একদিন ভোরে ফেসবুক গিয়ে দেখি সবাই বলছে টেকটিউনস হ্যাক হয়েছে। মাথা আউলে গেলো। সাইটে ঢুকে দেখি ডিফেস পেজ নেই কিন্তু সাইট ডাউন। মন, মেজাজ দুইটাই খারাপ হয়ে গেলো।
টেকটিউনস বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী সোসাইটির এক ডিজিটাল টেকনলজি আইকন। সবাই তাদের আইডিয়া, টিউটরিয়াল থেকে শুরু করে সব কিছু এখানে শেয়ার করছে। আর দশজন সেটা পড়ে শিখছে, জানছে। এমন অবস্থায় টেকটিউনস এর প্রতি অদৃশ্য এক ভালোবাসা জন্মে যায়। আমি নিজেও বেশ কিছু টিউন করেছি টেকটিউনস এ । এর মধ্যে লিনাক্স- উবুন্টুর ওপর করা টিউন গুলোতে ভিজিটর দের সাড়া দেখে আবিভূত হয়েছিলাম। আজো আমার মেইল বক্সে উবুন্টু নিয়ে অনেকের প্রায় ৭০ টা মেইল আছে। ফোন পেয়েছি প্রায় ৩০ জন ভিজিটর+ টিউনার এর। এ এক অভূতপূর্ব অনূভূতি। এই অনুভূতির কৃতিত্ব যদি দিতে হয়, সেটা হবে টেকটিউনসের।
আমি অনেক কিছু শিখেছি টেকটিউনস থেকে। কিছু কিছু টিউন খুব কাজে লেগেছে। আমার কাছে কেউ কোন টেকি সাহায্য চাইলে আমি আগে বলতাম টেকটিউনস এ একবার দেখে আসো। ওখানে পাবা। টেকটিউনস প্রযুক্তির এক নতুন ধারার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশে।
হ্যাক হওয়ার বিষয়টা অনেক বেশি কষ্টকর ছিলো। টাইগার মেট এর নামে ডিফেস করাইয় সবাই টাইগারমেট কে দোষারপ করছে। কিন্তু তার সাথে অন্য একজনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানা যায় যে সে এই হ্যাকিং এর ব্যাপারে কিছু জানে না। বিষয়টা এখনো রহস্যবৃত।
এরপর উবুন্টু তে বাংলা লেখা নিয়ে একটা টিউন করতে টিটি তে এসে মনে পড়লো সাইট তো বন্ধ। খারাপ লাগাটা বেড়ে গেলো।
পরে সোর্ডফিশ এর ষ্ট্যাটাস থেকে জানলাম যে টেকটিউনস ফিরে এসেছে। সাথে সাথে দৌড়ে চলে এলাম।
উবুন্টু নিয়ে একটা টিউন দেবো শীঘ্রই।
আমি asas xcxc। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 139 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টিউনের প্রতিক্ষায় রইলাম ।।