন্য করবেন। প্রিয় এই দেশটার ভালো একদিন হবেই।

পড়ি আর নিজ দেশের পদ্মার কথা মনে করি। বারবার শুধু বেদনাই জেগে ওঠে।
সুন্দর তথ্যমূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

    @মামুন আবদুল্লাহ:
    “কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে..!” ভাইয়া, আপনার বেদনা জাগুক, সেটা আমি চাইনি। আমাদের এই দেশটাকে আমরা খুব ভালোবাসিতো। তাই, কষ্ট পেলেও বারবার আওয়াজ তুলি। নিজের সাধ্য অনুযায়ী প্রতিবাদের চেষ্টা করি। আমাদের নতুন প্রজন্ম হয়তো আমাদের আক্ষেপ মোচন করবে। হয়তো খুব শীঘ্রই প্রিয় এই দেশটা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সেই স্বপ্নেই বেঁচে থাকি।

    শুভ কামনা রইলো। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন খুব।

চীনে মাঝে মাঝেই যাই, হাংজোতেও যাওয়া হয় কিন্তু এই জায়গায় তো যাওয়া হয় নাই। মনে হচ্ছে এখুনিই যাই। প্রিয়তে রাখলাম পরবর্তীতে অবশ্যই যাব। আপনাকে এই অসম্ভব সুন্দর টিউনটির জন্য ধন্যবাদ।

    @স্বপন:
    মন্তব্য করা এবং পোষ্ট প্রিয়তে রাখার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। আপনার কাছ থেকে লাইভ হাংজো ষ্টোরি শোনার অপেক্ষায় রইলাম। টিউনটি আসলেই কি অসম্ভব ছিলো!!! আমি চেষ্টা করেছি ভালো করার। আপনাদের মন্তব্য আমার জন্য প্রেরণা হিসাবে কাজ করে। শুভ কামনা রইলো ভাইয়া। ভালো থাকবেন খুব।

Level 0

techtunes এ এখন একটু কমসময় দেই ভাল লেখার অভাবে আমি টিউন করতে পারিনা শুধু পড়ি আপনার টিউন পড়ে মনে হল যদি লগইন করে আপনাকে ধন্যবাদ না দেই তা হলে আমি পৃথিবীর সবচে বড় স্বার্থপর তাই লগইন করলাম ধন্যবাদ আশাকরি আর ভাল কিছু নিয়ে আসবেন আগামীতে আবারও ধন্যবাদ প্রিয়তে

    @habib421:
    আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে উত্তর শুরু করছি। আপনি আমার পোষ্ট পড়ে লগিন করেছেন জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্য না করলে আপনাকে স্বার্থপর ভাববো কেনো…! হয়তো আমার পোষ্টে মন্তব্য কম পড়তো, হয়তো তাতে আমি ভাবতাম, পোষ্টটি হয়তো ততোটা ভালো হয়নি বোধহয়। কিন্তু, অন্তত আপনাকে স্বার্থপর মনে করতাম না। আমাদের খুব ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। এমন অনেক হয় যে, আমি নিজেও পোষ্ট পড়ি, কিন্তু মন্তব্য করি না। তবে, চেষ্টা করি পরিশ্রমী পোষ্টে মন্তব্য করতে। টিটির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানি আমি। পরিশ্রমী টিউনগুলোতে মন্তব্য করার চেষ্টা করি।

    টিউনারদের টিউমেন্ট পেলে অনুপ্রেরণা পাই। আপনার টিউমেন্ট থেকেও সেটা পেলাম। আপনাদের ভালোলাগাগুলো সযতনে তুলে রাখছি। শুভ কামনা জানবেন ভাইয়া। আর, ভালো থাকবেন সবসময়। লিখতেও চেষ্টা করবেন।

AME BI SINGAPORE A JOB KORI.APNI TIK E BOLASAN CHINA RA ONAK PORISOMI.5 TA BANGLA OR 5 INDIAN J KAJ KORA 1 TA CHINA AR CHAITA BASI KAJ KORA.TARA KAJ CHARA KESO E BOJA NA.AMAR SATHA O 8 TA CHINA JOB KORA.AE ORA BASI KAJ KORA BOLA E CHINA RA SINGAPORE FREE ASTA PARA.BEMAN TICKET O LAGA NA,AK TA CHINA K,KOM KORA HOLA O AK MASA BD TAKAI 1 LAC 60 HAJAR TAKA DETA HOI.tune ar jonno thank

    @আশরাফুল খন্দকার:
    দূরদেশে থেকে আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলে, আমরাও কর্মঠ। কিন্তু, আমাদের সুনির্দিষ্ট জাতিগত কোন লক্ষ্য নেই। আমরা নির্ধারণ করতে পারি নি। তাই, আমরা আমাদের এই বিপুল জনশক্তিকে কাজে লাগাতে পারছি না। তবে, আমরা স্বপ্ন দেখি একদিন সব ঠিক করতে পারবো আমরা। আমাদের বর্তমান প্রজন্ম এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবে। শুভ কামনা রইলো ভাই। ভালো থাকুন দূর পরবাসে।

@রুপালি গিটার :
ভাই, আসসালামু আলাইকুম ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না ভাই। কারণ, আমাদের নবীজি রাসুল (সা:) বলেছেন, “তোমরা যদি ১টি হরফ জেনে থাকো তাহলে তা তোমার অপর মুসলমান ভাইকে জানিযে দাও এবং তাকে অজানাকে জানার সুযোগ দাও”। তবে ভাই আমি আপনার জন্য দোয়া করি যাতে আপনি হাশরের ময়দানে জ্ঞানী ব্যক্তিদের কাতারে থাকতে পারেন। আর ভাই এই বাংলাদেশকে নিয়ে কি বলবে? আমার মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সবকিছুই বাংলাদেশি। আমার বাবাও একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু যখন প্রতিদিন পত্রিকা খুলি তখন শুধুই দুনীর্তিই চোখে পড়ে। আর টিটি খুললেই যখন দেখি বহিঃবিশ্বের প্রযুক্তির ব্যাপক অগ্রগতি তখন মনে হয় বাঙ্গালীদের জন্মটাই মনে হয় ভুল ছিল। তারপরেও প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গে নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে।।।

    @shagorerjol:
    সালাম নিয়ে নিলাম। আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করুন। অজানাকে জানার জন্য মানুষের নিরন্তর প্রচেষ্টা আছে বলেই আমরা অজানাকে জানছি নিয়মিত। বাঙালি হয়ে জন্ম নেয়ায় আমি মোটেও লজ্জিত নেই। আমি মোটেও ভুল মনে করি না। ভুল আছে আমাদের কিছু কিছু কাজ, পদ্ধতি, সামাজিক কিছু অনুষঙ্গ আর রাষ্ট্র পারিচালনায় ব্যস্ত কিছু মানুষের মধ্যে। এই দেশে যেমন দুর্নীতিবাজ নেতা আছে। তেমনই আছে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা, বর্তমান প্রজন্ম। আমরা প্রিয় এই দেশকে পাল্টে দেবো। সুন্দর এই দেশটাকে স্বপ্নের মতো করে সাজাবো। আমার গভীর বিশ্বাস, আমরা পারবো। প্রিয় এই দেশ নিশ্চয়ই ভালো থাকবে একদিন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্যও। ভালো থাকুন সবসময়।

Level 0

Thanks…excellent work…

    @s@l@m:
    ধন্যবাদের জন্য ফিরতি ধন্যবাদ আপনাকেও। অনুরোধ থাকবে, সম্ভব হলে বাংলায় লিখবেন। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বাংলায় লিখতে। নিজের ভাষায় লেখার আনন্দই আলাদা। শুভ কামনা রইলো অনেক। ভালো থাকুন।

আজকে আপনার টিউন দেখলাম। একটু দেরীই হয়ে গেলো। কিন্তু একটা কথা না বলে পারছিনা, আপনার টিউন দেখেই বুঝা যায় যে, আপনি কতটুকু পরিশ্রম করেছেন। অসাধারন মানের টিউন। অনেক তথ্য বহুল। পড়লেই মনে হয়, আপনি বুঝি এর সাথে জড়িত, নিজের চোখে দেখেছেন। আপনার টিউন করার দক্ষতাও অনেক ভালো। আরও ভালো ভালো টিউন করবেন এই আশায় রইলাম। আর আপনাকে অনেক ……………………………….. ও শুভ কামনা।

    @রাসকিন:
    আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। পরিশ্রম করেছি হয়তো। চেষ্টা করেছি পাঠকের আগ্রহ জাগে, এমন বিষয় জানানোর জন্য। এই পরিশ্রমে আমারও অনেক উপকার হয়ে যায়। একটা বিষয়ে ঘাটা-ঘাটি করতে গিয়ে জানা হয়ে যায় আরো অনেক বিষয়। যেগুলো হয়তো আলাদা করে পড়ার ইচ্ছেই হতো না আমার। দক্ষতার ভালো, এই কথাটা শুনে ভালো লাগলেও আমি জানি, আমার দক্ষতা মোটেও নেই। আমি শুধু চেষ্টা করেছি। হয়তো আমার আন্তরিক চেষ্টা পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে, এই আশায়। টিউন করার চেষ্টা করি। ইচ্ছেও হয়। কিন্তু, অনেক সময় লাগে বলে সবসময় সম্ভব হয়ে উঠে না। অনেক ………………ও শুভ কামনার জন্য ফিরতি ………….ও শুভ কামনা রইলো। 🙂 ভালো থাকবেন অহর্ণীশ। এবং, আশা করবো, আবার দেখা হবে অন্যকোন টিউনে।